চা উৎপাদনে রেকর্ড বাংলাদেশের
এগ্রিবিজনেস
১৬৮ বছরের ইতিহাসে বাণিজ্যিক চা চাষে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। করোনা সংকটের মধ্যেই গেলো বছর সর্বোচ্চ ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছর ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদনের টার্গেট থাকলেও বছর শেষে ১৬৭টি বাগান এবং ক্ষুদ্রতায়ন অন্যান্য বাগান মিলে মোট ৯ কোটি ৬৫ লাখ ৬ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়।
উৎপাদনের এই পরিমাণ ২০২০-এর তুলনায় এক কোটি ১১ লাখ কেজি বেশি। এর আগে ২০১৯-এ ৯ কোটি ৬০ লাখ ৬৯ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছিলো, যা ছিলো সেসময় পর্যন্ত দেশে চা শিল্পের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ।
এর আগে গত অক্টোবরে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ এক কোটি ৪৫ লাখ কেজি চা উৎপাদনের তথ্য জানায় চা বোর্ড।
বিজ্ঞপ্তিতে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের সব চা বাগানের সার্বিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিলো। সরকারের আর্থিক প্রণোদনা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের নিয়মিত মনিটরিং ও পরামর্শ প্রদান, বাগান মালিক ও শ্রমিকদের নিরলস প্রচেষ্টা, ঠিক সময়ে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা নিলাম কেন্দ্র চালু রাখা, চা শ্রমিকদের মজুরি, রেশন এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের ফলে ২০২১-এ দেশের চা উৎপাদন অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উত্তরাঞ্চলে সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্র চা চাষ থেকে ২০২১-এ রেকর্ড এক কোটি ৪৫ লাখ মিলিয়ন কেজি চা জাতীয় উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে, আগের বছর এই সংখ্যা ছিলো এক কোটি তিন লাখ কেজি।
রেকর্ড অনুযায়ী ১৮৫৪-এ সিলেটের মালনীছড়ায় দেশের প্রথম বাণিজ্যিক চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে ২০১৬-এ সর্বোচ্চ আট কোটি কেজি চা উৎপাদন ছিল সর্বোচ্চ, যা ছাপিয়ে ২০১৯-এ উৎপাদন হয় ৯ কোটি ৬০ লাখ কেজি। এবার ছাড়িয়ে গেলো সেই রেকর্ডও।
বাংলাদেশের এই ১৬৭টি চা বাগানের মধ্যে ১৩৬টিই চা চাষের বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে। সর্বোচ্চ এক জেলায় মৌলভীবাজারে ৯১টি, হবিগঞ্জে ২৫টি এবং সিলেটে রয়েছে ১৯টি চা বাগান। সিলেট অঞ্চল ব্যতীত চট্টগ্রামে ২১টি এবং রাঙামাটিতে আছে দুইটি চা বাগান। অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলের সমতল ভূমিতে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আটটি, ঠাকুরগাঁওয়ে ১ টি চা বাগান রয়েছে।