ছাগলে ধান খাওয়ায় পিটিয়ে কৃষককে হত্যা
পাঁচমিশালি
ছাগল অন্যর জমির ছোট ছোট কিছু ধানের চারা খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জমির মালিক সিরাজ তালুকদার ছাগলটিকে পার্শ্ববর্তী একটি ডোবার পানিতে চুবায় এবং পেটায়। পরে ছাগলের মালিক কাঞ্চন রাঢ়ী অবুঝ প্রাণিকে এভাবে নির্যাতনের প্রতিবাদ জানান। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাঞ্চন রাঢ়ীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে সিরাজ তালুকদারের লোকেরা।
আহত কাঞ্চন রাঢ়ীকে হাসপাতালে নিলে সেখানে তিনি মৃত্যবরণ করেন।
বরিশালের হিজলায় এই ঘটনা ঘটে। গত বুধবার রাত ৯টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত কাঞ্চন রাঢ়ী হিজলা উপজেলার হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নের বিশর গ্রামের আলী আহম্মদ রাঢ়ীর ছেলে। পেশায় তিনি একজন কৃষক।
কাঞ্চন রাঢ়ীর মেয়ে জেসমিন জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে তাদের একটি ছাগল পার্শ্ববর্তী সিরাজ তালুকদারের জমির ছোট ছোট কিছু ধানের চারা খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিরাজ তালুকদার ছাগলটিকে পার্শ্ববর্তী একটি ডোবার পানিতে চুবায় এবং পেটায়।
তিনি বলেন, অবুঝ প্রাণিকে এভাবে নির্যাতন করার প্রতিবাদ জানায় আমার বাবা কাঞ্চন রাঢ়ী। এতে পুনরায় ক্ষিপ্ত হয়ে সিরাজ তালুকদার তার শ্যালক মিলন মোল্লাসহ ১০-১৫ জন স্বজন নিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বাবাকে গুরুতর জখম করে। হামলার সময় আমি ও আমার দুই ভাই রাসেল, মোকসেদ ও চাচাতো ভাই সোহেলসহ ৮-১০ জন বাবাকে রক্ষায় এগিয়ে যাই। এ সময় হামলাকারীরা আমাদেরও মারধর করে।
এ ঘটনায় বাবাসহ ৪-৫ জন গুরুতর আহত হলে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে সন্ধ্যায় বাবাকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। বুধবার রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে হিজলা থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার মামলা দায়েরের পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।