৪:১৭ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • জেগেছে গৌতমখালী মরা নদী: কমবে বন্যা, বাড়বে কৃষি
ads
প্রকাশ : এপ্রিল ৩, ২০২১ ৮:২৩ অপরাহ্ন
জেগেছে গৌতমখালী মরা নদী: কমবে বন্যা, বাড়বে কৃষি
কৃষি বিভাগ

প্রায় ৬৫ বছর পর ফেনী সদর উপজেলার গৌতমখালী মরা নদী খননের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নামে নদী হলেও এটি মূলত খাল হিসেবে পরিচিত।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে এতে সমৃদ্ধ হবে কৃষি। বন্যা থেকে রক্ষা পাবে ফসলি জমি। খননের পর তীরবর্তী দাগনভূঞা ও ফেনী সদরের তিনটি ইউনিয়নের কৃষি আবাদ বাড়বে, প্রাকৃতিক মৎস্য উৎপাদন বাড়বে ও দুই পাড়ে সবুজ বনায়ন সৃষ্টি হবে। এছাড়াও ফেনীর উত্তরাঞ্চলের পানি নিষ্কাশন হয় গৌতমখালী মরা নদী দিয়ে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনী সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৯ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে গৌতমখালী মরা নদীর খনন কাজের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

একই সূত্র জানায়, খনন কাজ চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়েছে । ইতোমধ্যে প্রায় ৪০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কাজ পুরোপুরি শেষ হতে চলতি বছরের মে ও জুন গড়াতে পারে। খাল খননের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। খনন কাজ করছে ঠিকাদার সালেহ আহমদ বাবুল।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আখতার হোসেন জানান, এ নদীর দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৬৬ কিলোমিটার, প্রস্থ ৪০ মিটার। শীতকালে কৃষি সেচের জন্য ২ মিটার পানি থাকবে।

উৎপত্তি প্রসঙ্গে তিনি জানান, এ নদীটি দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়ন, ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন ও শর্শদী ইউনিয়ন দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গৌতমখালীর মরা নদীর উৎপত্তি সিন্দুরপুর ইউনিয়নের শরিফপুর গ্রামের ছোট ফেনী নদী থেকে আবার ওইখানে এসে মিলিত হয়েছে।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফুল রহমান ভূঞা জানান, ৬০-৬৫ বছর আগে এ খাল খনন করা হয়েছে। এরপর আর কোন খনন কাজ করা হয়নি। বন্যার কারণে আর ফসলের ক্ষতি হবে না। পানি সহজে অপসারণ হবে।

আখতার হোসেন বলেন, গৌতমখালী নদী একটি প্রাকৃতিক নদী। পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠার পর থেকে গৌতমখালীর মরা নদী খনন হওয়ার কোন রেকর্ড নেই। এটিই প্রথম খনন কাজ। এ নদী খননের ফলে শহরের উত্তরাঞ্চলের সহজে পানি নিষ্কাশন হবে। তিনি আরও বলেন, স্টার লাইনের পাশের খালের পানি, মোহাম্মদ আলী বাজারের খাল, শর্শদী খালের পানিগুলো এ মরা নদী দিয়ে নিষ্কাশন হবে। এ নদী থেকে এক কিলোমিটার পর্যন্ত কৃষকরা পানি নিতে পারবে। এটা খনন করা হচ্ছে জলাশয় হিসেবে। এতদিন এটি ছিল মরা নদী। এটি জলাশয় হিসেবে নিষ্কাশনের কাজে, সেঁচের কাজে, প্রাকৃতিক মৎস চাষে ব্যবহার হবে। এর দুই পাড়ে বনায়ন হবে। এতে পরিবেশের উন্নয়ন হবে।-বাসস।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop