জয়পুরহাটের গাছে গাছে রসালো কাঁঠাল
প্রাণ ও প্রকৃতি
জয়পুরহাটের শহর থেকে শুরু করে একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গাছে গাছে দুলছে পুষ্টি ও ওষুধিগুণ সমৃদ্ধ সুমিষ্ঠ ফল কাঁঠাল।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বারি কাঁঠাল- ১, ২ ও বাউ কাঁঠাল-১ ছাড়াও কোষের বৈশিষ্ট অনুসারে কাঁঠাল তিন প্রকারের হয়ে থাকে । এ গুলো হচ্ছে খাজা, আদরাসা ও গালা জাত। দেশে বিভিন্ন জেলায় কাঁঠালের চাষ হলেও জয়পুরহাট জেলাও পিছিয়ে নেই।
জেলায় ২০২০-২১ মৌসুমে ৪‘শ ৫৪ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন কাঁঠাল। কাঁঠালের ইংরেজি নাম Jackfruit হলেও বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Artocarpus heterophyllus. কাঁঠালে প্রচুর পরিমানে শর্করা, আমিষ ও ক্যারোটিন রয়েছে। কাঁঠালের শাঁস ও বীজকে চীন দেশে বলবর্ধক হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। কাঁঠালের পোড়া পাতার ছাইয়ের সাথে ভূট্টা ও নারিকেলের খোসা একত্রে পুড়িয়ে নারিকেল তেলে সঙ্গে মিশিয়ে ঘা বা ক্ষত স্থানে ব্যবহার করলে ঘা শুকিয়ে যায়। শিকড়ের রস জ্বর এবং পাতলা পায়খানা নিরাময়ে ভালো কাজ করে বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ স ম মেফতাহুল বারি।
কাঁঠাল কাঁচা অবস্থায় ও পাকার পর বীজ তরকারি হিসেবেও খাওয়া হয় এবং তোতা বা মোথা গুলো গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়।
কৃষি বিভাগ আশা করছেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় জেলায় এবার কাঁঠালের বাম্পর ফলন হবে ।