৪:৪৯ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • ঢাকায় জাতিসংঘের এফএওর ৩৬তম আঞ্চলিক সম্মেলন শুরু
ads
প্রকাশ : মার্চ ৮, ২০২২ ৪:৩৭ অপরাহ্ন
ঢাকায় জাতিসংঘের এফএওর ৩৬তম আঞ্চলিক সম্মেলন শুরু
কৃষি বিভাগ

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আহ্বানে বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ৩৬ তম এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন ঢাকায় শুরু হয়েছে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রাজধানীর কন্টিনেন্টাল হোটেলে ৪দিন ব্যাপী এই সম্মেলন আজ মঙ্গলবার (৮ই মার্চ) শুরু হয়ে আগামী শুক্রবার(১১ই মার্চ) শেষ হবে। এফএওর সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে সচিব পর্যায়ের ও সিনিয়র কর্মকর্তাদের বৈঠকের উদ্বোধন করা হয়। বৈঠকে মালদ্বীপের প্রস্তাবে বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব এম ডি সাইদুল ইসলামকে বৈঠক পরিচালনার জন্য সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এছাড়া নেপালকে সভাদূত করা হয়েছে।

এসময় খাদ্যসচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, এফএও’র সহকারী মহাপরিচালক জং-জিন কিম, কনফারেন্স সেক্রেটারি শ্রীধর ধর্মপুরীসহ অংশগ্রহণকারী দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে কৃষিসচিব বলেন, মুজিববর্ষে বাংলাদেশে এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন আয়োজন দেশের কৃষি উন্নয়নের সাফল্যে মাইলফলক হয়ে থাকবে। এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বাংলাদেশের কৃষিতেও এর বিরাট প্রভাব পড়বে। এ অবস্থায়, এ সম্মেলন সদস্য দেশসমূহের মধ্যে জ্ঞান, প্রযুক্তি, অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ক্ষেত্র প্রসারিত করবে ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।

সচিব সাইদুল ইসলাম বলেন, কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। আমাদের দেশের ৪১ শতাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। আমাদের জাতীয় জিডিপির প্রায় ৩০ শতাংশ কৃষি থেকে আসে। এ ছাড়া করোনা সংক্রমণের মাঝেও বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে তৃতীয় স্থান দখল করেছ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

এফএও’র সহকারী মহাপরিচালক জং-জিন কিম তাঁর বক্তব্যে সম্মেলনে আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য চারটি বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানান। তিনি বলেন, উন্নত উৎপাদন, উন্নত পুষ্টি, উন্নত পরিবেশ ও উন্নত জীবনের জন্য কৃষিখাদ্য ব্যবস্থাকে টেকসই করা, জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার ও জলবায়ুসহনশীল কৃষিখাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

মন্ত্রিপর্যায়ের মিটিং বা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ১০ মার্চ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন। শেষ দুই দিন (১০-১১ মার্চ) কৃষিমন্ত্রীদের মিটিংয়ের কথা বলা হয়েছে। বুধবার (৯ মার্চ) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এবং আগামী রোববার (১৩ই মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এফএও’-র মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।

ভার্চুয়াল এবং সশরীরে আয়োজিত সম্মেলনে ৪২টি দেশ ও এসব দেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের ৪২ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে ১২ জন মন্ত্রী সশরীর অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া, সদস্য রাষ্ট্র, এফএও’র মহাপরিচালক, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির প্রায় ৯০০ জন নিবন্ধন করেছেন, যা এপিআরসি সম্মেলনে অংশগ্রহণের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি কান্ট্রি শোকেসিং থাকছে। কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অংশগ্রহণে ১৭টি প্রদর্শনী স্টল রয়েছে।

উল্লেখ্য, এফএওর ৩৫তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন ২০২০ সালে ভুটানের থিম্পুতে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে ২০২২ সালে অনুষ্ঠেয় ৩৬তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন বাংলাদেশে অনুষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা। বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা নিরসনের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ এফএও’র সদস্যভুক্ত হয়। এফএও’র একটি আনুষ্ঠানিক ফোরাম হিসেবে প্রতি দুই বছর পর পর এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়; যেখানে সদস্য দেশসমূহের কৃষিমন্ত্রী এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ খাদ্য ও কৃষির চ্যালেঞ্জ এবং সমাধান সম্পর্কে আলোচনা করে থাকেন।

 

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop