দেশীয় মাছ উৎপাদনে ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রকল্প’
মৎস্য
রংপুর জেলায় সরকারিভাবে ১২টি মৎস্য অভয়াশ্রম চলমান থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ অবস্থায় জেলার মৎস্য অধিদপ্তরের অধীনে ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তিসেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে জেলার আটটি উপজেলায় ২৭টি ব্যাচে মোট ৫৪০ জন মৎস্য চাষিকে মাছ চাষের প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ৭৭ জন চাষির মাছ সরকারিভাবে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে আধুনিক প্রযুক্তি সহজেই অন্য চাষিরা গ্রহণ করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে চাষকৃত মাছের মধ্যে রয়েছে পাবদা, গুলসা, শিং, মাগুর। এছাড়াও কার্প, মিশ্র কার্প গলদা ও পাঙ্গাশ মাছের প্রদর্শনী কার্যক্রমের বাস্তবায়ন চলছে।
ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষিদের সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে লিফ (স্থানীয় মৎস্য সম্প্রসারণ প্রতিনিধি) মনোনয়ন করা হয়েছে, যারা সার্বক্ষণিক স্থানীয়ভাবে মৎস্যসেবা প্রদান করে যাচ্ছে। জনবল কম থাকায় লিফগণ স্বেচ্ছাসেবকদের মতো মৎস্য চাষিদের মাঝে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।
এ প্রকল্পে শতক প্রতি শিং মাগুর মাছের উৎপাদন হবে ৪০ কেজি, তেলাপিয়া মাছ ৫০ কেজি, কার্প-গলদা ২০ কেজি, গোলসা ৩০ কেজি এবং পাঙ্গাস ৮০ কেজি উৎপাদন হবে।
বর্তমানে রংপুর অঞ্চলে পুকুরে গড় মাছের উৎপাদন মাত্র ১৪-১৭ কেজি। দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ মানুষের আয় বৃদ্ধি ও বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রংপুর জেলায় প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় ব্যানার্জি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে দেশীয় মৎস্য চাষ প্রকল্পটি মানুষের আয় বৃদ্ধি এবং বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরুণ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এই প্রকল্পে একদিকে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে, অন্যদিকে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে।