দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর এর অভিনন্দন
ক্যাম্পাস
কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বিদায়ি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের উত্তরসূরি হলেন । গত সোমবার (২৪ এপ্রিল ২০২৩)সকালে বঙ্গভবনের দরবার হলে তাঁকে শপথ পড়ান জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। নতুন মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিন এর প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.লুৎফুল হাসান। গতকাল (২৭ এপ্রিল ২০২৩) এক অভিনন্দন বার্তায় ভাইস-ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণকারী মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবন এককথায় বৈচিত্র্যময় ও বর্ণাঢ্য। জনাব সাহাবুদ্দিন ছেষট্টির ৬ দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি পাবনা জেলার আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন।এজন্য তিনি একাধিক বার জেলও খেটেছেন।
কর্মজীবনে তিনি জেলা ও দায়রা জজ এবং দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুদক কমিশনার হিসেবে সাহাবুদ্দিন পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিরুদ্ধে ওঠা কথিত দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দৃঢ়তার পরিচয় দেন।তিনি আরও জানান,
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে তাঁর ঐতিহাসিক দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা । বাংলাদেশের জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্বনেতারা সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর জোর দেন।ভিসি ড.হাসান আরও আরও উল্লেখ করেছেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে তাঁর সাফল্য ও সুখ এবং দেশের জনগণের সমৃদ্ধির জন্য তাঁকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং পাশাপাশি তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।”
ভাইস-ভাইস-চ্যান্সেলর আশা প্রকাশ করেন , রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি এদেশের উচ্চশিক্ষা ,গবেষণায় ভূমিকা রাখবেন। তাঁর নেতৃত্বে শিক্ষা ব্যবস্থার আরও উন্নতি ও প্রসার লাভ করবে এবং বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে নীতিনৈতিকতার প্রশ্নে দৃঢ়তার পরিচয় দেবেন, এই প্রত্যাশা রইলো । আমি তাঁর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।
উল্লেখ্য ৭৩ বছর বয়সী রাজনীতিবিদ মো. সাহাবুদ্দিন ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।