নতুন প্রজাতির মাছের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশী গবেষকরা
মৎস্য
বাংলাদেশি গিটার ফিশ নামে নতুন এক প্রজাতির মাছের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশী গবেষকরা। যার বৈজ্ঞানিক নাম ‘গ্লাওকাসটিগাস ইয়ানহোলেএইয়ে’। যা বিশ্ব মাছের তালিকায় নতুন। বাংলাদেশের কক্সবাজারের সামুদ্রিক জলসীমা থেকে প্রথম বারের মতো ২০১৯ সালে একটি নতুন সামুদ্রিক মাছের সন্ধান পায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের একোয়াটিকবায়োরিসোর্স রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষকরা।
মাছটির দেহেরগঠন, বাহ্যিক আকৃতি এবং ডিএনএ বার কোডিং পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রজাতিটি শনাক্ত করা হয়। বাংলাদেশের সামুদ্রিক জল সীমায় পাওয়া যায় বলে প্রজাতিটির ইংরেজি নাম দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশি গিটার ফিশ (Bangladeshi guitarfish)। ২বছর ফিল্ড ওয়ার্ক ও ল্যাবওয়ার্ক শেষে নিউজিল্যান্ডের জু ট্যাক্সা জার্নালে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়।
এছাড়া ইউরোপভিত্তিক নেটওয়ার্কিং সাইট রিসার্চগেটে গবেষণা পত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। এসব জার্নালে প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্ব মাছের তালিকায় যুক্ত হলো প্রজাতিটি।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ একোয়কালচার ও মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডীন ও ডিপার্টমেন্ট অব ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী আহসান হাবিব এবং সহকারী গবেষক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রক্তন শিক্ষার্থী মো. জায়েদুল ইসলাম গবেষণা পত্রটি লেখেন।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী আহসান হাবিব জানান, এটি ৭৩০ থেকে ৯৩৩ মিলিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এটির রং হয় বাদামী বা ধূসর। চ্যাপ্টা ধরনের মাছটির মাথা প্রশস্ত। মাথা থেকে ৩১ থেকে ৪০ ডিগ্রি কৌণিকভাবে লেজ পর্যন্ত এটির দেহ ক্রমশ সরু হয়। লেজ বেশ লম্বা।
প্রাপ্তবয়স্ক গ্লাওকাসটিগাস ইয়ানহোলেএইয়ের পরিধি বেশ কম। সরু মুখগহ্বর আর চওড়া নাকের ফুটো অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মুখের প্রস্থের তুলনায় নাক প্রায় অর্ধেক। স্টিং রে, ম্যান্টা রে, ঈগল রে, ইলেক্ট্রটিক রে, বাটারফ্লাই রে, স্কেট, স’ফিশ ইত্যাদির সমগোত্রীয় বা একই পরিবারের সদস্য রাইনোব্যাটোস বা গিটারফিশ। সবগুলোই গভীর সমুদ্রের মাছ। দেখা মেলে সাগর-মহাসাগরের বিভিন্ন অঞ্চলে। সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ