পুকুরে মাছ চাষের জন্য জৈব সার তৈরি করবেন যেভাবে
মৎস্য
খাদ্যের পাশাপাশি সারের খরচও চাষীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাদের চাষের প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠ ভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু তা অনেকটাই নিরাময় হয় যদি তারা তাদের চাষের পুকুরে ব্যবহার করে কিছু জৈব ও অজৈব সার।
এই সার মূলত পরিগণিত হয় সেই সমস্ত পূর্ব আলোচিত প্রাকৃতিক খাদ্যকনার খাদ্য দ্রব্য হিসাবে। তবে সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে নীতি হওয়া উচিত – ‘কম মাত্রায় কিন্তু বেশি বার’ – এটা মেনে চলতে পারলে ভয় কম থাকবে।
এছাড়াও, বাধ্যতামুলক মাসে এক বার চুনের প্রয়োগ। আনুমানিক এক কাঠা পিছু এক কেজি – যা পরবর্তীতে একবার মেপে নিলে ভালো, পানির ‘pH’ যাচাই করে। যেহেতু পুকুরের পানি ও মাটির গুনাগুন, মূলত ‘pH’, মাছের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে, ফলে, অন্তত ১৫ দিনে একবার পানির ‘ph’ দেখে নেওয়া অতি অবশ্যই প্রয়োজন।
জৈব সার তৈরি করার জন্য যে উপকরণগুলির প্রয়োজন হয় সেগুলি হল – গরুর গোবর, গোমূত্র, ঘরে রান্নার সবজির খোসা, চাল-ডাল ধোয়া পানি, সামান্য খোল ইত্যাদি বা কোনো সময় কুচো মাছ বা তাদের থেকে নির্গত বর্জ ইত্যাদি।
তবে, এদের মধ্যে, এই গোবর সারই আমাদের পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম-বাংলায় বহুল প্রচলিত। এই সারটি তৈরি করতেও বিশেষ তেমন খরচ নেই, শুধু রয়েছে একটি খুবই ছোট পুকুর বা পিট তৈরির পরিশ্রম।
এই পিটটির কিছুটা অংশ কাচা গোবর, কিছুটা পরিমাণ পানি এবং চাইলে সেই কুচো মাছ বা তাদের থেকে নির্গত বর্জগুলি দিয়ে ভরিয়ে দিয়ে খেয়াল রাখতে হবে যেন সেই যৌগটি তার অক্সিডেশন বা ফারমেণ্টেশানের (পচন) জন্যে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায়। এই পচন প্রক্রিয়ার ইতি হলেই গোবর সারের প্রস্তুত প্রণালী শেষ। এছাড়া জৈব জুসের মধ্যমেও অনুরূপ ফল পাওয়া যায়।