বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে স্বাবলম্বী তারিক
মৎস্য
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ বাংলাদেশের জন্য কিছুটা নতুন হলেও এটি ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও চায়নাতে অনেক আগ থেকে বহু জনপ্রিয়। আর সেই বায়োফ্লক পদ্ধতিতে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের সন্তান তারিক হাসান প্রথম বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে সাড়া ফেলে জাগিয়েছেন।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়া ডাঙ্গী (মুসলিম) গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা তারিক হাসান উপজেলায় প্রথম এই বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেন। তার এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ দেখে আশেপাশের অন্যান্য যুবকদের মধ্যেও বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে নানা রকম কৌতুহুল ও আগ্রহ বাড়ছে বলে জানা যায়।
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে অল্প জায়গাতে উচ্চ ঘনত্বে মাছ চাষ করা যায় এবং এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ তুলনামূলকভাবে অন্য পদ্ধতি অপেক্ষা খরচ সাশ্রয়ী ও কম ব্যয়বহুল। বাংলাদেশের মতো অধিক জনসংখ্যা ও স্বল্প আয়তনের দেশে এই পদ্ধতিটা ছড়িয়ে পড়া খুবই জরুরি। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে দেশে বেকারত্বের সংখ্যা অনেকাংশেই কমে যাবে।
জানা যায়, তারিক হাসান প্রাথমিকভাবে তার বাড়ির পেছনে ১৫ শতাংশ জায়গার মধ্যে ৬ হাজার লিটারের দুটি ট্যাংকিতে ৫৪ হাজার কৈ মাছ ২ লাখ শিং জাতীয় মাছের চাষ শুরু করছেন।
তারিক জানান, তার এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে প্রায় ১২ লাখ টাকার মত খরচ হয়েছে। তিনি আশা করেন এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে সফল হলে ৫ মাস পর সে এই ট্যাংকি থেকে ন্যূনতম তার ১০ হাজার কেজি মাছ উৎপাদিত হবে এবং এবং প্রায় ৬ লাখ টাকার মত লাভ করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর জানান, আমরা উপজেলায় তরুণ উদ্যোক্তা তারিক হাসানের বায়োফ্লক মৎস্য খামারটি এর আগে পরিদর্শন করেছি।
এ ছাড়া তার বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ দেখে আমরা সত্যি খুব আনন্দিত, এটি একটি সফল প্রকল্প বলা চলে। আমরা তার বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে প্রতিনিয়ত পরিদর্শন করার পাশাপাশি আমরা তাকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা, পরামর্শ ও সার্বিক সহায়তা প্রদান করবেন বলেও জানান।