মোরেলগঞ্জে ফসলি জমিতে লবণাক্ত পানি, উৎপাদন হ্রাস
কৃষি বিভাগ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমিতে খালের পানি ঢুকে লবণাক্ততার কারণে দুই ইউনিয়নের ৪০০ একর জমির ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। ফলে কৃষকরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। নিরুৎসাহিত হচ্ছে চাষাবাদ থেকে।
সরেজমিনে জানা গেছে, প্রমত্তা পানগুছি নদীর সংযোগ বহরবুনিয়ার সূর্যমুখী খালের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দ খালের ত্রি-মোহনা থেকে লবণাক্ত পানি ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ে। এ লবণাক্ততার কারণে বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ৩০০ একর ও বারইখালী ইউনিয়নের ১০০ একর জমির ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন ব্যাপকহারে হ্রাস পেয়েছে।
এ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাহাদুর খান জানান, খালের ভাঙনের ফলে জমিতে পানি ঢুকে লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে ফসলের উৎপাদন অনেক কমে গেছে। ইতোপূর্বে যে জমিতে ২০ মণ ধান উৎপাদিত হতো সে জমিতে পাঁচ-আট মণ ধান উৎপাদিত হচ্ছে। অনেক জমিতে ধানই হয়নি।
অপরদিকে ত্রি-মোহনার খালে ভাঙনে দুই পাড়ের কমপক্ষে ১০টি বাড়ি বিলীন হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিফাত আল মারুফ জানান, ত্রি-মোহনার আনন্দ খাল ভেঙে বহরবুনিয়ার ৩০০ একর ও বারইখালী ইউনিয়নের ১০০ একর ফসলি জমির ক্ষতি হচ্ছে।
ইউপি চেয়ারম্যান রিপন হোসেন তালুকদার জানান, লবণাক্ততা ঠেকাতে এলাকাবাসীর সহায়তার খালে বাঁধ দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তবে এ খালে স্থায়ীভাবে কালভার্ট কাম স্লুইস গেট নির্মাণ করা একান্ত জরুরি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কৃষ্ণেন্দু বিকাশ সরকার বলেন, স্লুইস গেট নির্মাণের মাধ্যমে এ সমস্যার নিরসন হতে পারে। তবে এটা একটা দাপ্তরিক প্রক্রিয়া।