মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে চলছে গবাদি পশু-পাখির চিকিৎসা!
প্রাণিসম্পদ
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে গবাদি পশু-পাখির চিকিৎসা চালানোর অভিযোগ উঠেছে যশোরের শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। ফলে সুচিকিৎসার অভাবে প্রতিনিয়ত গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি মারা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন খামারি ও চাষিরা। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। সরকারি ওষুধ বাইরে বিক্রি করে দিয়ে এসব ওষুধ সবার চোখের আড়ালে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ অনেকের।
সোমবার (৩ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অসুস্থ গরু, ছাগলের শরীরে পুশ করার জন্য উপজেলার নাভারন প্রাণিসম্পদ দফতরের র্যাকে রাখা প্রোক্সাসিন ইনজেকশনের কাঁচের বোতলের গায়ে মেয়াদ উল্লেখ আছে ২০২১ সালের ২১ মার্চ। আরেকটি র্যাকে রাখা আছে কেমোনিড (ওরাল পাউডার)। এগুলোর গায়েও ব্যবহারের মেয়াদ উল্লেখ আছে ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন খামারি ও চাষির অভিযোগ, ২৮ এপ্রিল কয়েকজন খামারির অসুস্থ গরু ও ছাগলের দেহে প্রোক্সাসিন ইনজেকশন পুশ করা হয়। এরপরই তাদের কিছু গরু ও ছাগল আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যায়।
সরকারি ওষুধ বাইরে বিক্রি করে দিয়ে এসব ওষুধ সবার চোখের আড়ালে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মাসুমা আক্তার বলেন, ‘কীভাবে আমার দফতরে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এলো আমি বুঝতে পারছি না। আমার মনে হয় বাইরের কেউ শত্রুতা করে এখানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রেখে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুব আলম বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমি এসব মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার না করে নষ্ট করে দিতে বলেছি।’
তিনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা একজন সৎ ও ভালো দাবি করে তিনি বলেন, ‘এটা সামান্য ছোট একটি ঘটনা। অনেক সময় ভুলের কারণে এসব হয়ে থাকে। ভবিষ্যতে যাতে এসব ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।’- জাগো নিউজ