লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেই কেজিতে ১০০ টাকা কমল মুরগির দাম
পোলট্রি
লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেই রাজধানীর বাজাগুলোতে সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা।
মঙ্গলবার রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, যাত্রাবাড়ী ও কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য মতে জানা যায়,লকডাউনের খবরে শনি ও রোববার ক্রেতারা বাড়তি কেনাকাটা করেছেন। এখন বাজারে ক্রেতার চাপ কমে গেছে। এ কারণে দাম কমেছে। তাদের দাবি, দাম কমলেও এখন মুরগির বিক্রি কম। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সামনে মুরগির দাম আরও কমতে পারে। এমনটি হলে খুচরা ব্যবসায়ীরা লোকসানের মধ্যে পড়বেন। ইতোমধ্যে কোনো কোনো ব্যবসায়ী লোকসান গুনছেন।
ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল (সোমবার) সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হয় ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা। আজ বেশিরভাগ দোকানে সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায়। তবে যারা আগে কিনে রেখেছেন তারা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা দাম চাচ্ছেন।
অন্যদিকে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। তবে লেয়ার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের মতো এ মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।
রামপুরা বাজারে ১৫০ টাকা কেজি ব্রয়লার ও ২৬০ টাকা কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি করা একজন্য ব্যবসায়ী জানান, “সোনালি মুরগি ‘সস্তা’ হয়ে গেছে। ৩৬০ থেকে ২৬০ টাকায় চলে এসেছে। এরপরও বিক্রি কম। বিকালের পর দোকানও খোলা রাখা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে আমরা বিপাকে আছি।”
যাত্রাবাড়ীর মুরগি ব্যবসায়ী লিটন শেখ জানান, “এবার মুরগিতে বড় ‘ধরা’ খেয়েছি। কেজিতে একশ টাকা নাই হয়ে গেছে। তিনশ টাকার ওপর কেনা সোনালি মুরগি এখন আড়াইশ টাকায় বিক্রি করছি। অথচ গতকালও সাড়ে তিনশ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।”
বাজারে এখন প্রতিযোগিতা অনেক। আজ যারা মুরগি কিনেছেন তারা সোনালি মুরগি আকারভেদে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন। প্রতিযোগিতায় টিকতে এখন লোকসানে মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ ক্রেতা যেখানে দাম কম পাবে, সেখানে চলে যাবে বলে লিটন জানান।
কারওয়ান বাজারের একজন ব্যবসায়ী জানান, ‘মুরগির দাম কমে গেছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সামনে দাম আরও কমবে। কারণ সাড়ে তিনশ টাকার সোনালি মুরগি এখন ২৪০ টাকায় বিক্রি হলেও ক্রেতা কম। ১৬০ টাকার বয়লার মুরগি এখন ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে লকডাউন না থাকলে রোজার আগে মুরগির দাম বাড়তে পারে।’