শেরপুরে বন্য হাতির জন্য অভয়াশ্রম হচ্ছে
প্রাণ ও প্রকৃতি
শেরপুরের সীমান্ত অঞ্চলে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব চলছে বছরের পর বছর ধরে। এই দ্বন্দে সরকারি হিসাবে গত ১৯ বছরে এখানে ৫৮ জন মানুষ ও ৩২টি হাতি মারা গেছে। গত মাসে ১৯ দিনের ব্যবধানে দুইটি হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ১৯ বছরে আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ ও অন্তত পঞ্চশটি হাতি। কোটি কোটি টাকার ফসল গেছে হাতির পেটে।
বন্যপ্রাণী হত্যা বন্ধ করতে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক প্রতিবাদ হচ্ছে। এই এলাকায় হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব কমাতে ও জানমাল রক্ষা করতে সরকারি-বেসরকারিভাবে কোটি কোটি টাকার নানা প্রকল্পও কোনো কাজে আসেনি।দিনদিন বেড়েই চলছে হাতি ও মানুষের মৃত্যু। তাই হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার চাইছে হাতির জন্য অভয়াশ্রম করতে।
মঙ্গলবার বিকেলে জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসন শীর্ষক সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেশের বন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
আলোচনা সভায় প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন জানান, এখানে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব কমাতে বনে হাতির জন্য অভয়াশ্রম করা হচ্ছে। দ্রুত এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ইতিমধ্যেই সরকার পাহাড়ে জরিপ কাজ শুরু করেছে।
সভায় প্রধান অতিথি বন পরিবেশ ও জলবায়ু সচিব মোস্তুফা কামাল বলেছেন, গত ১৯ নভেম্বর পরিবেশবাদীরা হাতি হত্যা বন্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেছেন। রিটে দ্রুত হাতি হত্যা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের করণীয় সম্পর্কিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তাছাড়া দেশ-বিদেশে হাতি রক্ষায় বন বিভাগের কার্যকরী ভূমিকা চাচ্ছে। এই লক্ষ্যেই উক্ত প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আলোচনা সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বনের ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষরা উপস্থিত ছিলেন।