৩:৩৭ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • শেরপুরে সারের কৃত্রিম সংকট
ads
প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩১, ২০২১ ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
শেরপুরে সারের কৃত্রিম সংকট
কৃষি বিভাগ

বগুড়ার শেরপুরে সরকার নিযুক্ত রাসায়নিক সার ডিলারের ঘরে সারের কৃত্রিম সংকট। অবৈধভাবে মজুতকৃত ১ হাজার ৭৩ বস্তা সার কালোবাজারে উচ্চ মূল্যে বিক্রির সময় আটক করা হলেও আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার, ন্যায্যমূল্যে সার না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন শেরপুরের কৃষকরা।

জানা য়ায়, শেরপুর উপজেলায় এ বছর সাড়ে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রাকে টার্গেট করে আগাম সার মজুত করছেন শেরপুরের সার মজুতদার ব্যবসায়ীরা। উপজেলার ৭নং ভবানীপুর ইউনিয়নের সার ব্যবসায়ী আকন্দ ট্রেডার্সের গুদামে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১ হাজার ৭৩ বস্তা সার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করা হয় গত ২৭শে ডিসেম্বর।

অবৈধভাবে মজুতকৃত সার উদ্ধার অভিযানে নামে শেরপুর উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) মো. ময়নুল ইসলাম। তাকে সহযোগিতা করেন, বগুড়া-র‌্যাব ১২ সদস্যসহ শেরপুর থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

স্থানীয়রা জানায়, শেরপুরের ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ইউপি চেয়ারম্যানের বাসার পাশে আকন্দ ট্রেডার্স এর একাধিক সারের গুদামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এরপর ৭নং ওয়ার্ড ভিত্তিক খুচরা সার বিক্রেতা আব্দুল জলিল আকন্দের ছেলে আল মাহমুদ আকন্দ ও তার চাচা কলিম উদ্দিনের ঘরে অবৈধভাবে মজুতকৃত ৬৩৩ বস্তা (ডিএপি) এবং ৪৪০ বস্তা (এমওপি) সার জব্দ করা হয়।

অবৈধভাবে মজুতকৃত সার শেরপুরে সরকার নিযুক্ত বিসিআইসি’র ১২ জন এবং বিএডিসির ২০ জন ডিলারের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা যায়। এরপর ওই সকল সার কালোবাজারে উচ্চ মূল্যে বিক্রি শুরু হলে সংবাদ পায় শেরপুর উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে উল্লিখিত পরিমাণ সার আটকের পর বিশেষ তদবিরের কারণে সেখানে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির জন্য একটি আইওয়াশ কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির প্রধান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান নিজেও ওই সার ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রকাশ্যে জড়িত আছেন।

এ নিয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, ভবানীপুরের আকন্দ ট্রেডার্স-এর গুদামে অবৈধভাবে মজুত করার অভিযোগে ৫০ কেজি ওজনের ৬৩৩ ডিএপি এবং ৪৪০ বস্তা এমওপি সার জব্দ করা হয়। পরে ওই সার সরকারি ডিলার রেটে এলাকায় বিক্রির জন্য কমিটি করে দেয়া হয়।

কৃষকরা জানায়, সার আটকের পর ওই ব্যবসায়ীকে এবারে উচ্চ মূল্যে সার বিক্রির সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এটা স্রেফ আই ওয়াশ। শেরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আটক সার যশোরের নোয়াপাড়ার চালানে চান্দাইকোনা বাজারের জনৈক কনক ট্রেডার্সের নামে দেখা যায়।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop