সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর
মৎস্য
বরিশালে সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট কার্যক্রম গণমাধ্যমে প্রচারের সুযোগ ও কলাকৌশল শীর্ষক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার বরিশাল নগরীর কাশীপুর মৎস্য প্রশিক্ষন কেন্দ্রের হলরুমে সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের উদ্যোগে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুর রাজ্জাক।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম। মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় কর্মশালায় প্রশিক্ষন দেন গ্রীন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. অলিউর রহমান। এছাড়া বরিশাল মৎস্য বিভাগের উপ-পরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
কর্মশলায় বরিশালে কর্মরত জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক এবং অনলাইন পোর্টাল ও টেলিভিশনের ৪০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশলায় জানানো হয়, বাংলাদেশের ইইজেড (এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন) আয়তন ১ লাখ ১৮ হাজার ৮শ’ ১৩ বর্গকিলোমিটার। সাগর থেকে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ৬ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। আহরিত মাছের মধ্যে ৪৫ ভাগ ইলিশ, ৬ ভাগ চিংড়ি এবং সামূদ্রিক নানা প্রজাতীর মাছ ৪৯ ভাগ। দেশে মৎস্য আহরণের ২৫৭টি বাণিজ্যিক নৌযান এবং ইঞ্জিন ও যন্ত্র চালিত ৩০ হাজার নৌযান রয়েছে। মৎস্য সম্পদের উপর প্রায় ৫ লাখ জেলে নির্ভরশীল। মৎস্য রপ্তানী থেকে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ৩৯ হাজার ৮শ’ ৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়।
এমন বাস্তবতায় সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের মজুদ নিরুপন, সংরক্ষন, সঠিক ব্যবস্থাপনা, টেকসই আহরন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিংড়ি ক্লাস্টার উন্নয়ন এবং উপকূলীয় জেলে সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট’ হাতে নিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর।
প্রকল্পের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে এবং এর সুফল জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয় কর্মশালায়।