সিরাজগঞ্জে কম দামে ভ্রাম্যমাণ দুধ,ডিম বিক্রি অব্যাহত
প্রাণিসম্পদ
লকডাউন ও রমজান মাসে জনসাধারণের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কম দামে দুধ ও ডিম বিক্রি করছেন শাহজাদপুর ডেইরি অ্যাসোসিয়েশন ও উপজেলা প্রাণিসম্পাদ বিভাগ।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ভ্রাম্যমাণ ভ্যান গাড়িতে করে ১ হাজার লিটার দুধ, ৪ হাজারের বেশি মুরগির ডিম বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, প্রতি লিটার দুধ ৪০ টাকা ও এক ডজন ডিম ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ভ্যানের সঙ্গে আছেন একজন খামারি ও প্রাণিসম্পদ অফিসের একজন কর্মচারী।
মিল্কভিটার পরিচালক ও শাহজাদপুর ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সামাদ ফকির জানান, ‘লকডাউন শুরু হওয়ায় খামারিরা দুর্ভোগে পড়েছেন। বাজারে দুধের দাম ৬০ টাকা হলেও ৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে ভ্যানে করে। গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। তবে, করোনাকালেও মিল্কভিটা, প্রাণ, আকিজ, আড়ংসহ অন্যান্য কোম্পানি ন্যায্য মূল্যে দুধ কেনায় কিছুটা স্বস্তিতে আছেন শাহজাদপুরের খামারিরা।’
শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩ সালে সিরাজগঞ্জে সমবায়ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটার একটি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা গড়ে তোলা হয়। এর পর এ অঞ্চলে হাজার হাজার গরুর খামার গড়ে ওঠে।
এখান থেকে মিল্কভিটা প্রতিদিন ২ লাখ ২৫ হাজার লিটার দুধ সংগ্রহ করে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রাণ ৪০ হাজার লিটার, আড়ং ১০ হাজার লিটার ও ইগলু ১ হাজার লিটার দুধ কিনে থাকে। বিভিন্ন মিষ্টির দোকান ও ঘোষ সম্প্রদায়ের লোকজন বাকি দুধ কিনে নেয়।
শাহজাদপুরের তরল দুধ, পাউডার দুধ, কনডেন্সড মিল্ক ও খাঁটি গাওয়া ঘি দেশের সিংহভাগ চাহিদা পূরণ করছে। বর্তমানে শাহজাদপুর উপজেলায় সমবায়ভিত্তিক খামারে প্রতিদিন সাড়ে ৩ লাখ লিটার দুধ উৎপাদন হয়।