৩:০২ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • সিলেটে হাতি হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
ads
প্রকাশ : নভেম্বর ১৪, ২০২১ ২:৩১ অপরাহ্ন
সিলেটে হাতি হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
প্রাণ ও প্রকৃতি

হাতি রক্ষায় বন বিভাগের ব্যর্থতা ক্ষমার অযোগ্য বলে দেশে নির্বিচারে বন্যহাতি হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন পরিবেশবাদীরা। শনিবার সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলন সিলেট শাখার উদ্যোগে আয়োজন করা হয় প্রতিবাদ সমাবেশ। এই সমাবেশে যুক্ত হয় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংগঠন প্রাধিকার।

বিকাল চারটায় শুরু হওয়া এ প্রতিবাদ কর্মসুচীতে মূল বক্তব্য রাখেন বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দূল করিম কিম। প্রাধিকারের সভাপতি তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাপা সিলেটের সহ-সভাপতি এডভোকেট ই ইউ শহিদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রাহক ডাঃ শাহজামান চৌধুরী বাহার, সাংস্কৃতিক সংগঠক এনামুল মুনির, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডঃ আফম জাকারিয়া, সারি নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল হাই আল হাদি।
২০১৯ সালে আইইউসিএন-এর দেয়া হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে হাতির সংখ্যা ২৬৩টি। কিন্তু গত দুই বছরে দেশে প্রায় অর্ধশত হাতি হত্যা হয়েছে। আর এ সপ্তাহে পাঁচটি। যা কোন ভাবে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। দেশে নির্বিচারে হাতি হত্যার ঘটনার তাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। রাষ্ট্রকে শুধু জলবায়ু ফান্ডের টাকার জন্য হুতাসন করলে হবে না, দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
বন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬ বছরে ৫৪টি হাতি মারা গেছে। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই মারা গেছে মানুষের হাতে। আর এ সময়ে হাতির আক্রমণে ১৩৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ সময়ে হাতি হত্যা করার ঘটনায় মোট মামলা হয়েছে ১৪টি। তবে একটি মামলাও নিষ্পত্তি হয়নি, কেউ সাজা পেয়েছে, এমন নজিরও নেই।
গুলি করে, বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে এবং বিষ দিয়ে একের পর এক হত্যা করে চলেছে বন্য হাতিগুলো। সরকার বা বন বিভাগ এখানে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় প্রতিটি হত্যাকাণ্ডকে স্বাভাবিক মৃত্যু বা দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে হাতি হত্যার সাজা হিসেবে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও ৭ বছরের সাজার বিধান থাকলেও এই আইনে কারও সাজা হয়েছে বলে জানা নেই।
বক্তারা আশংকা করেন, মৌলবীবাজার জেলার জুড়িতে হাতির বসতি হিসাবে পরিচিত ‘লাঠিটিলা’ ধ্বংস করে সাফারি পার্ক নির্মান একটি হটকারী সিদ্ধান্ত। যার কারনে সিলেট অঞ্চল থেকে হাতি অচিরেই বিলুপ্ত হবে।সভায় অন্যান্যের মধ্যে সংহতি প্রকাশ করেন সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক ছামির মাহমুদ, প্রানী অধিকার কর্মী অরুপ শ্যাম বাপ্পী, ভুমিসন্তান বাংলাদেশের আশরাফুল কবির, সমাজসেবী মঞ্জুর আল বাছেত, সোসাস আহবায়ক ওয়াজি আহমেদ, প্রকৃতি বিষয়ক লেখক শিমুল খালেদ, সামাজিক সংগঠন উষা’র আহ্ববায়ক তমিশ্রা তিথি, প্রাধিকার সেক্রেটারী নীলোৎপল দে প্রমুখ।
শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop