হিমাগার সংকটে লোকসানে রংপুরের আলু চাষীরা
এগ্রিবিজনেস
গত মৌসুমে ভালো দাম পেয়ে এ বছরও আলু চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছে কৃষকেরা। তবে সংরক্ষণের অভাব, হিমাগার সংকট ও বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহ থাকায় ও দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন চাষিরা। এতে উৎপাদিত আলু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, সংরক্ষণ ব্যবস্থার সংকট কেটে গেলে তারা হতাশামুক্ত হবেন।
চলতি মৌসুমে রংপুরের ৮ উপজেলায় ১৫ লাখ মেট্রিকটন আলু উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু জেলায় আলু সংরক্ষণে বেসরকারি ও ব্যক্তিগত মালিকানায় মাত্র ৪০টি হিমাগার রয়েছে। যেগুলোর ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৪ লাখ মেট্রিকটন। ফলে অতিরিক্ত ১১ লাখ মেট্রিকটন আলু সংরক্ষণ করতে না পারায় দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে বহু কৃষক।
কৃষকদের অভিযোগ, হিমাগার মালিকরা আলু সংরক্ষণে ভাড়া বেশি নিচ্ছে। এছাড়া হিমাগারে এরইমধ্যে ধারণ ক্ষমতার বেশি সংরক্ষণ করায় নতুন করে আলু নিচ্ছেনা হিমাগার কর্তৃপক্ষ।
অপু মুনশি হিমাগারের ম্যানেজার তরিকুজ্জামান জানান, আলর বাম্পার ফলন হওয়ায় ধারণক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে আলুর সংরক্ষণ ব্যবস্থা।
রংপুর পীরগাছা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ফারুক আজম জানান, সংরক্ষণ সমস্যা কেটে গেলে এবং বাজারে সরবরাহ কমলে চাহিদা বাড়বে। এতে আলু চাষিদের দুঃশ্চিন্তাও কমবে।
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করা গেলে আলু চাষীদের লোকসানের ঝুঁকি কমে যাবে।