আগাম আলুর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে!
কৃষি বিভাগ
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় আগাম আলুর বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেঠে কৃষকের মুখে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সময় মতো পরিচর্যা করায় বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে বাজারে আলুর দাম ভালো থাকায় খুশি কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার হিচমি সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার মাঠে চাষিরা মহিলা শ্রমিক নিয়ে আগাম জাতের আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চাষিদের চাষকৃত মিউজিকা, গ্যানোলা, ক্যারেজ, রোমানা, পাকরি ও স্ট্রিক জাতের আলু জমি থেকে তুলতে শুরু করেছেন।
কালাই উপজেলার বালাইট গ্রামের আলুচাষি আবুল কাশেম বলে জানান, এবছর আমি ৫০ শতক জমিতে আগাম জাতের মিউজিকা আলুর চাষ করেছি। আলু রোপনের ৬০ দিন পরই তুলেছি। ভালো ফলন পেয়েছি। আলু চাষে ৪৯ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারে ৭২০ টাকা মণ দরে বিক্রি করে লাভবান হতে পেরেছি। মাঠে আরো আলু রয়েছে সেগুলো আরো ১০-১৫ দিন পর তুলবো।
অন্যান্য আলুচাষিরা জানান, এখন আমরা যারা আলু তুলতেছি তারা বিক্রি করে লাভবান হতে পারছি। গত সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি মণ আলুর দাম ১০০-১৫০ টাকা বেড়েছে। আলুর দাম এভবে বাড়তে থাকলে আমরা আরো বেশি লাভবান হতে পারবো।
কালাই উপজেলার মোলামগাড়ী হাটে আলু বিক্রি করতে আসা চাষিরা জানান, আগের থেকে এখন দাম একটু বেড়েছে। বাজারে প্রতি মণ ক্যারেজ আলু ৭২০-৭৩০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আর লাল স্ট্রিক আলু ৬৫০-৬৭০ টাকা মণ। আলুর দাম এভাবে বাড়তে থাকলে চাষিরা এবার লাভের মুখ দেখবেন।
মোলামগাড়ী হাটের পাইকার সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজারে এখন আগাম জাতের আলু উঠতে শুরু করেছে। এসব আলু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বড় শহরের মোকামে সরবরাহ করা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ বেশি হয়েছে।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল করিম জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর আগাম আলুর বেশি চাষ করা হয়েছে। আলুর দাম বাড়তে থাকায় কৃষক খুব খুশি। বর্তমানে বাজারে রোমানা পাকরি ও দেশি পাকরি (লাল) আলু ১১৫০-১২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মিউজিকা আলু বিক্রি হচ্ছে ৭২০-৭৩০ টাকা মণ। যা আগের তুলনায় ১০০-১৫০ টাকা বেশি।