১২:০২ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩ ৯:০০ অপরাহ্ন
তরকারি হিসেবে বাড়ছে শাপলার কদর, যা বলছে পুষ্টিবিজ্ঞানীরা
কৃষি বিভাগ

জলের শাপলা এখন শহুরে বাসিন্দাদের জনপ্রিয় তরকারি। ব্যাপক পুষ্টিগুণ আর স্বাদের কারণে রাজধানীতে দিন দিন বাড়ছে সবজি হিসেবে শাপলার কদর। বেচা-বিক্রিও বেশ ভালো বলে জানালেন বিক্রেতারা।

মুন্সিগঞ্জের আড়িয়াল বিলের শাপলা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় রাজধানীতে। এতেই রুটি-রুজির জোগান আসে এখানকার কৃষকদের।
তারা বলেন, ৬ মাস আমদের কোনো কাজ থাকে না। বর্ষার এই ৬ মাস আমরা শুধু শাপলা তুলে তা বিক্রি করেই সংসার চালাই। ৫০ থেকে ৬০ জন কৃষক শাপলা তুলে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় করে।

ঢাকার বাজারে এই ফুল নাম লেখায় সবজির খাতায়। পুষ্টি আর স্বাদের কারণে তরকারি হিসেবে শাপলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে বলে দাবি বিক্রেতাদের।

বিক্রেতেরা বলেন, শাপলা প্রতিদিনই চলছে। যেহেতু এখন ইলিশ মাছের সিজন চলে আর শাপলা দিয়ে ইলিশ মোটামুটি জনপ্রিয় তাই এই সময়ে শাপলা ভালোই চলছে। ভোজন রসিকদের কাছে জাতীয় ফুল এখন সৌখিন আর নিরাপদ খাবার।

ক্রেতার বলেন, যেহেতু শাপলা ফ্রেস ফরমালিনমুক্ত তাই প্রায় শাপলা কেনা হয়। তাদের মতে শাপলা কেনার আরেকটি কারণ হলো শাপলা সারাবছর পাওয়া যায় না তাই এই সময়টাতে শাপলার যোগানের সঙ্গে সঙ্গে চাহিদাও বাড়তে থাকে।

শাপলায় আলুর চেয়ে সাত গুণ বেশি ক্যালসিয়াম আছে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস এবং ক্যানসার প্রতিরোধেও উপকারী ভূমিকা রাখে বলে জানালেন পুষ্টিবিজ্ঞানীরা।

পুষ্টিবিজ্ঞানী ড. মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রতি ১০০ গ্রাম শাওলায় প্রায় ৭৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। কাজেই যাদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি আছে তারা শাপলা খেয়ে ঘাটতি মেটাতে পারেন। এ ছাড়া শাপলাতে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও যথেষ্ট পরিমাণ রয়েছে যা শারীরিক সক্ষমতা বা শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

শাপলা বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত করা গেলে দেশের অর্থনীতির নতুন খাত তৈরি হবে বলে, মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২৩ ৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
আমনের জমিতে আলু চাষ
কৃষি বিভাগ

অতিরিক্ত আয় করতে আমন ধান কাটার পর একই জমিতে আলু চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবির কৃষকরা। এতে চাষের খরচ পুষিয়ে নেয়ার পাশাপাশি একই জমিতে তিন ফসল উৎপাদন করছেন তারা।

জানা যায়, পাঁচবিবির প্রধান অর্থকরি ফসল হলো ধান। এখন চাষিরা ধান চাষের পাশাপাশি সবজির আবাদও করছেন। চলতি মৌসুমে কৃষকরা আমন ধান কাটার পর অতিরিক্ত লাভের আশায় আলু চাষ করেছেন। বর্তমানে কৃষকরা জমি থেকে আলু উত্তোলন করছেন।

কৃষি অধিদপ্তরের মতে, কৃষকরা আমন ধান ঘরে তোলার পর সেই জমিতে পাকরি, রোমানা, কার্ডিনাল (লাল), গ্রানোলা, বিনেলা, ক্যারেজ এবং ডায়ামন্ড জাতের আলুর চাষ করেছেন। কয়েক দফা বৃষ্টিতেও আলুর ক্ষতি হয়নি। ফলে এ বছর পাঁচবিবিতে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা জমি থেকে পরিপক্ক আলু উঠিয়ে বিক্রি শুরু করেছেন।

বাগজানা ইউনিয়নের খোর্দ্দা গ্রামের কৃষক হাজেরা বিবি ও প্রদীপ চন্দ্র বলেন, আমরা ধান কাটার পর জমি খালি ফেলে না রেখে আলু চাষ করেছি। আলুর বীজ রোপনের ৬৫ দিনের মধ্যে পরিপক্ক হয়েছে। আলু চাষে আমার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এখন পাইকাররা আমরা ১ একর জমি ৭৫ হাজার টাকা কিনে নিয়েছে। এই অল্প সময়েই আমার ৪৫ হাজার টাকা আয় হয়েছে।

কৃষক হবিবর বলেন, আমি ১৫ কাঠা জমিতে আলুর চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি ৪৫-৫০ মণ আলুর ফলন পাওয়া যায়। এতে বিঘাপ্রতি আলু চাষে ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতিমণ আলু ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু চাষ করে লাভবান হয়েছি।

পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, চলতি বছর উপজেলায় ৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে। লাভের আশায় কৃষকরা আগাম জাতের আলু চাষে নেমে পড়েছেন। আলুর ভালো ফলন হয়েছে। আশা করছি কৃষকরা লাভবান হবেন।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২৩ ৭:৩৩ অপরাহ্ন
জনপ্রিয়তা পাচ্ছে নেদারল্যান্ডসের আলুর জাত
এগ্রিবিজনেস

নেদারল্যান্ডসের আলুর জাত ‘ভ্যালেনসিয়া’। যার বীজ ওই দেশের স্কেপ হল্যান্ড কোম্পানি থেকে আমদানি করে সারাদেশে বাজারজাত করেছে এসিআই। চলতি মৌসুমে জাতটি বাম্পার ফলন দিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

জয়পুরহাট, রংপুর, রাজশাহী, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, দিনাজপুরসহ কয়েক জেলার আলু চাষিদের আশাবাদী করে তুলেছে এ ‘ভ্যালেনসিয়া’।

এদিকে আলুর উৎপাদন দেখতে স্কেপ হল্যান্ড কোম্পানির ইন্টারন্যাশনাল একাউন্ট ম্যানেজার লিওন হানস্ট্রা বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। তিনি কুমিল্লা ও মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে আলুর মাঠ পরিদর্শন করেন।

এসময় তিনি কৃষক, বীজ ডিলার, রিটেইলারদের সঙ্গে এর ফলন নিয়ে কথা বলেন।

এসিআই জানায়, এ আলু হেক্টরপ্রতি প্রায় ৪০ টন ফলন দিচ্ছে, যা সমজাতীয় জাতগুলো থেকে প্রায় ৩৭ ভাগ বেশি। জাতটি ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে বিক্রি উপযোগী হয়। চাইলে সর্বোচ্চ ৮৫ দিন পর্যন্ত জমিতে রাখা যায়।

তবে ৬০ দিনের মধ্যে এর হেক্টরপ্রতি ফলন ৩১ টন পর্যন্ত হচ্ছে। ফলে আগাম উত্তোলন করে চাষিরা অধিক মুনাফা পাচ্ছেন। জাতটি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় প্রায় ৯০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।

ভ্যালেনসিয়ার শুষ্ক পদার্থের পরিমাণ প্রায় ২২ দশমিক ৫ শতাংশের ওপরে এবং তেল শোষণ ক্ষমতা প্রায় ৩ শতাংশের নিচে হওয়ায় এটি সুস্বাদু। এটি ফ্রেন্স ফ্রাইয়ের জন্য উপযোগী একটি জাত। এছাড়া ভ্যালেনসিয়া জাতটি স্কেব রোগ সহনশীল।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১, ২০২৩ ৭:৪৩ অপরাহ্ন
আগাম আলুর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে!
কৃষি বিভাগ

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় আগাম আলুর বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেঠে কৃষকের মুখে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সময় মতো পরিচর্যা করায় বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে বাজারে আলুর দাম ভালো থাকায় খুশি কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার হিচমি সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার মাঠে চাষিরা মহিলা শ্রমিক নিয়ে আগাম জাতের আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চাষিদের চাষকৃত মিউজিকা, গ্যানোলা, ক্যারেজ, রোমানা, পাকরি ও স্ট্রিক জাতের আলু জমি থেকে তুলতে শুরু করেছেন।

কালাই উপজেলার বালাইট গ্রামের আলুচাষি আবুল কাশেম বলে জানান, এবছর আমি ৫০ শতক জমিতে আগাম জাতের মিউজিকা আলুর চাষ করেছি। আলু রোপনের ৬০ দিন পরই তুলেছি। ভালো ফলন পেয়েছি। আলু চাষে ৪৯ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারে ৭২০ টাকা মণ দরে বিক্রি করে লাভবান হতে পেরেছি। মাঠে আরো আলু রয়েছে সেগুলো আরো ১০-১৫ দিন পর তুলবো।

অন্যান্য আলুচাষিরা জানান, এখন আমরা যারা আলু তুলতেছি তারা বিক্রি করে লাভবান হতে পারছি। গত সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি মণ আলুর দাম ১০০-১৫০ টাকা বেড়েছে। আলুর দাম এভবে বাড়তে থাকলে আমরা আরো বেশি লাভবান হতে পারবো।

কালাই উপজেলার মোলামগাড়ী হাটে আলু বিক্রি করতে আসা চাষিরা জানান, আগের থেকে এখন দাম একটু বেড়েছে। বাজারে প্রতি মণ ক্যারেজ আলু ৭২০-৭৩০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আর লাল স্ট্রিক আলু ৬৫০-৬৭০ টাকা মণ। আলুর দাম এভাবে বাড়তে থাকলে চাষিরা এবার লাভের মুখ দেখবেন।

মোলামগাড়ী হাটের পাইকার সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজারে এখন আগাম জাতের আলু উঠতে শুরু করেছে। এসব আলু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বড় শহরের মোকামে সরবরাহ করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ বেশি হয়েছে।

জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল করিম জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর আগাম আলুর বেশি চাষ করা হয়েছে। আলুর দাম বাড়তে থাকায় কৃষক খুব খুশি। বর্তমানে বাজারে রোমানা পাকরি ও দেশি পাকরি (লাল) আলু ১১৫০-১২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মিউজিকা আলু বিক্রি হচ্ছে ৭২০-৭৩০ টাকা মণ। যা আগের তুলনায় ১০০-১৫০ টাকা বেশি।

প্রকাশ : জানুয়ারী ৪, ২০২৩ ৫:১৭ অপরাহ্ন
কুড়িগ্রামে ৫‘শ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ
কৃষি বিভাগ

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে রবি শস্যের পাশাপাশি আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। ধরলা নদীর বিস্তীর্ণ বালুচরে স্যালো মেশিনে পানি তুলে আলুর চাষ করছেন কৃষকরা। চরের বুকে আলু পাতার সবুজ সমারোহ যেন এক সমৃদ্ধির হাতছানি। এ বছর ডিজেল, সার, কীটনাশক ও মজুরির দাম বেশি হওয়ার খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে বাজারে আলুর দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরা।

কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলার ৯টি উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলুর চাষ হচ্ছে। আলুর দাম ও ফলন ভালো দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা লাভবান হবে।

সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ধরলা নদীর বুকে পতিত জমিতে সেভেন জাতের আলুর চাষ করেছি। এটি আগাম জাতের আলু। আলুর বীজ রোপণের পর ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে এ আগাম আলু তোলা যায়। এক বিঘা জমিতে ২০-২৫ মণ আলু হয়। বর্তমান বাজারে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’

কাঁঠাল বাড়ি ইউনিয়নের আলু চাষি মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমি ১ বিঘা জমিতে আগাম সেভেন জাতের আলু চাষ করেছি। আলুর ফলন ভালো দেখা যাচ্ছে। আশা করি বিঘাপ্রতি ২৫ মণ আলু পাওয়া যাবে। গত বছর বিঘাপ্রতি ৬৫-৭০ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। এ বছর তেল, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিঘাপ্রতি ১ লাখ টাকা খরচ হবে।’

কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘অন্য ফসলের পাশাপাশি চরগুলোয় এ বছর আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। জেলায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মৌসুমে কৃষকরা লাভবান হবেন।’

প্রকাশ : নভেম্বর ১১, ২০২২ ৭:৫৮ অপরাহ্ন
সারে ভুগছেন আলু চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

রাজশাহীতে অতিরিক্ত দাম দিয়ে পটাশ সার কিনতে হচ্ছে চাষিদের। ৭৫০ টাকা মূল্যের এক বস্তা পটাশ সার খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিনতে হচ্ছে এক হাজার ১৫০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। তার পরেও চাহিদা মতো সার পাচ্ছেন না কৃষকরা।

ফলে এবার আলু চাষ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবার সার পেলেও অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হওয়ায় আলু চাষ করে কৃষকরা কতটুকু লাভবান হবেন—তা নিয়েও তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রমতে, এ বছর রাজশাহীতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে, যা গত বছর ছিল ৩৮ হাজার ৫৪৩ হেক্টর। ফলে গত বছরের তুলনায় এবার এক হাজার ৩৬৩ হেক্টর জমিতে আলু চাষ কম হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগ থেকে আলু চাষ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে রাজশাহীতে ১৮৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। চলতি নভেম্বর মাসজুড়েই আলু চাষের তোড়জোড় চলবে।

সেই হিসেবে হাতে যে কয়েক দিন সময় আছে, তাতেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়ে যাবে বলেও আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

সারা দেশের মধ্যে আলু চাষে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজশাহীর তানোর। এ উপজেলার আমশো গ্রামের কৃষক তুষার আহমেদ বলেন, ‘এ বছর আমি পাঁচ বিঘা জমিতে আলু চাষ করব। এরই মধ্যে জমি প্রায় ঠিকঠাক করেছি। কিন্তু পটাশ সার ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না।আলু চাষের জন্য পটাশই বেশি লাগে। সম্প্রতি এক হাজার ২০০ টাকা দরে পাঁচ বস্তা সার কিনেছি।’

তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদ বলেন, ‘সারের কিছুটা সংকট আছে।’

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা উম্মে সালমা জানান, ‘সারের কোনো সংকট নেই।’

প্রকাশ : নভেম্বর ৩, ২০২২ ৮:১৭ অপরাহ্ন
আগাম আলু চাষে ব্যস্ত দিনাজপুরের কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় স্বল্পমেয়াদী আগাম আমন ধান ঘরে তুলে সে জমিতেই আলুর জন্য হালচাষ, পরিচর্যা, সার প্রয়োগ, হিমাগার থেকে বীজ সংগ্রহ ও বপনে ব্যস্ত দিনাজপুরের কৃষকরা। দিনাজপুর জেলায় এবার ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

জানান যায়, বিঘাপ্রতি ৩ ট্রলি গোবর সার, ২০ কেজি পটাশ ও ১ বস্তা ফসফেট সার দিয়ে আলু চাষের জন্য জমি তৈরি করেছেন কৃষকরা। জমি তৈরি করে বীজ আলু জমিতে লাইন ধরে রোপণ করছেন। এক বিঘা জমিতে প্রায় ১৪ মণ বীজ আলুর প্রয়োজন হয়। এসব বীজ আলু ৮০০ টাকা মণ হিসেবে ক্রয় করছেন কৃষকরা। এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে খরচ হয় ২৩ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। তবে বিঘাপ্রতি ৭০ থেকে ৭৫ মণ আলুর ফলন হয়। লাগানোর ৫০ থেকে ৫৫ দিনের মধ্যেই ফসল ঘরে তোলেন কৃষকরা। আগামী অগ্রহায়ণ মাসে আলু চাষের মৌসুম হলেও বেশি দাম পাওয়ার আশায় আশ্বিন মাসেই আগাম আলু চাষ করছেন কৃষকরা।

বিরামপুর উপজেলার আলুচাষি আফজল হোসেন জানান, তিনি মৌসুমে ৬ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেন। আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরুর আগেই প্রতিবছর এক বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেন। আগাম চাষের আলুর দাম অনেক বেশি পান। আগামী অগ্রহায়ণ মাসেই আলু বাজারজাত করতে পারবেন।

বেলাল হোসেন জানান, এ অঞ্চলের জমি উঁচু এবং বালুমাটি মিশ্রিত। ভারি বৃষ্টি হলেও তেমন কোনো বড় ধরনের ক্ষতির ভয় থাকে না। অতিবৃষ্টি হলেও শুকিয়ে যায় মাটি। তাই আগেভাগে দ্বিগুণ লাভের আশায় আগাম আলুবীজ বপন করছেন। তিনি আগাম রোজাডা জাতের আলুর বীজ বপন করছেন বলে জানান।

কৃষকরা অভিযোগ করেন, তাদের বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। ৭৫০ টাকার ৫০ কেজির বস্তার পটাশ কিনতে হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় এবং ১১০০ টাকার ৫০ কেজির বস্তা কিনতে হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকায়। এতে কিছুটা খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিক্সোন চন্দ্র পাল জানান, চলতি আলু মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উপজেলার অনেক জায়গায় কৃষকেরা ভালো দাম পাওয়ার আশায় আগাম আলুর চাষ শুরু করেছেন।

ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মন আক্তার জানান, উপজেলায় চলতি বছর ১ হাজার ৯৯৪ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর আগাম আমন ধান ঘরে তুলে আগাম আলুচাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নুরুজ্জামান জানান, দিনাজপুর জেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। খসড়া তালিকা অনুয়ায়ী দিনাজপুরে ৪৮ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হবে। এরমধ্যে আগাম জাতের আলু চাষ হবে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু বীজ রোপণ হয়ে গেছে।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৮, ২০২২ ৮:১৫ অপরাহ্ন
হিমাগারে আলু পচে যাওয়ায় ধর্মঘটে চাষি ও ব্যবসায়ীরা
কৃষি বিভাগ

হিমাগারে আলু পচে যাওয়ায় ধর্মঘটে চাষি ও ব্যবসায়ীরা

ঠাকুরগাঁওয়ে হিমাগারে রাখা আলু পচে যাওয়ায় ক্ষতিপূরণ দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছেন আলু চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কৃষক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ব্যানারে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে ঠাকুরগাঁও কৃষক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা নুরুল হুদা স্বপন বলেন, ‘হিমাগারে অতিরিক্ত ভাড়া কমানোর দাবিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আমরা আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু হিমাগার মালিকরা তা কর্ণপাত করেননি। তারা ধারণক্ষমতার বাইরে আলু সংরক্ষণ করায় তা পচে গেছে। আমরা পচা আলুর ক্ষতিপূরণ চাই।

তিনি বলেন, ‘আমরা আজ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাবেন। আমরা বিশ্বাস করি প্রশাসন আমাদের সঠিক সমাধান দেবে।’

কৃষক জমির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা হিমাগারে বীজের আলুও সংরক্ষণ করেছিলাম। সেই আলুও পচে গেছে। এবার হয়তো আলু উৎপাদন করতে পারবো না।আমি পচে যাওয়া আলুর ক্ষতিপূরণ চাই।’

ঠাকুরগাঁও কৃষক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম বলেন, ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি। আমরা যদি পচা আলুর ক্ষতিপূরণ না পাই তাহলে ঋণ পরিশোধ করা আমাদের জন্য জুলুম হয়ে যাবে।

এরআগে পচা আলু ঢেলে ক্ষতিপূরণ দাবি করে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। এরপর অবস্থান ধর্মঘট পালন করলেন তারা।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, হিমাগারে আলু পচার খবর পেয়ে হিমাগারগুলোতে প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে। যেসব অনিয়ম আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

প্রকাশ : এপ্রিল ২৩, ২০২২ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
হিমাগারে পচে গেল দেড় লাখ বস্তা আলু, ১০ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা
এগ্রিবিজনেস

রাজশাহীর পবা উপজেলায় “আমান কোল্ড স্টোরেজে” রাখা আলুতে পচন ধরেছে। হিমাগারের শীতলীকরণ ও গ্যাস মেশিন খারাপ হওয়ার কারণে আলুগুলো পচে গেছে। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকার আলু নষ্ট হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।

জানা গেছে, হিমাগারের গ্যাস মেশিন খারাপ হওয়ার কারণে আলুর পচে গেছে। পবা উপজেলার মদনহাটি এলাকার ‘আমান কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড’ নামে ওই হিমাগারে রাখা আলুর বিষয়ে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন কৃষকেরা। এ নিয়ে বুধবার সকাল থেকে শতাধিক কৃষক ও আলুচাষী স্টোরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তারা ক্ষতিপূরণের দাবিতে সেখানে অবস্থান করছেন। পরে হিমাগার কর্তৃপক্ষ ১০ দিনের মধ্যে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেয়। এরপর কৃষকেরা শান্ত হন।

হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, সেখানে ১ লাখ ৬৬ হাজার বস্তা আলু রয়েছে। প্রতিটি বস্তায় আলুর পরিমাণ ৫০ কেজি। বর্তমান বাজারে ৫০ কেজি আলুর বস্তার দাম ৬০০ টাকা। সব আলু পচে গেলে ক্ষতির পরিমাণ ৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়াবে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে সবগুলো নয় মেশিন ত্রুটির কারণে কিছু অংশের আলু পচে গেছে। সেগুলো এরই মধ্যে হিমাগার থেকে বের করে ফেলা হয়েছে।

কৃষকদের দাবি, সব আলুই পচে গেছে। বস্তায় একটা আলু পচে যাওয়া মানেই সব আলু নষ্ট হওয়া। এগুলো আর খাওয়ার উপযোগী থাকে না। এই হিমাগারে এমন পরিস্থিতিই তৈরি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার ও বৃহস্পতিবার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গুদামঘর থেকে আলুর বস্তা বের করে স্টোরেজের ভেতরে কৃত্তিম উপায়ে বাতাস দেয়া হচ্ছিল। তখনই কৃষকেরা আলু পচে যাওয়ার কথা জানতে পারেন।

রানা সর্দার নামের এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, গতবছর আমি এই কোল্ড স্টোরেজে আলু রেখেছিলাম। বিক্রি করার পর ক্রেতারা অভিযোগ করেন যে আলুর মান ভাল না। নষ্ট হয়ে গেছে। এবার তিনি সব আলু অন্য হিমাগারে রেখেছেন। শুধু একটা ট্রলি ভুল করে আমানে ঢুকে পড়েছিল বলে সে ট্রলির ৫৭ বস্তা আলু এখানে রাখা হয়েছিল। এগুলো সব পঁচে গেছে।

হিমাগারের ব্যবস্থাপক ফারুক হোসেন বলেন, আলু নানা কারণেই পচতে পারে। আলুর মান খারাপ হলেও পচে যায়। কেন পচেছে তা জানি না। কী পরিমাণ পচেছে সে হিসাবও করা হয়নি। আমার মালিক ১০ দিনের সময় নিয়েছেন। এটা একদিনের ব্যবসা না। কীভাবে কী করা যায় তা দেখছি।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক ড. তৌফিকুর রহমান বলেন, যান্ত্রিকত্রুটির কারণে আলু পচে গেছে। কৃষকরা ক্ষতিপুরণের জন্য আবেদন করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। ক্ষতিপূরণ আদায়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষকদের সবধরণের সহযোগিতা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

প্রকাশ : মার্চ ২৫, ২০২২ ২:৪৬ অপরাহ্ন
কুমিল্লায় আলুর বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লা জেলায় এবার চলতি মৌসুমে আলুর বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশি চাষিরা। জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে ১২ জাতের আলুর আবাদ করেছে চাষীরা। উন্নত জাতের আলু চাষ করে বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২৫ মণ আলুর বেশি ফলন পেয়েছেন কৃষকেরা। এবার লক্ষ্যমাত্রার থেকেও ২৭ হাজার মেট্রিক টন বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে কুমিল্লা জেলার ১৭ টি উপজেলায়।এতে খুশিতে আত্মহারা আলু চাষীরা।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ক্ষেত থেকে আলু তোলা শুরু হলেও এখনো মাটি থেকে লাখ লাখ টন আলু তোলা বাকি। ইতোমধ্যে প্রায় আড়াই হাজার মেট্রিকটন আলু তোলা হয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কুমিল্লা জেলার ১৭টি উপজেলায় একযোগে আলু তোলার উৎসব শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার থেকেও বেশি  আলুর ফলন হয়েছে। জেলায় আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার ৯৩৪ হেক্টর জমিতে নির্ধারণ করা হলেও আলুর আবাদ হয়েছে  ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকেও ১০৬৬ হেক্টর বেশি। হেক্টরপ্রতি গড় উৎপাদন ২৫ টনের বেশি হওয়ায়, সেই হিসেবে ৪ লক্ষ টন আলু উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি, চান্দিনা, বুড়িচং, মুরাদনগর, আদর্শ সদর ও দেবিদ্বারের উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে আলু চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবারের আলু মৌসুমে চাষিরা ১২ প্রজাতির আলু চাষ করেছেন। ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, গ্র্যানোলা, মালটা, হীরা, অরিগো, কোস্টারিকা, পেট্রোনিজ, বেলেনী, এস্টারিক্স, সাগিতা ও রোজগোল্ড জাতের আলুর আবাদ করেছে। তবে হোয়াইট ডায়মন্ড ও কার্ডিনাল জাতের আলুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। এছাড়াও অনেকে অন্যান্য জাতের আলুও আবাদ করেছে।

আলু চাষিরা জানান, অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষি উপকরণ সুলভমূল্যের কারণে এবার ফলন ভালো হয়েছে এবং ন্যায্যমূল্য পেলে ভালো লাভ করা যাবে।

কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, কুমিল্লার সবক’টি উপজেলার মাটি আলু চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এবারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি আলু আবাদ হয়েছে। ক্ষেতে আলু ভাল রাখতে প্রতিষেধক হিসেবে ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করে সুফল পেয়েছেন আলু চাষিরা। আমাদের কর্মকর্তাসহ মাঠকর্মীরা সার, কীটনাশক প্রয়োগের ব্যাপারে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন। যার ফলে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop