৮:১০ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্ট করণ প্রকল্পে গ্রামীণ অর্থনীতি বদলে যাবার গল্প (১ম পর্ব)
ads
প্রকাশ : অগাস্ট ২৬, ২০২১ ১২:১১ অপরাহ্ন
আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্ট করণ প্রকল্পে গ্রামীণ অর্থনীতি বদলে যাবার গল্প (১ম পর্ব)
প্রাণিসম্পদ

গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে খুবই সম্ভাবনাময় একটি খাত হচ্ছে প্রাণিসম্পদ ।পরিসংখ্যান অনুসারে মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি’র) প্রায় ১.৪৪% যোগায় প্রাণিসম্পদ খাত এবং এটির বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ৩.৮০%। কৃষি খাতের মোট জিডিপির ১৩.১০% যোগান দেয় এই খাত এবং প্রত্যক্ষভাবে ২০ শতাংশ এবং পরোক্ষভাবে ৫০ শতাংশ মানুষ এই খাতের সাথে জড়িত ।  ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৮৪.৪০ লাখ মেট্রিক টন মাংসের যোগান দিয়েছে এই খাত ফলে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত । একটা সময় ছিল যখন কুরবানির সময় ভারতীয় গরু এনে এ দেশের চাহিদা পূরণ করতে হতো কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এই চিত্র পাল্টে গেছে ।  প্রাণিসম্পদের বিপ্লবের ফলেই এখন নিজ দেশের গরুতে কুরবানির হাট পরিপূর্ণ থাকে ।

২০২০-২১ অর্থ বছরের ডিএলএস এর তথ্য মতে দেশে ২৪.৪৫ মিলিয়ন গরু, ১.৫ মিলিয়ন মহিষ, ২৬.৬ মিলিয়ন ছাগল, ৩.৬ মিলিয়ন ভেড়া রয়েছে । জনপ্রতি মাংসের চাহিদা রয়েছে ১২০ গ্রাম/দিন এবং প্রাপ্যতা রয়েছে ১৩৬গ্রাম/দিন যা সম্ভব হয়েছে প্রাণিসম্পদের বিপ্লবের ফলেই ।

“নিরাপদ মাংসের চাহিদা পূরণে, গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে” ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের “আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ” প্রকল্পটি যাত্রা শুরু করে । ২০১৯ সালে তিন বছরের মেয়াদে একনেকে ৪১ কোটি ২২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা বরাদ্দে আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্রকল্পটি পাশ হয়। অল্প সময়ের মাঝে দেশের ৪৯১টি উপজেলায় প্রকল্পটির কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়েছে ।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩৬,৮২৫ জন উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে আর সুফলভোগী খামারী ৩৬,৮২৫ জনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে । খামারীদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান, সুফল ভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে টিকা সরবরাহ, কৃমিনাশক ও ভিটামিন-মিনারেলস প্রিমিক্স বিতরণ, গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ বিষয়ক প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ । ৩৬, ৮২৫ জন খামারীর মাঝে বিতরণ করা হয়েছে  ৭৫ টন ভিটামিন ও মিনারেল প্রিমিক্স, ১৭০২০০ মাত্রা কৃমিনাশক এবং এবং ৩০০০০০ মাত্রার টিকা।

 

গত কোরবানির ঈদের জন্য দেশে এক কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫শ টি গবাদিপশু মজুদ ছিল। যার মধ্যে হৃষ্টপুষ্টকৃত গরু-মহিষের সংখ্যা ছিল ৪৫ লাখ ৩৮ হাজার এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ছিল ৭৩ লাখ ৫৫ হাজার। এছাড়াও অন্যান্য প্রাণি ছিল চার হাজার ৫০০টি; যা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত বলে জানিয়েছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। কুরবানি কে কেন্দ্র করে এই প্রকল্পের উপকারভোগী কর্তৃক ৭৪,০০০ গরু স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে । করোনা পরিস্থিতিতে হাটে ভিড় কমানোর জন্য এই প্রকল্প থেকে শুরু করা হয় অনলাইন কোরাবানির হাট যেখান থেকে সরাসরি খামারির নিকট হতে একজন ক্রেতা তার পছন্দের গরু কিনতে সক্ষম হয়েছে যা ডিজিটাল বাংলাদেশের এক অনন্য উদাহরণ । প্রকল্পটির মূল দায়িত্বে আছেন  ডাঃ প্রাণকৃষ্ণ হাওলাদার (প্রকল্প পরিচালক) যার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও দক্ষ নেতৃত্বে এই প্রকল্পটি দারুণভাবে এগিয়ে চলছে ।

প্রকল্পটির মাধ্যমে যেমন গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন হচ্ছে তেমনি নারীর ক্ষমতায়নেও দারুন ভূমিকা রাখছে । সুফলভোগী খামারীদের মাঝে রয়েছে অসংখ্য নারী খামারী যারা প্রকল্প থেকে উপকৃত হয়ে পরিবারকে সাপোর্ট দিচ্ছেন, সমাজে নিজেদের অবস্থান সুসংগত করেছেন । নরসিংদী সদরের নারী উদ্যোক্তা রেহেনা বেগম বলেন, “এই প্রকল্পের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আমার অনেক উপকার হয়েছে, আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি” । চট্টগ্রামের খামারি শায়লা বেগম বলেন, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমি গরুর টিকা, কৃমিনাশক ও ভিটামিন বিনামুল্যে পেয়ে অনেক উপকৃত হয়েছি”।

 

(পরবর্তী অংশ আগামী পর্বে…)

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop