২:৩৮ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২৩ ১২:০২ পূর্বাহ্ন
নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতীয় গরু চুরি, আটক ৩ বাংলাদেশি
প্রাণিসম্পদ

ভারতীয় নাগরিকের গরু চুরি নিয়ে সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ১২টার দিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ধবলসুতি সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

বিজিবি ও গ্রামবাসীরা জানায়, দুই দেশের নাগরিকের গরু সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে ঘাস খাচ্ছিল। এ সময় বাংলাদেশি গরুর মালিক সীমান্তে গিয়ে বাংলাদেশি ২টি গরুর সঙ্গে ভারতীয় নাগরিকের গরু নিয়ে আসে। ভারতীয় নাগরীকের গরু নিয়ে আসায় দুই দেশের নাগরিকদের মাঝে গরু নিয়ে উত্তোজনা দেখা দেয়।

এদিকে সীমান্ত অরক্ষিত থাকায় ভারতীয় ১২ জন নাগরিক গরু ফেরত নিতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। এ সময় বাংলাদেশিরা তাদের ধাওয়া দেয়। পরে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা ফিরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ’কে বিষয়টি জানায়।

পরে বিএসএফ’র পক্ষ থেকে বিজিবিকে জানালে বিজিবি গরুসহ ৩ জন বাংলাদেশিকে আটক করে। আটকৃতরা হলেন- লালমনিরহাটের পাটগ্রাম রসুলগঞ্জ পোস্ট অফিস পাড়ার আবেদ আলীর ছেলে আশা মিয়া (২২), সোহাগপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন ছেলে মো. নাহিদ ইসলাম পাটগ্রাম সাহেবডাঙ্গার মো. মমিন হোসেন ছেলে মো. সাফায়েত হোসেন। তারা পাটগ্রাম ধবলসুতি বিজিবি ক্যাম্পে আটক রয়েছে।

ধবলসুতি ক্যাম্পের বিজিবির নায়েক সুবেদার মো. শাহাজাহান মিয়া ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গরুসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২৩ ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
সুস্থ, সবল ও স্টেরয়েড মুক্ত গরু চেনার ৮ টি টিপস…
প্রাণিসম্পদ

ডা. খালিদ হোসাইনঃ গত বছর কুরবানির আগের রাত ১০.৩০ মিনিটে বাসার কলিং বেলের আওয়াজ শুনে দরজা খুলে দেখি এলাকার এক মুরুব্বি, মসজিদে প্রায়ই দেখা হয় কিন্তু সেভাবে কখনো কথা হয় নি । অনেকটা হতাশাভরা কন্ঠে বললেন, আংকেল একটু কষ্ট করে আমার বাসায় চলেন, ছেলে ও তা বন্ধুরা মিলে গতকাল ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে একটা গরু নিয়া আসছে, সেই গরু আজ বিকেল থেকে মাটিতে পরা, উঠতেই পারছে না, অবস্থা খুব খারাপ, মনে হচ্ছে ঔষধ দেওয়া গরু । অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রায় ১ কি.মি. দূরে সেই গরুটি দেখতে যাই ।

 

প্রতিবছর কুরবানির গরু কেনার সময় একটু সতর্ক থাকা উচিত, সুস্থ, সবল ও স্টেরয়েড মুক্ত গরু কেনার জন্য নিচের কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা দরকার –

 

১) স্টেরয়েডযুক্ত গরু স্বাস্থ্যবান দেখাবে কিন্তু ঝিমাবে ও নিরব থাকবে, খুব বেশি নাড়াচাড়া করবে না।

২) সুস্থ গরুর চোখ উজ্জ্বল ও তুলনামূলক বড় আকৃতির হবে, অবসরে জাবর কাটবে, লেজ দিয়ে মাছি তাড়াবে। বিরক্ত করলে প্রতিক্রিয়া দেখাবে ।

৩) গরুর চামড়া ধরে টান দিয়ে ছেড়ে দিলে যদি চামড়া আগের অবস্থানে সহজে ফিরে না আসে তাহলে বুঝতে হবে এটি স্টেরয়েড দেওয়া গরু ।

৪) সুস্থ গরুর নাক ভেজা থাকবে, তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে ।

৫) সুস্থ গরুর গোবর স্বাভাবিক থাকবে, পাতলা পায়খানার মতো হবে না।

৬) সুস্থ গরুর সামনে খাবার ধরলে জিহ্বা দিয়ে টেনে নিতে চাইবে।

৭) অসুস্থ গরুর উরুতে অতিরিক্ত মাংস থাকবে।

৮) সুস্থ গরুর লেজ ধরে টান দিয়ে পেছনে এনে লেজ ছেড়ে দিলে সে তার পূর্বের অবস্থানে ফেরত যাবে ।

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২৩ ৯:১৪ পূর্বাহ্ন
কোরবানির গরুর দাম এ বছর কেমন হতে পারে?
প্রাণিসম্পদ

আগামী ২৯ জুন বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে পালিত হবে ঈদ-উল-আযহা, ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসেছে কুরবানির হাট ।  এই বছর সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় পশুপালনের খরচও বেড়েছে, ফলে গতবারের তুলনায় এইবার দাম তুলনামূলক বেশি হবে বলে আশংকা করছেন অনেকেই ।

কুরবানির পশুর চাহিদা কত?

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, এ বছর কোরবানির জন্য আমাদের চাহিদা ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি পশু, আর প্রস্তুত রয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ টি পশু, সেই হিসেবে ২১ লাখেরও বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে।

মাঠপর্যায় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবার কোরবানিযোগ্য প্রায় ৪৮ লাখ ৪৪ হাজার গরু-মহিষ, ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ছাগল-ভেড়া ও আড়াই হাজার অন্যান্য প্রজাতির পশু প্রস্তুত রয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর বেশি সংখ্যক গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে। গত বছর প্রায় ১ কোটি পশু কোরবানি হয়েছে। সে অনুযায়ী এ বছর পর্যাপ্ত পশু প্রস্তুত রয়েছে। সংকট হওয়ার সুযোগ নেই। কোরবানি শেষে পশু উদ্বৃত্ত থাকবে বলেও মনে করেন তিনি।

গরুর খামারীদের ভাষ্যঃ

মাদারীপুরের কৃষক লিটন মিয়া। নিজ বাড়িতে ছোট্ট এক খামারে গরু পালেন তিনি। গেলো কোরবানির ঈদে ৬টি গরু থাকলেও এবার তিনি খামারে রেখেছেন ১০ টি গরু। আশা করছেন ১০টি গরুই কোরবানির ঈদে বিক্রি হবে।

তবে দাম কেমন হবে, কতটা লাভ করতে পারবেন তা নিয়ে দু:শ্চিন্তা আছে লিটনের মনে। তিনি বলছিলেন, “দাম তো এইবার বাড়বেই। এখন কেমন বাড়বে সেইটা বুঝতে পারছি না। খরচ যে হারে বাড়ছে, সেইটা উঠাতে পারবো কি-না সন্দেহ আছে।”

লিটন খান জানাচ্ছেন, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। ঘাসের উৎপাদন খরচ বেড়েছে, প্রতিটি পশু খাদ্যের দাম বেড়েছে। শ্রমিকদের মজুরিও বেড়েছে। সুতরাং গরুর দাম গতবারের তুলনায় এবার তারা বেশি চাইবেন।

লিটন মিয়ার মতো একই চিত্র মাদারীপুরের অন্য খামারগুলোতেও।

মাদারীপুরের আরেকজন গরুর খামারের উদ্যোক্তা সাদ্দাম হোসেন বলছেন, ভারত-মিয়ানমার থেকে গরু না আসলে এবারও গরুর বাজার চড়া থাকবে। আর বাজার চড়া থাকলে খামারীরা খরচ তুলে লাভ করতে পারবেন। তিনি বলেন, গত বছর মাঝারি সাইজের যেসব গরু তারা ১ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন, এবার সেই একই আকারের গরুর জন্য তারা দাম চাইছেন ১ লাখ পনেরো থেকে বিশ হাজার অর্থাৎ প্রতি গরুতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দাম বেশি।

মাদারীপুরের প্রাণীসম্পদ দপ্তর বলছে, এবারের ঈদে জেলাটিতে গরুর চাহিদা ৩৬ হাজার। কিন্তু সরবরাহ আছে প্রায় ৩৯ হাজার, অর্থাৎ তিন হাজার গরু উদ্বৃত্ত আছে।  (বিবিসি বাংলা নিউজ)

গরুর সরবরাহ এবং দাম কেমন?

মাদারীপুরে যে চিত্র, সারাদেশেও সেটা অনেকটা একইরকম। অর্থাৎ গরুর সরবরাহ বেশি কিন্তু দাম কম নেই। বরং দাম গত বছরের তুলনায় বাড়তি। গাবতলী গরুর হাটে কথা হয় তৈয়ব আলী নামে একজন গরু বেপারীর সঙ্গে। তিনি গরু সংগ্রহ করেন কুষ্টিয়া ও পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে। এবছর তিনি ঢাকায় একশর বেশি গরু হাটে তোলার পরিকল্পনা করেছেন। অর্ধেক গরু ইতোমধ্যে সংগ্রহও করেছেন বিভিন্ন জেলা থেকে।

“দেখলাম খামারীরা দাম বেশি চায়। গরু অনেক আছে। কিন্তু খরচের কারণে দাম বেশি। ধরেন, ১০ রাখ টাকা দামের গরু এবার ১২ লাখ টাকা। আর মাঝারি গরুতে প্রতি পিসে দাম বাড়তি বিশ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা।” বলছিলেন, তৈয়ব আলী।

তিনি জানাচ্ছেন, এবার ছোট এবং বড় গরুর দাম তুলনামূলক বেশি হবে। কারণ এসব গরুর চাহিদা বেশি।

কিন্তু প্রান্তিকভাবে খামার পর্যায়েই যখন গরুর দাম বাড়তি, তখন শেষ পর্যন্ত সেই দাম মধ্যস্বত্তভোগীদের হাত ঘুরে কোরবানির হাটগুলোতে কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে সেটা একটা বড় প্রশ্ন। (বিবিসি বাংলা নিউজ)

প্রকাশ : জুন ২৪, ২০২৩ ১:৫৬ অপরাহ্ন
কুরবানির গরু কিনে বাসায় আনার পর এর যত্নে ৮ টি করণীয়…
প্রাণিসম্পদ

তাই জেনে নিন কুরবানির গরুর যত্নে করণীয়ঃ

১. গরু কেনার পর থেকেই গরুর পুরো দায়িত্ব আপনার উপরে। তাই কোরবানির হাট থেকে গরুকে হাঁটিয়ে না এনে পিক আপ ভ্যানে করে আনতে পারেন। এতে গরমে গরুর কষ্ট কম হবে আর হেঁটে আনার যে ঝামেলা হয় তারও সম্মুখীন হওয়া লাগবে না।

২. গরুটিকে বাসায় আনার সাথে সাথেই পানি খেতে দিবেন না, কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে দিন, পরিবেশ টা বুঝতে দিন, এরপর বিশুদ্ধ পানি দিবেন । পশুর জন্য খড়, কচি ঘাস, কলা পাতা কিংবা বিচালি কিনে রাখুন। পানি দেবার পর খাবার দিতে পারবেন ।

৩. গরুটিকে প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পান করাবেন । বাসি খাবার না দিয়ে টাটকা খাবার খাওয়ান, অল্প অল্প করে বার বার খাবার দিন। এত খাদ্য অপচয় কমবে এবং খাওয়া বৃদ্ধি পাবে । খৈল, ভুষি, তুষ, কুড়া, লবণ, ভাতের মার পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।

৪. গরুর থাকার জন্য একটি অস্থায়ী স্থান তৈরি করুন। জায়গাটি যেন শুষ্ক থাকে কিংবা পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। নিয়মিত পরিষ্কার রাখবেন।

৫. দিনের বেলায় খোলা স্থানে বেঁধে রাখবেন এবং দুপুরে ভালো করে গোসল করাবেন । সম্ভব হলে গরুকে বিকেল বেলা হাটাবেন ।

৬. রাতের বেলা নিরাপদ স্থানে রাখুন। মশার উপদ্রব থেকে বাঁচাতে মশারি কিংবা কয়েল ব্যবহার করুন।

৭. গরুর সাথে যতটা সম্ভব ভালো ব্যবহার করুন। গায়ে হাত বুলিয়ে দিন আর যতটা পারেন সময় দিন। বাচ্চারা যেন গরুকে বিরক্ত না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন ।

৮. কুরবানির দিন সকাল বেলা গরুকে শুধু পানি পান করাবেন, অন্য কোন খাবার দিবেন না অর্থাৎ যা খাওয়ানোর তা আগের রাতেই খাওয়াবেন ।

আল্লাহ আমাদের সকলের কুরবানি কবুল করুন (আমীন) ।

প্রকাশ : জুন ২, ২০২৩ ৭:৫৫ অপরাহ্ন
লাম্পী স্কীন রোগে মারা যাচ্ছে গরু, আতঙ্কে খামারিরা!
প্রাণিসম্পদ

শেরপুর জেলা ( উত্তর )’এ লাম্পী স্কীন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে গরু। দ্রুত রোগ ছড়িয়ে পড়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছে কৃষক ও খামারিগণ। সম্প্রতি গারো পাহাড়ের ঝিনাইগাতী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামেও এ রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে উপজেলার সাড়ি কালিনগর গ্রামের কৃষক আলহাজ¦, শরীফ উদ্দিন সরকারের ১টি গাভি ও প্রতাব নগর গ্রামের ডা: আব্দুল বারীর একটি বাছুর গরুসহ বিভিন্ন গ্রামে অনেক গরু মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই গরু এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকায় ও এ রোগের ব্যাপকতার ও খবর পাওয়া গেছে। একটি বাছুর গরু আক্রান্ত হয়েছে মো: সাদা মিয়া, গ্রাম বন্দভাটপাড়া ( মাটিয়া পাড়া ) এ পর্যন্ত তার কয়েক হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে চিকিৎসা বাবদ। এ ছাড়া চাপা ঝুড়া গ্রামের আজমত আলীর গরু আক্রান্ত হয়েছে। বন্দভাট পাড়ার সোহবার উদ্দিন কাজির গাভি ও বাছুর মারা গেছে। তা ছাড়া সাড়ি কালিনগর গ্রামের সোলায়মানের গরু আক্রান্ত হয়েছে। জানা গেছে পাহাড়ি এলাকাসহ উপজেলার প্রায় বাড়িতেই আক্রান্ত হচ্ছে গরু।

অপর দিকে শেরপুর উত্তরের শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় ও ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগ। নালিতাবাড়ী উপজেলা থেকে সংবাদ কর্মি আমিরুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে জানান, উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের দাওয়াকুড়া গ্রামের কৃষক আবু সাইদের প্রায় ৩০-৩২ হাজার টাকা মুল্যের একটি বকনা বাছুর মারা গেছে। একই গ্রামের কৃষক আবদুল মতিনের প্রায় ৮০-৮২ হাজার টাকা মুল্যের একটি গাবিন গরু ও আন্ধারুপাড়া গ্রামের কৃষক মনিরুজ্জামান মানিকের প্রায় ৫০-৫২ হাজার টাকা মুল্যের ১টি ষাঁড় বাছুর গরু মারা গেছে। রোগটি নালিতাবাড়ী উপজেলাসহ গোটা শেরপুর ( উত্তর ) ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক ও খামাড়িগণ। রোগ প্রতিরোধে জরুরী ভিত্ততে আক্রান্ত এলাকা শেরপুর ( উত্তর )’র উপজেলাগুলোর গবাদিপশুকে দ্রæত ভ্যাকসিন প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।

জানা গেছে, প্রায় ৩ মাস আগে নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোক্তভোগী কৃষকরা তাদের গরুর শরীরে প্রথম লাম্পী স্কীন রোগের উপস্থিতি টের পান। রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরে গুটি বের হয়ে শরীর ফুলে যায় পচন ধরে ও রক্ত বের হয়। গরুর শরীর গরম থাকে। খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয়। সঠিক চিকিৎসা না নিলেই মারা যায়। বর্তমানে এ রোগ আস্তে আস্তে নালিতাবাড়ী উপজেলা ও পাশ্বরবতী ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ায় আতংকে রয়েছেন কৃষক ও খামারিগণ। নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইনিয়নের পলাশীকুড়া গ্রামের ক্ষদ্র খামারি কৃষাণী মরিয়ম বেগম ইনকিলাবকে বলেন, তার খামারে ১১টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে দেড় বছর বয়সী ১ টি ষাড় বাছুর গরু লাম্পী স্কীন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত তার প্রায় ৬ হাজার টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়েছে। এমতাবস্থায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি। ক্ষদ্র খামারি কৃষক আন্ধারুপাড়া গ্রামের লালচাঁন মিয়ার ৩টি ষাঁড় গরু আক্রান্ত হলে চিকিৎসায় ১টি সুস্থ হলেও ২ ষাঁড় গরুর চিকিৎসা এখন ও চলছে।

এছাড়া ওই এলাকার কৃষক রুহুল আমীনের ১টি, মুনসুর আলীর ১টি ও পলাশীকুড়া গ্রামের কৃষাণী আম্বিয়া খাতুনের ১টি গরুর চিকিৎসা চলছে। তারা বলেন, লাম্পী স্কীন রোগ যাতে আর না ছড়ায় তার জন্য জরুরি ভিত্তিতে আক্রান্ত এলাকার গবাদিপশুদেরকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা দরকার।

ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তারা বলেন, লাম্পী স্কীন ডিজিস মাছির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এই রোগে আক্রান্ত গবাদিপশুকে আলাদা করে মশারীর ভেতর রাখতে হবে। পাশাপাশি আক্রান্ত হওয়ার আগেই সরকারি ভ্যাকসিন না পেলে নিজ উদ্যোগে বেসরকারি কোম্পানির ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া অবস্থা বুঝে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে হবে। তাহলে কৃষকের ক্ষতির সম্ভবনা কম।’

’ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) মো: ফারুক আল মাসুদ জানান, আমাদের উপজেলায় ও ইদানিং লাম্পি স্কিন রোগের প্রদুর্ভাবের খবর পাওয়া যাচ্ছে। যেহেতু মাছির মাধ্যমে রোগটি ছড়ায় সেজন্য কৃষক ও খামারিদের আক্রান্ত পশু অবশ্যই মশারির নিচে রাখতে হবে যাতে মাছি বসতে না পারে। তার পর ও পশু সম্পদ বিভাগকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।’

প্রকাশ : মে ৮, ২০২৩ ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
দৈনিক ৩ লিটার দুধ দিচ্ছে ১০ মাসের বাছুর
প্রাণিসম্পদ

সাধারণত একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক গাভী বাচ্চা প্রসবের পর দুধ দিলেও মাত্র ১০ মাসের একটি বকনা বাছুর দৈনিক দুধ দিচ্ছে য়াড়াই থেকে তিন লিটার। এমনি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের নলছিয়া গ্রামের আব্দুস সালামের বাড়ীতে। অলৌকিক বাছুরটিকে একনজর দেখতে দিনভর ভিড় করছেন উৎসুক সব বয়সী মানুষজন।

জানা যায়, ৭-৮ মাস আগে ১ লাখ ৩ হাজার টাকায় বাছুরসহ একটি গাভি গরু কিনে লালন-পালন করেন। পরবর্তীতে ১০ মাস বয়সী বাছুরটির ওলান অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যাওয়া লক্ষ্য করা যায়। পরবর্তীতে বাছুটির দুধ দোহন করা শুরু করলে দুধ বের হতে থাকে। প্রথম কয়েক দিন আধা লিটার দুধ পেলেও বর্তমানে বাছুরটি প্রতিদিন পায় ৩ লিটার দুধ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন খামারি ।

ভূঞাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুকুমার চন্দ্র দাস বলেন, হরমোনজনিত কারণে এমনটা হতে পারে। এ ধরনের ঘটনা সচরাচর ঘটে না। রঙ-স্বাদ ও গুণগত মান ঠিক থাকলে যে কেউ দুধ পান করতে পারবেন।

প্রকাশ : এপ্রিল ৩০, ২০২৩ ৯:০৬ অপরাহ্ন
কোরবানির ঈদকে ঘিরে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সিরাজগঞ্জের খামারিরা
প্রাণিসম্পদ

কোরবানি সামনে রেখে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের প্রান্তিক খামারিরা। প্রতিবছর গরু মোটাতাজাকরণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অসংখ্য বেকার যুবক। এছাড়াও গরু মোটাতাজাকরণ লাভজনক হওয়ায় এ পেশায় ঝুঁকছেন এই অঞ্চলের মানুষেরা।

সিরাজগঞ্জ প্রাণিসম্পদ এর তথ্যানুসারে, চলতি বছরে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। চলতি বছর প্রাকৃতিক উপায়ে ধানের খড়, সবুজ ঘাস, বিভিন্ন প্রকারের ভুষি, খৈল ও কিছু ভিটামিন খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্টরা।

গো-খামারিরা জানান, গরু মোটাতাজাকরণে গত বছরের তুলনায় এ বছর খরচ বেড়েছে। গমের ছাল, এ্যাংকর ডালের ভূষি, ধানের খড় নেপিয়ার ঘাস গত বছরের তুলনায় এবছর কয়েকগুণ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। গো-খাদ্যের দাম কমানো না হলে খামার রাখা অসম্ভব হয়ে উঠবে।

শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের গো-খামারি তারেক বলেন, এ বছর ৪০টি ষাঁড় খামারে মোটাতাজা করা হচ্ছে। ছয় মাস আগে কেনা ষাঁড়গুলোকে আমি সন্তানের মতো দেখাশোনা করছি। আমার খামারের বেশকিছু উন্নতমানের ষাঁড় রয়েছে, যেগুলোর দাম ৩ লাখ টাকা হবে বলে আশা করছি।

কামারখন্দ উপজেলার আলোকদিয়ার গ্রামের খামারি হৃদয় সরকার বলেন, কাচামালের দাম বাড়ার অজুহাতে গো-খাদ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে আমাদের ষাঁড় মোটাতাজা করার ব্যয় বেড়ে গেছে। গত বছরের মতো এ বছরেও যদি পশুর হাটে ক্রেতা বা পাইকার আসা-যাওয়ায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয় তাহলে ভালো দাম পাওয়া যাবে না। তাতে আমাদের লোকসান হবে

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ষাঁড় মোটাতাজা করতে খামারিদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি ক্ষতিকর ওষুধের ব্যবহার বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভেজাল খাদ্য যাতে ব্যবহার না হয় তার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি।

প্রকাশ : এপ্রিল ২৯, ২০২৩ ৫:১৩ অপরাহ্ন
দুই মাসে একই গ্রামে ২৫টি গরু চুরি
প্রাণিসম্পদ

নাটোরের ছাতনী গ্রামের আসকান আলী নামের এক কৃষকের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার রাতে চুরি হয়েছে চারটি গরু। এ নিয়ে গত দুই মাসে একই গ্রামের বিভিন্ন পাড়া থেকে ২৫টি গরু চুরি হয়েছে।

গরু চুরি ঠেকাতে নিজ নিজ বাড়িতে রাত জেগে গরু পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা। তবুও ঠেকানো যাচ্ছে না চুরি। অপরদিকে যে সব লোকের বাড়ি থেকে গরু চুরি হয়েছে সেসব কৃষকেরা চাষাবাদ নিয়ে পড়েছেন মহাবিপাকে।
সদর উপজেলার ছাতনী পালপাড়া এলাকার আসকান আলী বলেন, গরু চুরির ভয়ে রাত জেগে ছিলেন। রাত একটার দিকেও দেখেছেন গরু গোয়ালেই রয়েছে। এরপর রাত তিনটার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সকালে উঠে দেখেন গোয়ালে আর গরু নেই। চোরেরা দরজার তালা ভেঙে চারটি গরুই চুরি করে নিয়ে গেছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সোনার বলেছেন, সবার আগে কৃষক। কৃষকদের সমস্যা সমাধানে আমাদের সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। যেকোনো মূল্যে এ ধরনের চুরি বন্ধ ও চোরদের আটকের ব্যবস্থা করতে হবে।

নাটোর সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ বলেন, ছাতনী এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ গরু চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রকাশ : এপ্রিল ২৮, ২০২৩ ৮:৪২ অপরাহ্ন
কোরবানি সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন রংপুরের খামারিরা
প্রাণিসম্পদ

আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন রংপুরের প্রান্তিক খামারিরা। লাভবান হওয়ার আশায় এ জেলার খামারিরা এখন থেকেই গবাদিপশু তথা গরু-ছাগল হৃষ্ট-পুষ্ট করতে শুরু করেছেন।রংপুর প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, রংপুর বিভাগের আট জেলায় গত বছর পশু কোরবানি হয়েছে ১০ লাখের ওপরে। এ বছর এই বিভাগে কোরবানির উপযুক্ত গরু খাসি প্রস্তুত রয়েছে ।

গত বছর কোরবানির পর পরই খামারিরা নতুন করে ষাড়, ছাগল মোটা তাজাকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে ফিডের উচ্চ মূল্যের কারণে যথারীতি খাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছেনা। এ ছাড়াও বিভিন্ন কারণে অন্যান্য উপজেলার খামারিরা খুব বেশি বিনিয়োগ করেননি। এছাড়াও এই ঈদে গরু ও ছাগলের দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

কাউনিয়ার হারাগাছের মাহামুদুল হাসান ডন, প্রিন্সসহ বেশ কয়েক জন খামারি জানান, তারা কোরবানি উপলক্ষে গরু প্রস্তুত করেছেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, ভারতীয় গরু প্রবেশ না করলে ভালো দাম পাবেন।

রংপুর প্রাণিসম্পদ বিভাগীয় উপপরিচালক ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, গত বছরের চেয়ে এবার ৫ শতাংশ বেশি গরু-খাসি রয়েছে। তা এই অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে পাঠাতে পারবেন খামারি ও গৃহস্থরা।

প্রকাশ : এপ্রিল ২৬, ২০২৩ ৯:১২ পূর্বাহ্ন
গরু মোটাতাজাকরণে খাদ্য মিশ্রণ তৈরির উপায়
প্রাণিসম্পদ

গরু মোটাতাজাকরণে খাদ্য মিশ্রণ তৈরির উপায় খামারিরা অনেকেই জানেন না। আপনার এলাকায় প্রয়োজনীয় উপকরণের সহজ প্রাপ্যতা এবং দামের বিষয়টি বিবেচনা করে আপনি দানাদার খাদ্যের মিশ্রণের উপকরণ পরিবর্তনও করা যাবে।
প্রথম মিশ্রণঃ

উপকরণ পরিমাণ

১। গমের ভূষি ৫.৪ কেজি

২। খেসারীর ভূষি ২.০ কেজি

৩। তিলের খৈল ১.৮ কেজি

৪। শুটকি মাছের গুড়া ৭০০ গ্রাম

৫। লবন ৫০ গ্রাম

৬। ঝিনুকের গুড়া ৫০ গ্রাম

দ্বিতীয় মিশ্রণঃ

উপকরণ পরিমাণ

১। চাল ভাঙ্গা (খুদ) ২.৫ কেজি

২। গমের ভূষি ১.৫ কেজি

৩। চালের কুড়া ২.০ কেজি

৪। মসুরের ভূষি ১.৯ কেজি গ্রাম

৫। তিলের খৈল ১.৫ কেজি

৬। শুটকি মাছের গুড়া ৫০০ গ্রাম

৭। ঝিনুকের গুড়া ৫০ গ্রাম

৮। লবণ ৫০ গ্রাম

তৃতীয় মিশ্রণঃ

উপকরণ পরিমাণ

১। চাল ভাঙ্গা (খুদ) ১.০ কেজি

২। গমের ভূষি ১.৫ কেজি

৩। চালের কুড়া ৪.০ কেজি

৪। খেসারি ভাঙ্গা ১.০ কেজি গ্রাম

৫। সরিষার খৈল ২.০ কেজি

৬। শুটকি মাছের গুড়া ৪০০ গ্রাম

৭। ঝিনুকের গুড়া ৫০ গ্রাম

৮। লবণ ৫০ গ্রাম

চতুর্থ মিশ্রণঃ

উপকরণ পরিমাণ

১। খেসারীর ভূষি ১.৪ কেজি

২। গমের ভূষি ১.০ কেজি

৩। চালের কুড়া ৫.০ কেজি

৪। মসুরের ভূষি ১.০ কেজি গ্রাম

৫। তিলের খৈল ১.৫ কেজি

৬। ঝিনুকের গুড়া ৫০ গ্রাম

৭। লবণ ৫০ গ্রাম

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop