ব্রয়লার দাম কমলে অন্যগুলো নাগালের বাইরেই
পোলট্রি
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমে বর্তমানে প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাকি সব ধরনের মুরগির দাম এখনও চড়া। কিছুদিন আগে এসব মুরগির দাম আরও বাড়তি গেলেও, এখন কিছুটা কমেছে ঠিকই, তবে সাধারণ ক্রেতারা এখনও এসব মুরগি কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। সাধারণ ক্রেতাদের মতে, বাজারে ব্রয়লায় ছাড়া অন্য মুরগি কেনাই দায়।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়, সোনালী মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি ৩০০ টাকায়, লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকায়, কক (লাল) মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায় এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়।
রাজধানীর মিরপুর শেওড়াপাড়ার বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী খোরশেদ আলমের মতে, বাজারে শুধু ব্রয়লার মুরগির দাম কম। বাকি সব ধরনের মুরগির দাম অনেক বেশি। ব্রয়লার ছাড়া অন্য মুরগি কিনে খাওয়াই কঠিন।
তিনি বলেন, আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা একমাত্র ব্রয়লার মুরগি ছাড়া অন্য কোনো মুরগি কিনতে পারি না। কারণ সব ধরনের মুরগির দাম বেশি। দেশি মুরগি কেনার কথা তো চিন্তাও করতে পারি না। গরুর মাংসের দামের কাছাকাছি দেশি মুরগির কেজি। এছাড়া সোনালী মুরগি যে কিনবো এটার দামও ৩০০ বা তার চেয়েও বেশি। পাশাপাশি লেয়ার, কক মুরগিরও দাম অতিরিক্ত। সব মিলিয়ে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের জন্য ব্রয়লার ছাড়া অন্য মুরগি কেনাই দায়।
ব্রয়লার ছাড়া অন্য মুরগির দাম কেন বেশি? ক্রেতারা বলেন, কিছুদিন আগের চেয়ে এখন তাও দাম কমেছে। কিছুদিন আগে মুরগির দাম আরও বাড়তি ছিল। সোনালি, কক, লেয়ার এসব মুরগির দাম আগের চেয়ে ৫০/৬০ টাকা করে কেজিতে কমেছে। আসলে মুরগির বাচ্চা থেকে শুরু করে মুরগির খাবারের দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। যে কারণে খামারিরা বেশি দামে মুরগি ছাড়ে। আমরা যখন যে দামে কিনতে পারি পাইকারি বাজার থেকে, তখন সে রকম দামেই খুচরা বাজারে বিক্রি করি। ৎ