৭:৪১ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • রোপা আমনের জমিতে চাষ হচ্ছে সবজি!
ads
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ ৫:১৮ অপরাহ্ন
রোপা আমনের জমিতে চাষ হচ্ছে সবজি!
কৃষি বিভাগ

বৈরী প্রকৃতির ফেরে পড়ে যে কৃষক রোপা আমনের আবাদ করতে পারেনি তারা ওই জমিতে শীতকালীন সবজির আগাম ফসল ফলিয়েছে। শীত মৌসুমে রবি ফসলের নির্দিষ্ট সবজির আবাদ তো হবেই। এভাবে বগুড়া অঞ্চলের কৃষক সবজি ফলনে এগিয়ে গেছে।

বগুড়ার কৃষক বাসেত আলী বললেন, কম বৃষ্টির কারণে অনেক জমিতে রোপা আমন আবাদ করা যায়নি। শুকনো আবহাওয়ায় সেই জমিতে সবজি ফলানো হচ্ছে। এই সময় যদি অতি বৃষ্টি নামে তাহলে সবজি আবাদ নষ্ট হবে। প্রকৃতির বৈরিতা এবার এমনই যে, বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক জমিতে আমন আবাদ হচ্ছে না। আবার সবজি আবাদ করে বৃষ্টির ভয় পেয়ে বসেছে। দ্বিমুখী এই প্রকৃতিতে  একটি বিষয় পরিষ্কার কৃষক কোন জমি ফেলে রাখে না।

উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর করে জানা গেল, ওইসব এলাকার কৃষক একই ব্যবস্থা নিয়েছে। চলনবিল পাড়ের এলাকায় আবার আউশ ঘরে তোলার পর আগাম আমন ঘরে তুলছে।

সিংড়ার চামারি এলাকার গৃহস্থ আবুল কালাম জানালেন বিলপাড়ের বিলদহর এলাকার কৃষক সারাবছর কোন না কোন ফসল ঘরে তোলে। বর্ষার ফসলের পাশাপশি মাছের আধারে শুঁটকির চাতাল গড়ে তুলেছে। পাবনা রাজশাহী রংপুর অঞ্চলের কৃষক যেখানে রোপা আমন করতে পারেনি সেখানে সবজির আবাদ করেছে।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা জানালেন, বগুড়ায় চলতি মৌসুমে আগাম শীতকালীন সবজি আবাদের টার্গেট করা হয়েছিল ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমি। সেখানে রোপা আমন না হওয়া জমিগুলো সবজি আবাদের মধ্যে এসেছে। ফলে আগাম শীতকালীন সবজি আবাদের পাল্লা এবার ভারি। গত বছরে সবজি আবাদের যে টার্গেট ছিল তারচেয়ে আগাম শীতকালীন সবজির জমি অন্তত ৯শ’ হেক্টর বেড়েছে। সামনের রবি মৌসুমে ফসলের জমি আগাম সবজির জমির সঙ্গে যুক্ত করে হিসাব কষতে হবে।

বগুড়ায় এই মুহূর্তে বাজারে মিলছে মুলা, পালং শাক, পুঁই শাক, লাল শাক, শিম, বরবটি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা,  টমেটো, গাজর ইত্যাদি। এবারের বর্ষা শরত রোপা আমনের জন্য আবহাওয়া প্রতিকূলে। আবার সবজি আবাদের জন্য এই আবহওয়া অনুকূলে। বগুড়ার প্রবীণ কৃষক  মহাস্থানগড়ের আজাহার আলী বললেন, বর্ষায় বৃষ্টি হয় না এমন প্রকৃতি সে ৭৬ বছরের জীবনে দেখেননি। আবহাওয়া বিভাগের কথা গত ৪২ বছরে বর্ষার এমন প্রকৃতি দেখা যায়নি। রোপা আমন আবাদটি নির্ভর করে বৃষ্টির ওপর সেই বৃষ্টি এবার নেই। যে কারণে কৃষক জমি ফেলে না রেখে সবজি আবাদের দিকে ঝুঁকেছে।

কৃষক আব্দুল করিম বলেন, গত শীতকালীন রবি মৌসুমে তিনি এক বিঘা জমিতে সবজির আবাদ করেছিলেন। এবার আগাম শীতকালীন সবজির আবাদ করেছেন আড়াই বিঘা জমিতে। তিনি কিছুটা হতাশায় বললেন, এবার এত যে সবজি আবাদ হচ্ছে কৃষক ঠিকমতো দাম পাবে তো! তিনি তার অভিজ্ঞতায় জানালেন, গত ক’বছর ধরে সবজি মৌসুমে ঢাকার পাইকাররা বগুড়ার মহাস্থানগড় ও আশপাশের এলাকায় ট্রাক পাঠিয়ে দিয়ে সস্তা দামে সবজি কিনে নিয়ে যায়। ঢাকা ও চট্টগ্রামে সেই সবজি বিক্রি হয় চড়া দামে। উত্তরাঞ্চলের যে কৃষক কষ্ট করে সবজি ফলায় তারা বেশি লাভ করতে পারে না। অনেক সময় কোন সিন্ডিকেটের থাবায় সবজির দাম কমিয়ে দিলে কৃষকদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। তারপরও কৃষক কোন জমি ফেলে রাখে না।

বগুড়ার কৃষকগণ বলছেন এখনও সবজি আবাদে তারা লাভের মধ্যেই আছেন। ভয় হয় কখন কোন না সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে তাদের লোকসান গুনতে হয়। বগুড়ার গ্রাম ও শহরে সবজির ক্রেতা বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষ মাছ গোশতের চেয়ে সবজি বেশি কিনছে। হালে সবজির নানা ধরনের রেসিপিও তৈরি হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের মানুষ এখন ভেজিটেরিয়ান হয়ে যাচ্ছে। এতে গড় আয়ু বাড়ছে।

সূত্র: জনকণ্ঠ

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop