১১:৫৯ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ৮, ২০২৩ ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ে সবজি চালে বিপ্লব
কৃষি বিভাগ

গত কয়েক বছর ধ‌রে লাভের মুখ দেখায় সবজি চাষে ঝুঁকেছেন ঠাকুরগাঁও‌য়ের কৃষকরা। এর মধ্যে সদর উপ‌জেলার গ‌ড়েয়া ইউ‌নিয়‌নের ৬‌টি গ্রা‌মে সব‌জি চাষ ক‌রে বিপ্লব ঘ‌টি‌য়ে‌ছেন কৃষকরা। এখানকার উৎপা‌দিত সব‌জি বিক্রি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

সরেজমিনে সদর উপ‌জেলার গ‌ড়েয়া ইউনিয়‌নের মিলনপুর, খামার, চখহল‌দি, সিংপাড়া ও মাঝ‌দিসহ বি‌ভিন্ন এলাকায় গি‌য়ে দেখা যায়, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, ধন্দুল ও কাঁকরোলসহ নানা ধর‌নের সব‌জি চাষ কর‌ছেন চা‌ষিরা। উৎপা‌দিত এসব সব‌জি বি‌ক্রি করছেন ওই ইউনিয়‌নের বা‌গেরহাট আড়‌তে। আড়তে বি‌ক্রির ফ‌লে উৎপাদিত সব‌জির দাম ভা‌লো পা‌চ্ছেন তারা। অন‌্যদি‌কে আড়তে ১০০ ‌থে‌কে ১৫০ জন মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ত‌বে সার ও ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় একদি‌কে যেমন দু‌শ্চিন্তা অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত ফলন না পেয়ে হতাশ তারা।

কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, আড়‌তে সব‌জি বি‌ক্রি কর‌তে আস‌ছি। ত‌বে সব‌জির দাম খুব কম। বৈরী আবহাওয়ার কার‌ণে ফলনও কম হ‌য়ে‌ছে। ৮০০ টাকার সার ১ হাজার ৬০০ টাকায় কিন‌তে হ‌চ্ছে। এতে সব‌জিতে লাভ তো দূ‌রের কথা, আসল টাকাই উঠ‌ছে না। সব‌জির বি‌ভিন্ন প্রকা‌রের রো‌গের প্রাদুর্ভারের পাশাপাশি সব‌জির দাম কম হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেক কৃষক। এ কৃষ‌কের দা‌বি, তিন বিঘা জ‌মি‌তে সব‌জি চা‌ষে ১ লাখ ৩ হাজার টাকা খরচ হ‌লেও আসল টাকাই উঠ‌বে না তার।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার জমি অনেক উচু এবং উর্বর, তার পাশাপাশি কৃষক যারা রয়েছেন তারা নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে ব্যাপক উৎপাদন করছেন। এর ফলে ঠাকুরগাঁওয়ে সবজির বিপ্লব ঘটেছে।

প্রকাশ : মার্চ ১, ২০২৩ ১০:০৬ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ের সবজি যাবে জাপান যুক্তরাষ্ট্রে
কৃষি বিভাগ

বাংলাদেশে উৎপাদিত সবজি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে জাপান ও যুক্তরাষ্টের ব্যবসায়ীরা। দেশ দুটির ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল ঠাকুরগাঁওয়ের আবাদি বিভিন্ন সবজির মাঠ পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা গাজর, মিষ্টি কুমড়া ও কাঁচা মরিচ বাংলাদেশ থেকে নিতে চান।

বুধবার (১ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন সবজির মাঠ পরিদর্শন করেন ব্যবসায়ীরা।

মাঠ পরিদর্শনের সময় ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায় উপস্থিত ছিলেন।

জাপানের শৌ-ই ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আকিরা মাস্টসুমোতো ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক খুব বন্ধুসুলভ, সহজ সরল। আমরা আশা করি বাংলাদেশ থেকে সবজি রফতানি করে সফলভাবে ব্যবসা করতে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মূলত গাজর, কাঁচা মরিচ, মিষ্টি কুমড়া, লম্বা জাতীয় পেয়াজ বাংলাদেশ থেকে ক্রয় করে জাপানে ওযুক্তরাষ্টেনিব।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমাদের সৌভাগ্য যে, জাপান ও যুক্তরাষ্টের মতো জায়গায়  আমাদের দেশের উৎপাদিত সবজি নিয়ে যাওয়ার জন্য দুই দেশের ৪ জন বিদেশি নাগরিক ঠাকুরগাঁওয়ে এসেছেন। তারা আমাদের কৃষকদের কাছ থেকে গাজর, মিষ্টি কুমড়া ও মরিচ নিতে চান। তাই আমরা তাদের সরাসরি ফসলের মাঠগুলো দেখিয়েছি।’

এছাড়াও আমাদের কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের দাম নিয়ে অনিশ্চয়তায়  থাকেন। তারা যে পণ্যের দাম কম পায় সেই পণ্যের উৎপাদন কমিয়ে দেয়। আর বেশি দাম পাওয়া পণ্যের উৎপাদনের দিকে বেশি ঝুঁকেন। আমাদের উৎপাদিত সবজি বা পণ্য যদি জাপান ওযুক্তরাষ্টে ফতানি হয় তাহলে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবেন ও উৎপাদিত পণ্যের ভালো দাম পাবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রায় ১ হাজার ৬’শ হেক্টর জমিতে মরিচ, মিষ্টি কুমড়া চাষ হয় । এছাড়া ৩৫০ হেক্টর জমিতে দাম ও বাজারজাতের অনিশ্চয়তার কারণে গাজর স্বল্প পরিমাণে চাষ করেন কৃষকরা। আজকে বিদেশিরা যারা এসেছেন সবজি কিনতে তারা যদি আমাদের কৃষকদের কাছে থেকে গাজর ক্রয় করেন তাহলে গাজরের আবাদ অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কৃষকদের টেকনিক্যাল ও উপকরণ সহায়তা নিশ্চিত করবো।’ এতে অনেকাংশে কৃষকরা উপকৃত হবেন বলে মনে করেন তিনি।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২৩ ৯:৩৬ অপরাহ্ন
উচ্চফলনশীল সবজি চাষে কুমিল্লার কৃষকের ভাগ্য বদল
কৃষি বিভাগ

আধুনিক প্রযুক্তি, সময়োপযোগী কৃষিনীতি আর কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বদলে গেছে জেলার কৃষির চিত্র। কৃষিক্ষেত্রে সবজি চাষে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। সবজির উৎপাদন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকদের আয়ও বেড়েছে। কৃষক বিবর্তিত জলবায়ূর সাথে সংগ্রাম করে কৃষি বিপ্লবে এখন মাঠে ময়দানে কাজ করছেন। বৈরী আবহাওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলাতে এখন কঠোর পরিশ্রম করছেন। কুমিল্লার গ্রামের মাঠে বাড়ির আঙ্গিনায় হচ্ছে সবজি চাষ । মাটির মাঝ থেকে তুলে আনছে ফসলের খাটি সোনা। গত দুই যুগ আগের কৃষি কাজের সাথে বিস্তার ফারাক এখনকার প্রযুক্তি। যেখানে একদা সবজি চাষ ছিল আকাশকুসুম কল্পনা মাত্র সেখানে সবজি চাষ এখন আর্শিবাদ ।বৈরী আবহাওয়া ও প্রতিবেশকে হাতের মুঠোয় কব্জা করে মাঠের সেই কৃষক এখন সোনা ফলাচ্ছে। সবজির দামও ভালো পাচ্ছে। কৃষক তাই কোমর বেধে কৃষিযজ্ঞে আমুল পরিবর্তন আনছে। তাই উচ্চফলনশীল সবজি চাষ কুমিল্লার কৃষকের ভাগ্য ক্রমেই বদলে দিয়েছে এ সবজি চাষ বিপ্লব। কুমিল্লার গ্রামে গ্রামে চাষ হচ্ছে এ সবজি। কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা এখন উচ্চফলনশীল জাতের শাক-সবজির চাষ করছেন। চাষিরা দেশীয় বীজ বাদে হাইব্রিড চাষ করে অধিকফলন ফলাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষিকাজে যন্ত্রপাতির বদলে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। কেবল জমি চাষই নয়, জমিতে সার দেওয়া, কীটনাশক ছিটানো থেকে শুরু করে সবই আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে করা যাচ্ছে। কৃষিবিদরা মনে করছেন সরকারের যুগোপযোগী পরিকল্পনা, কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার, পরিশ্রমী কৃষক এবং মেধাবী কৃষি বিজ্ঞানী যৌথ প্রয়াসেই এমন সাফল্য এসেছে।

কৃষি বিভাগের পরামর্শে কুমিল্লার হাজার হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ এখন নজর কাড়ার মত। যেখানে কোনদিন সবজি চাষের অস্তিত্বই ছিল না সেখানে এখন সবুজের সমরাহ। বুড়িচং উপজেলার শিকারপুর গ্রামের কৃষক শহিদ উল্লা বাসসকে জানান, ১০-১২ বছর ধরে তিনি কৃষি কাজের সাথে আছেন। এটি তার প্রধান পেশা। চলতি বছর ৫ বিঘা জমিতে লাউ চাষ করে প্রায় ২ লাখ টাকার বেচা কেনা করেছেন। প্রতিদিন ২শ’ থেকে ৩শ’ লাউ বাজারজাত করেন। সাথে কপি ও শিম চাষ চলছে।

ডুবাইরচর গ্রামের কৃষক কামরুল ইসলাম ছোট বেলা থেকেই কৃষি কাজ করে সংসার চালান। এ বছর ২ একর জমিতে বরবটি লাগিয়েছেন। প্রতিদিন ১-২ মণ বরবটি তুলছেন। এতে তার খরচ হয়েছে মাত্র ৪৫ হাজার টাকা। ইতোমধ্যেই তিনি ৪০ হাজার টাকার বরবটি বিক্রি করেছেন। শ্রীমন্তপুর গ্রামের কৃষক আমির হোসেন তিন বছর ধরে শিম আবাদ করে ভালো দাম পেয়েছেন। এবার শিমের পাশাপাশি অন্যান্য সবজিও চাষ করেছেন। অল্প সময়ে ফসল তোলার পাশাপাশি রোগবালাই এবং লোকসানের শংকা কম বলে আমিরের মতো অনেকেই এখন সবজি চাষ করছেন। ডুবাইরচর গ্রামের কৃষক রজ্জব আলী বাসসকে বলেন, তার জমিতে লাউ, বরবটি, মূলা ও ডাটা শাক রোপণ করে তার খরচের টাকা উঠে এখন লাভের মুখ দেখেছে। গত বছর ৩শ’ ঝাড়ে আলাভী গ্রীণ জাতের শসা, টিয়া জাতের করলা এবং মার্টিনা জাতের লাউ বীজ রোপণ করেছিলেন। এবার লাউ শাক বিক্রি করে বেশ টাকা এসেছে।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, ফলন ভালো হওয়ায় কৃষক উচ্চফলনশীল সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। উচ্চফলনশীল সবজি চাষে অল্প খরচে দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় চাষিদের মাঝে ব্যপক সাড়া ফেলেছে। কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে রীতিমতো বিপ্লব ঘটেছে। চাষাবাদে কাঠের লাঙ্গলের ব্যবহার হয় না বললেই চলে। কৃষি কাজের মধ্যে সবচেয়ে শ্রমনির্ভর কাজ হচ্ছে বীজ বা চারা রোপণ, আগাছা দমন ও ফসল কাটা।

মৌসুমের নির্দিষ্ট সময়ে বীজ বপন, চারা রোপণ এবং ফসল কেটে ঘরে তুলতে কৃষককে বেশ সংকটে পড়তে হয়। ওই সময়ে কৃষি শ্রমিকের মজুরি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। কখনো কখনো দ্বিগুণ মজুরি দিয়েও কৃষি শ্রমিক পাওয়া যায় না। ফলে বিলম্বে বীজ রোপণ করায় ফলন কম হয়, পোকা-মাকড় ও রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ বৃদ্ধি পায়। এসব থেকে রক্ষা পেতেই কৃষি কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করায় এতে যেমন সময় কম লাগছে, তেমনি বেশি ফসলও উৎপাদন হচ্ছে। যার ফলে কৃষক লাভবান হচ্ছে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২৩ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লার সবজি চারা বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে
কৃষি বিভাগ

একপাশে গোমতীনদী অন্য পাশে রানী ময়নামতির প্রাসাদ। তার মাঝেই সমেষপুর গ্রাম। ছায়া সুনিবিড় সমেষপুর গ্রামে এখন নজর কাড়ে চারা চাষিদের ব্যস্ততা। কেউ জমি প্রস্তুত করছেন। কেউবা পানি ছিটাচ্ছেন। কেউবা চারা তুলে আটি করছেন। পাশে দাঁড়িয়ে থেকে পাইকাররা চারা গুনে গাড়িতে তুলছেন। এমন দৃশ্য কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার সমেষপুর গ্রামে। বছরের ভাদ্র থেকে অগ্রহায়ণ এ ৪ মাস চারা উৎপাদন ও বিক্রয় হয়। এ চার মাসে প্রায় চার কোটি টাকারও বেশী রবিশস্যের চারা উৎপাদন ও বিক্রি করেন ওই জনপদের কৃষকরা। এসব রবিশস্যের চারা দেশের সবজি চাষিদের চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে প¦ার্শবর্তী দেশ ভারতেও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট প্লটে গায়ে গায়ে লেগে হাজারো চারা দোল খাচ্ছে। রোদ থেকে বাঁচাতে চারা গাছের উপরে বাঁশ পলিথিন দিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাষিরা নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিস্কার করছেন। কেউবা পানি ছিটিয়ে চারাগুলোকে সতেজ করার চেষ্টা করছেন। প্লটগুলোতে মাথা তুলে আছে মরিচ, টম্যাটো, বেগুন, তাল বেগুন, লাউসহ নানান প্রজাতির চারা। এ চারাগুলোই কিছু দিন পরে বিভিন্ন জমিতে ফুল ফলে ভরিয়ে দেবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর বুড়িচং উপজেলার সমেষপুরসহ পাশের কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৩০ একর জমিতে চারা চাষ করেছেন কৃষকরা। চারটি ব্লকে ৯৪ জন চাষি চারা উৎপাদনের সাথে জড়িত।

সমেষপুর এলাকার চারা চাষি মোঃ আলমগীর হোসেন বাসসকে বলেন, তিনি এ বছর ১০০ শতক জমিতে চারা চাষ করেছেন। তার বাগানে টমেটোসহ নানান জাতের চারা রয়েছে। এ ১০০ শতক জমিতে চারা উৎপাদনে তার খরচ হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। আবহাওয়া ঠিক থাকলে খরচ বাদে তার মুনাফা হবে অন্তত ৫ লাখ টাকা।

বুড়িচং উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বানিন রায় বাসসকে বলেন, কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে চারা উৎপাদনের সময় রোগ ও পোকামাকড় এর আক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পরামর্শ উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ দিয়ে থাকেন। তাছাড়া, রবি প্রণোদনা, বোরো হাইব্রিড প্রণোদনা, পারিবারিক সবজি পুষ্টি বাগান, ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন প্রদর্শনীসহ কৃষক প্রশিক্ষণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৃষককে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২৩ ১১:৫৩ অপরাহ্ন
বিষমুক্ত সবজি চাষে আনোয়ারের সাফল্য
কৃষি বিভাগ

বিষমুক্ত নিরাপদ পদ্ধতিতে শাকসবজি চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাটের কৃষক আনোয়ার হোসেন। উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের বালুরদিয়া এলাকায় স্ত্রী শাহিদা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে ১৫ কাঠা জমিতে লাউ ও লালশাক চাষ শুরু করেন তিনি। বেসরকারি সংস্থা বুরো বাংলাদেশের সহযোগিতায় এ দুই ফসলে মাত্র ১৫ হাজার টাকা খরচ করে তিনি এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার টাকা আয় করেছেন।

জানা গেছে, সবজি চাষের জন্য গত বছর অক্টোবর মাসে আনোয়ারের স্ত্রী শাহিদা বেগম বুরো বাংলাদেশের বানেশ্বর শাখা থেকে জাইকা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত (এসএমএপি) প্রকল্পের আওতায় এক লাখ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বুরো বাংলাদেশের আঞ্চলিক কৃষি কর্মসূচি সংগঠক আবদুর রহমান বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষের জন্য এলাকার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন। হাতে কলমে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে জৈব বালাইনাশক তৈরির প্রশিক্ষণ প্রদানসহ বিনামূল্যে ফেরোমেন ফাঁদ, হলুদ আঠালো পেপার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সহায়তা দেন কৃষকদের। তবে আনোয়ার চাষ শুরু করলে অন্য কৃষকরাও এ পদ্ধতিতে চাষে আগ্রহী হন।

এ বিষয়ে কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, মাত্র ১৫ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে ইতোমধ্যে ৬৫ হাজার টাকার শাকসবজি বিক্রি করেছি। আরও ১৫-২০ হাজার টাকার শাক ও লাউ বিক্রি হবে। তবে অর্ধেক জমিতে ঘাষ চাষ করেছি গরুকে খাওয়ানোর জন্য। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে বিষমুক্তভাবে সবজি চাষে বেশ সাফল্য পেয়েছি।

এ ব্যাপারে বুরো বাংলাদেশের কৃষি কর্মকর্তা এবিএম তাজুল ইসলাম জানান, আমরা দেশের ১১ জেলায় বিশেষ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। তার অংশ হিসেবে চারঘাটে আমাদের প্রোগ্রাম হয়। আনোয়ারের সাফল্য অবশ্যই ইতিবাচক। আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ, টেকনিক্যাল সাপোর্ট এবং পরামর্শ দিয়ে ফসলের অবস্থা মনিটর করছি। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচও কমছে, একইসঙ্গে জমির মাটি ও পরিবেশ নিরাপদ থাকছে। ভবিষ্যতে এ কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২৩ ৭:১৩ অপরাহ্ন
কুয়েতে সবজি চাষে এগিয়ে বাংলাদেশিরা
কৃষি বিভাগ

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে বিভিন্ন পেশায় প্রায় আড়াই লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার প্রবাসী এ দেশের মাজারা বা কৃষিকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাহিরের বিভিন্ন দেশ হতে আমদানি কমাতে এবং দেশটি সবজি চাহিদা পূরণ লবণাক্ত পানিকে প্রযুক্তির মাধ্যমে মিঠা পানিতে রুপান্তার করে কৃষিকাজে ব্যবহার করেছে বাংলাদেশিরা।

কৃষিপ্রধান অপার সম্ভাবনাময় নিজ দেশ ছেড়ে প্রবাসে এসে শত প্রতিকূলতা নিয়েও সবজি চাষ ও কুয়েতের সবজি চাহিদা মেটাতে কৃষিখাতে এক উজ্জ্বল ও অনবদ্য দৃষ্টান্ত রেখে চলেছেন বাংলার সূর্যসন্তান প্রবাসীরা।

কুয়েতের কৃষিঅঞ্চল বলে খ্যাত দুটি এলাকা। দেশটির এক প্রান্তে ‘ওয়াফরা’ ও অন্য প্রান্তে ‘আবদালি’ এলাকা। এ দুটি এলাকায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশটির সিংহভাগ সবজির চাহিদা মেটাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কুয়েত সিটি হতে প্রায় ১২০ কি.মি দূরে সৌদি আরব, ইরাক, ইরান সীমান্তবর্তী দুই মরু অঞ্চলের উর্বর মাটির শাক-সবজি, ফল উৎপাদনে পাশাপাশি গবাদি পশু-পাখির খামারের জন্য অত্যন্ত সুপরিচিত এই অঞ্চল দুইটি।

ওই এলাকায় বাংলাদেশি কৃষকরা চাষাবাদ করছেন মাসকলাই, ভুট্টা, ফুলকপি, মুলা, লাল শাক, পাট শাক, বাঁধাকপি, টমেটো, ক্যাপসিকাম, বেগুন, শসা, স্ট্রোবেরি, বরই ফলসহ বিভিন্ন সবজি ও আবাদি ফসল। তবে প্রবাসীরা অনেক কষ্ট করে সবজি উৎপাদন করলেও নিয়মিত পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না অনেকে। জানা যায় শখের বসে যে সকল স্থানীয় নাগরিকরা ফলমূল, শাকসবজির বাগান করে থাকেন ঐ সকল মাজরায়(বাগান) কাজ করা শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা ভালো। দক্ষ ও পরিশ্রম শ্রমিকদের বছর শেষে বেতন বাড়ছে।

বাংলাদেশিদের কুয়েতে আসতে ভিসা প্রক্রিয়ায় লামানা (বিশেষ অনুমোদন) প্রয়োজন হয়। এই জটিলতার কারণে ভিসা প্রক্রিয়ায় প্রচুর টাকা খরচ করতে হয় দেশটিতে আসা প্রবাসী বাংলাদেশিদের। কিন্তু বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মিশর শ্রমিকদের লামানার প্রয়োজন হয় না। যেখানে নামমাত্র খরচে কুয়েতে আসতে পারেন দেশগুলোর প্রবাসীরা। এদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় কৃষিক্ষেত্রের পেশায় দিনদিন বাড়ছে তাদের আধিপত্য।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২৩ ১০:০১ পূর্বাহ্ন
বিষমুক্ত সবজি চাষে লাভবান বগুড়ার কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

পরিবেশবান্ধব জৈব সার ব্যবহার করে সবজি চাষে সফলতা পেয়েছেন শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কৃষকরা। রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় কম খরচে অধিক ফসল পাচ্ছেন তারা। বিষমুক্ত সবজি হওয়ায় বাজারেও অধিক দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা।

জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কৃষকরা বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন। একসময় এই এলাকার কৃষকরা বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, মিষ্টিকুমড়া ও শিম চাষ করতে যেখানে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতেন, এখন তারা এসব সবজি উৎপাদন করছেন কোন প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই। মানুষ যেন বিষমুক্ত সবজি বাজার থেকে সহজে কিনতে পারেন, সেজন্য ছোট ফুলবাড়ি বাজারে স্থাপন করা হয়েছে নিরাপদ সবজি কর্ণারও।নিরাপদ সবজি কর্ণারে সবজি নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০টি কৃষক গ্রুপের মাঝে বিনামূল্যে ২০টি ভ্যান বিতরণ করা হয়েছে। ১০০ একর জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, করলা, মিষ্টিকুমড়া ও শিম চাষ হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার জানান, এ বছর ঊপজেলায় সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৭৮০ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে ১৭৩০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এখানে সম্পূর্ণ আইপিএম পদ্ধতি ব্যবহার করেই সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। নিরাপদ উপায়ে সবজি চাষের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন আধুনিক জৈব প্রযুক্তি সম্পর্কে জানানো হচ্ছে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৩ ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
বিষমুক্ত সবজি চাষে সফল গাড়িদহরের কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

পরিবেশবান্ধব জৈব সার ব্যবহার করে সবজি চাষে সফলতা পেয়েছেন শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কৃষকরা। রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় কম খরচে অধিক ফসল পাচ্ছেন তারা। বিষমুক্ত সবজি হওয়ায় বাজারেও অধিক দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা।

জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কৃষকরা বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন। একসময় এই এলাকার কৃষকরা বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, মিষ্টিকুমড়া ও শিম চাষ করতে যেখানে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতেন, এখন তারা এসব সবজি উৎপাদন করছেন কোন প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই। মানুষ যেন বিষমুক্ত সবজি বাজার থেকে সহজে কিনতে পারেন, সেজন্য ছোট ফুলবাড়ি বাজারে স্থাপন করা হয়েছে নিরাপদ সবজি কর্ণারও।নিরাপদ সবজি কর্ণারে সবজি নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০টি কৃষক গ্রুপের মাঝে বিনামূল্যে ২০টি ভ্যান বিতরণ করা হয়েছে। ১০০ একর জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, করলা, মিষ্টিকুমড়া ও শিম চাষ হচ্ছে।

চাষি বাদশা মিয়া বলেন, আমি জমিতে নিরাপদ উপায়ে সবজি চাষ করেছি। সেখানে কোন রাসায়নিক সার বা কীটনাশক স্প্রে করিনি, ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। বিষমুক্ত সবজি হওয়ায় বাজারেও অধিক দাম পাচ্ছি।গামীতেও নিরাপদ উপায়ে ফসল উৎপাদন করবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার বলেন, এ বছর ঊপজেলায় সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৭৮০ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে ১৭৩০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এখানে সম্পূর্ণ আইপিএম পদ্ধতি ব্যবহার করেই সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। নিরাপদ উপায়ে সবজি চাষের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন আধুনিক জৈব প্রযুক্তি সম্পর্কে জানানো হচ্ছে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৮, ২০২৩ ১২:০৩ অপরাহ্ন
ফুলকপি চাষে সফলতার স্বপ্ন বুনছেন জয়পুরহাটের কৃষক এনামুল
কৃষি বিভাগ

শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপি চাষ করে সফলতার স্বপ্ন বুনছেন জেলার কালাই উপজেলার বহুতি দরগাপাড়া গ্রামের কৃষক এনামুল হক।

জয়পুরহাটের কালাইয়ে শীতকালীন সবজি বিশেষ করে ফুলকপির বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর শীত মৌসুমে ফুলকপির চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন উপজেলার বহুতি-দরগাপাড়া গ্রামের কৃষক এনামুল হক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বায়ারের হাইব্রিড জাতের ফুলকপি চাষে তিনি কোন ক্ষতিকর কীটনাশক বা রাসায়নিক সার ব্যবহার করেনি। জৈব্যবালাই নাশক ও কেঁচো সার ব্যবহার করে ফুলকপি চাষ করেছেন। কম সময়ে, অল্প পরিশ্রমে ও স্বল্প খরচে অধিক মুনাফার আশা নিয়ে এ কপি চাষ করে তিনি এখন সফলতার স্বপ্ন বুনছেন। এজাতের ফুলকপি বাজারে কদর বেড়ে যাওয়ায় বর্তমান বাজারে চাহিদা অনেকটা ভালো এবং দামও অনেক বেশি পাচ্ছেন।

এনামুলের ফুলকপি চাষে সফলতা দেখে স্থানীয় অনেক কৃষকরাই আগামীতে ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ধান, আলুর চেয়ে ফুলকপি চাষে সময়, খরচ ও শ্রম কম লাগে। তাই অন্যান্য ফসলের বদলে ফুলকপি চাষ করবেন বলে জানান প্রতিবেশী কৃষকরা। সফল চাষি এনামুল হকের ৬০ শতক জমিতে যেন বর্তমানে ফুলকপির রাজ্য। একেকটি ফুলকপির ওজন ১ থেকে ২ কেজি। নিজের ফুলকপি ক্ষেতে মনোযোগ দিয়ে পরিচর্যা করছেন এনামুল। তিনি জানান, চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বাবার অভাবের সংসার, তাই লেখাপড়া করা হয়নি। তিনি স্থানীয় আলুর কোল্ড স্টোর লেবারি কাজ করতেন। কাজ পেলে খাবার জুটত, না পেলে অনাহারে থাকতে হতো। তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নেন কিছু করবেন। তার এলাকাতে অনেক ভালো সবজি চাষ হচ্ছে। এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি সবজি চাষ শুরু করেন করেন। তাই ২০১২ সালে তার কাছে কিছু জমানো টাকা ও ধার-দেনায় প্রথমে ৯ শতক জমি বর্গা নিয়ে চিচিংগা চাষ করেন। সেই সময় তিনি সবকিছু খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৭০ হাজার টাকা লাভ করেন। এরপর থেকে তিনি জমি বর্গা নিয়ে সারা বছর নানা সবজি চাষ শুরু করেন। আর এভাবে একপর্যায়ে চাষের জমি বাড়ে, আয় বাড়ে। দিনমজুর থেকে এনামুল হক এলাকায় হয়ে ওঠেন সফল সবজি চাষি। ৩০ শতক জমি কিনে তৈরি করেছেন টিনের একটি বাড়ি। ঘোয়ালে আছে তিনটি বিদেশী গরু। আছে একটি পুকুর। তাঁর দুই ছেলে, বড় ছেলে খোকন ও ছোট ছেলে আব্দুল্লাহ। বড় ছেরে স্কুলে পড়ছে। স্ত্রী আনজুয়ারা বেগম আর এনামুল হক লেগে থাকেন সবজি চাষে।

এবার তিনি ৬০শতক জমি বর্গা নিয়ে বায়ারের হাইব্রিড ৫৩ ও ৪০ জাতের ফুলকপির চারা রোপণ করেন। এই ফুলকপি চাষে তিনি কোন ক্ষতিকর কীটনাশক বা রাসায়নিক সার না দিয়ে জৈব্যবালাই নাশক এবং কেঁচো সার ব্যবহার করে ফুলকপি চাষ করেছেন। অল্প পরিশ্রমে ও স্বল্প খরচে রোপোনের ৭০ থেকে ৭৫ দিনের মধ্যেই এ ফুলকপি বাজারে বিক্রি করার উপযুক্ত হয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকায় বিক্রি করতেও ঝামেলা নেই । তার জমিতে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কপি রয়েছে। পাইকারি দরে এই পর্যন্ত ৯৫ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। আরো ৩ হাজার পিস ফুলকপি বিক্রি করা যাবে। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে এগুলো সব বিক্রি হয়ে যাবে। তার এ ফুলকপির উৎপাদন খরচ পড়েছে প্রায় ১৪ হাজার টাকা।

তিনি আশা করছেন সকল খরচ বাদ দিয়ে মুনাফা হবে প্রায় দেড় লাখ টাকা। উপজেলার বহুতি-দরগাপাড়া গ্রামের কৃষক হাফিজার ও জালাল মিয়া জানান, ধান, আলু ও ভুট্টার চেয়ে ফুলকপি চাষে খরচ ও শ্রম দুটোই কম । এসব ফসল চাষে খরচের পাশাপাশি রোগ বালাইয়ের আক্রমণের আশঙ্কাও কম। তাই অন্যান্য ফসলের বদলে আগামীতে ফুলকপি চাষে করবেন বলে জানান তারা। এনামুল হক ফুলকপি চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেরেছেন। তাই অন্য ফসলের তুলনায় ফুলকপি চাষে অধিক লাভের স্বপ্ন বুনছেন তিনি। কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুণ চন্দ্র রায় বলেন, এ অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটি সবজি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এ উপজেলায় এবার শীতকালীন ১০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ হয়েছে।

কৃষি বিভাগের পরামর্শে এ অঞ্চলের মানুষ আধুনিক সবজি চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। চাষিরা শীতকালীন ফুলকপি চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। তারা ফুলকপি চাষ করে দাম ও ফলন দুটোই ভালো পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৭, ২০২৩ ৭:৫২ পূর্বাহ্ন
বাড়ির ছাদে মুরগি পালনে যা করবেন
পোলট্রি

সাধারণত বাড়ির ছাদে সবজি ও ফল চাষ করা হয়। বর্তমানে বাড়ির ছাদে মাছও চাষ করা হচ্ছে। তবে বাড়ির ছাদে সবচেয়ে সহজ হলো মুরগি পালন করা। গ্রামে বা শহরের বাড়ির ছাদে মুরগি পালন করা যায়।

বাড়ির ছাদে পালন করার জন্য সবচেয়ে উপযোগী হলো মুরগি বা জাপানি কোয়েল পাখি। তবে কবুতর ও তিতির চাষ করা যেতে পারে। বিশেষ করে ছাদে মুরগি পালন করতে হলে ডিম উৎপাদনের জন্য লেয়ার মুরগি পালন করা ভালো। আমাদের দেশে লেয়ার মুরগির বিভিন্ন জাত রয়েছে। ছাদে পালনের উপযোগি কিছু হাইব্রিড জাত হলো লোহম্যান ব্রাউন, হাই-লাইন ব্রাউন, ব্যাবোলনা টেট্রা এস এল, নিক চিক ব্রাউন, বোভানস গোল্ড লাইন, বি. ভি. -৩০০, ইসা ব্রাউন ইত্যাদি।

হাইব্রিড জাতের মুরগি সাড়ে ৪ মাসে ডিম দেওয়া শুরু করে। তা প্রায় দেড় বছর পর্যন্ত দিয়ে থাকে। এতে জাত ভেদে প্রতিটি মুরগি বছরে প্রায় ২৮০-৩৩০টি পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে।

দুটি ভাগে মুরগি পালন করা যায়। প্রথমে বাচ্চা মুরগি পালন, তারপর বয়স্ক মুরগি পালন। মুরগি পালনের অনেক গুলি পদ্ধতির মধ্যে ছাদে পালনের উপযোগি পদ্ধতি হল ব্যাটারি বা খাঁচা পদ্ধতি। বিশেষভাবে তৈরি খাঁচার ভিতর মুরগি পালন করা হয়। এ খাঁচা মুরগির সংখ্যার উপর নির্ভর করে এক তলা বা বহু তল তৈরি করা হয়। খাঁচা পদ্ধতিতে তুলনামূলক জায়গা কম লাগে এবং পদ্ধতিতে মুরগির রোগজীবাণুর আক্রমণ ও কম হয়। ডিম পাড়া মুরগির জন্য এটি একটি আর্দশ পদ্ধতি।

এই পদ্ধতিতে মুরগি পালন করলে তুলনা মুলক খাদ্য খরচ কম হয় এবং ডিম উৎপাদন বেশি হয়। খাচা তৈরিতে প্রাথমিক খরচ কিছুটা বেশি হয়। তবে একই খাঁচা বার বার ব্যবহার করা যায়।

৩ ফুট লম্বা, ১ ফুট চওড়া, ১.২ ফুট উচ্চতার একটি খাচায় ৬ টা মুরগি পালন করা যায়। এমন তিনটি খাচা একত্র করে একটি তিন তলা বিশিষ্ট খাচা তৈরি করা যায়। যেখানে মোট ১৮ টা মুরগি পালন করা যায়।

নিয়মিত পরিচর্যা এবং রোগবালাই দমন করতে হবে। নিয়মিত মল পরিস্কার করতে হবে, অতিরিক্ত খাবার না দেয়া সদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, কোন রোগ বালাই বা চাল চলনে সমস্যা আছে কিনা লক্ষ্য রাখা, মুরগির মল তরল এবং চুনার মত কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখা, কোন রোগ বালাই বা সন্দেহজনক কিছু লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ভেট ডক্টরের পরামর্শ নেয়া।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop