৮:৪৩ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • শাক বীজ উৎপাদনে চুয়াডাঙ্গার কৃষকদের ভাগ্য বদল
ads
প্রকাশ : এপ্রিল ২০, ২০২১ ১১:১২ পূর্বাহ্ন
শাক বীজ উৎপাদনে চুয়াডাঙ্গার কৃষকদের ভাগ্য বদল
এগ্রিবিজনেস

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় শাক বীজ উৎপাদনে পাল্টে যাচ্ছে সেখানকার কৃষকদের ভাগ্যের চাকা।একসময় শুধু ইরি-বোরো ও আমন চাষের পাশাপাশি প্রচলিত কিছু শাক-সবজি চাষের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল তাদের কৃষিকাজ। কিন্তু এখন আধুনিক পদ্ধতিতে নানা জাতের লাল শাক আবাদ করে তা থেকে বীজ উৎপাদন করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন কৃষকরা। অল্প সময়ে স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভ করা যায় বলে প্রতিবছরই শাক বীজ উৎপাদনে মেতে উঠছেন এখানকার কৃষকরা।

জানা যায়, এ বছরও উপজেলার আব্দুলবাড়িয়া, দেহাটি, কাশিপুর, অনন্তপুর, নিশ্চিন্তপুর, পুরন্দপুর, বাঁকা ও মুক্তারপুর গ্রামে ১২০ হেক্টর জতিতে উচ্চ ফলনশীল নানা জাতের লাল শাকের আবাদ করা হয়েছে এবং এর থেকে বীজ উৎপাদন করা হবে।

আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের সফল শাক বীজ উৎপাদনকারী চাষি শুকুর আলী জানান, আজ থেকে ১৫ বছর আগে এ এলাকায় প্রথম তিনি শাক বীজ উৎপাদন শুরু করেন। ওই বছর তিনি এক বিঘা জমিতে ১ হাজার টাকা খরচ করে উৎপাদিত বীজ প্রায় ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। ফলে অধিক পরিমাণ লাভ হওয়ায় পরের বছর তিনি জমির পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেন। এ বছর তিনি ৫ বিঘা জমিতে শাকের আবাদ করেছেন এবং তা থেকে তিনি বীজ উৎপাদন করবেন। ৫ বিঘা জমিতে উৎপাদিত বীজ তিনি দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

তিনি আরো জানান, অগ্রহায়ণ মাসে ভালোভাবে জমি কর্তন ও সার প্রয়োগের মাধ্যমে জমিকে শাক চাষের উপযোগী করে তোলা হয়। জমিতে বীজ বপনের ১০ থেকে ১৫ দিনের মাথায় চারা গজায়। ৪ মাসের মাথায় জমি থেকে গাছ কেটে বীজ সংগ্রহ করা হয় এবং প্রতিবিঘা জমিতে ৬ থেকে ৮ মণ বীজ উৎপাদিত হয়। জমি তৈরি থেকে বীজ সংগ্রহ পর্যন্ত প্রতিবিঘা জমিতে খরচ হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। আর উৎপাদিত বীজ বিক্রি হয়ে থাকে ৩০ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। যা সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বিঘা জমিতে লাভ হয় ২০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা।

ইতোমধ্যেই উপজেলার আব্দুলবাড়িয়া, দেহাটি, কাশিপুর, অনন্তপুর, নিশ্চিন্তপুর, পুরন্দপুর, বাঁকা ও মুক্তারপুর গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক কৃষক তার দেখাদেখি সবজি বীজ উৎপাদন করে নিজেদের ভাগ্য বদল করেছেন।

জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া এলাকার জমিগুলো সবজি চাষের জন্য বেশি উপযোগী। এখানকার চাষিরা সবজি চাষের ব্যাপারে বেশ অভিজ্ঞও। এ কারণে এলাকার চাষিরা উন্নত কৃষি প্রযুক্তির আওতায় সবজি চাষে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন স্পন্দন এনেছেন বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop