৩:০৬ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ২৫, ২০২৩ ৬:০৫ অপরাহ্ন
গৌরীপুরে মৃত্তিকার কৃষক প্রশিক্ষণ ও সুষম সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ
কৃষি বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক গবেষণাগার, ময়মনসিংহের তত্ত্বাবধানে ‘সরেজমিনে ভেজাল সার সনাক্তকরণ ও সুষম সার প্রয়োগ পদ্ধতি বিষয়ক’ এক দিনের কৃষক প্রশিক্ষণ ও ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা গবেষণাগার MSTL-যমুনা কর্তৃক মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে গৌরীপুরের চাষীদের জন্য প্রস্তুতকৃত ৫০টি সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ড. মো: আনিছুর রহমান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অফিস প্রধান আঞ্চলিক গবেষণাগার, ময়মনসিংহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন MSTL-যমুনা এর দলনেতা ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব মো: সিরাজুল ইসলাম,। আরও উপস্থিত ছিলেন MSTL -যমুনার সদস্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: মেহেদী হাসান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসান।

উপস্থিত ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী কৃষক- কৃষাণীদের মাঝে সুষম সার সুপারিশ কার্ড প্রদান করা হয় এবং সরেজমিনে ভেজাল সার সনাক্তকরণের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব নিলুফার ইয়াসমিন জলি এবং সঞ্চালনা করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ মো: আবুল বাশার।

‘মাটি পরীক্ষা করে সার দিন, অধিক ফলন ঘরে নিন, মাটি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতন হই’ স্লোগানকে সামনে রেখেই ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা ল্যাবরেটরি যমুনা ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৬ টি উপজেলায় উক্ত কর্মসূচি পালন করছে। কৃষকের দোরগোড়ায় এসআরডিআই এর যুগোপযোগী সেবা পৌঁছে দেওয়ার এই চমৎকার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মাননীয় মহাপরিচালক, এসআরডিআই মহোদয়কে গৌরীপুরের চাষিদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং চাষীরা এই ধরনের কর্মসূচি বেশি বেশি আয়োজন করার দাবি জানান। আলোচকবৃন্দ মাটি পরীক্ষা করে সুষম সার প্রয়োগের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।তারা বলেন, মাটি পরীক্ষা করলে ফলন বেশি হয়, সারের অপচয় রোধ হয়, খরচ কমে, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা হয়, মানুষের যেমন সুষম খাবার দরকার ঠিক তেমন ই মাটিরও সুষম সার, জৈব সার বেশি করে প্রয়োজন। কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আগে ইচ্ছামতো বস্তা বস্তা সার দিতেন, এখন জমির মাটি পরীক্ষা করে জেনেছেন তার জমির জন্য এত সার লাগবে না, এখন ওনি মৃত্তিকার সার সুপারিশ কার্ড অনুসরণ করে জমিতে সার দিবেন এবং আশেপাশের অন্যান্য চাষিদের বিষয়টি অবগত করবেন।

প্রকাশ : মে ১১, ২০২৩ ১০:০০ পূর্বাহ্ন
গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে মুখে হাসি জয়পুরহাটের চাষিদের!
কৃষি বিভাগ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে লাভবান চাষিরা। আশেপাশের জমিতে ধান দোল খাচ্ছে। এর পাশেই মাচায় দোল খাচ্ছে হলুদ-সবুজ তরমুজ। উপরে হলুদ হলেও ভেতরে টকটকে লাল। আবার অনেক তরমুজের উপরে সবুজ ভেতরে হলুদ। এখন প্রচন্ড গরমে এই পানি জাতিয় ফলটির বাজারে বেশ চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। কৃষকরা এই জাতের তরমুজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

জানা যায়, জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের ভূতগাড়ি, ভারাহুত, শিরট্টি, গোড়নাসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় গ্রীষ্মকালীন এই তরমুজের চাষ হচ্ছে। এই ফল চাষে খরচ কম ও গরমে এর বাজারদর ভাল থাকায় কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। এই অঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষ দিন দিন বাড়ছে। এখানকার উৎপাদিত তরমুজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, চলতি বছর জয়পুরহাট জেলার ৫ উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৯, পাঁচবিবিতে ২২, আক্কেলপুরে ২, ক্ষেতলালে ৫ ও কালাই উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে মাচায় তরমুজ চাষ করেছেন চাষিরা।

কৃষক জয়নুল হক বলেন, আমি গত কয়েকবছর গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষ করছি। চলতি বছর ৩ বিঘা ৭ শতক জমিতে কয়েক জাতের তরমুজের আবাদ করেছি। তারমধ্যে মধুমালা, সুগারকিং ও টাইগার ক্রাউন জাতের তরমুজ চাষ করেছি। এই জমিতে বছরে ৯ মাস ধরে এই তরমুজ চাষ করা যায়। আর বাকি ৩ মাস শীত মৌসুমে আলু চাষ করি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় তরমুজে অধিক লাভ হয়। অসময়ে ও অল্প সময়ে এর চাষে লাভবান হওয়া যায় বলে অন্যান্য কৃষকরাও এর চাষে ঝুঁকছেন।

তিনি আরো বলেন, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে জমিতে জৈব সার, কীটনাশক, ইউরিয়া, ফসফেট, ডিএপি পটাশসহ যাবতীয় সার দিতে হয়। এছাড়াও বিঘাপ্রতি শ্রমিক মজুরি সহ ৪৫-৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। বাজারদর ভাল থাকে বলে লাভবান হওয়া যায়।

ভারাহুত গ্রামের কৃষক মুসা মণ্ডল বলেন, চলতি বছর আমি সাড়ে ৩ বিঘা জমি ৩০ হাজার টাকায় বর্গা নিয়ে তরমুজ চাষ করেছি। এর চাষে বিঘাপ্রতি ৪০-৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। ৮০-১০০ মণেরও বেশি ফলন পাওয়া যায়। বাজারদর ভালো থাকলে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করা যায়। অনেকেই ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেন। বর্তমানে প্রতি মণ তরমুজ ১২০০-১৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চাষ লাভজনক হওয়ায় ফসল তরমুজ চাষে এই এলাকার অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. মজিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় কৃষকরা ব্ল্যাক বেবি, মধুবালা, গোল্ডেন ক্রাউন, ইয়েলো কিংসহ কয়েক জাতের তরমুজ চাষ করছেন। অনেকে একই জমিতে ২-৩ বার তরমুজ চাষ করছেন। আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি।

প্রকাশ : মে ৮, ২০২৩ ১২:২৫ অপরাহ্ন
বোরোর বাম্পার ফলনে খুশি নওগাঁর চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে। কৃষকরা আগাম জাতের ইরি-বোরো চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছেন। এই অঞ্চলের মাটিতে ধানসহ অন্যান্য ফসলের বেশি উৎপাদন হয়।

জানা যায়, চলতি বছর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে কৃষকরা সময় মতো সেচ দিতে পেরেছেন। পাশাপাশি কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা নিয়মিত খোজ খবর নিয়েছেন। এবছর আবহাওয়া ভাল থাকায় ও জমির সঠিক পরিচর্যা করতে পারায় কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এখানকার কৃষকরা ইস্পাহানী-৮, বেবিলন, হীরা, মেটাল সীড হাইব্রিড, আর ব্রি ধান ২৮,৬৩, ৭৪, ৮১, ৮৪, ৮৬, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯২, বঙ্গবন্ধু ধান ১০০, জিরাশাইল কাটারী উফশী জাতের ২২,৩৬৫ হেক্টর বোরো ধানে আবাদ করেছেন। বর্তমানে কৃষকরা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে মাড়াই করে শুকিয়ে ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে নিয়ামতপুরের ৮ ইউনিয়নে ২০ হাজার ৯৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আর ২২ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।

উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের আমইল গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন, এবছর আবহাওয়া ভাল থাকায় ও জমিতে সঠিক পরিচর্যা করাতে বেশি ফলন হয়েছে। আমি বিঘায় ২৪-২৮ মণ ফলন পেয়েছি। বাজারদর ভালো থাকলে আশা করি লাভবনা হতে পারবো।

বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গোকুলপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, আমি এই মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছি। জমিতে সময় মতো সার, সেচ দিতে পেরেছি। এছাড়াও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছের রোগবালাই কম হয়েছে। ফলন বেশি হয়েছে। ইতোমধ্যে আমার ২ বিঘা জমির ধান কেটেছি। এতে বিঘাপ্রতি ২৫ মণ করে ফলন পেয়েছি। বর্তমান বাজারে ১২০০-১৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।

নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, কৃষকদের আগাম ধান চাষের জন্য উৎসাহিত করতে কৃষি বিভাগ থেকৈ সার, বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মীরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে। এখন পর্যন্ত এই উপজেলার ৪০ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। কৃষকরা বর্তমানে ধান কাটার উৎসবে মেতেছেন।

প্রকাশ : এপ্রিল ৮, ২০২৩ ১২:০৯ অপরাহ্ন
বরিশালে পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

বরিশালে পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। সাধারণত এই অঞ্চলের কৃষকরা ইরি ও বোরো ধানের চাষাবাদ করে থাকেন। তবে গত কয়েকবছর যাবত তারা পতিত জমিতে এই সবজির চাষ করে অধিক ফলন পাচ্ছেন। আর বাজারদর ভালো থাকায় মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

জানা যায়, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রতিটিতেই ইউনিয়নেই মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। কৃষকরা বেশ কয়েক বছর ধরে ইরি ও বোরো ধান চাষাবাদের সঙ্গে জমির পতিত জায়গায় এই সবজির চাষ করছেন। বর্তমানে এই সবজির চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আর এখানকার উৎপাদিত কুমড়া স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র মতে, চলতি বছর আগৈলঝাড়ায় ১৫ হেক্টর জমিতে বারোমাসী, বারি, মনিকাসহ স্থানীয় জাতের কুমড়া উৎপাদিত হয়েছে। এই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকরা অধিক ফলন পেয়েছেন। কৃষকরা শুধু কুমড়া নয়, এর ডাটা ও পাতা বিক্রি করে ভালো আয় করতে পারছেন।

আগৈলঝাড়ার বাহাদুরপুর গ্রামের অনিতা ভদ্র জানান, আমি ১০ বছর যাবত ইরি ও বোরো ধানের পাশে পতিত জমিতে কুমড়ার চাষ করছি। এর চাষে বেশি খরচ হয় না। একটু যত্ন নিলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। গত বছর জমি থেকেই ৫০ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি করেছিলাম। আশা করছি এবছর আরো বেশি টাকার বিক্রি করতে পারবো।

কৃষকরা জানায়, মিষ্টি কুমড়া চাষে খরচ কম। আর এর ফলন অধিক পাওয়া যায়। প্রতিটি কুমড়া ৩-৮ কেজি ওজনের হয়। বর্তমানে প্রতিমণ হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় জানান, কম খরচে চাষ করে বেশি লাভ করা যায় বলে কৃষকর মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন। এই অঞ্চলের কৃষকরা তাদের পতিত জমিতে বারোমাসী, বারি, মনিকাসহ স্থানীয় জাতের কুমড়ার চাষ করছেন। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকর মিষ্টি কুমড়ার ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। আমরা কৃষকদের সবসময় সহযোগিতা করে আসছি।

প্রকাশ : মার্চ ৩০, ২০২৩ ১০:৫৬ অপরাহ্ন
দেশের কৃষকরাও আজ ডিজিটাল প্রযুক্তির সুফল পাচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সারের জন্য এখন আর কৃষককে গুলি খেতে হয় না। কৃষকরাও ডিজিটাল প্রযুক্তির সুফল পাচ্ছে।

আজ চাঁদপুরের হাইমচরে কৃষকদের এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিনামূল্যে বীজ ও সার, বকনা বাছুর, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদ হতে প্রাপ্ত অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।
বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎতের ভয়াবহ অবস্থার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ তার সুফলভোগী হয়েছে। বিদ্যুৎ ও পানির জন্য জনসাধারণ আর কষ্ট পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ক্ষামতায় এসেছিলেন তখন দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল ৪০ লাখ মেট্রিক টন। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন বলেই এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

প্রকাশ : মার্চ ২৭, ২০২৩ ১০:৫৬ অপরাহ্ন
কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কুমিল্লার চাষিরা
কৃষি বিভাগ

কুল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কুমিল্লার চাষিদের। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় কুমিল্লায় কৃষকরা কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। দিন দিন এ অঞ্চলে কুলের চাষ বেড়েই চলেছে। এখানকার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে কুল বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করছে। মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় জেলায় কুলের চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, লাভজনক হওয়ায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি জেলার কৃষকরা কুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এ অঞ্চলে বাউকুল, আপেলকুল, তাইওয়ানকুল, নারকেলিসহ বিভিন্ন জাতের কুলের চাষ হচ্ছে। এ মৌসুমে কুমিল্লা ৫৮০ হেক্টর জমিতে কুলের চাষ হয়েছে। প্রতি কেজি কুলের পাইকারী মূল্য ৪০-৫০ টাকা। খরচ বাদে বিঘা প্রতি ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব। এখানকার উৎপাদিত কুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ জেলায় উৎপাদিত কুল বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। কুল বাগানে কর্মরত আমিরুল ইসলাম বলেন এ রকম বাগানে কাজ করে তিনি বেশ খুশি। বেতনও ভালো পান। বিপদের সময় অতিরিক্ত অর্থের চাহিদা থাকলে তিনি তা পান। পাইকারী ফল বিক্রেতা শাহআলম বলেন আপেলকুল স্বাদে মিষ্টি, আকারে বড় ও দেখতে সুন্দর হওয়ায় ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য বাজারে এর চাহিদা বেশি হওয়ায় অন্যান্য কুলের চেয়ে এর বিক্রি বেশি। লাভও বেশি।

কুল চাষি মোস্তফা জানান, কুমিল্লার বাজারে এক কেজি কুলের দাম ৭০-৯০ টাকা। অন্য মৌসুমের তুলনায় এ বছর কুলের ব্যাপক ফলন হয়েছে। স্থানীয়ভাবে জাত উন্নয়ন করে উৎপাদিত কুল চাষে অধিক লাভের জন্য কুমিল্লায় কুল চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। ফলে চাষিরা অন্য বছরের তুলনায় এ বছর লাভবান হচ্ছে বেশি। এতে করে কুমিল্লায় কৃষি অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বারও উন্মোচিত হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ মৌসুমে কুমিল্লায় কুলের ব্যাপক ফলন হয়েছে। চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। আমরা তাদের সব ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

প্রকাশ : মার্চ ২৩, ২০২৩ ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
সূর্যমুখী চাষে ভোলার কৃষকরা লাভের পথে
কৃষি বিভাগ

আবহাওয়া অনুকূলে ও এই অঞ্চলের মাটি উর্বর হওয়ায় সূর্যমুখী চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছেন ভোলার কৃষকরা। কৃষি বিভাগ থেকে সার ও বীজ দিয়ে প্রদর্শনীর মাধ্যমে সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।

জানা যায়, ভোলার রাজাপুরের কৃষকরা তাদের আবাদি জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সার ও বীজ দিয়ে প্রদর্শনীর মাধ্যমে কুষকরা এই ফসলের আবাদ করছেন। এর চাষে খরচ কম হয় এবং উৎপাদন বেশি হয়। বর্তমান বাজারে তেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই দেশে তেল জাতিয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, চলতি বছর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চাষিরা নিজ উদ্যোগে ও প্রকল্পের আওতায় ৯০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। এবছর গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ চাষ করা হয়েছে। এখন কৃষকের খেতে সূর্যমুখীর ফুল বাতাসে দোল খাচ্ছে। কৃষকরা ভালো ফলনের আশা করছেন।

পাঙ্গাশিয়া গ্রামের সূর্যমুখীচাষি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, এবছর কৃষি বিভাগের দেওয়া বীজ ও সার দিয়ে আমার ৩০ শতক জমিতে পরিক্ষামূলকভাবে চাষ করেছি। জমিতে ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি দ্বিগুণ লাভবান হতে পারবো।

জেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান ওয়ারিসুল কবির জানান, ভোলা জেলায় গত বছর ৫০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছিল। এবছর তা ছাড়িয়ে ৯০০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। এর তেল খুবই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। অলিভ ওয়েলের পরেই সূর্যমুখী তেলের অবস্থান। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর চাষে খরচ কম ও লাভ বেশি হয়। তাই দিন দিন এর চাষ ও চাষির সংখ্যা বাড়ছে।

প্রকাশ : মার্চ ১৩, ২০২৩ ৬:২৪ অপরাহ্ন
বীজ বপনে সিডারে আগ্রহ বাড়ছে কুমিল্লার কৃষকদের
কৃষি বিভাগ

কৃষি যান্ত্রিকীকরণে আধুনিক বীজ বপন পদ্ধতির নাম ড্রাম সিডার। বীজতলার পরিবর্তে ড্রাম সিডারের মাধ্যমে সরাসরি ক্ষেতে ধান বপনে লাভবান হয়েছেন জেলার অনেক কৃষক। তাই জেলার অন্যান্য কৃষকদের মধ্যেও ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
ড্রাম সিডারের দুইপাশে প্লাস্টিকের দু’টি চাকার ভেতর একটি লোহার দন্ডের মধ্যে সারিবদ্ধভাবে নির্দিষ্ট দূরত্বে ছোট আকৃতির ছয়টি প্লাস্টিকের ড্রাম থাকে। প্রতিটি ড্রামে থাকে নির্দিষ্ট মাপের নির্দিষ্ট সংখ্যক ছিদ্র। প্লাস্টিকের চাকার সঙ্গে লাগানো থাকে একটি হাতল, যেটি ধরে একজন কৃষক সহজেই যন্ত্রটি টানতে পারেন। ৩/৪ হাজার টাকা হলেই এই যন্ত্রটি স্থানীয় প্রযুক্তি ব্যবহারে বানানো যায়। এ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করতে হয় না তাই সময়, শ্রম, ব্যয় সব কম লাগে। সনাতন পদ্ধতির চেয়ে বেশি ফসল পাওয়ায় কুমিল্লার কৃষকদের মধ্যে ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
কৃষক মনোয়ার হোসেন বাসসকে বলেন, ড্রাম সিডারের মাধ্যমে একজন কৃষক দিনে দুই একর জমিতে ধান চাষ করতে পারেন। কিন্তু সনাতন পদ্ধতিতে এই ধানের চারা রোপণ করতে অন্তত ২০ জন শ্রমিকের প্রয়োজন। ড্রাম সিডারে ধান চাষ করায় উৎপাদন খরচ ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কম লাগছে। তাই ধান চাষে ড্রাম সিডার ব্যবহার লাভজনক দেখে কৃষকেরা এর প্রতি ঝুঁকছেন। যেকোনো ধান চাষে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ ড্রাম সিডারের ব্যবহার।

কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, বীজতলায় চারা উৎপাদন করে, পরে ধান ক্ষেতে রোপণের চেয়ে ড্রাম সিডারের মাধ্যমে সরাসরি ধান ক্ষেতে বীজ বপন করায় শ্রমিক, সময় ও উৎপাদন ব্যয় বহুলাংশে কম লাগে, পক্ষান্তরে ফলন ভালো পাওয়া যায়। এ প্রযুক্তিতে ধান ক্ষেতের যতœ করা সহজ হয়, ফলে আগের চেয়ে ফলন ভালো পাওয়া যায়। খরচও কয়েক গুণ কম লাগে। তবে কয়েকবার সেচ দিতে হয়। তাছাড়া জমি ও পরিবেশ ভেদে আউশ, আমন ও বোরো তিন মৌসুমেই এ প্রযুক্তিতে ধান চাষ করা যায়। তবে আউশ ও বোরো ধান চাষে এটি বেশি উপযোগী। সনাতন পদ্ধতিতে ধান রোপণের জন্য জমি যেভাবে তৈরি করতে হয়, সেভাবেই জমি তৈরি করে ড্রাম সিডার দিয়ে ধান বপণ করতে হয়। তবে জমিতে যেন পানি না জমে থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

কৃষি সম্প্রারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, তারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ড্রাম সিডারের মাধ্যমে ধান চাষে কৃষককে পরামর্শ দিয়েছেন। ড্রাম সিডারে সারি ধরে গাছ হওয়ায় আগাছা দমন সহজ হয়। আগাছানাশক ব্যবহার করলে ৪/৫ দিন ক্ষেতে ছিপছিপে পানি থাকতে হবে। এলসিসি ভিত্তিক ইউরিয়া প্রয়োগ করতে পারলে এই পদ্ধতিতে ধান চাষে সুফল বেশি পাওয়া যায়। ধানগাছ একটু বড় হলে রোপা পদ্ধতির মতোই পানি সেচ দিতে হয়। সঠিক পরিচর্যায় ড্রাম সিডারে বোনা ধানের ফলন রোপা ধানের তুলনায় শতকরা ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেশি হতে পারে। এ পদ্ধতিতে চাষ করলে রোপা পদ্ধতির চেয়ে ১২ থেকে ১৫ দিন আগে ধান ঘরে তুলা যায়। এছাড়া ড্রাম সিডার যন্ত্রটি হালকা হওয়ায় সহজে বহন করা যায়। ফলে সবাই এটি ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।

প্রকাশ : মার্চ ১, ২০২৩ ৩:০৫ অপরাহ্ন
নড়াইলে গমের উচ্ছা ফলনে খুশি চাষিরা
কৃষি বিভাগ

নড়াইলে বেড়েছে গমের আবাদ। আগে এই জেলায় ব্যাপক পরিমানে গমের চাষ হলেও পরে ব্লাস্ট রোগের আবির্ভাবের কারণে কৃষকরা চাষ থেকে বিরত থাকেন। গত কয়েকবছর ধরে চাষিরা আবার গম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। চলতি বছর কৃষি বিভাগে লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশি জমিতে গমের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নড়াইল জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, আগে কৃষকরা ব্যাপক ভাবে গমের চাষ করতেন। গমে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হলে চাষ কমে যায়। তারপর ২০২০ সাল থেকে আবার গম চাষের প্রতি কৃষকরা ঝুঁকতে থাকেন। চলতি বছর ২০৮৫ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও ২১২০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হচ্ছে। ক্রমাগত চাষের জমির সংখ্যা বাড়ছে।

চাষিরা জানান, আগে গম চাষের খরচ বেশি ছিল, বাজারে গমের দামও কম থাকতো। এছাড়ও গাছের বিভিন্ন রোগের কারণে ফলন নষ্ট হতো। তাই গম চাষ কমে যায়। এখন অন্যান্য ফসলের তুলনায় গম চাষে লাভবান হওয়া যায়। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন হবে। আর বাজারদর ভালো থাকলে কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীপক কুমার রায় বলেন, কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল বারি গম-৩২ ও ৩৩ এবং ডব্লিউএমআরআই-২ জাতের গম চাষ করছেন। আগের তুলনায় এখন গমের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও ফলন দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা কৃষকদের গম চাষের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি। আশা করছি কৃষকরা বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২৩ ১:০৩ অপরাহ্ন
কয়েলের আগুনে পুড়ে মরল ৩ গরু
প্রাণিসম্পদ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কয়েলের আগুনে পুড়ে তিনটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের রাবাইতারী গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত দেড়টার দিকে ওই গ্রামের নাদের আলীর ঘরে হঠাৎ আগুন জ্বলে ওঠে। আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নাদের আলীর চারটি টিনশেড ঘর, গোয়াল ঘর, রান্না ঘর এবং গোয়ালে রাখা তিনটি গাভী পুড়ে যায়। আগুন পার্শ্ববর্তী আব্দুল কাদের ও মজিদুলের ঘরে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ফুলবাড়ী ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।

তবে ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই আব্দুল কাদেরের দুটি, মজিদুলের একটি ঘর, আসবাবপত্র, ধানচাল, নগদ টাকা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়। পরে ফুলবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন: মৌচাকে বহুতল ভবনে আগুন

ফুলবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের ফাইটার বুলবুল আহমেদ জানান, গভীর রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কয়েলের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মুকুল ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রাথমিকভাবে চেয়ারম্যান পাঁচ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার সহায়তা দিয়েছেন। বিকেলে ইউএনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ছয় লাখের বেশি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop