৭:৫৯ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • সরকারি উদ্যোগেই বাড়বে সবজি ও ফল রপ্তানি
ads
প্রকাশ : জুন ২০, ২০২১ ৬:৪৫ অপরাহ্ন
সরকারি উদ্যোগেই বাড়বে সবজি ও ফল রপ্তানি
কৃষি গবেষনা

ফল উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। সবজি উৎপাদনে তৃতীয়। পণ্য দুটির উৎপাদন বাড়লেও রপ্তানিতে পিছিয়ে পড়ছে। নানা প্রতিবন্ধকতায় বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করে ফল ও সবজি রপ্তানি বাড়াতে সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রাথমিকভাবে সাতটি ফল ও সবজি চিহ্নিত করা হয়েছে। ফলের মধ্যে রয়েছে আম ও লেবু।

সবজির তালিকায় শিম, বেগুন, শসা, পটোল ও করলা। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এ নিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে।\হপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সবজি ও ফল রপ্তানি কীভাবে বাড়ানো যায়, কোন কোন দেশে রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে, প্রতিবন্ধকতা কীভাবে দূর হবে, উৎপাদন কীভাবে বাড়ানো যায় এবং কোন কোন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা হবে। পরিকল্পনায় আরও কী কী যোগ করা যায় তা নিয়ে মতামত নিচ্ছে বারি।

শনিবার উদ্যান ফসলের রপ্তানি প্রতিবন্ধকতা দূর করতে প্রযুক্তির উন্নয়ন ও প্রয়োগবিষয়ক সমাপনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে এ বিষয়ে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ের আলাদা একটি প্রকল্প প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হয়।

রাজধানীতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সহযোগিতায় কর্মশালায় বারির পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. মো. কামরুল হাসান সভাপতিত্ব করেন।

প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের পিপিসি উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারির সবজি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসী ইসলাম।

কর্মশালায় উদ্যান ফসলের রপ্তানির প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে প্রযুক্তির উন্নয়ন ও প্রয়োগবিষয়ক প্রকল্প প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন বারির আঞ্চলিক কৃষি গবেষণাকেন্দ্র হাটহাজারী, চট্টগ্রামের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মশিউর রহমান।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ১ কোটি ২১ লাখ টন ফল এবং ১ কোটি ৬৫ লাখ টন সবজি উৎপাদন হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নানামুখী সীমাবদ্ধতার মধ্যেও দেশে এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৪ লাখ ৫০ হাজার টন ছাড়িয়ে যাবে। অন্যদিকে দেশে আনারস উৎপাদিত হচ্ছে বছরে সাড়ে চার লাখ টন। আর লিচু ফলছে প্রায় তিন লাখ টন। পেয়ারা উৎপাদনেও বিশ্বের অনেক দেশ থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ। এখন প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টন পেয়ারা উৎপাদিত হয়। কোনো কোনো ফল সারা বছরই উৎপাদিত হচ্ছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত ফল ও সবজি রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব। কিন্তু রপ্তানির জন্য উৎপাদিত শস্যের গুণগত মানের অভাব, নিরাপদ শষ্য উৎপাদনের অভাব, অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার, চুক্তিভিত্তিক কৃষক না থাকা, অ্যাক্রেডিটেশন ল্যাবরেটরি না থাকা, তদারকি ও মানসনদের দুষ্প্রাপ্যতা, রপ্তানির জন্য বিশেষ অঞ্চল না থাকাসহ ২০ ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এসব পণ্য রপ্তানি বাড়াতে ১৬টি সুপারিশ করা হয়।\হপ্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন সরকারি ও বেসরকারি খাতের কয়েকজন প্রতিনিধি। তারা বলেন, রপ্তানি করার জন্য উৎপাদিত ফল ও সবজির মান ঠিক রাখতে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি চিহ্নিত করতে হবে। এর জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

এছাড়া কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে তদারকি বাড়ানো, দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কার্যকর ভূমিকা এবং বিমানের পরিবর্তে সমুদ্রগামী জাহাজে পণ্য পাঠানোর ব্যবস্থার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুসারে উল্লিখিত সবজি সংগ্রহ করা হবে নরসিংদী, কুমিল্লা ও টাঙ্গাইলের মধুপুর থেকে। এ ছাড়া লেবু সিলেট থেকে এবং আম রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সাতক্ষীরা থেকে সংগ্রহ করা হবে। তবে নরসিংদী থেকে লেবু ও মানিকগঞ্জ থেকে সবজি সংগ্রহের পরামর্শও দিয়েছেন অনেকে। এসব সবজি উৎপাদনের জন্য কৃষক নির্দিষ্ট করে চুক্তিভিত্তিক চাষের পরিকল্পনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে রপ্তানিযোগ্য পণ্য উৎপাদনে নির্দিষ্ট জোন তৈরিরও পরিকল্পনা করা হয়েছে। সূত্র: সমকাল

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop