২:১৩ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৩ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • সোনালি মুরগি পালনের লাভজনক পদ্ধতি বিস্তারিতঃ
ads
প্রকাশ : নভেম্বর ২, ২০২১ ১:০২ অপরাহ্ন
সোনালি মুরগি পালনের লাভজনক পদ্ধতি বিস্তারিতঃ
পোলট্রি

পরিচিতিঃ জয়পুরহাট জেলায় ১৯৯৬-২০০০ সাল পর্যন্ত গবেষণার ফলে সোনালী মুরগি উদ্ভাবন করা সম্বব হয়। এ মুরগি উদ্ভাবনকারীর নাম ডা. মোঃ  শাহ জামাল। যিনি R.I.R (Rhode Island Red) জাতের মোরগের সাথে Fayoumi জাতের মুরগির মিলনের মাধ্যমে সোনালী জাতের উদ্ভাবন করেন।

 

শারীরিক বৈশিষ্টঃ সোনালী মোরগের রং সোনালীর মাঝে কালো ,পাখায় সাদা ফোটা ফোটা। মুরগির রং হলুদ কালো এবং আকারে মাঝারী। ডিমের খোসা ক্রিম বর্ণের। একটি পূর্ণ বয়স্ক মোরগ ২-২.৫ কেজি এবং মুরগি ১.৫-২ কেজি হয়ে থাকে। সোনালি মুরগি বছরে ডিম দেয় ১৫০-২০০টি।

বাসস্থানঃ সোনালী মুরগি সাধারণত ৬০ দিন পালন করা হয় , সে অনুযায়ী প্রতি মুরগির জন্য জায়গা লাগে ০.৮৫-.৯০ বর্গফুট । ঘরের ভেতর বাঁশ ঝুলিয়ে দিলে ২০০-৩০০ মুরগি বেশি পালন করা যায়। জায়গার তুলনায় বেশি মুরগি তুললে রানিক্ষেত ও গাম্বোরো রোগের প্রকোপ দেখা দিতে পারে, এছড়া মুরগি সর্দি কাশি হতে পারে। অতিরিক্ত মুরগির জায়গা না থাকলে ঠোকরাঠুকরি করে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সেডের মেঝেতে এবং সেডের বাহিরে ৫ফুট দূরত্ব পর্যন্ত ১০০লিটার পানিতে ৫০০গ্রাম লবণ ও শুকিয়ে যাওয়ার প ১ কেজি চুন ১০০০ বর্গফুট জায়গায় লেপে দিতে হবে। তারপর জীবাণূনাশক দিয়ে স্প্রে করতে হবে।

ঘর পূর্ব – পশ্চিম লম্বা হবে।
দৈঘ্য ৪০ ফুট ও প্রস্থ ২০ ফুট: ৮০০ বর্গফুট

বা ৪৫*১৮ঃ৮১০ বা ৩৫*২২: ৭৭০বর্গফুট

এভাবে নিজের মত করে মিলিয়ে বানাতে হবে, তবে দৈঘ্য ২৫ ফুটের বেশি ঠিক নয়, লম্বা যা খুশি করা যায়। চারদিকে বাঁশে বেধে দিলে অনেক মুরগি বাঁশে বসতে পারে এতে জায়গা কম লাগে। উচ্চতা ৮-৯ ফুট ভাল তবে অধিকাংশ সময় ৭-৮ ফুট হলেই চলে। ফ্লোর পাকা হলে ভালো হয় তবে কাচা হলেও চলে, সেক্ষেত্রে  ইটের খোয়া এবং বালি, তারপর এটেল মাটি দিয়ে লেপে দিতে হবে।

ঘর তৈরির খরচ:

বিভিন্ন ভাবে খরচ করে ফার্ম করা যায়। তবে সাবলিল হিসেব দেখানো হলোঃ-

পিলার- ১৬ টি – ১৬০০০টাকা
কাঠ – ২০০০০
টিন – ২০০০০
পর্দা বা ত্রেপল – ৩০০০
মিস্ত্রি – ৭০০০
নেট – ১০০০০
পাত্র ও ব্রুডার – ৮০০০
মাটি কাটা ১০০০০
ইলেক্ট্রিকেল – ৪০০০
সিলিং – ২০০০
সাইড ওয়াল – ১০০০০

টোটালঃ ১, ১০, ০০০ টাকা


১০০০ সোনালি মুরগি পুষতে যা লাগবে 

খাবার লাগবে ৪০ ব্যাগ, ১৯০০ : ৭৬০০০
বাচ্চা ১০০০, ৩০= ৩০০০০
মেডিসিন = ৭০০০
টিকা = ২০০০
বিদ্যুৎ = ২০০০
লিটার =  ৪০০০
কর্মচারী = ১০০০০

টোটালঃ- ১৩১০০০ টাকা

(সোনালী ৬০-৭০দিন পালা হয় তাই খাবার ৪০-৪৫ ব্যাগ এবং ওজন ৭৫০-৮৫০গ্রাম হয়)

৬০ দিন পর ওজন গড়ে ৮০০ গ্রাম করে ১০০০-৫০ : ৯৫০ টির ওজন ৭৬০ কেজি *

১৮০ টাকা দরে: ১৩৬৮০০টাকা ( ৫০ টা মৃত ধরে) (এখন ৩৫০ টাকা)

তাহলে লাভ : ১৩৬৮০০- ১৩১০০০: ৫৮০০

যদি এমন হয় কর্মচারী ছাড়া ১০০০০ টাকা সেভ হবে
খাবার নগদ হলে ৪০০০ (বস্তা প্রতি ১০০ টাকা কম লাগবে)

লাভ নির্ভর করে বাচ্চার দাম, রেডি মুরগির দাম, ওজন বেশি আসার উপর মানে ৮৫০(৪৭ কেজি * ১৮০:৮৫০০টাকা  এবং ওষধ খরচ কমানোর উপর(৩০০০)

মুরগি যদি ৩০ টা কম মরে তাহলে ৩০*৮০০:২৪*১৮০: ৪৩২০ টাকা

বাচ্চার দাম যদি ৫ টাকা কম হয় ২৫ টাকা হয় তাহলে ৫০০০ টাকা

সবকিছু ঠিক থাকলে লাভ হবে: ৫৮০০+ ১০০০০+৪০০০+ ৮৫০০+৩০০০+৪০০০+ ৫০০০:৪০৩০০ টাকা

তাছাড়া রেডি মুরগির দাম যদি ২৩০ টাকা ধরি তাহলে আরো ৩৮০০০ টাকা বেশি লাভ  হবে মানে ৪০৩০০+৩৮০০০ঃ৭৮৩০০টাকা।

আবার ওজন অনেকের কম মানে ৭০০-৭৫০ আসলে লাভ কম বা লস হতে পারে

আবার সমস্যা হলে ৫০০০০ টাকা লসও হতে পারে তাই সবকিছু মাথায় রেখে ব্যবসা শুরু করা উচিত। তবে সঠিকভাবে পরিচালনা করলে লাভ বেশি না হলেও লস হবেনা ( আল্লাহ যদি চায়)

এখন বাচ্চার দাম ১৫-১৬ টাকা,তার আগে ছিল ৩০-৩৩ টাকা। বাচচার রেট ১০-৩৫টাকা এর মধ্যে থাকে।

রেডি সোনালী ব্রিডের দাম এখন  ২০০ টাকা
মাংসের রেট ১৭০-২৫০ টাকা এর মধ্যে থাকে। এখন ২00টাকা কেজি তাই লাভ লস কম বেশি হবে।

সোনালি মুরগির টিকা:

১-৩ দিন=  আই বি + এন ডি

৭-৮ দিন= ঠোটে ছেকা

৮-১২ দিন= গাম্বোরো

১৫-১৭ দিন= গাম্বোরো

২০-২৫ দিন= রানিক্ষেত

৪-৫ সপ্তাহ= পক্স

৬ সপ্তাহ= রানিক্ষেত

৬-৭ সপ্তাহ= কৃমিনাশক

তবে অনেকে ৮-১২দিনে এন ডি কিল্ড বা এন ডি +গাম্বোরো কিল্ড দেন।

কেউ কেউ ১ম দিনে ভেক্টরমিউন ( এন ডি +মেরেক্স ) দেয়।

১ম দিকে রানিক্ষেতের লাইভ দিতে হবে । কিল্ড দিলে ৪০ দিনের পর লাইভ দিতে হবেনা।যেসব এলাকায় রানিক্ষেতের প্রাদুর্ভাব বেশি সেখানে রানিক্ষেতের কিল্ড টিকা দিতে হবে।ঠোকরাঠুকরি করলে ঠোট ছেকা দিতে হবে ৭-১০দিনে।

খাবার পাত্র: ১-৭ দিন ১০০টির জন্য ১ টি
পানির পাত্র ১০০ টির জন্য ১ টি

প্রথম ১-২ দিন পেপারে খাবার দিতে হবে (যদি লিটার ভাল থাকে তাহলে পেপারে না দিলেও চলে) যাতে খাবার চিনতে পারে এবং লিটারে যাতে খাবারে না পড়ে ও বাচ্চার জন্য সহজ হয়।

৩০ দিন পর্যন্ত ৪০ টির জন্য ১ টি খাবার পাত্র এবং ৫০ টার জন্য ১ টি পানির পাত্র।

৩০ দিন পর ৩০ টির জন্য ১ টি খাবার পাত্র
এবং ৪০ টির জন্য ১ টি পানির পাত্র.

খাবার এবং পানির পাত্র কিছু কম বেশি হতে পারে তবে বেশি দেয়াই ভাল বিশেষ করে বাচ্চা অবস্তায়.

বাচ্চার ব্রুডিং

বাচ্চা আসার আগে ঘরের তাপমাত্রা ৯৫’ ফারেনহাইট বা ৩৩’ সেন্টিগ্রেট করতে যা করার তাই করতে হবে.(স্টোভ,কাঠের গুড়ি দিয়ে তাপ, বালব,হারিকেন,কয়লা, হিটার,গ্যাস ব্রুডার,ইনফ্রারেট বাল্ব) । আলাদা ব্রুডিং ঘর হলে ভাল হয় কারন গঠনগতভাবে ব্রুডিং ঘর আলাদা, সেখানে সাইড ওয়াল,পরদা নিচ হতে উপর পরযন্ত থাকে. তাছাড়া দুটি ব্যাচ পালা যায়.

ব্রুডিং এর তাপমাত্রা

১ম সপ্তাহে ৯৫’ ফারেনহাইট
২য় সপ্তাহে ৯০
৩য় সপ্তাহে ৮৫
৪থ সপ্তাহে ৮০
৫ম থেকে শেষ পর্যন্ত ৭৫ ‘ ফারেনহাইট

লিটার এবং রোগ

শীতের সময় লিটার ২ ইঞ্চি এবং গরমের সময় ১ ইঞ্চি করে দিলে ভাল হয় কারন লিটার পাতলা হলে বাচ্চার শরীরের তাপ বের হয়ে লিটারে চলে যায়.

লিটার ভিজা হলে আমাশয় হয়, আমাশয় হলে গামবোরু এবং রানিক্ষত হবার সম্বাবনা থাকে.

লিটার বেশি শুকনা হলে তুত বা শুকনা গুড়া নিম পাতা প্স্রে করে দিতে হবে কারণ ধুলা বালি নাকে গিয়ে মুরগির ঠান্ডা লাগে,বিশেষ করে বাচ্চার ব্রুডার নিউমোনিয়া হবার সম্বাবনা থাকে তাছাড়া  রানিক্ষতে এবং গাম্বোরুর বিরুদ্ধে কাজ করবে।

খাবার এবং পানির পাত্র ও রোগ

খাবার পাত্র দিতে হবে পিঠ বরাবর আর পানির পাত্র দিতে হবে চোখ বরাবর তাহলে মুরগি সহজে খেতে পারবে এবং পানি ও খাবারে ময়লা পড়বে কম ফলে পানি বাহিত রোগ কম হবে, পেঠ ভাল থাকবে. পাতলা পায়খানা হবেনা । ওজন ভাল হবে। লিটার যদি খাবার এবং পানিতে পড়ে তাহলে আমাশয় হয় যা সব রোগকে দাওয়াত করে নিয়ে আসে। প্রতিদিন পানির পাত্র পরিস্কার করতে হবে এবং সপ্তাহে ১ বার খাবার পাত্র পরিস্কার করতে হবে। মুরগির অধিকাংশ রোগ পানির মাধ্যমে আসে।

পর্দা এবং রোগ

পর্দার নিচের অংশ ফিক্স থাকবে এবং উপর হতে নিচে নামানো হবে,অথবা উপরে চটের অংশ এবং নিচে কাপড়ের অংশ থাকা উচিত যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী উঠানো নামানো যায়। শীতের সময় দরজায় এবং পরদার উপরের অংশ ঢেকে দিতে হয়।

পর্দা উপরে ফিক্স থাকলে সঠিকভাবে উঠানো নামানো যায়না ফলে ভিতরে গ্যাস হয়, গ্যাস হলে ধকল পড়ে এবং শ্বাস নালির ক্ষতি করে ফলে মাইকোপ্লাজমা,ব্রংকাইটিস এবং রানিক্ষেত হতে পারে।

খাবার এবং পানি

খাবার হিসেবে সোনালি খাবার এবং ব্রয়লার খাবার দুটিই চলে,অনেকে ১৫-২০ দিন ব্রয়লার খাওয়ায় তারপর সোনালি,কেউ আবার দুইটা মিক্সার করে খাওয়ায়. কেউ শুধু সোনালি বা শুধু ব্রয়লার খাওয়ায়।

শুধু ব্রয়লার খাওয়ালে আমাশয় এবং নেক্রোটিক এন্টারাইটিস হওয়ার সম্বাবনা থাকে কারণ এতে প্রোটিন,এনারজি এবং অন্য ভিটামিন বেশি থাকে।

সোনালি মুরগি ব্রয়লারের মত বাড়েনা, তাই তাদের খাবারটাও সেভাবে তৈরি করা হয়েছে মানে প্রোটিন কম দেয়া আছে। সোনালী মুরগি যত খায় তত  বাড়ে না তাই খাবার হিসেব করে দেয়া ভাল।

১ম ২ দিন ৪ ঘন্টা পর পর খাবার দেয়া উচিত এবং খাবার যাতে সব সময় থাকে তা নাহলে মুরগি ছোট বড় হয়ে যাবে। ৩-১০ দিন দিনে ৪ বার খাবার দিতে হবে এবং ১১ দিন থেকে দিনে ৩ বার খাবার। ৩০ দিন পর দিনে ২ বেলাও দেয়া যায়। ২০-২৫ দিন যতটুকু খায় ততটুকু খাবার কিন্তু ২৫ দিন পর প্রতি সপ্তাহে  প্রতি মুরগিতে ৪-৬ গ্রাম করে বাড়াতে হবে। এমন ভাবে খাবার দিতে হবে যাতেঃ-

সকালে ৪ ঘন্টয়  শেষ হয় (৪০%)

দুপুরে ৩ ঘন্টা খায় (২০%)

রাত্রে ৫ ঘন্টায় শেষ হয় (৪০%)

শীতে ওজন বেশি হয়।

গরমের সময় ঠান্ডা সময় মানে সকালে এবং বিকালে খাবার দিতে হবে।

কতদিনে কত ওজন

৪৫ -৬০ দিনে ৭০০-৮৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয় আর খাবার খাবে ১০০০ মুরগিতে ৩৫-৪০ ব্যাগ.ওজন অনেকটা বাচ্চার মানের উপর নির্ভর করে. ইনব্রিডিং সমস্যার কারনে প্রায়ই বাচ্চার মান ভাল হয়না.

সোনালীর এফ সি আর  সোনালীর খাবারে ২.২-২.৪ মানে ২২০০-২৪০০ গ্রাম খাবার খেয়ে ১কেজি ওজন । ব্রয়লার খাবারে ১.৮ -২  মানে ১৮০০-২কেজি খাবার খেয়ে ১কেজি ওজন। ব্রয়লার ও সোনালী এক সাথে মিশিয়ে খাওয়ালে  ব্রয়লার ৩৫% আর সোনালী ৬৫% দেয়া ভাল।তাহলে আমাশয় কম হবা

বাচ্চার দাম এবং রেডি মুরগির দাম

রেট ১০-৩৩ টাকার মহ্যে উঠানামা করে। রেডি মুরগির দাম ও উঠানামা করে ১৭০-২৪০ টাকা তাই লাভ টা ও উঠানামা করে.এখন রেট ১৯০-২০০টাকা খাবারের দাম বাকিতে ১৯৫০-১৮০০ টাকা,নগদে ১৭৫০-১৯০০ টাকা ব্রয়লার খাবার দিলে ওজন টা তাড়াতাড়ি আসে তবে আমাশয় বেশি হয়।

রোগব্যাধি :

প্রধান রোগ হলঃ- আমাশয়, গাম্বোরো, রানিক্ষেত, পক্স, এন্টারাইটিস, কৃমি, ক্যানাবলিজম
তাছাড়া মাইকোপ্লাজমা এবং ব্রংকাইটিস। ডিম পাড়ার সোনালিতে মেরেক্স বেশি হয়।

বর্তমানে বেশি যে সমস্যা হচ্ছে

ওজন ভাল আসেনা

বেশি মারা যায়

( মারেক্স , এ আই  বেশি দেখা যাচ্ছে ) কখন কোন বাচ্চা ভাল না খারাপ তা বোজা যাচ্ছেনা ফলে রিক্স বেড়ে যাচ্ছে।

মেডিসিন:
আমাশয় বেশি হয় তাই

১৩-১৫দিনে

২৩-২৫ দিনে

৩৫-৩৭দিনে মোট তিন বার আমাশয়ের ডোজ করা উচিত।

৩৫-৪০ দিনে কৃমির ডোজ করলে ভাল হয়,

অনেক সময় ঠোটে ছেকা দিতে হয় ৫-১০ দিনে.

ব্রুডিং এর সময় প্রথম দিন, গুড়,ইলেক্টোলাইট, প্রবায়োটিক। সি এবং গ্লোকো্‌জ,মাল্টিভিটামিন দেয়া যায় ,পরের দিন থেকে লাগলে এন্টিবায়োটক দেয়া যায়.

প্রতি সপ্তাহ ২ দিন করে প্রবায়োটিক দিলে ভাল হয় এতে পায়খানা ভাল থাকবে.

কেন লাভ হয়না

১. রেডি মুরগির দাম উঠানামা করে
২. ওজন কম আসা
৩. মুরগির ঘর যদি সঠিকভাবে করা না হয়।
৪. পালন সম্পর্কিত সঠিক ধারনা না থাকা
৫. রোগ বালাই
৬. বায়োসিকিউরিটি না থাকা
৭. বাচ্চা ভাল মানের না হওয়া
৮. টিকার মান এবং দেয়ার পদ্ধতি ভাল না হওয়া
৯. বাচ্চার দাম বেশি
১০. খাবারের দাম বেশি
১১. মুক্ত বাজারনীতি মানে দামের উপর সরকারের কোন নীতিমালা নেই.
১২. দেশে কতগুলো ফার্ম আছে,কতগুলো বাচ্চা উৎপাদিত হয় এবং আমাদের চাহিদা কতটুকু তার কোন সঠিক হিসেব নেই ও সে অনুযায়ী কোন ব্যবস্থা নেই.

তবে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি সঠিকভাবে পালন করতে পারলে লস হবেনা হয়ত কম লাভ হবে কিন্তু বাংলাদেশে দক্ষ লোক এবং ভাল পরিবেশ নাই তাই ফারম চালানো কঠিন.

 ব্রীডার বা ডিম পাড়া সোনালি পালন পদ্ধতি

খাবার;
লেয়ারের প্রি স্টাটারবা স্টাটার,গ্রোয়ার,প্রিলেয়ার ও লেয়ার
আলো;
প্রতি সপ্তাহে ১ঘন্টা করে আলো কমাতে হবে মানে আজকে যদি আলো ৭-৮টায় অফ হয়
আগামী সপ্তাহে  ৭-৯,তারপর ৭-১০,এভাবে কমিয়ে দিনের আলোতে মানে ১২.৫ঘন্টায় নিয়ে আসতে হবে।
ওজন ১৩০০-১৩৫০ গ্রাম হলে ১ ঘন্টা আলো দিতে হবে,তারপর প্রতি সপ্তাহে আধা ঘন্টা করে আলো বাড়াতে হবে যতক্ষন না দিন +রাত মিলে ১৬ঘন্টা হয়।
টিকা;
লেয়ার টিকার সিডিউলের মত।
মেল আলাদাকরণ
৮-১২ সপ্তাহে মোরগা গুলোকে আলাদা ক্রতে হবে।
১৮-২০ সপ্তাহের দিকে ৬% দিতে ,বাকি ৪% দিতে হবে পিক প্রডাকশন আসার পর।
ঠোটাকাটাঃ
৭-১০ দিনে  ঠোট ছেকা দিতে হবে আবার ১০-১২ সপ্তাহে ঠোটকাটতে হবে।
শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop