৪:৩২ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ২, ২০২৩ ৭:৫৫ অপরাহ্ন
লাম্পী স্কীন রোগে মারা যাচ্ছে গরু, আতঙ্কে খামারিরা!
প্রাণিসম্পদ

শেরপুর জেলা ( উত্তর )’এ লাম্পী স্কীন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে গরু। দ্রুত রোগ ছড়িয়ে পড়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছে কৃষক ও খামারিগণ। সম্প্রতি গারো পাহাড়ের ঝিনাইগাতী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামেও এ রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে উপজেলার সাড়ি কালিনগর গ্রামের কৃষক আলহাজ¦, শরীফ উদ্দিন সরকারের ১টি গাভি ও প্রতাব নগর গ্রামের ডা: আব্দুল বারীর একটি বাছুর গরুসহ বিভিন্ন গ্রামে অনেক গরু মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই গরু এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকায় ও এ রোগের ব্যাপকতার ও খবর পাওয়া গেছে। একটি বাছুর গরু আক্রান্ত হয়েছে মো: সাদা মিয়া, গ্রাম বন্দভাটপাড়া ( মাটিয়া পাড়া ) এ পর্যন্ত তার কয়েক হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে চিকিৎসা বাবদ। এ ছাড়া চাপা ঝুড়া গ্রামের আজমত আলীর গরু আক্রান্ত হয়েছে। বন্দভাট পাড়ার সোহবার উদ্দিন কাজির গাভি ও বাছুর মারা গেছে। তা ছাড়া সাড়ি কালিনগর গ্রামের সোলায়মানের গরু আক্রান্ত হয়েছে। জানা গেছে পাহাড়ি এলাকাসহ উপজেলার প্রায় বাড়িতেই আক্রান্ত হচ্ছে গরু।

অপর দিকে শেরপুর উত্তরের শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় ও ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগ। নালিতাবাড়ী উপজেলা থেকে সংবাদ কর্মি আমিরুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে জানান, উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের দাওয়াকুড়া গ্রামের কৃষক আবু সাইদের প্রায় ৩০-৩২ হাজার টাকা মুল্যের একটি বকনা বাছুর মারা গেছে। একই গ্রামের কৃষক আবদুল মতিনের প্রায় ৮০-৮২ হাজার টাকা মুল্যের একটি গাবিন গরু ও আন্ধারুপাড়া গ্রামের কৃষক মনিরুজ্জামান মানিকের প্রায় ৫০-৫২ হাজার টাকা মুল্যের ১টি ষাঁড় বাছুর গরু মারা গেছে। রোগটি নালিতাবাড়ী উপজেলাসহ গোটা শেরপুর ( উত্তর ) ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক ও খামাড়িগণ। রোগ প্রতিরোধে জরুরী ভিত্ততে আক্রান্ত এলাকা শেরপুর ( উত্তর )’র উপজেলাগুলোর গবাদিপশুকে দ্রæত ভ্যাকসিন প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।

জানা গেছে, প্রায় ৩ মাস আগে নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোক্তভোগী কৃষকরা তাদের গরুর শরীরে প্রথম লাম্পী স্কীন রোগের উপস্থিতি টের পান। রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরে গুটি বের হয়ে শরীর ফুলে যায় পচন ধরে ও রক্ত বের হয়। গরুর শরীর গরম থাকে। খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয়। সঠিক চিকিৎসা না নিলেই মারা যায়। বর্তমানে এ রোগ আস্তে আস্তে নালিতাবাড়ী উপজেলা ও পাশ্বরবতী ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ায় আতংকে রয়েছেন কৃষক ও খামারিগণ। নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইনিয়নের পলাশীকুড়া গ্রামের ক্ষদ্র খামারি কৃষাণী মরিয়ম বেগম ইনকিলাবকে বলেন, তার খামারে ১১টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে দেড় বছর বয়সী ১ টি ষাড় বাছুর গরু লাম্পী স্কীন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত তার প্রায় ৬ হাজার টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়েছে। এমতাবস্থায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি। ক্ষদ্র খামারি কৃষক আন্ধারুপাড়া গ্রামের লালচাঁন মিয়ার ৩টি ষাঁড় গরু আক্রান্ত হলে চিকিৎসায় ১টি সুস্থ হলেও ২ ষাঁড় গরুর চিকিৎসা এখন ও চলছে।

এছাড়া ওই এলাকার কৃষক রুহুল আমীনের ১টি, মুনসুর আলীর ১টি ও পলাশীকুড়া গ্রামের কৃষাণী আম্বিয়া খাতুনের ১টি গরুর চিকিৎসা চলছে। তারা বলেন, লাম্পী স্কীন রোগ যাতে আর না ছড়ায় তার জন্য জরুরি ভিত্তিতে আক্রান্ত এলাকার গবাদিপশুদেরকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা দরকার।

ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তারা বলেন, লাম্পী স্কীন ডিজিস মাছির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এই রোগে আক্রান্ত গবাদিপশুকে আলাদা করে মশারীর ভেতর রাখতে হবে। পাশাপাশি আক্রান্ত হওয়ার আগেই সরকারি ভ্যাকসিন না পেলে নিজ উদ্যোগে বেসরকারি কোম্পানির ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া অবস্থা বুঝে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে হবে। তাহলে কৃষকের ক্ষতির সম্ভবনা কম।’

’ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) মো: ফারুক আল মাসুদ জানান, আমাদের উপজেলায় ও ইদানিং লাম্পি স্কিন রোগের প্রদুর্ভাবের খবর পাওয়া যাচ্ছে। যেহেতু মাছির মাধ্যমে রোগটি ছড়ায় সেজন্য কৃষক ও খামারিদের আক্রান্ত পশু অবশ্যই মশারির নিচে রাখতে হবে যাতে মাছি বসতে না পারে। তার পর ও পশু সম্পদ বিভাগকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।’

প্রকাশ : মে ৫, ২০২৩ ১১:১২ অপরাহ্ন
ছাগল পালনে ঝুঁকছেন চরাঞ্চলের নারীরা!
প্রাণিসম্পদ

কুড়িগ্রামে নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের নারীরা ছাগল পালনে ঝুঁকছেন। বর্তমানে দেশের অনেক নদী পানিশুণ্য হয়ে গেসে। ধীরে ধীরে দেশি মাছও হারিয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে চরাঞ্চলে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ছাগল পালন। চরে বসবাসরত নারীরা ছাগল পালনে আগ্রহী হচ্ছেন। পাশাপাশি এই পশু পালনে অনেকে স্বাবলম্বীও হয়েছেন।

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলায় ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমরসহ ছোট বড় মোট ১৬টি নদ-নদী রয়েছে। এইসব নদীর তীরে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। চরে বসবাসরত অধিকাংশ চাষিরা সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতায় চাষাবাদ ও ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এতে চরের কৃষক ও তাদের পরিবারের জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে।

থেতরাই ইউনিয়নের তিস্তার চরের গৃহবধূ মাজেদা বেগম বলেন, আমি ৪ বছর আগে স্থানীয় একটি উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় ৪ হাজার টাকায় একটি ছাগল কিনে পালন শুরু করি। বর্তমানে আমার ১২ টি ছাগল রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ছাগল বছরে ৩ বার বাচ্চা প্রসব করে। প্রতিবারেই ২-৪ টি বাচ্চা দিয়ে থাকে। আর এর লালন পালন খুবই সহজ। চরে জেগে উঠা ঘাস খেয়েই ছাগল বেড়ে উঠে। অতিরিক্ত খরচের প্রয়োজন পড়ে না।

জোসনা বেগম বলেন, আমরা ছাগল পালনের প্রশিক্ষণ নিয়ে বাঁশ দিয়ে উঁচু জায়গা করে সেখানে পালন করছি। চরের ঘাস ও ছাগলের রোগের জন্য সময় মতো চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। ভালো যত্ন নিয়ে চাষ করলে ছাগল পালনে লাভবান হওয়া যায়। কারণ একটি ছাগল বছরে ৩ বার ও প্রতিবারে ৩-৪ টি করে বাচ্চা দিয়ে থাকে।

একই চরের শেরিনা বেগমের স্বামী আজাদুর রহমান বলেন, আগে আমরা যখন ছাগল পালন করতাম তখন বন্যার সময় বিভিন্ন রোগের কারণে ছাগল আক্রান্ত হয়ে মারা যেত। তবে এখন আমরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বাঁশের তৈরি করে সেখানে ছাগল পালন করছি। বর্তমানে আমাদের ৬টি ছাগল, ৮টি ভেড়া ও ৬টি গরু রয়েছে। এগুলো পালনেই আমাদের সংসার চলে।

চর এলাকার অধিকাংশ মানুষ আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল হওয়ায় তারা অন্যের জমিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে সংসার চালাতেন। তবে বর্তমানে তারা ছাগলসহ অন্যান্য গৃহপালিত পশু পালনে সফল হয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, চরাঞ্চল ছাড়া বাকি চাষিরা বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফসলের উৎপাদন করে জেলার চাহিদা পূরণ করেন। আর চরের চাষিরা চাষাবাদ কম করতে পারলেও তারা জেলায় দুধ ও মাংসের চাহিদা পূরণ করছেন। এতে চরের চাষিদের সরকারি ও বেসরাকরী ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এছাড়াও পশু পালনে বিভিন্ন পরামর্শ ও চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

প্রকাশ : এপ্রিল ৩০, ২০২৩ ৯:০৬ অপরাহ্ন
কোরবানির ঈদকে ঘিরে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সিরাজগঞ্জের খামারিরা
প্রাণিসম্পদ

কোরবানি সামনে রেখে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের প্রান্তিক খামারিরা। প্রতিবছর গরু মোটাতাজাকরণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অসংখ্য বেকার যুবক। এছাড়াও গরু মোটাতাজাকরণ লাভজনক হওয়ায় এ পেশায় ঝুঁকছেন এই অঞ্চলের মানুষেরা।

সিরাজগঞ্জ প্রাণিসম্পদ এর তথ্যানুসারে, চলতি বছরে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। চলতি বছর প্রাকৃতিক উপায়ে ধানের খড়, সবুজ ঘাস, বিভিন্ন প্রকারের ভুষি, খৈল ও কিছু ভিটামিন খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্টরা।

গো-খামারিরা জানান, গরু মোটাতাজাকরণে গত বছরের তুলনায় এ বছর খরচ বেড়েছে। গমের ছাল, এ্যাংকর ডালের ভূষি, ধানের খড় নেপিয়ার ঘাস গত বছরের তুলনায় এবছর কয়েকগুণ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। গো-খাদ্যের দাম কমানো না হলে খামার রাখা অসম্ভব হয়ে উঠবে।

শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের গো-খামারি তারেক বলেন, এ বছর ৪০টি ষাঁড় খামারে মোটাতাজা করা হচ্ছে। ছয় মাস আগে কেনা ষাঁড়গুলোকে আমি সন্তানের মতো দেখাশোনা করছি। আমার খামারের বেশকিছু উন্নতমানের ষাঁড় রয়েছে, যেগুলোর দাম ৩ লাখ টাকা হবে বলে আশা করছি।

কামারখন্দ উপজেলার আলোকদিয়ার গ্রামের খামারি হৃদয় সরকার বলেন, কাচামালের দাম বাড়ার অজুহাতে গো-খাদ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে আমাদের ষাঁড় মোটাতাজা করার ব্যয় বেড়ে গেছে। গত বছরের মতো এ বছরেও যদি পশুর হাটে ক্রেতা বা পাইকার আসা-যাওয়ায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয় তাহলে ভালো দাম পাওয়া যাবে না। তাতে আমাদের লোকসান হবে

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ষাঁড় মোটাতাজা করতে খামারিদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি ক্ষতিকর ওষুধের ব্যবহার বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভেজাল খাদ্য যাতে ব্যবহার না হয় তার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি।

প্রকাশ : এপ্রিল ১৯, ২০২৩ ৯:০৩ পূর্বাহ্ন
গরমে পোল্ট্রির বাড়তি যত্ন নিবেন যেভাবে
পোলট্রি

প্রাণীজ আমিষের বড় একটা অংশ আসে পোল্ট্রি শিল্প হতে। প্রায় অর্ধ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা এই শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। তাই এ শিল্পের সুদৃঢ় ভবিষ্যত চিন্তা করে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। গরম কাল এ পোলট্রি খামারের বিশেষ যত্ন না নিলে কমে যেতে পারে ব্রয়লারের ওজন বৃদ্ধি এবং লেয়ার খামারের ডিম সংখ্যা। সে কারণেই নিচের টিপসসমূহ খামারি ভাইদের খুবই কাজে লাগবে:

পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও এর প্রভাব: ঘর্মগ্রন্থি না থাকার কারণে মোরগ-মুরগির অতিরিক্ত গরম অসহ্য লাগে। এতে উত্পাদন ক্ষমতা ব্যাহত হয়। অতিরিক্ত তাপে এদের পানি গ্রহণ, শ্বাস-প্রশ্বাস, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে থাইরয়েড গ্রন্থির আকার, রক্তচাপ, নাড়ির স্পন্দন, রক্তে ক্যালসিয়ামের সমতা, খাদ্য গ্রহণ, শরীরের ওজন ও ডিমের উত্পাদন হ্রাস পায়। ১৫ হতে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এদের উত্পাদন সর্বোচ্চ। ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে শতকরা ৪ ভাগ হারে পানি গ্রহণ বৃদ্ধি পায়। ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পর হতে ডিমের সংখ্যা না কমলেও প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ডিমের ওজন শতকরা এক ভাগ হারে কমে যায়। ২৬.৫ সেলসিয়াস ডিগ্রি তাপমাত্রার পর হতে মোরগ-মুরগির খাদ্যের রূপান্তর ক্ষমতা হ্রাস পায়। ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে প্রতি ডিগ্রি তাপ বৃদ্ধিতে ২ হতে ৪ শতাংশ খাবার গ্রহণ কমে যায়। ৩৬ হতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মোরগ-মুরগির জন্য অসহনীয় এবং ৩৮ ডিগ্রির পর মৃত্যু হার খুব বৃদ্ধি পায়।

তাপজনিত ধকল প্রতিরোধে করণীয়: খামারের আশে পাশে ছায়াযুক্ত বৃক্ষ রোপণ এবং ঘর পূর্ব-পশ্চিমে হওয়া বাঞ্চনীয়। তবে আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনায় বায়োসিকিউরিটির কথা চিন্তা করে গাছপালা রোপণের প্রতি অনুত্সাহিত করা হয়ে থাকে। গরমে পোল্ট্রি শেডে প্রত্যক্ষ সূর্যালোক পরা যাবে না। অত্যধিক গরম প্রতিরোধে প্রয়োজনে শেডের ছাদে/বা টিনের চালায় দিনে দু’তিন বার পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। টিনের নিচে চাটাই/হার্ডবোর্ড দিয়ে সিলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। অনেক সময় মুরগি যখন হাঁ করে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয় তখন ঘরে সেপ্র মেশিন দিয়ে কুয়াশার মত করে পানি ছিটিয়ে দেওয়া যেতে পারে। পানির ড্রিংকার ও ফিডারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ঘন ঘন ড্রিংকারের পানি পাল্টাতে হবে। গরমে বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে শেডের মেঝে অনেক সময় স্যাঁতসেঁতে হয়ে লিটার দ্রুত ভিজে যায়। ফলে রোগের আক্রমণও বাড়ে। সেজন্য প্রতিদিন সকালে ব্রয়লার শেডের লিটার উলোট-পালোট করা প্রয়োজন। লিটারে গুঁড়ো চুন ব্যবহার করলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। শেড হতে শেডের দূরত্ব ৩০ ফুটের অধিক হলে ভাল হয়। শেডে মোরগ-মুরগির ঘনত্ব বেশি হলে তা কমিয়ে দিতে হবে। বাতাসের অবাধ চলাচল শেডের ভেতরের তাপমাত্রা শীতল রাখতে সাহায্য করবে এবং পোল্ট্রির জন্য ক্ষতিকর অ্যামোনিয়া গ্যাস মুক্ত রাখবে। শেডে স্টেন্ড ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হবে।

গরমে পোল্ট্রি খামারে খাবার ব্যবস্থাপনা: ঠাণ্ডা ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে। যেহেতু তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে এদের খাদ্য গ্রহণ কমে যায়, সেহেতু প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ৮ হতে ১০ ভাগ শক্তি কমিয়ে প্রোটিন, খনিজ লবণ ও ভিটামিন বাড়িয়ে দিতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে ১০-১২ গ্রাম গ্লুকোজ ও মুরগি প্রতি ১০ গ্রাম ভিটামিন সি পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়। এছাড়া প্রাকৃতিক বিটেইনে ধনাত্মক ও ঋনাত্মক আছে যা কোষের মধ্যে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে হিট স্ট্রোকের হাত থেকে এরা রক্ষা পায়। গরমে পোল্ট্রির অ্যামাইনো এসিডের চাহিদা বেড়ে যায়। বিটেইনে মিথাইল মূলক বিদ্যমান, যা মিথিওনিন ও কলিনের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। গরমে প্রয়োজনে একদিনের বাচ্চার জন্য পানিতে আখের গুড়, ভিটামিন সি অথবা ইলেকট্রোলাইট যুক্ত স্যালাইন পানি দিতে হবে।
লেখক: ডা. সুমন তালুকদার (রুনু) , সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ : এপ্রিল ৮, ২০২৩ ১২:১৬ অপরাহ্ন
গয়না বিক্রি করে গরুর খামার ‍শুরু করে কোটিপতি জেসমিন!
প্রাণিসম্পদ

বিয়ের গয়না বিক্রি করে গরুর খামার শুরু করে কোটিপতি হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার জেসমিন আরা। বর্তমানে তার খামারের বয়স ১৮ বছর হয়ে গেছে। তার খামারে ১০০টি গরু রয়েছে। পাশাপাশি গড়েছেন ছাগল ও হাঁসের খামার। পাশেই করছেন মাছ চাষ।

জানা যায়, দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার জোৎবানী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে বাসিন্দা জেসমিন আরা। তিনি তার বাড়ির পাশেই গড়ে তুলেছেন ‘জেসমিন ডেইরি ফার্ম’ নামে গরুর খামার। এখন পর্যন্ত উপজেলা ডেইরি বিভাগে তিনবার প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। জেসমিনের খামারে রয়েছে শতাধিক বিভিন্ন জাতের গরু। যার মধ্যে ৩০টি গাভি থেকে প্রতিদিন আড়াইশো লিটার দুধ পান। যা বিক্রি করে প্রতিদিন আয় হয় ৭-১০ হাজার টাকা। ছাগল, হাঁস ও মাছের খামার থেকে প্রতি মাসে আয় তিন লাখ টাকা। বর্তমানে তার খামারে ১০ জন যুবক কাজ করছেন।

খামারে কর্মরত শ্রমিক সবুজ হোসেন বলেন, আমি জেসমিন আপার খামারে একজন শ্রমিক হিসেবে কাজ করি। খামারের গরুর গোসল করানো খাবার দেওয়াসহ দেখাশোনার কাজ করি। মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতন দেয়। এতে আমার পরিবার নিয়ে ভালোই চলছে।

অপর শ্রমিক সিদ্দিক হোসেন বলেন, জেসমিন আপার খামারে গরু, হাঁস ও ছাগল চারটি পুকুর রয়েছে। যেগুলোতে মাছ চাষ করা হয়। খামারে আমরা ১০ জন শ্রমিক রয়েছি। যারা সব কাজ করে থাকি। এই খামারের মাধ্যমে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

পাশের গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব হোসেন বলেন, জেসমিন আরা গরুর খামার দেখে অবাক হয়েছি। তার খামারে অনেক জাতের গরু রয়েছে। সাথে পুকুরে মাছ চাষ করছে। আবার হাঁস মুরগিও পালন করছে। তার খামার দেখে নিজে খামার গড়ে তুলার ইচ্ছা রয়েছে।

জেসমিন আরা বলেন, আমার স্বামী একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। দিনে বেশির ভাগ সময় কাজকর্ম থাকতো না। না। আগে থেকেই আমার গরু ছাগল লালনপালনের ইচ্ছে ছিল। পরে নিজের গয়না বিক্রি করে সে টাকা দিয়ে দুটি গাভি কিনে ছোট একটি খামার তৈরি করি। তারপর ধীরে ধীরে সেই দুটি গাভির বাছুর থেকে খামারে গরুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। গরু বাড়তে থাকায় বাড়ির পাশে আরও কিছু জাইগা কিনে বড় পরিসরে খামার দেই।

বিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিপুল কুমার জানান, আমরা জেসমিনকে সকল ধরনের সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। তার সাফল্য দেখে গ্রামের অনেকেই গরুর খামার তৈরিতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এছাড়া গরু কিনা বিষয় তাদেরকে সকল ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে মাংস ও দুধের চাহিদা মেটাতে তার মতো খামারির সংখ্যা বাড়াতে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

প্রকাশ : এপ্রিল ৮, ২০২৩ ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন
পোল্ট্রির ওজন বৃদ্ধিতে খামারী যা করবেন
পোলট্রি

ব্রয়লার পালনে দেশের প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ হচ্ছে।এতে খামারিরা লাভবান হচ্ছেন, সেইসাথে অবদান রাখছেন জাতীয় উন্নয়নে। তবে, ব্রয়লার মুরগি পালনে কিছুটা ঝুঁকিও রয়েছে। মুরগি পালনে দ্রুত বৃদ্ধি একটি কাঙ্খিত আশা থাকে।

ব্রয়লারের ওজন বাড়ানোর কয়েকটি কৌশল
খামার পরিষ্কার রাখা ব্রয়লারের ওজন বাড়ানোর প্রথম কৌশল। এতে খামারে রোগের প্রকোপ কমে যাবে এবং মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুত হবে। মুরগির খামারে বাচ্চা আসার ৪৫ মিনিট পূর্বে চিকগার্ডের ভেতরে প্রবা‌য়োটিক স্প্রে করে দিতে হবে।

বাচ্চা ব্রুডারে ছাড়ার ৩০ মিনিট আগে পানির ড্রিকার দিয়ে দিতে হবে। খামারে ব্রয়লার পালনের জন্য ১ দিনের বাচ্চার বয়স ৩৬ গ্রাম হতে হবে। বাচ্চা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।

ব্রয়লার খামারে যাতে সবসময়ই আলো প্রবেশ ও বায়ু চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ১৫ দিন বয়সের মধ্যে মুরগি গ্রাডিং শেষ করতে হবে। ১৮ দিন বয়সে গ্রথ আসার জন্য গুরের পানি খাওয়াতে হবে। ২০ দিন অতিবাহিত হলে মুরগি ফ্লাসিং করতে হবে

প্রকাশ : এপ্রিল ৬, ২০২৩ ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
উন্নত জাতের ছাগল পালনে খামারী যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

উন্নত জাতের ছাগল পালন ও পরিচর্যায় যা করতে হবে সে বিষয়ে আমাদের দেশের অনেক ছাগল পালনকারীরাই জানেন না। ছাগল পালন লাভজনক হওয়ার কারণে দিন দিন আমাদের দেশে ছাগল বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে উন্নত জাতের ছাগল পালন করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়।

উন্নত জাতের ছাগল পালন ও পরিচর্যায় যা করতে হবে:
উন্নত জাতের ছাগলগুলোর মধ্যে রাম ছাগল অন্যতম। উন্নত জাতের ছাগল পালন ও পরিচর্যা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

ছাগলের বাসস্থান বা ঘর:
ছাগল সাধারণত পরিষ্কার, শুষ্ক, দুর্গন্ধমুক্ত, উষ্ণ, পর্যাপ্ত আলো ও বায়ূ চলাচলকারী পরিবেশ পছন্দ করে। গোবরযুক্ত, স্যাঁত স্যাঁতে, বদ্ধ, অন্ধকার ও পুতিগন্ধময় পরিবেশে ছাগলের রোগবালাই যেমন: নিউমোনিয়া, একথাইমা, চর্মরোগ, ডায়রিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন জাতীয় সংক্রামক ও পরজীবীয় রোগ হতে পারে। সেই সাথে ওজন বৃদ্ধির হার, দুধের পরিমাণ এবং প্রজনন দক্ষতা কমে যায়।

ঘর নির্মাণের স্থান:
পূর্ব পশ্চিমে লম্বালম্বী, দক্ষিণ দিক খোলাস্থানে ঘর নির্মাণ করা উচিৎ। খামারের তিন দিকে ঘেরা পরিবেশ বিশেষ করে উত্তর দিকে গাছপালা লাগাতে হবে। ছাগল খামারে স্থান নির্বাচনে অবশ্যই অপেক্ষাকৃত উঁচু এবং উত্তম পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

প্রতিটি পূর্ণ বয়স্ক ছাগলের জন্য গড়ে ৮-১০ বর্গ ফুট জায়গা প্রয়োজন। প্রতিটি বাড়ন্ত বাচ্চার জন্য গড়ে ৫ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন। ছাগলের ঘর ছন, গোল পাতা, খড়, টিন বা ইটের তৈরী হতে পারে। তবে যে ধরণের ঘরই হউক না কেন ঘরের ভিতর বাঁশ বা কাঠের মাচা তৈরী করে তার উপর ছাগল রাখতে হবে।

মাচার উচ্চতা ১.৫ মিটার (৫ ফুট) এবং মাচা থেকে ছাদের উচ্চতা ১.৮-২.৪ মিটার (৬-৮ ফুট) হবে। গোবর ও প্রগ্রাব পড়ার সুবিধার্থে বাঁশের চটা বা কাঠকে ১ সেঃ মিঃ (২.৫৪ ইঞ্চি) ফাঁকা রাখতে হবে।

মাচার নিচ থেকে সহজে গোবর সরানোর জন্য ঘরের মেঝে মাঝ বরাবর উঁচু করে দুই পার্শ্বে ঢালু (২%) রাখতে হবে। মেঝে মাটির হলে সেখানে পর্যাপ্ত বালি মাটি দিতে হবে। ছাগলের ঘরের দেয়াল, মাচার নিচের অংশ ফাঁকা এবং মাচার উপরের অংশ এম.এম. ফ্ল্যাক্সিবল নেট হতে পারে। বৃষ্টি যেন সরাসরি না ঢুকে সে জন্য ছাগলের ঘরের চালা ১-১.৫ মিঃ (৩.২৮-৩.৭৭ ফুট) ঝুলিয়ে দেয়া প্রয়োজন।

শীতকালে রাতের বেলায় মাচার উপর দেয়ালকে চট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। শীতের সময় মাচার উপর ১০-১২ সেঃ মিঃ (৪-৫ ইঞ্চি) পুরু খড়ের বেডিং বিছিয়ে দিতে হবে। বয়সের এবং জাত ভেদে বিভিন্ন ধরণের ছাগলকে আলাদা ঘরে রাখা উচিৎ।

পাঁঠাকে সব সময় ছাগী থেকে পৃক করে রাখা উচিৎ। দুগ্ধবতী, গর্ভবতী ও শুষ্ক ছাগীকে একসাথে রাখা যেতে পারে। তবে তাদের পৃক খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। শীতকালে বাচ্চাকে রাতের বেলা মায়ের সাথে ব্রম্নডিং পেনে রাখতে হবে। ব্রম্নডিং পেন একটি খাঁচা বিশেষ যা কাঠের বা বাঁশের তৈরী হতে পারে। এর চারপার্শ্বে চটের ব্যবস্থা দিয়ে ঢাকা থাকে।

খাদ্য ব্যবস্থাপনা:
ছাগলের খাদ্য ব্যবস্থাপনাই খামারের অন্যতম প্রধান বিষয়। ইন্টেনসিভ এবং সেমি-ইন্টেনসিভ পদ্ধতিতে ছাগলের খাদ্যের পরিমাণ ও গুনগত মান নির্ভর করে চারণ ভূমিতে প্রাপ্ত ঘাসের পরিমাণ ও গুনগত মানের উপর। ছাগলের বাচ্চাকে কলষ্ট্রাম (শাল দুধ) খাওয়ানোঃ সাধারণত ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের বাচ্চার ওজন ০.৮-১.৫ কেজি (গড়ে ১.০০ কেজি) ওজন হয়।

বাচ্চা জন্মের পরপরই পরিস্কার করে আধা ঘন্টার মধ্যেই মায়ের শাল দুধ খেতে দিতে হবে। ছাগলের বাচ্চার প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম শাল দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন। এই পরিমাণ দুধ দিনে ৮-১০ বারে খাওয়াতে হবে। শাল দুধ বাচ্চার শরীরে এন্টিবডি তৈরী কওে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে। দুই বা ততোধিক বাচ্চা হলে প্রত্যেকেই যেন শাল দুধ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ছাগলের বাচ্চার দানাদার খাদ্য মিশ্রণ কম আঁশ, উচ্চ প্রোটিন, উচ্চ বিপাকীয় শক্তি সম্পন্ন হতে হয়।

ছাগলের বাচ্চাকে দানাদার খাদ্য খাওয়ানো:
ছাগল ছানা প্রথমে মায়ের সাথেই দানাদার খাবার খেতে অভ্যস্থ হয়। ছাগলের বাচচাকে জন্মের প্রথমে সপ্তাহ থেকে ঘাসের সাথে পরিচিত করে তুলতে হবে। সাধারণত শুরুতে মায়ের সাথেই বাচ্চা ঘাস খেতে শিখে। অভ্যস্থ করলে সাধারণত দুই সপ্তাহ থেকেই বাচচা অল্প অল্প ঘাস খায়।

এ সময়ে বাচ্চাকে কচি ঘাস যেমন: দুর্বা, স্পেনডিডা, রোজী, পিকাটুলাম, সেন্টোসোমা, এন্ড্রোপোগন প্রভৃতি ঘাস খাওয়ানো যেতে পারে। তাছাড়া, ইপিল ইপিল, কাঁঠাল পাতা, ধইনচা ইত্যাদি পাতা খাওয়ানো যেতে পারে।

বাড়ন্ত ছাগলের খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ

ছাগলের ৩-১২ মাস সময়কালকে মূল বাড়ন্ত সময় বলা যায়। এ সময়ে যেসব ছাগল প্রজনন বা মাংস উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হবে তাদের খাদ্য পুষ্টি চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। দুধ ছাড়ানোর পর থেকে পাঁচ মাস পর্যন- সময়ে ছাগলের পুষ্টি সরবরাহ অত্যন্ত নাজুক পর্যায়ে থাকে।

এ সময়ে একদিকে ছাগল দুধ থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন ও বিপাকীয় শক্তি থেকে যেমন বঞ্চিত হয় তেমনি মাইক্রোবিয়াল ফার্মেন্টেশন থেকে প্রাপ্ত পুষ্টি সরবরাহও কম থাকে।

প্রকাশ : মার্চ ৩১, ২০২৩ ৮:০৮ অপরাহ্ন
পোল্ট্রির শারীরিক বৃদ্ধি ঠিক রাখতে যা করবেন
পোলট্রি

ব্রয়লার খামারে মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি ঠিক রাখতে করণীয় যে কাজগুলো রয়েছে সেগুলো ব্রয়লার পালনকারীদের সঠিকভাবে জানতে হবে। দেশে মাংসের চাহিদা পূরণ করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ব্রয়লার মুরগি। ব্রয়লার মুরগির খামার করে অনেকেই হচ্ছেন স্বাবলম্বী। খামারে ব্রয়লার মুরগি পালনে লাভবান হতে মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি ঠিক রাখা দরকার।

ব্রয়লার খামারে মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি ঠিক রাখতে করণীয়:
ব্রয়লার মুরগির খামার স্থাপনের সময় স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে খামার স্থাপন করতে হবে। খামারে যাতে আলো ও বাতাস ঠিকমতো চলাচল করতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

খামারে পালন করা ব্রয়লারকে খাদ্য প্রদানের সময় ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে খাদ্যে যেন কোন প্রকার ময়লা কিংবা রোগের জীবাণু না থাকে। আর খাদ্য প্রদানের পাত্র নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করতে হবে। খামারে ব্রয়লার মুরগির জন্য যেসব খাদ্য উপকরণ ব্যবহার করা হবে সেগুলো যেন মুরগির পরিপাকে কোন বাঁধার সৃষ্টি না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এমন সমস্যায় মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি বাঁধাগ্রস্ত হতে পারে।

ব্রয়লার মুরগির খাদ্য প্রদানের সময় খাদ্যের সাথে নিম্নমান সম্পন্ন কেমিক্যাল কিংবা কোন রাসায়নিক উপাদান দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে খাদ্য কেনার সময় তা ভালোভাবে পরীক্ষা করাতে হবে। ব্রয়লার মুরগির খামারকে নিয়মিত জীবাণুমুক্ত ও পরিষ্কার রাখতে হবে। এতে করে খামারের মুরগিগুলো সহজেই কোন রোগের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারবে না। ফলে শারীরিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক হবে।

ব্রয়লার মুরগির খামারের জন্য যে ওষুধ ব্যবহার করা হবে সেই ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা করাতে হবে। তার পরেই সেই ওষুধকে ব্রয়লার মুরগির খামারে ব্যবহার করতে হবে।

প্রকাশ : মার্চ ২৮, ২০২৩ ১০:২১ অপরাহ্ন
লাভজনক গরুর খামার শুরু করার কৌশল
প্রাণিসম্পদ

গ্রামের পাশাপাশি এখন শহরের মানুষও গরুর খামারে দিকে ঝুঁকছেন। গরু পালন শুরু করতে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে তা নতুন খামারির জানা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

লাভজনক গরুর খামার শুরু করার কৌশল:-
খামার শুরু করার আগে সীমিত খরচে ৩/৬ মাস মেয়াদী যুব উন্নয়ন বা বেসরকারি ভাবে ট্রেনিং নিতে হয়। প্রাণীসেবা হাসপাতালে সাপ্তাহিক ও মাসিক ট্রেনিং গুলোতে যোগ দিতে হবে।তবে একদিনে ট্রেনিং করে সব শিখতে চাইয়েন না।কারণ খামার বিষয়ক তথ্য গুলো একদিনে সব আয়ত্ত করা সম্ভব নয়।

গরুর যত্নে সঠিক সময়ে খাদ্য দেওয়া জরুরী। গরুকে যে খাদ্য খাওয়াতে হবে ২ বেলা কাঁচা ঘাস, খড়, দানাদার, পর্যাপ্ত পরিষ্কার পানি। এর মধ্য রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানিরর রেডি ফিড তো ফিড না দিয়ে নিজে খাদ্য তৈরী করতে হবে এতে খরচ কম হবে ও ভালো মানের খাদ্য তৈরী হবে।

গরুকে ঔষুধ খাওয়ানোর নিয়ম জানতে হবে। কারণ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কেননা,শ্বাসনালীতে ঔষুধ গেলে গরু মারা যাবার সম্ভবনা বেশির ভাগ। গরুকে ঔষুধ খাওয়ানোর সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো খাদ্যর সাথে বা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো।

পরিচিত কোন খামারে কিছু দিন সময় দেন খেয়াল করুন তার কাজকর্ম। সে কিভাবে কখন গরুকে খাদ্য দেয়,গোসল করাই,খামার পরিস্কার করে। ডাক্তারদের সাথে ভালো সমর্পক গড়ে তুলুন জেনে নিন কোন কোন রোগে কি কি চিকিৎসা দিতে হয়।

রোগে খামারে গরুর যে সমস্যাগুলো বেশি হয় তা বিষয়ে জানতে হবে ও সমাধানের উপায় জানতে হবে। সাধারণত জ্বর সর্দি, খাবারে খেতে রুচি কম,পেট ফাঁপা,ডায়রিয়া,ব্যাথা পাওয়া, হিটে আসার লক্ষণ, বীজ দেওয়ার সঠিক সময় টুকিটাক বিষয় গুলো জানতে হবে।

খামারে গরু অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কিছু দিন পর পর গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। লাভজনক গরুর খামার শুরু করার কৌশল সংবাদের তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে নেওয়া হয়েছে।

প্রকাশ : মার্চ ২৩, ২০২৩ ১০:০২ পূর্বাহ্ন
হাঁস পালনে স্বাবলম্বী হচ্ছেন নাটোরের খামারিরা!
প্রাণিসম্পদ

হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছে নাটোরের অনেক পরিবার। কম খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় অনেকেই হাঁস চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে। এ উপজেলার অনেক মানুষ বিল-জলাশয় ও নদীর উন্মুক্ত পানি থাকায় হাঁস চাষ করে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হতে পারছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সূত্র মতে, নাটোরের সিংড়ায় ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক হাঁসের খামার রয়েছে। এসব খামারে ক্যাম্বেল, ইন্ডিয়ান রানার ও চায়না জাতের ১০ লাখের বেশি হাঁস পালন করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ক্যাম্বেল জাতের হাঁস বেশি পালন করা হয়। কারন এ জাতের হাঁসের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও বেশি ডিম দিয়ে থাকে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অনেক পরিবার হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছে। মূলত হাঁসের ডিম বিক্রি করেই সংসারের খরচ মেটায় এসব পরিবার।

উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, আমি দিনমজুরি করতাম। আমার সংসারে ৬ জন মানুষ আছে। এই দিনমজুরি করে সংসার চালান সম্ভব না। তাই বাড়ির প্রতিবেশির কাছ থেকে টাকা ধার করে হাঁস পালন শুরু করি। এখন আমার খামারে ক্যাম্বেল ও জিংডিং জাতের ৫৮২টি হাঁস রয়েছে। ডিম দিচ্ছে ৪৮০টি হাঁস। বছরে খরচ বাদে লাভ হচ্ছে ৩-৪ লাখ টাকা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কে এম ইফতেখারুল ইসলাম জানান, হাঁস পালন করে এই উপজেলার খামারিরা দিন দিন স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। হাঁস থেকে ৬ মাস পর পর দিম দাওয়া যায়। প্রতিটি হাঁস বছরে ২০০-৩০০টি ডিম দেয়। উন্মুক্ত জলাশয়ে বাড়তি খাবার কম লাগে। ফলে হাঁস পালনে পূঁজিও কম লাগে এবং লাভ বেশি হয়। এছাড়া আমরা খামারিদের সকল ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop