সোনালি মুরগি পালনে বেকারত্ব দূর করলেন তিতুমীর কলেজের নাফিজ
পোলট্রি
মো. নাফিজ আহমেদ সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক (২০১৯-২০২০ বর্ষের) শিক্ষার্থী। করোনায় সব কিছু বন্ধ থাকাকালিন স্বল্প পুঁজিতে তিনি গড়ে তুলেছিলেন সোনালি মুরগির খামার। এভাবেই একটু একটু করে বেড়ে ওঠা নাফিজের শখের খামার এখন তার আয়ের উৎসে পরিণত হয়েছে। নিজেকে স্বাবলম্বী করে পাশে দাঁড়িয়েছেন বাবা-মায়ের। নাফিজ গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর উপজেলার লাঘালিয়া গ্রামের সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুর রহীমের বড় ছেলে।
জানা যায়, শিক্ষার্থী নাফিজ তার বাড়ির পাশে নিজ হাতে গড়া খামারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শখ করে নাম রেখেছেন আলবারাকাহ্ পোল্ট্রি ফার্ম। নাফিজ বলেন, ‘আমি আমার এলাকার লোকজনকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। প্রথমে আমার খামারে মুরগির সংখ্যা ছিল মাত্র ২০টি । ধীরে ধীরে মুরগির সংখ্যা বেড়ে এখন ১ হাজার ২০০টি মুরগি আমার খামারে রয়েছে।‘
নাফিজ জানায, মুরগির যত্নে রাসায়নিকমুক্ত সম্পূর্ণ দেশি ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি খাবার খামারে ব্যবহার করি। ১ হাজার ২০০ মুরগির জন্য দুই মাসে দুই টন খাদ্য লাগে। স্টেরয়েডমুক্ত মুরগি পালন করি বিধায় এলাকাবাসী বেশি দাম দিয়েও অনেক সময় নিয়ে যায়। সাতদিন অন্তর লিটার পাল্টে দেই। কিছুদিন পর পর ডাক্তার এসে পরীক্ষা করেন মুরগিগুলো সুস্থ আছে কি না। তাছাড়া মোটাতাজাকরণে ইনজেকশন প্রয়োগ থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকি।
নাফিজ আরো জানান, একদিন বয়সের মুরগির বাচ্চা কিনে আনি। লালন-পালন করে মোটামুটি বড় করতে ৬০-৭০ দিনের মতো সময় লাগে। তারপর ডিম পাড়ার আগ মুহূর্তে বিক্রি করি। তবে নির্দিষ্ট কোনো দাম নেই। দাম নির্ভর করে মুরগির ওজনের ওপর।