১:৩০ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১ ৪:৫৩ অপরাহ্ন
সোনালি মুরগি পালনে বেকারত্ব দূর করলেন তিতুমীর কলেজের নাফিজ
পোলট্রি

মো. নাফিজ আহমেদ সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক (২০১৯-২০২০ বর্ষের) শিক্ষার্থী। করোনায় সব কিছু বন্ধ থাকাকালিন স্বল্প পুঁজিতে তিনি গড়ে তুলেছিলেন সোনালি মুরগির খামার। এভাবেই একটু একটু করে বেড়ে ওঠা নাফিজের শখের খামার এখন তার আয়ের উৎসে পরিণত হয়েছে। নিজেকে স্বাবলম্বী করে পাশে দাঁড়িয়েছেন বাবা-মায়ের। নাফিজ গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর উপজেলার লাঘালিয়া গ্রামের সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুর রহীমের বড় ছেলে।

জানা যায়, শিক্ষার্থী নাফিজ তার বাড়ির পাশে নিজ হাতে গড়া খামারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শখ করে নাম রেখেছেন আলবারাকাহ্ পোল্ট্রি ফার্ম। নাফিজ বলেন, ‘আমি আমার এলাকার লোকজনকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। প্রথমে আমার খামারে মুরগির সংখ্যা ছিল মাত্র ২০টি । ধীরে ধীরে মুরগির সংখ্যা বেড়ে এখন ১ হাজার ২০০টি মুরগি আমার খামারে রয়েছে।‘

নাফিজ জানায, মুরগির যত্নে রাসায়নিকমুক্ত সম্পূর্ণ দেশি ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি খাবার খামারে ব্যবহার করি। ১ হাজার ২০০ মুরগির জন্য দুই মাসে দুই টন খাদ্য লাগে। স্টেরয়েডমুক্ত মুরগি পালন করি বিধায় এলাকাবাসী বেশি দাম দিয়েও অনেক সময় নিয়ে যায়। সাতদিন অন্তর লিটার পাল্টে দেই। কিছুদিন পর পর ডাক্তার এসে পরীক্ষা করেন মুরগিগুলো সুস্থ আছে কি না। তাছাড়া মোটাতাজাকরণে ইনজেকশন প্রয়োগ থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকি।

নাফিজ আরো জানান, একদিন বয়সের মুরগির বাচ্চা কিনে আনি। লালন-পালন করে মোটামুটি বড় করতে ৬০-৭০ দিনের মতো সময় লাগে। তারপর ডিম পাড়ার আগ মুহূর্তে বিক্রি করি। তবে নির্দিষ্ট কোনো দাম নেই। দাম নির্ভর করে মুরগির ওজনের ওপর।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২, ২০২১ ২:৩৭ অপরাহ্ন
ছাদ বাগান করে প্রতি মাসে আয় ৭০ হাজার টাকা!
এগ্রিবিজনেস

চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকায় আব্দুর রশিদ টিটো মিয়া বাণিজ্যিকভাবে ছাদ বাগান করে প্রতিমাসে অনলাইনে গাছের চারা বিক্রি করে আয় করছেন ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। তাঁর বাগানে দেশি-বিদেশি প্রায় সাড়ে তিন হাজার গাছ।

জানা যায়, তিনি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে বোনের দেওয়া ই-ফোরবিয়া গাছদিয়ে তার নিজের গড়া ছাদে বিশাল বাগান গড়ে তুলেছেন। অবিশ্বাস্য পরিকল্পনা তার। জমি না থাকলে ছাদেও যে বাণিজ্যিকভাবে বাগান করে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ করা যায় তারই একটি উজ্জ্বল উদাহরণ তৈরি করেছেন আব্দুর রশিদ টিটো মিয়া। অসম্ভব পরিশ্রম, আধুনিক চিন্তা-ভাবনা ও সৃজনশীল গুণী মানুষ টিটো মিয়া (৬০)। এ বয়সেও বৃক্ষের প্রতি ভালোবাসা সবাইকে মুগ্ধ করেছে।

করোনার মধ্যে তার অনলাইন বিসনেজ চালু ছিল। অনেক গাছ বিক্রি করেছেন। একজন নারী হিসেবে আমি বলবো, নারীরাও ছাদ বাগান করতে পারি। এটা করতে জমি লাগে না। যাদের বাসা আছে, ছাদ সবারই কম বেশি আছে। ছাদে আমরা ছাদ বাগান গড়ে তুলে অনলাইনে এই গাছ সেল করতে পারি।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহিন রাব্বি জানান, জমি না থাকলেও বাণিজ্যিক ছাদ বাগান করে অনেক বেকার যুবক-যুবতী অনলাইনের মাধ্যমে বেচা-কেনা করে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে পারে। করোনাকালে শুধু তরুণরাই নয় যে কোনো বয়সের মানুষই ছাদ বাগান করতে পারে। জমি না থাকলেও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ছাদ বাগান করে বাড়তি আয় করা সম্ভব।

ছাদ বাগান সৌন্দর্য বর্ধনের সাথে কর্মসংস্থান করাও যে সম্ভব তার জ্বলন্ত উদাহরণ টিটো মিয়া। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ প্রশিক্ষণ সুফি রফিকুজ্জামান বলেন, জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধির কারণে কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। বাড়তি চাহিদা মেটানোর জন্য কৃষিকে আমরা ভারট্রিক্যালে বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছি। যারই ফলশ্রুতিতে আমাদের অনেক মানুষ শখের বশে ছাদে বাগান করছে।

এতদিন পর্যন্ত বাগানগুলো শখের বশে দেখতাম। কিন্তু আমাদের চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকার পুরাতন হাসপাতাল পাড়ায় আব্দুর রশিদ টিটো নামে এক ভদ্র লোক প্রায় সাড়ে তিন হাজার বিভিন্ন প্রজাতির সৌখিন জাতীয় গাছের চারা সংগ্রহ করে এবং সেখানে উৎপাদন করছে। করোনাকালে মানুষ বেকার হয়ে যখন চাকরি হারাচ্ছেন সেই মুহূর্তে অন লাইনে চারা সরবরাহ করে মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা রোজগার করছেন টিটো মিয়া। গত বছর আমরা টিটো মিয়াকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলাম।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৪, ২০২১ ৪:১৩ অপরাহ্ন
শেকৃবিতে অনলাইন পদ্ধতিতে বিভিন্ন অনুষদের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু
ক্যাম্পাস

শেকৃবিতে অনলাইন পদ্ধতিতে বিভিন্ন অনুষদের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে।করোনা (কোভিড ১৯) মহামারির ফলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে কিছুটা স্থবিরতা দেখা দেয়। ফলে চারটি অনুষদের বিভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থীদের ফাইনাল পরীক্ষা যথাসময়ে না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পরে।

শিক্ষার্থীদের এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গত ২৭ জুন শেকৃবিতে প্রথমবারের মতো কৃষি অনুষদের লেভেল ৩, সেমিস্টার ১/২০১৯ এর ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৩-০৮-২০২১ ইং তারিখে তিনটি অনুষদ (এনিমেল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন, ফিশারিজ, একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সাইন্স, এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট) এবং আজ ২৪-০৮-২০২১ তারিখে কৃষি অনুষদসহ চারটি লেভেলের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

এতে কৃষি অনুষদের লেভেল-১ সেমিষ্টার-২ এর ৩৭৫ জন, এনিমেল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের লেভেল-৩, সেমিস্টার-২ এর ৬৬ জন, এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের (বিবিএ-২২ জন, ইকোনোমিক্স-২৯ জন) ও ফিশারিজ, একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সাইন্স অনুষদের-২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ২৫ জন শিক্ষার্থীকে অনলাইনে মনিটরিং করার জন্য একজন শিক্ষক সুপারভাইজার এর দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য যে, কোভিডকালীন ও কোভিড পরবর্তী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের পরীক্ষা ও ক্লাস গ্রহনের রুপরেখা প্রণয়নের জন্য সিন্ডিকেটের ৯৪তম বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়াকে আহবায়ক ও পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ এর ডীন প্রফেসর ড. অলোক কুমার পালকে সদস্য-সচিব করে ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষার্থীদের অনলাইন পরীক্ষাগুলো সুষ্ঠভাবে গ্রহণের জন্য প্রফেসর এ. এম. এম. শামসুজ্জামানকে আহবায়ক করে ০৫ সদস্যের একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শিক্ষার্থীবান্ধব এমন উদ্যোগকে শিক্ষার্থীরা স্বাগত জানান ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৪, ২০২১ ১০:৩২ পূর্বাহ্ন
সর্বশান্ত হ‌য়ে প‌ড়ে‌ছে য‌শো‌রের ফুল চাষীরা
প্রাণ ও প্রকৃতি

করোনার প্রভাব পড়েছে যশোরের গদখালী এলাকার ফুল চাষী‌দের মা‌ঝে। করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ বছর ফুলচাষিরা ফুল উৎপাদন করেছেন বেশি। কিন্তু ফুল বিক্রি হচ্ছে না কোথাও। ফলে গদখালীর ফুল চাষিদের ফুল বিক্রি না হওয়ায় জায়গা পরিষ্কার করার জন্য পানির দরে বিক্রি করছে ফুল।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি সূত্র মতে, যশোরের ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার ৭৫টি গ্রামের প্রায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ করা হয় হরেক রকমের ফুল।

ঝিকরগাছার পানিসারা-গদখালী গ্রামগুলোর রাস্তার দুইপাশে দিগন্ত বিস্তৃত জমিতে সারাবছরই লাল, নীল, হলুদ, বেগুনি আর সাদা রঙের ফুলের সমাহার হয়ে থাকে। শত শত হেক্টর জমি নিয়ে গাঁদা, গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা, কসমস, ডেইজ জিপসি, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চাষ হয় এখানে। এলাকায় উৎপাদিত ফুল বিক্রির জন্য গদখালীতে যশোর রোডের দুই ধারে রয়েছে ফুলের বাজার।

প্রতিদিন উপজেলার গদখালী-পানিসারার শত শত ফুলচাষির আনাগোনা শুরু হয় গদখালীর বাজারে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় পাইকাররাও সেখান থেকে ফুল কিনে নিয়ে যান। এরপর বিভিন্ন হাতবদল হয়ে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার মাধ্যমে ফুল ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে, এমনকি দেশের বাইরেও। তবে করোনার কারণে এই কার্যক্রমে ছেদ পড়েছে গদখালী-ব্যবসায়ীসহ এই সেক্টরের সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর ৩০০ কোটি টাকার ফুল উৎপাদন হয় এসব মাঠ থেকে।

যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ‌ঝিকরগাছা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৬২৫ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে দেশি-বিদেশি নানা জাতের ফুলের চাষ হচ্ছে। ফুল চাষের সঙ্গে এখানকার প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কৃষক এবং প্রায় এক লাখ শ্রমিক সম্পৃক্ত রয়েছেন। করোনার কারণে ফুলের বাজার বন্ধ রয়েছে। খেতে ফুল নষ্ট হচ্ছে। ফুলচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা হিসাবে আউশ ধানের বীজ, টমেটোর চারা দিয়েছি।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আবদুর রহিম জানান, দেশের চাহিদার শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ফুল যশোর থেকে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। করোনার কারণে গত বছর ৫ মাস এবং এ বছরের ৩ মাসে ফুল বিক্রির সুযোগ না থাকায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ফুল নষ্ট হয়েছে। এরমধ্যে শুধু যশোর অঞ্চলে অন্তত ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩০০ জন চাষিকে ২ কোটি টাকার মতো ঋণ দেয়া হয়েছে। করোনার কারণে চাষিদের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন শেষ। ফুলচাষিদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। উৎপাদন ধরে রাখতে চাষিরা ক্ষেতের ফুল গরু-ছাগলকে খাওয়াচ্ছে।

প্রকাশ : অগাস্ট ২০, ২০২১ ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক খুলছে আজ
প্রাণ ও প্রকৃতি

প্রায় চারমাস করোনা মহামারীতে বন্ধ থাকার পর আজ (শুক্রবার) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবার দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান জানান, করোনা মহামারীর জন্য গত ৩ এপ্রিল থেকে এ পার্কটি বন্ধ করা হয়। পরে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার থেকে যথারীতি খুলে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, করোনা থাবার কারণে প্রথম পর্যায়ে এ পার্কটি গত বছরের ২০ মার্চ থেকে ৩০নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকে। করোনার প্রকোপ কমলে প্রায় সাড়ে ৭মাস বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১লা নভেম্বর সাফারি পার্ক খুলে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আবার করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ মহামারীর রূপ নিলে ৩ এপ্রিল থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত পাকটি পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সাফারি পার্ক প্রকল্প পরিচালক ও উপ-প্রধান বন সংরক্ষক মো. জাহিদুল কবির জানান, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক দর্শনার্থীর জন্য সুযোগ রেখে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক ও ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানসহ (ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্ক) বনবিভাগের সব বিনোদন কেন্দ্র শুক্রবার থেকে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হলো। পার্কে আগত দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পার্কটি পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানান তিনি।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৪, ২০২১ ১০:৫৮ অপরাহ্ন
লোকসান টানতে ব্যর্থ হয়ে পেশা বদল করছেন পোল্ট্রি খামারিরা
পোলট্রি

কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে টানা লোকসানে ব্যবসা টানতে ব্যর্থ হয়ে ৪০ শতাংশেরও বেশি খামারি উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে সস্তায় মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণের মাধ্যম হিসেবে পরিচিত পোলট্রি খাতটি করোনাকালীন সময়ে গভীর সংকটে পড়েছে। উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে মুরগি বিক্রি করে টিকে থাকতে না পেরে- হাজার হাজার খামারি লোকসান গুণে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন বলে জানান খাত সংশ্লিষ্টরা।

শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ব্রয়লার মুরগীর ৫০ শতাংশ বাড়িতে খাওয়া হয়। বাকি অর্ধেক নানা রকম সামাজিক অনুষ্ঠান যেমন, বিয়েশাদি বা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিসের অনুষ্ঠান এবং রেস্তোরাঁ ও পর্যটন স্পটে খেয়ে থাকেন ভোক্তারা। তবে লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত কড়াকড়িতে সামাজিক অনুষ্ঠানেও ভাটা পড়েছে, যেকারণে বিপুল চাহিদা সংকট লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছেন তারা।

এদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রি সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এর তথ্য বলছে, প্রতি মাসে পোলট্রি সেক্টর থেকে মাংসের যোগান আসতো প্রায় ৯০ হাজার টন। বর্তমানে চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংস ১০৫ টাকা ব্যয়ে উৎপাদন করে ৯০-৯৫ টাকায় বিক্রি করছেন খামারিরা।

বিপিআইসিসির পরিসংখ্যান বলছে, গত দেড় বছরে ৪০-৪৫ শতাংশ মাংসের উৎপাদন কমে গেছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে নিবন্ধিত খামারির সংখ্যা ৯০ হাজার। তবে সারাদেশে এক লাখেরও বেশি হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে।

বিপিআইসিসি বলছে, লোকসানে ব্যবসা টানতে ব্যর্থ হয়ে ৪০ শতাংশেরও বেশি খামারি উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।

সংকটের ব্যাখ্যা করে বিপিআইসিসি’র সভাপতি মশিউর রহমান জানান, “করোনার দেড় বছরে পোল্ট্রি সেক্টর একটি বড়সড় ধাক্কা খেল। এখান থেকে উঠে আসতে বেগ পেতে হবে। হাজার হাজার খামারি তাদের পুঁজি হারিয়ে পথে বসে গেছে। চাহিদা বৃদ্ধি না পেলে আসলে উৎপাদন বৃদ্ধিরও কোন সুযোগ নেই। উৎপাদন না বাড়লে সেক্টর ঘুরে দাড়াতে পারবে না। এর জন্য্ খামারিদের পুঁজির জোগান জরুরি হয়ে পড়েছে।”

খাত সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, করোনার আগে এই খাত ১২-১৫ শতাংশ হারে বাড়ছিল। করোনার দেড় বছরে হয়েছে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি। অথচ চার দশকে পোলট্রির বাচ্চা উৎপাদন, খাদ্য উৎপাদন, মেশিনারিজ এবং ঔষধ মিলিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার একটি খাত হিসেবে গড়ে উঠেছে। এটি স্থানীয়ভাবে ৪০ শতাংশের বেশি মাংসের চাহিদার যোগান দিচ্ছিল।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ২৩ বছর ধরে পোলট্রি ব্যবসায় জড়িত। ২০ হাজার ব্রয়লার এবং ৬ হাজার সোনালী জাতের মুরগি ছিল তাঁর খামারে। প্রায় দেড় কোটি টাকা লোকসান দিয়ে ৪ মাস আগে বন্ধ হয়ে যায় খামারটি। পুনরায় এই ব্যবসা শুরু করার নিশ্চয়তা নেই বৃহত্তর চট্টগ্রাম পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের এই সভাপতির।

মহামারিকালে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মতো চট্টগ্রাম জেলায় অন্তত ২ হাজার ছোট বড় পোলট্রি খামারি পুঁজি হারিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আরো কয়েক হাজার পোল্ট্রি খামার বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্রিডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালক রকিবুর রহমান টুটুল বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে ৭ হাজার পোলট্রি খামারি রয়েছে। এর মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ২ হাজার খামার। এসব খামারির কোন আয়-রোজগার নেই।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য মতে চট্টগ্রাম, পাবর্ত্য চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলায় মাসে ২০ লাখ পিস মুরগি উৎপাদন হতো। বর্তমানে এই সংখ্যা নেমে এসেছে ৮ লাখে। চাহিদা কমে গেছে ৬০ শতাংশ।

এ সংগঠনের মহাসচিব রিটন প্রসাদ চৌধুরী বলেন, “বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদনে খরচ পড়ছে প্রায় ১১০ টাকার বেশি। পাইকারিতে অঞ্চল ভেদে কেজিপ্রতি ৮৮ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে খামারিরা। সোনালী মুরগি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৫৫ টাকায়। অথচ উৎপাদন খরচ এর চেয়ে বেশি।”

চট্টগ্রামের মতন অবস্থা সারাদেশেই তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে গত ৬ মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি খাদ্যের দাম ৬ টাকা বেড়েছে, ওষুধের দাম বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। এর ফলে বিক্রয় উপযোগী প্রতিটি ব্রয়লার মুরগিতে খরচ বেড়েছে প্রায় ২৫ টাকা।

ক্ষতিগ্রস্ত পোলট্রি ব্যবসায়ীরা জানান, তারা এখন উভয় সংকটে আছেন। পুঁজির অভাবে নতুন করে ব্যবসা শুরু করা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

মিরসরাই পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি শাহাদাত হোসেন বলেন, “স্বাভাবিক সময়ে আমার খামারে ১ লাখ পিস ব্রয়লার এবং লেয়ার মুরগি থাকতো। ক্রমাগত লোকসানের কবলে পড়ে ব্যবসার পরিধি কমিয়ে আনতে হয়েছে। এখন খামারে আছে প্রায় ৪০ হাজার মুরগি। এই ব্যবসায় লোকসান দিয়ে কতদিন আর ধরে রাখতে পারবো?”

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, কিছুদিন আগেই ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে, তবে লোকসানের কারণে তাদের দুর্ভোগ কমছে না।

কমেছে ডিম উৎপাদন: শুধু মুরগিই নয়, ডিমের উৎপাদনও কিছুটা কমেছে বলে জানা গেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১,৭৩৬ কোটি পিস ডিম উৎপাদন হয়েছিল। করোনাকালে ডিমের উৎপাদন ৩৫-৪০ শতাংশ কমেছে বলে জানা গেছে। তবে খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ৯৫-১০৫ টাকায়।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ বলছে, গত এক মাসে ব্রয়লার মুরগি ৮ শতাংশ কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান জানান, পোলট্রি খাতে মাংস উৎপাদন কমে যাওয়ার ঘটনাটি সত্য, তবে উদ্যোক্তারা যেভাবে কমার দাবি করছেন তেমনটি হয়েছে কিনা- তা এখনও নিশ্চিত নয়।

তিনি বলেন, খামারিরা সাময়িক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন এবং সেকারণে ফার্ম বন্ধ রেখেছেন; তবে তাদের অবকাঠামো ঠিকই আছে, একবার চাহিদা বাড়তে থাকলে আবারো তারা উৎপাদন শুরু করতে পারবেন।

সরকারি কার্যক্রম ও বেসরকারকারি বিনিয়োগ:
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আশির দশকে বাংলাদেশে পোলট্রি খাতের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। প্রথমে বেসরকারি উদ্যোগে এগস অ্যান্ড হেনস লিমিটেড ও পরবর্তীতে সরকারি উদ্যোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পোলট্রি উৎপাদন শুরু করে।

১৯৮৩ সালে স্থানীয় এনজিও ব্র্যাক এর রুরাল পোল্ট্রি মডেল দরিদ্র কৃষকদের পোল্ট্রি খামাড় তৈরীতে উৎসাহিত করে। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া, মুরগির বাচ্চা এনে দেয়া, ঋণ দেয়া, সচেতন করা থেকে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশব্যাপী।

এসময় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো প্রণোদনামূলক কার্যক্রম, ঋণ সহায়তা, প্রশিক্ষণ এবং পুঁজি হিসেবে মুরগির বাচ্চা দেওয়ার মাধ্যমে মানুষকে খামার গড়ে তোলার উৎসাহ যোগায়। ফলশ্রুতিতে; সহজে আয়ের উৎস হিসেবে পোলট্রি পালনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন গ্রামীণ নারীরা।

১৯৯০-২০০৭ সাল এ সময়ের ওপর করা গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের মোট উৎপাদিত মাংসের ৩৭ শতাংশ যোগান দেয় পোলট্রি খাত। পোল্ট্রি শিল্প কম পুঁজিনির্ভর ও শ্রমঘন হওয়ায় দেশে এ শিল্পটি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ দারিদ্র বিমোচনের অন্যতম মাধ্যমে হিসেবে বিবেচনা করা হয় গবেষণাপত্রে।

সে সময় বয়লার ফার্মের বাৎসারিক মুনাফার পরিমাণ মোট বিনিয়োগের ১৫৪ শতাংশ এবং লেয়ার ফার্মে এর পরিমাণ ছিল ১০৭ শতাংশ। ভালো লাভ পাওয়া যায় বলেই মানুষ ব্যাপকভাবে মুরগির খামার করতে শুরু করে।

খাতটির একটি শিল্পে পরিণত হওয়ার পেছনে সরকারি সহায়তাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, সরকার থেকে বাণিজ্যিক খামার করতে উৎসাহ দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে সরকার জাতীয় পোলট্রি উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করে; যার আওতায় প্রশিক্ষিত খামারিদের বিনা বন্ধকীতে ঋণ প্রদানের সুপারিশ করা হয়।

দেশীয় বাণিজ্যিক খামারের পাশাপাশি ভারত ও থাইল্যান্ড ভিত্তিক বিদেশি কিছু ফার্মও বাংলাদেশে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে। বিনিয়োগ আসে পোলট্রি ফিড প্রক্রিয়াকরণ, প্যারেন্ট স্টক, প্রজনন ও বাজারজাতকরণে।

বেসরকারি বিনিয়োগ আসা শুরু হওয়ার পর থেকে প্যারাগন, কাজী, রাফিত, আগা, আফতাব, নারিশ নামে ৬টি বড় ফার্মে নিজস্ব গ্র্যান্ড প্যারেন্ট স্টক থেকে একদিনের মুরগির বাচ্চা উৎপাদন শুরু হয়।

এছাড়া, অনেক কোম্পানি বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন করে পোলট্রির বিষ্ঠা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে নিজস্ব চাহিদা মেটানো শুরু করে।

হাঁস-মুরগির খাদ্য উৎপাদনকে পোলট্রি শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ হিসেবে ধরা হয়। প্রতিবছর দেশের ফিড মিলগুলোতে ৬৫ লাখ টনের বেশি উৎপাদন হয়; যা স্থানীয় পোলট্রি শিল্পের ৬৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে বলে জানিয়েছে ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন সূত্র।

অন্যদিকে, প্রাণিসম্পদ খাতের ওপর ভর করে বেড়েছে দেশের ভেটেরনারি মেডিসিন শিল্প। এই শিল্পের বাজার এখন তিন হাজার কোটি টাকা। পোলট্রিসহ, গরু, ছাগল, ভেড়া এবং অন্যান্য প্রাণির চিকিৎসায় ওষুধ উৎপাদন করা হয়। তবে এখনও দেশের চাহিদার অন্তত ৩০ শতাংশ ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় বলে জানিয়েছে এনিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। সূত্র:tbsnews

প্রকাশ : অগাস্ট ১২, ২০২১ ১১:২৫ অপরাহ্ন
১৯ আগস্ট থেকে খুলছে পর্যটন কেন্দ্র
প্রাণ ও প্রকৃতি

১৯ আগস্ট থেকে ৫০ ভাগ আসন ব্যবহার করে পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট ও কমিউনিটি সেন্টার চালু রাখা যাবে বলে জানিয়ে সরকার।

আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়।

ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৯শে আগস্ট থেকে সড়ক, রেল ও নৌ পথে সব ধরনের গণপরিবহণ চলাচল করতে পারবে। তবে সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।

এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১৯ দিন কঠোর লকডাউন শেষে ১১ই আগস্ট বিধি নিষেধ শিথিল করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক সংখ্যক গণপরিবহণ চলছে, খুলে দেয়া হয়েছে সব অফিস ও শপিংমল।

প্রকাশ : অগাস্ট ৪, ২০২১ ১১:০৭ অপরাহ্ন
করোনায় মারা গেলেন সিকৃবির অধ্যাপক ড. আজমুল হুদা
ক্যাম্পাস

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আজমুল হুদা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। তিনি অনেক দিন থেকে কিডনি রোগে ভুগছিলেন।

জানা যায় বুধবার রাত আনুমানিক ৯:১৫ ঘটিকায়  চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেটের শহীদ শামসুদ্দীন হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন ।

তিনি ছিলেন অত্যন্ত সৎ, বিনয়ী, নম্র ও অমায়িক চরিত্রের অধিকারী।তিনি শিক্ষার্থীর জন্য নতুন নতুন চিন্তা-ভাবনার খোরাক যোগাতেন।

স্যারের মৃত্যুতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীর শোকাহত। মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রকাশ : অগাস্ট ৪, ২০২১ ১:৪৭ অপরাহ্ন
করোনায় মারা গেল বাকৃবি অধ্যাপক ড. আজহারুল হক
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. আজহারুল হক। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) আনুমানিক রাত ১১টার দিকে রাজধানীর ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।

জানা যায়, ড. আজহারুল হক একইসাথে করোনা ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার ফুসফুসের প্রায় ৭৫% ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এরপর গত ২৯ জুলাই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়। মরহুমের মরদেহ শেষবারের মতো বাকৃবি ক্যাম্পাসে নেয়া হচ্ছে। বাকৃবি ক্যাম্পাসে বুধবার (৪ আগষ্ট) সকাল ৯ টায় তার জানাযা ।

তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক,শিক্ষার্থী,কর্মকর্তা এবং কর্মচারীসহ পুরো কৃষিবিদ পরিবার তার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছেন।

অধ্যাপক অধ্যাপক ড. আজহারুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, নিরাপত্তা শাখার পরিচালক, ক্রীড়া প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক, শহীদ জামাল হোসেন হলের প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এবং গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯৭ সালে প্রভাষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং ২০১০ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।

প্রকাশ : জুলাই ২৫, ২০২১ ৩:০৮ অপরাহ্ন
২৮ লাখের বেশি গবাদিপশু অবিক্রীত,হতাশ খামারিরা!
প্রাণিসম্পদ

করোনায় ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর বাজার নিয়ে শঙ্কা ছিল সবার। কিন্তু সেটি যে এত ব্যাপক মাত্রায় প্রভাব ফেলবে, তা অনুমান করা যায়নি। সরকারি হিসাবেই ২৮ লাখের বেশি গবাদিপশু অবিক্রীত রয়ে গেছে।

চলতি বছর ঈদুল আজহায় কোরবানি দেয়ার জন্য সারা দেশে প্রস্তুত করা হয়েছিল ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি গবাদিপশু। বিক্রি হয়েছে ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি গবাদিপশু। অনেকে লোকসান দিয়েও গবাদিপশু বিক্রি করেছেন শেষ সময়ে। অনেকে অবিক্রীত পশু ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।

২০১৯ সালের ঈদুল আজহায় প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ পশু কোরবানি করা হয়েছিল। তার আগের বছর ২০১৮ সালে প্রায় ১ কোটি ৪ লাখ পশু কোরবানি দেয়া হয়। প্রতি বছর এ সংখ্যা বাড়ে। তবে এবারের পরিস্থিতি ব্যতিক্রম। বিপুলসংখ্যক পশু অবিক্রীত থাকায় লোকসানে পড়েছেন অনেক খামারি, ব্যবসায়ী ও কৃষক।

বছরজুড়ে যারা কোরবানির ঈদের দিকে তাকিয়ে থাকে সেসব পরিবার সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনায় নিতে পারে।

পশু উত্পাদন থেকে শুরু করে মাংস ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছানো পর্যন্ত আরো বিপুলসংখ্যক মানুষ যুক্ত। সংকুচিত শ্রমবাজারের বাস্তবতা সত্ত্বেও এ খাতে একটি উল্লেখযোগ্য অংশের মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। বড় বিষয় হলো, এ কর্মসংস্থান মূলত সমাজের প্রান্তিক ও গ্রামীণ পর্যায়ে হয়। বড় খামারি ছাড়াও গ্রামের অনেক দিনমজুর ও ক্ষুদ্র আয়ের মানুষ দু-একটি ছাগল বা গরু কিনে বাজার থেকে খইল, ভূসি এনে পশুদের খাইয়ে সারা বছর লালন-পালন করেন কোরবানির হাটে আকর্ষণীয় দামে বিক্রি করে মুনাফা লাভের আশায়।

আর এ উপার্জন দিয়েই তারা সারা বছর সন্তানের পড়াশোনা ও পারিবারিক খরচ চালান। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও খামারে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে যারা গরু লালন-পালন করেছেন বা বিনিয়োগ করেছেন, তারা অনেক বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন বলে খবর আসছে। প্রতি বছর কোরবানির আগে পশু নিয়ে মুনাফার আশায় ঢাকার বিভিন্ন হাটে ছুটে যান ব্যবসায়ীরা। অনেক গরিব কৃষক বা চাষী তাদের সব মূলধন জোগান দেন কোরবানিতে একটু বাড়তি লাভের আশায়। এবার তাদের বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

অবিক্রীত গবাদিপশু নিয়ে ক্ষুদ্র খামারিরা সংকটে পড়বেন। তাদের খাবার জোগাড় করা, ঋণের অর্থ পরিশোধ আবার পরিবার চালানো অনেকের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।

চলতি বছর অনলাইনে রেকর্ডসংখ্যক গবাদিপশু বিক্রি হয়েছে। তার পরও বিপুলসংখ্যক পশু অবিক্রীত থেকে যাওয়ার কারণ পর্যালোচনা প্রয়োজন। করোনার কারণে মানুষের আয় কমায় গবাদিপশু বিক্রি কমেছে নাকি আর্থিক সচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও করোনার জন্য অনেকে কোরবানি দেননি, সেটি বিশ্লেষণের দাবি রাখে। এতে পরবর্তী বছরের পরিকল্পনা প্রণয়ন সহজ হবে। গবাদিপশু বিক্রির হার কমতে থাকলে সরকারের নীতি কী হবে বা অবিক্রীত পশু বিক্রির জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রয়োজন।

অনলাইনে পশু বিক্রি আরো জনপ্রিয় করতে একে আরো সহজবোধ্য করে গড়ে তোলা প্রয়োজন, যাতে প্রান্তিক কৃষকও এটি ব্যবহার করতে পারেন। পার্শ্ববর্তী দেশ গরু রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় গবাদিপশু উত্পাদনে বাংলাদেশে ব্যাপক সাফল্য আসে। অনেকেই এ খাতকে আয়ের উত্স হিসেবে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবে গবাদিপশু বিক্রি কমে এলে খামারি ও দরিদ্র পরিবারগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের হালাল লাল মাংসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ কারণেই সীমিত আকারে হালাল লাল মাংস রফতানি হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। মধ্যপ্রাচ্যের সব কয়টি দেশের পাশাপাশি ব্রুনাইয়েও রফতানি হচ্ছে বাংলাদেশের এ লাল মাংস। বিপুলসংখ্যক পশু অবিক্রীত থাকার পরিপ্রেক্ষিতে মাংস রফতানি বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।

এতে খামারি ও কৃষক উভয়ই লাভবান হবেন। এ কথা সত্য, সরকার গবাদিপশু বিক্রির জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম তৈরি ছাড়াও বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করেছিল। এতে পশু আনা সুবিধাজনক হলেও চাহিদা না থাকায় অনেক পশু অবিক্রীত থেকে গেছে। এসব পশু বিক্রির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষ চাইলে এ উদ্যোগ নিতে পারে। এক্ষেত্রে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে।

অনেক খামারি ঋণ নিয়ে গরু লালন-পালন করেছেন। কোরবানিতে বিক্রি করে অর্থ পরিশোধ করবেন। তারাও গরু বিক্রি করতে না পেরে ঋণের অর্থ পরিশোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। খামার পরিচালনার দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতেই এখন তাদের বেগ পেতে হবে। শুধু খামারিরাই নন, এবার বড় ধরনের চাপে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও। যারা সারা দেশের বিভিন্ন খামার থেকে গরু কিনে ঢাকায় আনেন ব্যবসার উদ্দেশ্যে। কিন্তু তারাও এবার লাভের মুখ দেখতে পারেননি।

যারা গরু বিক্রি করতে পারেননি, উল্টো ঢাকায় এসে বাড়তি কয়েক লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে, তাদের এখন গরু পালন করতেই হিমশিম খেতে হবে। কারণ আগের ব্যাংকঋণ পরিশোধ না করলে নতুন ঋণও পাওয়া যাবে না। অবিক্রীত গবাদিপশুর খাবার জোগান দেয়া অনেকের পক্ষে সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে ব্যাংকঋণের সুদ মওকুফ ও পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো যেতে পারে।

কোরবানির পশু অবিক্রীত থাকা এবং ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিশেষ কিছু উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক দিন ধরেই গবাদিপশুর বীমা চালুকরণের কথা বলা হচ্ছে। পাইলটভিত্তিক কিছু উদ্যোগ নেয়া হলেও সেটি এখনো তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি। ঈদুল আজহায় গবাদিপশু বিক্রির উদ্দেশ্যে যারা খামার বা পশুপালন করেন, তাদেরও বীমার আওতায় আনা জরুরি। এতে ক্ষুদ্র এসব উদ্যোক্তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা কমে আসবে।

বিশ্বের অনেক দেশেই কৃষি ও পশু বীমা খুবই জনপ্রিয়। এর মাধ্যমে কৃষকের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়। বাংলাদেশেও এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা আবশ্যক। অর্থনীতির স্বতঃসিদ্ধ নিয়ম অনুযায়ী বাজারে চাহিদার চেয়ে জোগান বেশি থাকলে দাম কমে যায়। চলতি বছরের অভিজ্ঞতা আমলে নিয়ে তাই বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জোগান নিশ্চিত করতে হবে। প্রতি বছরই গবাদিপশুর জোগান বাড়ছে। ধারণা করা যায় আগামী বছরও বাড়বে।

কিন্তু চাহিদার পতন যদি বজায় থাকে, তবে আগামীবারও খামারি ও ক্ষুদ্র কৃষকরা ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। গবাদিপশু পালনে কৃষকদের মধ্যে যে উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, সেটি ধরে রাখতে গবাদিপশুর বিকল্প বাজার তৈরি করতে হবে। নতুবা গবাদিপশুতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের সাফল্য ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।

একই সঙ্গে যেসব উদ্যোক্তা ও কৃষক বা খামারি বাজারের মন্দা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আর্থিক সহায়তা বা প্রণোদনা প্রদানের পদক্ষেপ নিতে হবে। করোনার কারণে এমনিতেই তারা ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, এখন পশু অবিক্রীত থাকায় ক্ষতির শঙ্কা আরো বাড়ছে। গবাদিপশুকে আরো এক বছর খাইয়ে আগামী বছর বিক্রির জন্য রাখাও লাভজনক হবে না বলে প্রতীয়মান হয়। এক্ষেত্রে অবিক্রীত পশু বিক্রি বা ব্যবহারে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ প্রত্যাশিত। সূত্র:বণিক বার্তা

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop