আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্রকল্পের আওতায় মনোহরদীতে জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্রকল্পের আওতায় নরসিংদীর মনোহরদীতে এক জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) এল.ডি.ডি.পি প্রশিক্ষণ হল রুম হাতিরদিয়া, মনোহরদীতে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (মনোহরদী) ডা. আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণের গুরুত্ব তুলে ধরেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই যুগে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গরু লালন পালনের বিকল্প নেই। তাই নতুন প্রযুক্তির সাথে খামারিদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং তাতে দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে সর্বাধিক লাভবান হওয়া এবং প্রাণিজ প্রোটিন সরবরাহের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
প্রাণিজ আমিষের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করার পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ২০৩০ এর অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য এই প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে সুফলভোগী খামারিদের বিনামূল্যে ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স, কৃমিনাশক ঔষুধ, হেলথ কার্ড, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, ঘাসের কাটিংসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ফলে নারী-পুরুষ হয়ে উঠেন স্বাবলম্বী।
এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী খামারি, মনোহরদীর ইমাম উদ্দিন জানান, আগে আমরা আমাদের মত করে গরু পালন করতাম। বছর শেষে লাভ হতো খুব কম। এখন আমার আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্রকল্পের নির্দেশনায় গরু পালন করে আগের থেকে বহুগুন মোটাতাজা গরু বিক্রি করতে পারছি এবং সংসারে স্বচ্ছলতা এসেছে।
এই প্রকল্পের আরেক সুবিধাভোগী আমেনা বেগম জানান, আমরা আগে জানতাম না গরু পালনের সঠিক নিয়ম। এখন আমরা আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্রকল্পের নির্দেশনায় গরু পালন করতে গিয়ে খুব কম খরচে সঠিক পরিচর্যায় গরু মোটাতাজা করতে সক্ষম হচ্ছি। এই প্রকল্প আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিয়েছে বলে জানান মনোহরদীর এই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ।
উল্লেখ্য যে “নিরাপদ মাংসের চাহিদা পূরণে, গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে” ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের “আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ” প্রকল্পটি যাত্রা শুরু করে । অল্প সময়ের মাঝে দেশের ৪৯১টি উপজেলায় প্রকল্পটির কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়েছে ।