৯:৫০ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • আসন্ন কোরবানিকে সামনে নিয়ে চট্টগ্রাম পশু খামারিদের প্রস্তুতি শুরু
ads
প্রকাশ : মে ২৮, ২০২১ ৯:২১ অপরাহ্ন
আসন্ন কোরবানিকে সামনে নিয়ে চট্টগ্রাম পশু খামারিদের প্রস্তুতি শুরু
প্রাণিসম্পদ

চট্টগ্রামের পশুর হাটে আসন্ন কোরবানির পশুর বাজারকে কেন্দ্র করে খামারিদের চলছে প্রস্তুতি। প্রান্তিক কৃষক থেকে শুরু করে একেবারে বড় খামারিরাও এবার স্বপ্ন দেখছেন গতবারের লাভ-লোকসানকে  কাটিয়ে উঠার। আর তাই তারা নিচ্ছেন ব্যাপক প্রস্তুতি।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, আসন্ন কোরবানি ঈদে চট্টগ্রাম শহরসহ পুরো জেলায় ৭ লক্ষ গরুর চাহিদা রয়েছে। জেলার বিভিন্ন খামারি ও প্রান্তিক পশুপালনকারীদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যে ৫ লক্ষ গরুর যোগান রয়েছে এবার। ঘাটতি রয়েছে আরো ২ লক্ষ প্রায়। তবে এই চাহিদা খুব সহজেই পূরণ হয়ে যাবে দেশের অভ্যন্তরের উত্তরাঞ্চলের গরু দিয়ে। বিশেষ করে নোয়াখালী, সিরাজগঞ্জ, মাদারীপুর জেলা থেকে আসা গরুতেই প্রায় বছরই ঘাটতি চাহিদা পূরণ হয়।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের উপ পরিচালক ডা. মো. রেজাউল হক জানান, চট্টগ্রামের চাহিদার তুলনায় যে পরিমাণ গরু রয়েছে তাও কম নয়। তবে শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকার কারণেই শহরের জন্য ঘাটতিটা বেশি থাকে। ইতোমধ্যে জেলার মীরসরাই, চন্দনাইশ ও ফটিকছড়ি উপজেলায় গড়ে ওঠা খামারের গরুতে ঘাটতি আর থাকবে না এমনটাই আশা করছি।

তিনি আরো বলেন, আর বেশি দূরে নয় চট্টগ্রাম থেকেই দেশের অন্যান্য স্থানে কোরবানির পশু সরবরাহ করা হবে। আবার মীরসরাই অঞ্চলের খামারেও এখন ভালো জাতের বড় গরু লালন হচ্ছে।

মীরসরাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র পোদ্দার জানান, মীরসরাই উপজেলায় বর্তমানে ২৬৬টি ছোট বড় খামার রয়েছে। এবারও কোরবানির জন্য প্রায় ৩৩ হাজার ষাঁড়, বলদ ও মহিষ বিক্রির জন্য প্রস্তুতি রয়েছে। যা এই অঞ্চলের কোরবানির পশুর চাহিদা থেকেও পরিমাণে কয়েক হাজার বেশি। তবে উন্নত ও ভাল জাতের গরুগুলো ঢাকা-চট্টগ্রামে বিক্রির জন্য নেয়া হতে পারে।

ফারদিন এগ্রোর খামারি মাস্টার রেজাউল করিম জানান, আমি গতবছর করোনার জন্য বাজারে আশানুরূপ দাম পাইনি, তাই এবার অনলাইনে প্রচারণার কথা ভাবছি। এবার করোনার আতংক কিছুটা কম বলে আশা করছি লাভবান হতে পারবো। মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শ্যামল পোদ্দার বলেন, বাজারে অসুস্থ বা কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা অসুস্থ পশুর দিকে আমাদের নজরদারি রয়েছে। তবে তিনি কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা ওষুধ সেবনে গরুর যে কোনো সময় প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে খামারিদের সতর্ক করে দেন। এতে লাভের বিপরীতে লোকসানের ঝুঁকিই বেশি থাকবে।

হাইতকান্দি ইউনিয়নের প্রান্তিক গরু খামারি মিয়া চান বলেন, গত কয়েক বছর ধরে অনেক শ্রম ও ত্যাগের পর খামারটা দাঁড় করেছি। গেল বছর নানা প্রতিকূলতায় বেশি সুবিধা হয় নি; এবার আশা করছি গরুর দাম ভালো পাব।
মেহেদীনগরের মহিষ খামারের মোশাররফ বলেন, দিনে দিনে মহিষের মাংসের চাহিদা বাড়ছে। তাই গত বছরের তুলনায় এ বছর বেড়েছে মহিষের খামারও।

পশু সম্পদ কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে এবার মীরসরাই উপজেলায় ৫ হাজারের বেশি মহিষের লালন পালন হয়েছে। খামারগুলোতে ছাগল-ভেড়াও রয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop