১:৩৬ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২৩ ৯:১৪ পূর্বাহ্ন
কোরবানির গরুর দাম এ বছর কেমন হতে পারে?
প্রাণিসম্পদ

আগামী ২৯ জুন বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে পালিত হবে ঈদ-উল-আযহা, ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসেছে কুরবানির হাট ।  এই বছর সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় পশুপালনের খরচও বেড়েছে, ফলে গতবারের তুলনায় এইবার দাম তুলনামূলক বেশি হবে বলে আশংকা করছেন অনেকেই ।

কুরবানির পশুর চাহিদা কত?

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, এ বছর কোরবানির জন্য আমাদের চাহিদা ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি পশু, আর প্রস্তুত রয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ টি পশু, সেই হিসেবে ২১ লাখেরও বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে।

মাঠপর্যায় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবার কোরবানিযোগ্য প্রায় ৪৮ লাখ ৪৪ হাজার গরু-মহিষ, ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ছাগল-ভেড়া ও আড়াই হাজার অন্যান্য প্রজাতির পশু প্রস্তুত রয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর বেশি সংখ্যক গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে। গত বছর প্রায় ১ কোটি পশু কোরবানি হয়েছে। সে অনুযায়ী এ বছর পর্যাপ্ত পশু প্রস্তুত রয়েছে। সংকট হওয়ার সুযোগ নেই। কোরবানি শেষে পশু উদ্বৃত্ত থাকবে বলেও মনে করেন তিনি।

গরুর খামারীদের ভাষ্যঃ

মাদারীপুরের কৃষক লিটন মিয়া। নিজ বাড়িতে ছোট্ট এক খামারে গরু পালেন তিনি। গেলো কোরবানির ঈদে ৬টি গরু থাকলেও এবার তিনি খামারে রেখেছেন ১০ টি গরু। আশা করছেন ১০টি গরুই কোরবানির ঈদে বিক্রি হবে।

তবে দাম কেমন হবে, কতটা লাভ করতে পারবেন তা নিয়ে দু:শ্চিন্তা আছে লিটনের মনে। তিনি বলছিলেন, “দাম তো এইবার বাড়বেই। এখন কেমন বাড়বে সেইটা বুঝতে পারছি না। খরচ যে হারে বাড়ছে, সেইটা উঠাতে পারবো কি-না সন্দেহ আছে।”

লিটন খান জানাচ্ছেন, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। ঘাসের উৎপাদন খরচ বেড়েছে, প্রতিটি পশু খাদ্যের দাম বেড়েছে। শ্রমিকদের মজুরিও বেড়েছে। সুতরাং গরুর দাম গতবারের তুলনায় এবার তারা বেশি চাইবেন।

লিটন মিয়ার মতো একই চিত্র মাদারীপুরের অন্য খামারগুলোতেও।

মাদারীপুরের আরেকজন গরুর খামারের উদ্যোক্তা সাদ্দাম হোসেন বলছেন, ভারত-মিয়ানমার থেকে গরু না আসলে এবারও গরুর বাজার চড়া থাকবে। আর বাজার চড়া থাকলে খামারীরা খরচ তুলে লাভ করতে পারবেন। তিনি বলেন, গত বছর মাঝারি সাইজের যেসব গরু তারা ১ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন, এবার সেই একই আকারের গরুর জন্য তারা দাম চাইছেন ১ লাখ পনেরো থেকে বিশ হাজার অর্থাৎ প্রতি গরুতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দাম বেশি।

মাদারীপুরের প্রাণীসম্পদ দপ্তর বলছে, এবারের ঈদে জেলাটিতে গরুর চাহিদা ৩৬ হাজার। কিন্তু সরবরাহ আছে প্রায় ৩৯ হাজার, অর্থাৎ তিন হাজার গরু উদ্বৃত্ত আছে।  (বিবিসি বাংলা নিউজ)

গরুর সরবরাহ এবং দাম কেমন?

মাদারীপুরে যে চিত্র, সারাদেশেও সেটা অনেকটা একইরকম। অর্থাৎ গরুর সরবরাহ বেশি কিন্তু দাম কম নেই। বরং দাম গত বছরের তুলনায় বাড়তি। গাবতলী গরুর হাটে কথা হয় তৈয়ব আলী নামে একজন গরু বেপারীর সঙ্গে। তিনি গরু সংগ্রহ করেন কুষ্টিয়া ও পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে। এবছর তিনি ঢাকায় একশর বেশি গরু হাটে তোলার পরিকল্পনা করেছেন। অর্ধেক গরু ইতোমধ্যে সংগ্রহও করেছেন বিভিন্ন জেলা থেকে।

“দেখলাম খামারীরা দাম বেশি চায়। গরু অনেক আছে। কিন্তু খরচের কারণে দাম বেশি। ধরেন, ১০ রাখ টাকা দামের গরু এবার ১২ লাখ টাকা। আর মাঝারি গরুতে প্রতি পিসে দাম বাড়তি বিশ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা।” বলছিলেন, তৈয়ব আলী।

তিনি জানাচ্ছেন, এবার ছোট এবং বড় গরুর দাম তুলনামূলক বেশি হবে। কারণ এসব গরুর চাহিদা বেশি।

কিন্তু প্রান্তিকভাবে খামার পর্যায়েই যখন গরুর দাম বাড়তি, তখন শেষ পর্যন্ত সেই দাম মধ্যস্বত্তভোগীদের হাত ঘুরে কোরবানির হাটগুলোতে কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে সেটা একটা বড় প্রশ্ন। (বিবিসি বাংলা নিউজ)

প্রকাশ : এপ্রিল ২৮, ২০২৩ ৮:৪২ অপরাহ্ন
কোরবানি সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন রংপুরের খামারিরা
প্রাণিসম্পদ

আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন রংপুরের প্রান্তিক খামারিরা। লাভবান হওয়ার আশায় এ জেলার খামারিরা এখন থেকেই গবাদিপশু তথা গরু-ছাগল হৃষ্ট-পুষ্ট করতে শুরু করেছেন।রংপুর প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, রংপুর বিভাগের আট জেলায় গত বছর পশু কোরবানি হয়েছে ১০ লাখের ওপরে। এ বছর এই বিভাগে কোরবানির উপযুক্ত গরু খাসি প্রস্তুত রয়েছে ।

গত বছর কোরবানির পর পরই খামারিরা নতুন করে ষাড়, ছাগল মোটা তাজাকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে ফিডের উচ্চ মূল্যের কারণে যথারীতি খাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছেনা। এ ছাড়াও বিভিন্ন কারণে অন্যান্য উপজেলার খামারিরা খুব বেশি বিনিয়োগ করেননি। এছাড়াও এই ঈদে গরু ও ছাগলের দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

কাউনিয়ার হারাগাছের মাহামুদুল হাসান ডন, প্রিন্সসহ বেশ কয়েক জন খামারি জানান, তারা কোরবানি উপলক্ষে গরু প্রস্তুত করেছেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, ভারতীয় গরু প্রবেশ না করলে ভালো দাম পাবেন।

রংপুর প্রাণিসম্পদ বিভাগীয় উপপরিচালক ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, গত বছরের চেয়ে এবার ৫ শতাংশ বেশি গরু-খাসি রয়েছে। তা এই অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে পাঠাতে পারবেন খামারি ও গৃহস্থরা।

প্রকাশ : এপ্রিল ১৩, ২০২৩ ৯:০১ অপরাহ্ন
গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে কোরবানির জন্য গরু পালনে আগ্রহ কমেছে!
প্রাণিসম্পদ

গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধির প্রভাব কোরবানির জন্য গরু পালনের ওপর পড়েছে। গরু পালনকারীরা পরিচালনা খরচ বহন করতে না পেরে খামার বন্ধ করে দিচ্ছেন। দেশের গরু পালনকারী এলাকার মধ্যে অন্যতম হলো পাবনার বেড়া উপজেলা। বর্তমানে এই উপজেলায় গরু পালনের খরচ বাড়ার সাথে সাথে হাটে গরুর দামও বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে গরু মাংসের দাম প্রতি কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

খামারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রমজানের আগে থেকেই খামারিরা গরু কিনে রাখেন। তারপর তা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত মোটাতাজা করে বিক্রি করেন। তবে এবার হাটগুলোতে ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। গরু পালনকারীরা হাটে গরু নিয়ে আসলেও খামারিদের কিনতে আসতে দেখা যায়নি। হাটে এখন গরুর দাম যথেষ্ঠ নয় বলে খামারিরা মনে করেন। এছাড়াও গরু পালনে এখন আগের তুলনায় খরচ দ্বিগুণ হয়েছে। তাই দ্বিগুণ খরচ করে গরু পালন করে পরে লাভ করতে পারবেন না বলে জানান তারা। এতে এখন যারা গরু বিক্রি করে দিতে চান ক্রেতার অভাবে তারাও বিক্রি করতে পারছেন না।

খামারিরা জানায়, বিগত ১ বছর ধরে গোখাদ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়াও তা দফায় দফায় বাড়ছে। গত ২-৩ সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো আরেক দফায় খাদ্যের দাম বেড়ে খামারিদের খরচ আরো বেড়েছে। এক বছর আগে গম বিক্রি হতো ২৪-২৫ টাকায়, খেসারি ও এংকর ডাল ৫৫ টাকায়, মসুরের ভুসি ৩৭ টাকায় বাকি আরো খাদ্যের উপকরণের দামও কম ছিল। এছাড়াও আগে ৩৫০ টাকা মন খড় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৫৫০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে বেড়েছে ঘাসের দাম।

বেড়া পৌর এলাকার খামারি মাহফুজা মীনা বলেন, আমার খামারে ৮০ টি গরু ছিল। গোখাদ্যের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় খরচ সামলাতে না পেরে ২০টি গরু বিক্রি করে দেই। এরপরেও মাসে ১ লাখ টাকার মতো লোকসান দিয়ে ২০-২২টি গরু কোরবানির জন্য মোটাতাজা করতেছি। হাটে যদি ভালো দামে বিক্রি করতে না পারি তাহলে বিরাট আকারের লোকসানে পড়তে হবে।

বেড়া বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা আব্দুল মতিন বলেন, গত দুই সপ্তাহ আগে যে গরু ৭০-৭৫ হাজার টাকায় কিনে নিয়ে এসেছি। এখন সেই সাইজের গরুর দাম ৮০-৮৫ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই প্রতি কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে ষাঁড় গরুর মাংস ৭০০ টাকা এবং গাই গরুর মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে অনেকেই লোকসানের ভয়ে গরু পালনে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তবে আমরা মনে করি গরু পালনকারীরা শেষ পর্যন্ত গরু পালনে তারা এগিয়ে আসবেন।

আধুনিক কৃষি খামার

প্রকাশ : জুলাই ১৮, ২০২২ ৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
মাঝারি গরু পালনের দিকে ঝুঁকছেন খামারিরা
প্রাণিসম্পদ

এবার কোরবানির ঈদে মানুষের পছন্দের শীর্ষে ছিলো ছোট ও মাঝারি গরু। তাই এখন খামারিরা এবার গুরুত্ব দিচ্ছেন মাঝারি গুরু পালনের দিকে।

জানা যায়, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর খুলনার খামারিরা বেশি দামে গরু বিক্রি করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন। আগামীতে খামারে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু বেশি পালন করবেন বলে খামারিরা জানান।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দৌলতপুর, মিরপুর ও কুমারখালীর কয়েকজন খামারিরা জানায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর গরুর দাম ভালো ছিল। খামারিরা গরু বিক্রি করে লাভ করতে পেরেছেন। এবছর ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু বেশি বিক্রি হওয়ায় আগামীতেও তারা এই সাইজের গরু পালনের কথা বলেন।

মিরপুর উপজেলার সদরপুর গ্রামের শহিদুলের স্ত্রী রাহেলা খাতুন জানান, এবছর ৩ টি গরু বিক্রি করেছি। আশা করিনি এবছর বিক্রি করতে পারবো। ঈদের ৩ দিন আগেই সব গরু বিক্রি হয়ে গেছে। গত বছরের তুলনায় এবছর ভালো দাম পেয়েছি।

কুষ্টিয়া জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ সিদ্দিকুর রহমান জানান, এবছর বিক্রির জন্য ১ লাখ গরু, মহিষ ও ৮০ হাজার ছাগল, ভেড়া পালন করা হয়। যার দাম প্রায় ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। এবছর দাম ভালো পাওয়ায় খামারি ও কৃষকরা খুশি। আগামীতে এ জেলায় পশু পালন আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মনে করেন।

প্রকাশ : জুলাই ১২, ২০২২ ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
পুরো গ্রামের একসাথে কোরবানি, সমহারে মাংস বণ্টন
প্রাণিসম্পদ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌর এলাকার পোষ্টকামুরী গ্রামে ৯৩টি গরু ও ৮টি খাসি কোরবানি করা হয়েছে। এই পশুর এক তৃতীয়াংশ মাংস গ্রামের ৫ হাজার ১৮৪ জন মানুষের এক হাজার ১৮০ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিজন ৯০০ গ্রাম করে মাংস পেয়েছেন বলে জানা গেছে। গ্রামের লোকজন ২৭ বছর যাবত সমাজবদ্ধ হয়ে একত্রে এক জায়গায় পশু কোরবানি করছেন বলে জানিয়েছেন এলাকার প্রতিনিধিসহ গ্রামের সাধারণ মানুষ।

গ্রামের লোকজন জানান, পোষ্টকামুরী গ্রামটিতে পাঁচ হাজারের অধিক লোকজনের বসবাস। গ্রামবাসী সমাজবদ্ধ হয়ে দুই যুগের বেশি সময় ধরে একত্রে কোরবানি করে থাকেন। গ্রামের সব মানুষকে এক পরিবারের সদস্য মনে হয়। গ্রামটিতে কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে শতাধিক মানুষের। তবে কোরবানির মাংসের জন্য গ্রামের কাউকে কোথাও যেতে হয় না। যারা কোরবানি দেন তারাসহ গ্রামের সবাইকে সমহারে মাংস দেওয়া হয়। প্রতি বছর জনপ্রতি এক কেজি করে মাংস বিতরণ করা হলেও এ বছর গরু কোরবানি কম হওয়ায় জনপ্রতি ৯০০ গ্রাম করে সমহারে বিতরণ করা হয়।

প্রতি বছর পোষ্টকামুরী ক্লাব মাঠে গ্রামবাসী একত্রে কোরবানি করে থাকেন। এ বছর ক্লাবমাঠ সহ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের (পুরাতন) পাশে এবং কয়েকজন বাড়িতে পশু কোরবানি করেন। বাড়িতে কোরবানি করা পশুর এক তৃতীয়াংশ মাংস নিজ দায়িত্বে ক্লাব মাঠে মাংস বিতরণ কাউন্টারে পৌছে দেন। মহাসড়কের পাশে কোরবানি করা পশুর মাংস স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। পরে গ্রামটির এক হাজার ১৮০ পরিবারের মধ্যে এই মাংস বিতরণ করা হয়।

গ্রামের মানুষের একসঙ্গে পশু কোরবানি দেওয়া গ্রামটির রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে করে সামাজিক হৃদ্যতা বিকশিত হওয়ার পাশাপাশি ভালো কাজে উৎসাহ পাচ্ছে গ্রামবাসী।

গ্রামবাসী জানায়, গ্রামটিতে ধনী-গরিব সবার মাঝে ঈদের খুশি ভাগ করে নিতে একসঙ্গে পশু কোরবানি করেন গ্রামের পাঁচ হাজারের অধিক মানুষ। ঈদের দিন কোরবানির পশু নিয়ে আসা হয় খোলা মাঠে। কোরবানির পর এক তৃতীয়াংশ মাংস একত্রিত করে তালিকা অনুযায়ী মাইকে নাম ডেকে মাংস বিতরণ করা হয়। মাংসের জন্য কাউতে ঘুরতে হয় না কারও দ্বারে দ্বারে। সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতির এই মেলবন্ধন চলছে দুই যুগ ধরে।

প্রকাশ : জুলাই ১১, ২০২২ ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
ঈদের ২য় দিনেও চলছে পশু কোরবানি
প্রাণিসম্পদ

১০ জুলাইপালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা। সোমবার (১১ জুলাই) ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন। সারাদেশে ঈদের দ্বিতীয় দিনও চলছে পশু কোরবানি।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লা ও প্রধান সড়কে পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছে। ঈদের দিনের মতোই উৎসবমুখর পরিবেশে পশু কোরবানি করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

ইসলামের বিধান অনুযায়ী, ঈদের দিন ছাড়াও আ‌রো দু‌দিন তথা জিলহজ মাসের ১১ তারিখ (ঈদের দ্বিতীয় দিন) ও ১২ তারিখও (ঈদের তৃতীয় দিন) সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত কোরবানি করার সুযোগ রয়েছে। এই বিধানের আলোকে দ্বিতীয় দিন অনেকে পশু কোরবানি করছেন।

ত্যাগের মহিমা এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য কেউ একাধিক কোরবানি দিচ্ছেন। আবার কেউ পারিবারিক ঐতিহ্য রক্ষায়, কেউ আবার ব্যবসা ও কাজের চাপ এবং কসাইয়ের অভাবে ঈদের দিন পশু জবাই দিতে পারেননি, তারাই দ্বিতীয় দিনে কোরবানি দিচ্ছেন।

দ্বিতীয় দিনের কোরবানির সংখ্যা পুরান ঢাকায় বেশি হলেও রাজধানীর অন্যান্য এলাকায়ও দেখা গেছে কোরবানির ব্যস্ততা।

ঈদের দ্বিতীয় দিন পশু কোরবানি দেওয়া রাজধানীর সবুজবাগের আব্দুল মর্শেদ জানান, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য হিসাবে প্রতিবছর তিনটি গরু কোরবানি দেই। একটি ঈদের দিন কোরবানি করেছি। আজ একটা দিচ্ছি; আগামীকালও আরেতকটা কোরবানি করব। দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমাদের কোরবানি কবুল করেন।

উত্তর বাড্ডা এলাকার বাড়ির সামনে রাস্তার পাশেই পশু কোরবানি দিয়েছেন রাশেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা দুই ভাই দুটি গরু এনেছিলাম। এক সঙ্গে কাটতে সমস্যা, লোকবলের অভাব। তাই ঈদের দিন বড় ভাইয়ের গরু কোরবানি দিয়েছি। আজ আমারটা কোরবানি করছি।

প্রকাশ : জুলাই ৯, ২০২২ ৬:৩৫ অপরাহ্ন
কোরবানির গরু চুরি করে জবাই!
প্রাণিসম্পদ

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য রাখা গরু গোয়াল ঘর থেকে চুরি করে জবাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের চরবলেশ্বর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।

গরুর মালিক জালাল মোল্লা জানান, এবারের কোরবানির হাটে বিক্রি করার জন্য গোয়ালে পালিত একটি গরু গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় চন্ডিপুর পশুর হাটে নিয়ে যাই। ওই হাটে ৬০ হাজার টাকা দাম উঠলেও মাত্র এক হাজার টাকার জন্য গরুটি বিক্রি করি নাই।

কিন্তু গতকাল গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা গোয়াল ঘর থেকে আমার সেই গরুটি চুরি করে কচা নদীর পাড়ে জবাই করে নিয়ে গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল ফকির বলেন, গরুটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন কৃষক জালাল মোল্লা।

ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এনামুল হক জানান, এ বিষয়ে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রকাশ : জুলাই ৯, ২০২২ ১২:০৫ অপরাহ্ন
বড় গরু নিয়ে বিপাকে খামারিরা
প্রাণিসম্পদ

বড় গরুর দাম জিগালেও ক্রেতারা কিনছেন ছোট গরু। বড় গরু নিয়ে এমন পরিস্থিতিতে হতাশায় আছেন খামারিরা

গাবতলী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, বড় গরুর দাম হঠাৎ করেই পড়ে গেছে। ছোট গরু তুলনামূলক ভালো দামে বিক্রি হলেও বড় গরুর দাম ততটা বলছেন না কেউ।

‘রাজা’ নামের একটি গরু নিয়ে মেহেরপুরের গাংনী থেকে এসেছেন আসমা বেগম। সাড়ে তিন বছর বয়সী ‘রাজা’র ৩০ মণ মাংস হবে বলে দাবি করছেন তিনি। দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। তবে কোনো ক্রেতা এখনও আশানুরূপ দাম বলেননি।

এত দূর থেকে এত খরচ করে গরুটি গাবতলী হাটে তুলে যেন বিপাকে পড়েছেন আসমা। গরু পরিবহনে ট্রাক ভাড়া বাবদ ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। এর সঙ্গে এই চারদিনের আনুসঙ্গিক খরচতো রয়েছেই। অবস্থা এমন হয়েছে যে গরুটি বিক্রি করতে পারলেই যেন মুক্তি পান তিনি! এখন সাত লাখ টাকা দাম পেলেই রাজাকে বিক্রি করে বাড়ি ফিরতে চান, অথচ ক্রেতা মিলছে না।

আসমা বেগম বলেন, ‘১৪ লাখ টাকার বদলে ৭ লাখ দাম বলি। তবুও খদ্দের নাই।’

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থেকে চারটা বড় গরু নিয়ে গাবতলী হাটে এসেছেন নাসির উদ্দীন ব্যাপারী। কয়েকদিন বসে থেকেও একটা গরুও বিক্রি হয়নি। অনেকটা আক্ষেপ করেই নাসির বলেন, ‘ঢাকার মানুষ মাংসের দামে গরু কোরবানি দেবে না। তারা আলুর দামে গরু কোরবানি দিতে চায়।’

এদিকে, ঈদের আর মাত্র একদিন বাকি থাকায় রাজধানীর একমাত্র স্থায়ী পশুর হাট গাবতলীতে ক্রেতাদের আনাগোনা ও বিক্রি দুটোই বেড়েছে। তবে হঠাৎ করেই কমে গেছে বড় গরুর দাম।

প্রকাশ : জুলাই ৮, ২০২২ ১২:২০ অপরাহ্ন
মাঝারি গরুর দিকে নজর ক্রেতাদের!
প্রাণিসম্পদ

কোরবানির শেষদিকে এসে দেশজুড়ে জমে উঠেছে পশুর হাট। লাখ লাখ ক্রেতা সমাগমে গরম হয়ে উঠেছে গ্রামীণ হাট-বাজারগুলো। চলছে হাঁকডাক, দরদাম। নতুন ট্রেন্ড হিসেবে যোগ হয়েছে সেলফি উৎসব। বড় গরুর আশপাশে ভিড় বেশি হলেও কেনার ক্ষেত্রে চাহিদা বেশি ছোট ও মাঝারি গরুর।

কোরবানি ঈদ সামনে রেখে রাজধানীর আফতাবনগরে জমে উঠেছে পশুর হাট।পশুর হাটে ঘুরে দেখা গেছে ছোট-মাঝারি-বড় আকৃতির বাহারি গরু আসতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। ঈদ সন্নিকটে হওয়ায় গরু-ছাগলের সরবরাহ বেড়েছে রাজধানীর অনন্য হাটগুলোতেও। এদিকে পশুর হাটগুলো ঘিরে নিরাপত্তাব্যবস্থা, নির্বিঘ্ন যাতায়াত ব্যবস্থা, জালনোট শনাক্তকরণ মেশিনসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুরুর দিকে ক্রেতারা হাটে এসে ব্যাপক দামাদামি করলেও গরু না কিনে ফিরে গেছেন বেশি। তবে ঈদ কাছাকাছি চলে আসায় বেড়েছে বিক্রি।বাইরের বড় বড় ব্যবসায়ীরা না আসায় স্থানীয়রাই পশু কিনছেন বেশি।

নাটোর থেকে ১৫টি গরু নিয়ে আসেন মামুন। তিনি বলেন, মাঝারি আকারের চারটি গরুই ভালো দামে বিক্রি হয়েছে। হাটে আসামাত্রই মাঝারি আকারের গরু প্রত্যাশিত দাম পেয়ে বিক্রি করে দিয়েছি। তবে বড় গরুগুলো এখনও বিক্রি করতে পারিনি। হাতেগোনা কিছু ক্রেতা বড় গরু কিনছেন। মানুষ এসে দামাদামি করছেন ঠিকই কিন্তু নিচ্ছেন মাঝারি গরু। এবার পশুর দাম অনেক বেশি বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।

প্রকাশ : জুলাই ৭, ২০২২ ৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
কোরবানির হাট কাঁপাচ্ছেন যে পাঁচ জাতের গরু 
প্রাণিসম্পদ

্বাংলাদেশে আগামী সপ্তাহে হতে যাচ্ছে ঈদুল আজহা। এই উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোরবানির গরুর হাটগুলো জমে উঠেছে। কিন্তু এসব হাটে নানা জাতের গরু থাকলেও বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে কয়েকটি জাত মানুষের কাছে বেশি জনপ্রিয়।

বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বলছে, এবার ঈদে কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার ।

এই চাহিদা মেটানোর জন্যা এক কোটি ২১ লাখ পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এর মধ্যে এক কোটির মতো শুধু গরু।

বাড়িতে লালন-পালন করা দেশী গরুর কদর ক্রেতাদের মাঝে সব সময় থাকে।

এবারের কোরবানির হাটে পাঁচটি জনপ্রিয় জাতের গরুর কথা উল্লেখ করেছেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও খামারিরা।

শাহীওয়াল গরু
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বলছে পাকিস্তানের সিন্ধুতে এই গরুর জন্ম।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ডা. মো: শাহিনুর আলম বলেন, এই জাতের গরু বহুদিন ধরে বাংলাদেশেই উৎপাদন করা হচ্ছে। দেখতে অনেকটা লাল রঙের, আর বেশ বড়।

শাহীওয়াল জাতের গরু ধীর ও শান্ত প্রকৃতির। শাহীওয়াল জাতের গরু আকারে বেশ লম্বা, মোটাসোটা ও ভারী দেহ। সাধারণত এ জাতের গরুর দেহের রং ফ্যাকাসে লাল। তবে কখনো গাঢ় লাল বা লালের মাঝে সাদা ও কালো ছাপযুক্ত হয়।

গাভীর ওজন ৪৫০ থেকে ৫৫০ কেজি ও ষাঁড়ের ওজন ৬০০ থেকে এক হাজার কেজি। জন্মকালে বাছুরের ওজন ২২ থেকে ২৮ কেজি। মাথা প্রশস্ত, পা ছোট, শিং ছোট কিন্তু মোটা। গলকম্বল বৃহদাকার যা ঝুলে থাকে। শাহীওয়াল জাতের গরুর ত্বক পাতলা ও শিথিল।

গরুর খামার এসএসি এগ্রোর নির্বাহী পরিচালক মিরাজ আহমেদ বলেন, তাদের খামারে এই জাতের গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকে প্রতি বছর। আর এই গরুর সর্বনিম্ন দাম এক লাখের বেশি।

হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান গরু
হোলস্টাইন অর্থ সাদাকালো ডোরাকাটা, স্থানের নাম ফ্রিসল্যান্ড-এর সাথে মিলিয়ে এই গরুর নাম হয় হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান। বাভারিয়া (বর্তমান জার্মানি) ও ফ্রিসল্যান্ড (বর্তমান নর্থ হল্যান্ড) এই গরুর আদি উৎস স্থান।

হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান গরুকে তাদের সাদা-কালো রঙের কারণে সহজেই চেনা যায়।

ফ্রিজিয়ান জাতের গরু গোশতের জন্য পালা হয় না। কিন্তু তারপরেও বাজারে গোশত সরবরাহের বিরাট অংশই ফ্রিজিয়ান গরুর। কারণ, এটি আকারে বেশ বড়। বিশ্বে যত গরু পালন করা হয়, তার ৫০ শতাংশের বেশি ফ্রিজিয়ান জাতের।

একটা হোলস্টাইন জাতের পূর্ণ বয়স্ক ষাঁড়ের ওজন এক হাজার ১০০ কেজি পর্যন্ত হয় এবং উচ্চতা ৫৫ থেকে ৭০ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়।

ব্রাহমা গরু
বাংলাদেশে যেসব ব্রাহমা জাতের গরু রয়েছে তার প্রায় সবই কৃত্রিম পদ্ধতিতে প্রজনন করা গরু।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কৃত্রিম প্রজনন বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্রাহমা জাতের গরুর সিমেন বা বীজ বা শুক্রাণু এনে সরকার কয়েকটি জেলায় স্থানীয় খামারিদের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে এই জাতের গরু উৎপাদন শুরু করে।

দেশে ২০০৮ সালে প্রথম প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ‘বিফ ক্যাটল ডেভেলপমেন্ট’ নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রাহমা উৎপাদন কর্মসূচি শুরু করে। শুরুতে ১১টি উপজেলায় তিন বছরের জন্য এ কর্মসূচি চালু হলেও এখন প্রায় ৫০টির মতো জেলায় চলছে এ কর্মসূচি।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ডা. সরকার বলেছেন, ব্রাহমা গরু মূলত মাংসের জাত বলে পরিচিত। দুধের জন্য এই গরুর তেমন খ্যাতি নেই।

ব্রাহমা গরু দেখতে অনেকটাই দেশী গরুর মতো কিন্তু আকৃতিতে বেশ বড় হয়। এই গরুর গোশতের স্বাদ দেশী গরুর মতো। এর গায়ে চর্বি কম হয়। যে কারণে পুষ্টিগুণ বেশি।

প্রাণি, পুষ্টি ও জেনেটিক্স বিশেষজ্ঞরা বলেন, ব্রাহমা গরুর আদি নিবাস ছিল ভারতে।

সাধারণত একটি পূর্ণবয়স্ক ব্রাহমা জাতের ষাঁড়ের ওজন ৮০০ থেকে এক হাজার কেজির বেশি হতে পারে। একটি পূর্ণবয়স্ক ব্রাহমা জাতের গরুর ওজন হবে ৫০০ থেকে এক হাজার কেজি।

কোরবানির সময় বাজারে অস্বাভাবিক দাম হাঁকানো গরুগুলো মূলত এই ব্রাহমা জাতেরই গরু। দেশের কয়েকটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ব্রাহমা জাতের গরু নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। সেগুলোর ফলাফল জানা গেলে আগামী দিনে এ জাতের গরুর উৎপাদন দেশে আরো বাড়বে।

মীরকাদিম
মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিম জাতের গরু দেখতে ধবধবে সাদা। কিছুটা লালচে আর আকর্ষণীয় বাঁকা শিং। বাজারে এই গরুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের কাছে। তবে চাহিদার তুলনায় এই জাতের গরুর সরবরাহ কমে গেছে।

এসএসি এগ্রোর নির্বাহী পরিচালক মিরাজ আহমেদ বলেন, এই গরুর দাম এক লাখ ২০ হাজার থেকে শুরু হয়ে আড়াই লাখ পর্যন্ত হয়। মীরকাদিমের গরুর গোশতে আঁশ কম থাকে, এর হাড় চিকন হয়। এই গরুর গোশত হয় নরম ও তেলতেলে।

তবে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বলছে, দেশে মীরকাদিম জাতের ভালো ষাঁড়ের সঙ্কট রয়েছে। যে কারণে এই জাতের উন্নয়নপ্রক্রিয়া ধীরে ধীরে হচ্ছে।

রেড চিটাগং ক্যাটেল
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বলছে, রেড চিটাগাং ক্যাটেল বা অষ্টমুখী লাল গরু বা লাল বিরিষ সংক্ষেপে আরসিসি আমাদের দেশের অধিক পরিচিত একটি গরুর প্রজাতি। রেড চিটাগাং ক্যাটেলের প্রধান চারণস্থল চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম।

এছাড়াও এটি কুমিল্লা ও নোয়াখালিতে পাওয়া যায়। দেখতে লাল বর্ণের। দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩০ সেন্টিমিটার ও উচ্চতা প্রায় ২৪ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। প্রাপ্ত বয়স্ক ষাঁড়ের ওজন প্রায় ২০০ থেকে ৪০০ কেজি হয়ে থাকে। গরুর ওজনের প্রায় অর্ধেক পরিমাণ খাদ্য উপযোগী মাংস।

খামারি মিরাজ আহমেদ বলেন, আরসিসি গরু দেখতে সুন্দর। কোরবানির হাটে সহজেই চোখে পরার মতো এই গরুর প্রজাতি। তবে, গরুর এই বিশেষ প্রজাতি জনপ্রিয় হওয়ার এক বিশেষ কারণ হলো, এর গোশত খুবই সুস্বাদু।

সূত্র : বিবিসি

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop