এক সপ্তাহে ১০ গরুর মৃত্যু, আক্রান্ত অর্ধশত
প্রাণিসম্পদ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে গত এক সপ্তাহে ১০টি গরু মারা গেছে। ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজে এসব গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। বর্তমানে আরো অর্ধশত গরু এই রোগ আক্রান্ত বলে জানা গেছে।
খামারি ও কৃষকরা জানিয়েছেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসক না পেয়ে বাধ্য হয়ে তাঁরা গ্রাম্য চিকিৎসক, কবিরাজ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন।
খামারি ও কৃষক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের কল্যাপাড়া, বজরা ইউনিয়নের খামার বজরা ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের কামাল খামার গ্রামে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।
গতকাল রবিবার দুপুরে দলদলিয়া ইউনিয়নের কল্যাপাড়া ও ঝাকুয়াপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২৫টি ছোট ও মাঝারি খামারের গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক মহির উদ্দিন জানান, তাঁর দেড় লাখ টাকা দামের একটি গাভি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে শরীরে দুর্গন্ধ দেখা দেওয়ায় সেটি জবাই করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, যোগাযোগ করা হলেও প্রাণিসম্পদ বিভাগের কোনো লোক এলাকায় আসেননি।
খামারিরা জানান, গত সাত দিনে কল্যাপাড়া গ্রামের মহির উদ্দিনের একটি, দেলওয়ার হোসেনের একটি এবং আয়শা বেগমের একটি, খামার বজরা গ্রামের দুলাল মিয়ার একটি, আবুল কালামের একটি এবং মাঝবিল গ্রামের দেলওয়ার মিয়ার একটিসহ ১০টি গরু মারা গেছে।
এ ছাড়া কল্যাপাড়া ও ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের আ. মান্নানের তিনটি, আ. বাতেনের তিনটি, আ. গফ্ফারের তিনটি, আ. ছামাদের চারটি, জয়নাল আবেদীনের তিনটি, গোলজার হোসেনের তিনটিসহ প্রায় ৫০টি গরু ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাঁদের অনেকের অভিযোগ, প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তাই তাঁরা পল্লী চিকিৎসক, কবিরাজ ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের দ্বারস্থ হচ্ছেন, কিন্তু তাঁদের দেওয়া ওষুধে তেমন কাজ হচ্ছে না।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, উপজেলার প্রায় ১৩ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ওই রোগ দেখা দিয়েছে। এ রোগ প্রতিরোধে সোডা, প্যারাসিটামল এবং টিকা দিতে হবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেজওয়ানুল হক জানান, তিনি এ রোগ সম্পর্কে অবগত আছি। এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই, বৃষ্টি অথবা শীত পড়লে এ রোগ কমে যাবে।