খাবারের দাম বৃদ্ধিতে লোকসানের পথে পোল্ট্রি খামারিরা
পোলট্রি
পোল্ট্রির খাবারের দাম বৃদ্ধিতে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার কয়েকশো পোল্ট্রি খামারি লোকসানে পড়েছেন। গত বছরের করোনার ধাক্কা সামাল দিতে অনেকেই লোন করে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে আরো বিপাকে পড়েছেন।
জানা যায়, বছর দুয়েক আগেও যেসকল পোল্ট্রি খামার বড় ছিলো সেগুলো ছোট করে ফেলেছেন খামারিরা। অনেকেই পোল্ট্রি খামারের জিনিসপত্র বিক্রি করে দিয়েছেন। খামারিরা অনেকে এ ব্যবসায় লোকসান গুণে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। অনেকে অন্য পেশাতে না যেতে পেরে এখনো লোকসান গুনছেন।
জেলা প্রাণীসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় নিবন্ধিত লেয়ার ও সোনালি মুরগির খামার ৬৩৪টি ও অনিবন্ধিত লেয়ার ও সোনালি মুরগির খামার ৩৩৮১টি। নিবন্ধিত ব্রয়লার মুরগির খামার ৪০৮ টি ও অনিবন্ধিত ব্রয়লার মুরগির ২৫৬৮টি খামার রয়েছে।
ঘাটাইল উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস সূত্র জানায়, এ উপজেলায় আটশো লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে। এসব খামারে লেয়ার মুরগির সংখ্যা ১২ লাখ ৫৭ হাজার দুইশো টি, সোনালি মুরগির সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ৯২টি এবং ব্রয়ালার মুরগির সংখ্যা ৩ লাখ ৪৭ হাজার চারশো ১০ টি।
সাগরদিঘী গুপ্তবৃন্দাবন এলাকার মুরগির খামারি সায়েম হোসেন জানান,আমার খামারে চার হাজার একশত লেয়ার মুরগি রয়েছে। প্রতিটি মুরগির জন্য খাবার বাবদ দুইশত টাকা খরচ হয় মাসে। ৪-৫ বছর আগেও খাবারের মুল্য এক হাজার দুইশত টাকা ছিলো। আর এখন মুরগির খাবার কিনতে হচ্ছে দুই হাজার তিনশ থেকে চারশ টাকা দরে।
টাঙ্গাইল খামার মালিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ বাহার সুজন বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল পোল্ট্রি খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণে সঠিকভাবে নজরদারি করলে খামারিরা রক্ষা পাবেন। উৎপাদন খরচও এখন ঠিকমতো উঠে না। এ অবস্থায় পোল্ট্রি খামারিদের রক্ষায় খাবারের দামের লাগাম টেনে না ধরলে এ শিল্প ধ্বংসের মুখ দেখবে।
ঘাটাইল উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমদ বলেন,সারা দেশেই এক রকম অবস্থা, ফিডের দাম বৃদ্ধিতে খামারিদের লাভটা কমে গেছে।খামারিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।সরকার যদি পোল্ট্রি শিল্পের দিকে মনোযোগ দিতেন।আর ভ্যাট ও ট্যাক্সের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হতো তাহলে খাবারের মূল্যটা কমে যেতো।আর কাঁচামাল সহজলভ্য করে বিদেশে রপ্তানি কিছুদিনের জন্য কমিয়ে দিলে বা বন্ধ করে দিলে ভালো হতো।