খামারে আগুন: দগ্ধ ২ গরুর মৃত্যু, আরও ১৪টি আশঙ্কাজনক
প্রাণিসম্পদ
বাগারেহাটে একটি দুগ্ধ খামারে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে; গভীর রাতের ওই আগুনে দুটি গরু জীবন্ত দগ্ধ হয়েছে; শরীরের সত্তর শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় আরও ১৪টি গরু রয়েছে আশঙ্কাজনক অবস্থায়।
বুধবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চাপাতলা গ্রামের নাজমুল আলম রুবেল নামে এক ব্যক্তির খামারে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম জানান।
রুবেলের দাবি, ‘পরিকল্পিতভাবে’ তার খামারে আগুন দেওয়া হয়েছে। খামারে ১৬টি জার্সি গরু ছিল, আগুনে তার অন্তত ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ওসি আজিজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বলে খামার মালিক অভিযোগ করেছেন। পুলিশ আগুনের ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
রুবেল বলেন, “দুর্বৃত্তরা বাড়ির ভেতরে ঢুকে খামারে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। ওই আগুনে ১৬টি গরু দগ্ধ হয়, এরমধ্যে দুটি গরু মারা গেছে। বেঁচে যাওয়া গরুগুলোর অবস্থাও ভালো না।। দুর্বৃত্তরা এরআগেও আগুন দিয়েছিল।“ এই ঘটনায় জড়িতের শাস্তি দাবি করেন খামারি রুবেল।
সরেজমিনে দেখা যায় রুবেলের বাড়ির সামনের দুটি টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি খামারটি পুড়ে কালো হয়ে গেছে। আগুনে দগ্ধ গরুগুলকে খামারের খোলা জায়গায় রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রুবেল জানান, তার খামারে প্রতিদিন ১০০ লিটার দুধ উৎপাদন হত। ওই দুধ মিল্কভিটা ও স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতেন তিনি।
খামার পরিদর্শন করে সদর উপজেলার উপ সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শাহীন আকতার বলেন, “বেঁচে যাওয়া গরুগুলো ৭০ শতাংশই দগ্ধ হয়েছে। এরমধ্যে আরও বেশ কয়েকটি মারা যাওয়ার আশঙ্কা করছি।“ খামারিকে সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে বলেও জানান প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা শাহীন আকতার।