তিন গরু ব্যবসায়ীকে হত্যা, ১০ জনের ফাঁসির রায়
প্রাণিসম্পদ
বান্দরবানে তিন গরু ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ১০ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই সঙ্গে অপহরণসহ বিভিন্ন ধারায় প্রত্যেক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া এ রায় দেন।
বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সময় সংবাদকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: যোহন ত্রিপুরা, ক্যহিম ত্রিপুরা, জসিন ত্রিপুরা, জীবন ত্রিপুরা, জর্জ ত্রিপুরা, সানি ত্রিপুরা, সালাউ ত্রিপুরা, সেনেদ্র ত্রিপুরা, যোসেফ ত্রিপুরা ও শিগরাম ত্রিপুরা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল যোহন ত্রিপুরা নামে এক ব্যক্তি তার কাছে বেশ কয়েকটি ভালো গরু আছে বলে ব্যবসায়ী আবু নাঈমকে ফোন করে আলীকদম থেকে নয়টি গরু নিয়ে আসার আহ্বান জানান। পরে গরু কেনার জন্য তিন লাখ টাকা নিয়ে থানচি থেকে আলীকদমের ২৮ কিলোমিটার নামক স্থানে যান ব্যবসায়ী আবু বক্কর এবং তার দুই সহযোগী নুরুল আফসার ও সাহাবুদ্দিন। ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবসায়ী আবু বক্কর তার ছোট ভাইকে ফোন করে তাদের গরু পছন্দ হয়েছে বলে আরও ৫০ হাজার টাকা গরুর মালিকের বিকাশ নম্বরে পাঠাতে বলেন। এ ঘটনার এক ঘণ্টা পর তাদের সবার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করে ভাইসহ কারো কোনো হদিস না পাওয়ায় ১৬ এপ্রিল দুপুরে আবু নাঈম থানচি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর পরপরই রাতে থানচি থানার পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসামি যোহন ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তারা ১০ জন মিলে ব্যবসায়ী আবু বক্কর এবং তার দুই সহযোগী নুরুল আফসার ও সাহাবুদ্দিনকে অপহরণ করেছিলেন। পরে টাকা, মোবাইল ফোন এবং মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের হত্যা করা হয়।
পরে যোহন ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু তিনি আবার আদালতের কাছে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান। আর অন্য আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ফলে ১০ আসামিই পলাতক রয়েছেন।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে সোমবার পলাতক ১০ আসামির প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।