ত্বীন ফলের চারা বিক্রি করে ৫ লক্ষাধিক টাকা আয় করেন মাসুদ
কৃষি বিভাগ
কালীগঞ্জ পৌরসভার কাশিপুর গ্রামের শিক্ষক হাফিজুর রহমান মাসুদ নিজের বাড়ীর ছাদে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন ফল, ফুল, সবজি, বনজ ও ঔষধী গাছের বাগান। আর এই বাগান থেকে ত্বীন ফলের চারা বিক্রি করে ৫ লক্ষাধিক টাকা আয় করেন তিনি।
জানা যায়, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শখের বশে ছাদ বাগান শুরু করেন। বর্তমানে সেই শখের ছাদ বাগানের ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে। ছাদ ছাড়াও বাড়ির আশপাশের জমিতে বাণিজ্যিক নার্সারিতে রূপ নিয়েছে। এখান থেকে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে বলেও জানান হাফিজুর।
হাফিজুর জানান, করোনায় বসে না থেকে ছাদ বাগান শুরু করি। স্বল্প পরিসরে শুরু করলেও বর্তমানে নার্সারিতে ১৭০ প্রজাতির বিভিন্ন ফল ও ফুলের চারা আছে। এসব পরিচর্যার জন্য দুজনের কর্মসংস্থান হয়েছে। বাগানে কিউজাই, কিং অপ চাকাপাতা, ব্রুনাই কিংসহ বিভিন্ন জাতের আম আছে। ভিয়েতনামি ও কেরালা নারিকেলের পাশাপাশি বিদেশি ফল ত্বীন, জয়তুন, রামবুটান, ডুরিয়ান, সবুজ সোনা খ্যাতঅ্যাভোকাডোসহ ঔষধি গাছ করসল, টুরুপ চান্ডাল ও সাদা লজ্জাপতিসহ হাজারি কাঁঠাল, থাই বারোমাসি কাঁঠাল, ভিয়েতনামের লাল কাঁঠাল, ভিয়েতনামের গোলাপি কাঁঠালের চারাও পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে ত্বীন ফলের ৫ লক্ষাধিক টাকার চারা বিক্রি করেছেন বলেও তিনি জানান।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার শিকদার মো. মোহায়মেন আক্তার বলেন, ছাদ বাগান আমাদের একদিকে অবসর সময় কাটাতে সাহায্য করবে, অন্যদিকে পরিবারের সবজি ও ফলের চাহিদা পূরণ হবে। বর্তমান সময়ে ছাদ বাগান আয়ের বিকল্প উৎস হিসাবেও ব্যাপক সমাদৃত হচ্ছে।