নাটোরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রণোদনা পাচ্ছেন ৫‘শ কৃষক
Uncategorized
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনে জেলার পাঁচশ’ কৃষককে ৪৪ লাখ টাকার কৃষি প্রণোদনা প্রদান করছে সরকার। সার, বীজ ও চারা উৎপাদন খরচ বাবদ এ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা সুবিধা প্রাপ্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের তালিকা ইতোমধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। এরমধ্যে নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলায় সর্বাধিক ১০০ জন করে কৃষক, লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলায় ৭০ জন করে কৃষক, সিংড়া ও গুরুদাসপুর উপজেলায় ৫০ জন করে কৃষক এবং বড়াইগ্রাম উপজেলায় ৬০ জন কৃষক রয়েছেন।
প্রত্যেক কৃষক তাদের একবিঘা জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্যে প্রয়োজনীয় এক কেজি করে বীজ, ২০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার এবং পরিচর্যা বাবদ জনপ্রতি দুই হাজার ৮০০ টাকা প্রদান করা হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয় জেলার অনুকূলে উপকরণ ও খরচ বাবদ মোট ৪৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
ইতোমধ্যে নলডাঙ্গা, সিংড়া, বাগাতিপাড়া উপজেলায় কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা বিতরণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে বড়াইগ্রাম উপজেলায় বিতরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। আগামী সপ্তাহের মধ্যে অবশিষ্ট তিনটি উপজেলার কৃষকদের হাতে প্রণোদনা হস্তান্তর কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নাটোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মেহেদুল ইসলাম জানান, কৃষক পর্যায়ে অর্থ ও উপকরণ প্রদানের পরে উপজেলার প্রতিটি কৃষি ব্লকে নিয়োজিত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ কৃষকদের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদে প্রান্তিক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবে। আগাম এ পেঁয়াজ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশে অক্টোবর মাসে পেঁয়াজের সংকট দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এ কৃষিবিদ।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ নাটোর জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক এবং কৃষি পুনর্বাসন ও প্রণোদনা সংক্রান্ত জেলা কমিটির সদস্য সচিব বেলাল হোসেন বাসস’কে বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত নীতিমালা অনুসরণ করে প্রণোদনা প্রাপ্ত কৃষকের তালিকা এ সংক্রান্ত উপজেলা কমিটিসমূহ চূড়ান্ত করার পরে জেলা কমিটি অনুমোদন প্রদান করেছে। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনকে কৃষক পর্যায়ে জনপ্রিয় করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। বাসস