ফিডের দাম বৃদ্ধিতে বন্ধ হচ্ছে খামার
পোলট্রি
আন্তর্জাতিক বাজারে পোল্ট্রি খাদ্যের কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে দেশে্র পোল্ট্রি সেক্টরে। এতে করে পোল্ট্রি খাদ্যের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে খামারিদের পোল্ট্রি পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। কিন্তু যে হারে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে সে হারে বাড়েনি ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। এছাড়াও ফিডের কাঁচামালের দাম বাড়ায় অনেক ফিড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফিড উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। এতে করে বাজারে ফিড সংকটের পাশাপাশি দাম বেশি হওয়ায় খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন খামারিরা। পোল্ট্রি পণ্য উৎপাদনের ব্যয়ের সাথে আয়ের ভারসাম্য না হওয়ায় লোকসানে পড়ছেন প্রান্তিক খামারিরা।
গত বছর প্রতি কেজি পোলট্রি ফিডের দাম ১২-১৮ টাকা বাড়লেও সেভাবে বাড়েনি মুরগির দাম। বর্তমানে রাজধানীসহ সারাদেশে পাইকারী বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা ও লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকায়।
বাংলাদেশ পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৯৮ হাজারের বেশি পোলট্রি খামারি ছিলেন। ইতোমধ্যে ফিডের দাম বাড়ায় মুরগির সরবরাহ-সংকটের মুখে খুচরা বাজার। এ অবস্থায় পশুখাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, তারাও নিরুপায়। কারণ পোল্ট্রি ফিডের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সিংহভাগই আমদানি নির্ভর। চড়া আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাবে দেশেও বাড়ছে দাম। সয়াবিন মিলের দাম বেড়েছে ৮৮ শতাংশ আর অন্যান্য কাঁচামালের বেড়েছে ১২৩ শতাংশ পর্যন্ত।