১২:৫৮ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • বারোমাসি তরমুজ ও সবজি চাষে স্বাবলম্বী দিনাজপুরে নারীরা
ads
প্রকাশ : জুন ১৪, ২০২১ ১:১৯ অপরাহ্ন
বারোমাসি তরমুজ ও সবজি চাষে স্বাবলম্বী দিনাজপুরে নারীরা
কৃষি বিভাগ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের আদিবাসী অনেক নারী পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে বছরব্যাপী বিষমুক্ত ও নিরাপদ বারোমাসি তরমুজ ও সবজি চাষ করে হচ্ছেন স্বাবলম্বী। চলতি বছরে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৪টি ইউনিয়নে ১০০ জন আদিবাসী নারী কৃষক ১ হেক্টর জমিতে তৃপ্তি ও মধুমালা জাতের বারোমাসি তরমুজ এবং ৩ হেক্টর জমিতে বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন।

জানা যায়, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, ঘোড়াঘাট এপির বাস্তবায়নে ইনোভেশন প্রকল্পের আওতায় ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসের প্রযুক্তিগত কারিগরি সহযোগিতায় আদিবাসী নারীরা এসব ফসল ও তরমুজ চাষ করেন।

জানা যায়, মাটিতে মালচিং পেপারের নিচে রোপণ করা বীজ থেকে চারা উঠে দু’পাশে দেওয়া বাঁশের তৈরি মাচার উপরে বড় হয়েছে গাছ। গাছে ঝুলছে তৃপ্তি ও মধুমালা জাতের তরমুজ। তরমুজগুলো যাতে ছিঁড়ে না পড়ে এজন্য ব্যবহার করা হয়েছে এক প্রকার নেটের ব্যাগ। মধুমালা জাতের তরমুজ হয় এক থেকে দেড় কেজি আর তৃপ্তি জাতের তরমুজ দুই থেকে তিন কেজি। বাজারে প্রতি কেজি তরমুজ ৬০ টাকা দরে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে। এসব তরমুজ অসময়ে পাওয়ার ফলে দামও বেশি পাওয়া যায়।

পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন কৌশল যেমন-ফাঁদ পদ্ধতি ও জৈব বালাই নাশক ব্যবহার করে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই প্রদর্শনীগুলোতে উৎপাদন করছে বারোমাসি তরমুজ ও বিভিন্ন জাতের বেগুন, পটল, লাউ, ঝিঙা ও শসাসহ নানা রকমের সবজি। কৃষকরা নিরাপদ সবজি উৎপাদনে ব্যবহার করছেন ফেরোমন ফাঁদ, নিম পাতা ও বিষ কাটালের রস।

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার মো. এখলাছ হোসেন সরকার জানান, প্রান্তিক আদিবাসী নারী কৃষকরা তাদের বসত ভিটার ছোট জায়গায় বিষমুক্ত নিরাপদ ফসল ও বারোমাসি তরমুজ চাষ করে আর্থিকভাবে বাড়তি আয় করতে পারে সেজন্য তাদের প্রশিক্ষণ ও সকল ধরনের কারিগরি সহযোগিতা দিয়েছি।

ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউপির শীধলগ্রামের কৃষাণী সুচিত্রা মাহাতো জানান, ওয়ার্ল্ড ভিশন এবং কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সবজি ও তরমুজের চাষ করেছি। বিষমুক্ত হওয়ায় স্থানীয়ভাবে চাহিদা থাকায় এই তরমুজ চাষ করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছি। ওয়াল্ড ভিশন বীজ, কাগজ ও সার দিয়ে সহযোগিতা করেন।

ঘোড়াঘাট ওয়ার্ল্ড ভিশনের ম্যানেজার রোলেন্ড গোমেজ জানান, এই এলাকায় শিশুরা যাতে ভবিষ্যতে নিরাপদ খাদ্য পায় এবং কৃষকেরা যাতে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয় সেই লক্ষ্যে নারীদের নেতৃত্বে ইনোভেশন প্রকল্পের আওতায় তাদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop