৪:১৬ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ১১, ২০২৩ ১০:০০ পূর্বাহ্ন
গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে মুখে হাসি জয়পুরহাটের চাষিদের!
কৃষি বিভাগ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে লাভবান চাষিরা। আশেপাশের জমিতে ধান দোল খাচ্ছে। এর পাশেই মাচায় দোল খাচ্ছে হলুদ-সবুজ তরমুজ। উপরে হলুদ হলেও ভেতরে টকটকে লাল। আবার অনেক তরমুজের উপরে সবুজ ভেতরে হলুদ। এখন প্রচন্ড গরমে এই পানি জাতিয় ফলটির বাজারে বেশ চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। কৃষকরা এই জাতের তরমুজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

জানা যায়, জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের ভূতগাড়ি, ভারাহুত, শিরট্টি, গোড়নাসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় গ্রীষ্মকালীন এই তরমুজের চাষ হচ্ছে। এই ফল চাষে খরচ কম ও গরমে এর বাজারদর ভাল থাকায় কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। এই অঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষ দিন দিন বাড়ছে। এখানকার উৎপাদিত তরমুজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, চলতি বছর জয়পুরহাট জেলার ৫ উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৯, পাঁচবিবিতে ২২, আক্কেলপুরে ২, ক্ষেতলালে ৫ ও কালাই উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে মাচায় তরমুজ চাষ করেছেন চাষিরা।

কৃষক জয়নুল হক বলেন, আমি গত কয়েকবছর গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষ করছি। চলতি বছর ৩ বিঘা ৭ শতক জমিতে কয়েক জাতের তরমুজের আবাদ করেছি। তারমধ্যে মধুমালা, সুগারকিং ও টাইগার ক্রাউন জাতের তরমুজ চাষ করেছি। এই জমিতে বছরে ৯ মাস ধরে এই তরমুজ চাষ করা যায়। আর বাকি ৩ মাস শীত মৌসুমে আলু চাষ করি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় তরমুজে অধিক লাভ হয়। অসময়ে ও অল্প সময়ে এর চাষে লাভবান হওয়া যায় বলে অন্যান্য কৃষকরাও এর চাষে ঝুঁকছেন।

তিনি আরো বলেন, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে জমিতে জৈব সার, কীটনাশক, ইউরিয়া, ফসফেট, ডিএপি পটাশসহ যাবতীয় সার দিতে হয়। এছাড়াও বিঘাপ্রতি শ্রমিক মজুরি সহ ৪৫-৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। বাজারদর ভাল থাকে বলে লাভবান হওয়া যায়।

ভারাহুত গ্রামের কৃষক মুসা মণ্ডল বলেন, চলতি বছর আমি সাড়ে ৩ বিঘা জমি ৩০ হাজার টাকায় বর্গা নিয়ে তরমুজ চাষ করেছি। এর চাষে বিঘাপ্রতি ৪০-৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। ৮০-১০০ মণেরও বেশি ফলন পাওয়া যায়। বাজারদর ভালো থাকলে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করা যায়। অনেকেই ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেন। বর্তমানে প্রতি মণ তরমুজ ১২০০-১৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চাষ লাভজনক হওয়ায় ফসল তরমুজ চাষে এই এলাকার অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. মজিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় কৃষকরা ব্ল্যাক বেবি, মধুবালা, গোল্ডেন ক্রাউন, ইয়েলো কিংসহ কয়েক জাতের তরমুজ চাষ করছেন। অনেকে একই জমিতে ২-৩ বার তরমুজ চাষ করছেন। আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি।

প্রকাশ : মার্চ ২৭, ২০২৩ ৭:০৬ অপরাহ্ন
তরমুজে লাভের আশা দাকোপের চাষিদের
কৃষি বিভাগ

চলতি মৌসুমে তরমুজ চাষে বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেঁধেছেন দাকোপের কৃষকরা। কেউ চারা গাছের পরিচর্যা করছেন, কেউ ক্ষেতে সেচ দিচ্ছেন। আবার কেউ দিচ্ছেন সার। এভাবেই চলছে তরমুজ চাষাবাদের কর্মযজ্ঞ। এই কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে ব্যস্ত সময় পার করছেন দাকোপের তরমুজ চাষিরা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে চাষিদের স্বপ্নের তরমুজ গাছগুলো বেড়ে উঠেছে। এরই মধ্যে ফলনও এসেছে অধিকাংশ গাছে। দাকোপের কৃষক থেকে শুরু করে দিনমজুর, নারী, পুরুষ, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া, কিশোর, কিশোরীসহ সাধারণ মানুষ স্বপ্নের তরমুজ ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত।

সরেজমিনে জানা যায়, সূর্য যখন মাথার ওপর; তপ্ত রোদ তখন। এসময়ে উপজেলার অধিকাংশ মাঠে নারী-পুরুষ মিলে পানি দিচ্ছেন সোনালি ফসলে। উপজেলায় ড্রাগন, পাকিজা, সুইট ড্রাগন ও বিগপাকিজা জাতের তরমুজ চাষ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নসহ চালনা পৌরসভায় শোভা পাচ্ছে তরমুজ গাছ। আগামী ১ মাসের মধ্যে শুরু হবে ফল বিক্রি। ন্যায্যমূল্য পেলে কৃষকেরা বেশ লাভবান হবেন। গত বছর দাম না পাওয়ার কারণে অধিকাংশ চাষি লোকসানের মুখে পড়েন। ফলে এবছর তরমুজ চাষ অনেক কম হয়েছে। অনেকে ফিরে গেছেন বোরো ধান চাষে।

উপজেলায় মোট আবাদি জমি ২০ হাজার ৮৮৩ হেক্টর। লবণ অধ্যুষিত হওয়ায় শতভাগ জমি আমন চাষের আওতায় আসে। দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক ফসল হিসেবে তরমুজ চাষ ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। গত বছর উপজেলায় ৭ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছিল। কিন্তু উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় অধিকাংশ চাষি পুঁজি ফিরে পাননি। অনেকের ক্ষেত ছিল অবিক্রিত অবস্থায়। যার প্রভাবে এবছর তরমুজ চাষ কম হয়েছে। চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে।

উপজেলার বাজুয়া গ্রামের তরমুজ চাষি রণজিৎ মন্ডল জানান, তিনি এ বছর ৫ বিঘা জমিতে পাকিজা জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। আগামী মাসের শেষের দিকে তরমুজ বাজারজাত করা শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন পাওয়ার প্রত্যাশা করেছেন তিনি।

একই এলাকার রাধারানী মন্ডল বলেন, ‘আমি ২ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আশা করি লাভবান হবো। তবে বাজারে যার তরমুজ যত আগে উঠবে, তার লাভ তত বেশি হবে। তাই আগে-ভাগেই তরমুজ চাষ করেছি। এ বছর বীজ ও সারের দাম একটু বেশি। এজন্য খরচও বেশি হচ্ছে। সব মিলিয়ে বিঘাপ্রতি ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হবে। আবহাওয়া অনুকূলে ও বাজার ভালো থাকলে আয় লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

শুধু রণজিৎ মন্ডল কিংবা রাধারানী মন্ডল নন, তরমুজ চাষ করেছেন কামাল হোসেন, হুমায়ুন কবির, প্রণয় মন্ডল, সূর্য মন্ডল, সোহেল মল্লিক, ব্রজেন মন্ডল, আইয়ুব আলী ও আব্দুল মজিদের মতো অনেক কৃষক। কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিচ্ছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মীরা।

উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান খান বলেন, ‘চলতি তরমুজ মৌসুমে দাকোপ উপজেলায় ৬,৩২০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। তাই মাঠ পর্যায়ে আমি এবং আমার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সব সময় কৃষকদের সঙ্গে রয়েছি। তরমুজ চাষিদের বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণসহ ক্ষেতের সব ধরনের সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তাদের স্বপ্নের ফসল বিক্রি করে অনেক লাভবান হবেন।’

প্রকাশ : মার্চ ২৩, ২০২৩ ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
ব্ল্যাক কিং জাতের তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন নোয়াখালীর কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

নোয়াখালীতে কালো তরমুজের বীজ ব্ল্যাক কিং-১ চাষ করে লাভবান কৃষকরা। এই তরমুজ খুব কম খরচে চাষ করা যায় ও অল্প সময়ে এর ফলন পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে এর চাষ ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষকরা রমজানকে সামনে রেখে আগাম রোপন করায় এখন ফলন পেয়েছেন। আর বর্তমান বাজারদর ভালো থাকায় বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন।

জানা যায়, নোয়াখালী সদর উপজেলার শুল্লুকিয়া গ্রামে আয়োজিত মাঠ দিবসে এই জাতের তরমুজ চাষের প্রমাণ পাওয়া যায়। এখানকার কৃষকরা এই জাতের তরমুজের চাষ করেছেন। এটি থাইল্যান্ড থেকে নিয়ে আসা একটি জাত। বীজ বপনের মাত্র ৬৫-৮০ দিনের মধ্যেই তরমুজ বাজারজাত করা যায়। আর এককটি তরমুজের ওজন ৮-১২ পর্যন্ত হয়। খেতে খুবই মিষ্টি। বর্তমানে এই অঞ্চলের কৃষকরা ব্ল্যাক কিং জাতের তরমুজ চাষে সফল হয়েছেন। পাশাপাশি বাজারদর ভালো থাকায় লাভবানও হচ্ছেন।

কৃষক সামছুউদ্দিন বলেন, আমরা আগে অন্য জাতের তরমুজের চাষ করতাম। তবে এই জাতের তরমুজের মতো ফলন পাইনি। অন্যান্য জাতের সাইজ ছোট হলেও ব্ল্যাক কিং-১ জাতের তরমুজের সাইজ অনেক বড়। একেকটি তরমুজ ওজনে ৮-১২ কেজি হয়ে থাকে। আর বর্তমান বাজারদর ভালো থাকায় বিক্রি করে লাভবান হতে পারছি।

মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি তোজাম্মেল হক ও দুলু রহমান বলেন, ব্ল্যাক কিং-১ জাতের বীজ থাইল্যান্ড থেকে আনা হয়েছে। বর্তমানে এর পরিক্ষামূলক চাষে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। আশা করছি এই বীজ আরো দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

প্রকাশ : মার্চ ৪, ২০২৩ ৮:০৬ অপরাহ্ন
কাঙ্ক্ষিত ফলন না পেয়ে হতাশ নোয়াখালীর তরমুজ চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ফলন বিপর্যয় হওয়ায় হতাশ আগাম তরমুজ চাষিরা। বেশি ফলন ও বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হওয়ায় আশায় আগাম তরমুজ চাষ করে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাননি তারা। এতে কৃষকরা লোকসানে আশঙ্কায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন।

জানা যায়, কৃষক জয়নাল আবেদীন সুবর্ণচর উপজেলার চর আমান উল্লাহ ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নে ৫ বছরের জন্য ২৫ একর পতিত জমি বর্গা নিয়ে তরমুজ চাষ করেন। বাজারে আগাম তরমুজ বিক্রি করে লাভবান হবেন। এই আশায় বুক বেঁধে ছিলেন তিনি। তার এই আশা পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তরমুজের ফলন। প্রথমধাপে ফলন বিপর্যয় হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন তিনি।

কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, লাভের আশায় এবার তরমুজ চাষ করতে যেয়ে লোকসানের মুখে পড়েছি। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জমিতে ঔষধ দিয়েছি। গাছ পরিপুষ্ট কিন্তু ফলন নেই। এখন ঔষধ খারাপ নাকি আবহাওয়া খারাপ বুঝতে পারছি না।

কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, আমি ১৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। চাষে আমার প্রায় ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখনো আশানুরূপ ফলন পাইনি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, চলতি বছর কোম্পানীগঞ্জে ২ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। তবে কিছু কিছু কৃষক ফলন বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে। আগাম চাষে লাভ ক্ষতি দুটোরই সম্ভাবনা থাকে। তবে বিগত কয়েক বছর চাষিরা আগাম তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। ফলে দিন দিন এর চাষ বাড়ছে। সামনে রমজান মাস থাকায় আশা করছি চাষিদের লোকসান হবে না।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর উপ-পরিচালক মো. শহীদুল হক বলেন, চলতি বছর নোয়াখালীতে প্রায় ৭ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। লাভের আশায় কৃষকরা আগাম তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়েছেন। বর্তমানে তরমুজ বাজারজাত করার অপেক্ষা রয়েছেন কৃষকরা।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০২৩ ১০:১৯ অপরাহ্ন
খুলনায় আগাম তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

কৃষকরা বোরো ধানের মৌসুম শেষ হওয়ার সাথে সাথেই তরমুজ চাষ শুরু করে দিয়েছেন। গত বছরের মতো যেন এবছরও লোকসানে পড়তে না হয় তাই কৃষকরা আগাম তরমুজ চাষে নেমে পড়েছেন।

জানা যায়, খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার কাতিয়ানাংলা এলাকার বিলে চাষিরা তরমুজ চাষ শুরু করেছে। তারা আধুনিক পদ্ধতিতে জমি তৈরী করে বীজ বপন করেছেন। আসন্ন রমজান মাসে বিক্রি করাই তাদের লক্ষ্য।

বটিয়াঘাটার বিলে সরিজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাষিরা তরমুজ চাষের জন্য জমি তৈরী বীজ বপন করছেন। কেউ কেউ আবার আধুনিক পদ্ধতিতে তরমুজের চারা উৎপাদন করে চারা দেড় থেকে দুই ইঞ্চি লম্বা হলে তা জমিতে রোপণ করছেন।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছর দাকোপ উপজেলায় ৭ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়। তারপরেই বটিয়াঘাটায় বেশি চাষ হয়। কৃষকরা ধান চাষের পরেই আর সময় নষ্ট না করে তরমুজ চাষে লেগে পড়েন। গত বছরের তুলনায় এবছর তরমুজ চাষ বেশি হতে পারে।

বিলের তরমুজ চাষি মো. নুর ইসলাম শেখ বলেন, আমি গত বছর ১১ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে লাভের মুখ দেখতে পারিনি। গত বছর বোরো ধান উঠে যাওয়ার পর নাবী করে লাগানো তরমুজের ফলন ভালো হলেও পরবর্তিতে ক্ষেতেই নষ্ট হয়েছে হাজার হাজার তরমুজ।

তিনি আরো জানান, আমি এবছর সেই ১১ বিঘা জমিতে আগাম তরমুজ চাষ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে জমিতে বীজও বপন করেছি। আবার কিছু জায়গায় উৎপাদিত চারাও লাগিয়েছি। এখন চলছে পানি দেওয়া ও পরিচর্যার কাজ। ফলন ভালো হলে এই ১১ বিঘা জমির তরমুজ ১২ -১৪ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।

আরেক কৃষক মো. মোশারফ হোসেন শেখ বলেন, আমি এবছর ১০ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। গত বছর লাভ হয়নি। রমজান মাস শেষ হয়ে যাওয়ায় বড় বড় তরমুজ ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে গেছে। গত বছরের মতো যেন এবছরও লোকসান না হয় তাই এবছর আগাম চাষ করছি। জমিতে রোপণ করা চারা তিন ইঞ্চি ছাড়িয়ে গেছে। তরমুজ গাছের ভালো ভাবে যত্ন নিচ্ছি। এবছর কাতিয়ানাংলার বিলে ৪৫ একর জমিতে আগাম তরমুজ চাষ হচ্ছে।’

বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রবিউল ইসলাম জানান, গত বছর চাষিরা লোকসানে পড়ায় এবছর আগাম তরমুজ চাষে ঝুঁকেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তরমুজের ভালো ফলন হবে। আর রমজান মাসে তরমুজের চাহিদা থাকবে বলে তারা তখন ভালো দামে তরমুজ বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন।

প্রকাশ : অগাস্ট ১০, ২০২২ ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
জয়পুরহাটে হলুদ তরমুজের বাম্পার ফলন,দামেও খুশি চাষিরা
কৃষি বিভাগ

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় নতুন করে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অসময়ের তরমুজ চাষ। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অন্য ফসল বাদ দিয়ে অসময়ের তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন এলাকার কৃষকেরা।

বর্তমানে এ তরমুজ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে রাজধানরীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

জানা যায়, বীজ বপনের ৩০ দিনের মধ্যে গাছের লতা-পাতাগুলো মাচায় উঠেছে। ৪০ দিনের মধ্যে গাছে গাছে হলুদ রঙের ফুল ফুটেছে এবং অনেক গাছে কুড়িও এসেছে।

প্রজাপতিরা এক ফুল থেকে অন্য ফুলে আপন মনে উড়ে গিয়ে বসছে আর মাচার ওপরে গাছের সবুজ পাতার নিচে ছোট বড় অনেক পরিপক্ক তরমুজ ঝুলছে। এ তরমুজ দেখতে হলুদ রঙের, ভেতরে কিন্তু লাল টুকটুকে ও রসেভরা। খেতে অনেক সুস্বাদু এবং মিষ্টি।

উপজেলার হাজীপাড়ার সফল তরমুজ চাষি মো. সাগর হোসেন বলেন, আমার ৭০ শতাংশ জমিতে বেড করে মাটির সঠিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে মালচিং পেপার পদ্ধতিতে জুন মাসে ২০ ইঞ্চি পর পর চায়না ও থাইল্যান্ড দেশের মধুমালা আর তৃপ্তি জাতের তরমুজের বীজ রোপণ করি। ৩০ দিনের মধ্যে গাছ মাচায় উঠে যায়। রোপণের ৪০ দিনের মধ্যে গাছে প্রচুর ফুল ও কুড়ি আসে।

তিনি আরও বলেন, ফল ৩৫ দিনে পরিপক্ক হয়ে ডোগায় ডোগায় ঝুলে আছে। আড়াই থেকে ৩ কেজি ওজনের তরমুজ। প্রতিটি তরমুজ গড়ে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার টাকা। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে আমার আয় হবে প্রায় ২ লাখ টাকা।

স্থানীয় তরমুজ ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বলেন, কালাই উপজেলার উৎপাদিত তরমুজগুলোর গুণগত মান অনেক ভালো। এই এলাকার তরমুজ বিষ ও ফরমালিন মুক্ত এবং খেতে খুব সুস্বাদ, দেখতেও অনেক আকর্ষণীয়। তা-ছাড়া এখানকার তরমুজ ক্রেতাদের চাহিদায় প্রথমে রয়েছে। তারা ক্ষেত থেকে প্রতি মণ তরমুজ ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে পাইকারি কিনছেন।

কালাই উপজেলার কৃষি অফিসার নীলিমা জাহান জানান, উপজেলায় ১০ হেক্টর জামিতে মধুমালা ও তৃপ্তি জাতের তরমুজ চাষ হয়েছে। এলাকায় তরমুজ চাষের জন্য কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ সংগ্রহের পরামর্শ এবং বালাইনাশক ব্যবহারে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

প্রকাশ : এপ্রিল ২৭, ২০২২ ৪:৩১ অপরাহ্ন
তরমুজের গুনাগুন
পাঁচমিশালি

 গরম পড়তেই বাজারে উঠছে তরমুজ। গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে এই রসালো ফলের দিকে ঝুঁকেছেন অনেকেই। বেলার দিকে তরমুজের জুসই হোক বা খাওয়ার পরের ফল হিসাবে, তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। তাছাড়া শরীর ঠাণ্ডা রাখা থেকে শুরু করে, বহু রোগ থেকে সুরক্ষা দেয় তরমুজ। তবে তরমুজের গুণের পাশাপাশি এর খোসার উপকারিতাও একনজরে দেখে নেওয়া যাকঃ-

১. তরমুজের গুণ-হার্টের রোগ থেকে মুক্তি দিতে তরমুজ অপরিহার্য। কার্ডিওভ্যাসকুলার রোগ প্রতিরোধে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে, রোগের ঝুঁকি কমাতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার।

২. তরমুজের গুণ-তরমুজে বহু মিনারেল ও ভিটামিন থাকায় তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তরমুজে থাকা উপাদান চোখ ভাল রাখতে সাহায্য করে।

৩. তরমুজে রয়েছে লাইকোপিন। যা ত্বকের উজ্জ্বলাত বাড়ায়।

৪. তরমুজে রয়েছে ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ। এছাড়াও রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। কিডনি ও লিভার সুস্থ রাখতে যা কার্যকরী। এছাড়াও তরমুজ মনকে শান্ত রাখে, প্রবল গরমে দেয় ঠাণ্ডার প্রভাব।

৫. রক্তশূন্যতার ক্ষেত্রে তরমুজ যেমন উপকারী, তেমনই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও তা উপকারী।

৬. তরমুজের খোসায় থাকে সিট্রুলাইন, যা রক্তনালীর প্রসারে সাহায্য করে। গবেষণা বলছে, এটি পেশীতে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে।

৭. তরমুজের খোসায় থাকে রসালো ভাব, থাকে জলের পরিমাণ। যা শরীরকে ডিহাইড্রেড হতে দেয় না। এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকায়, তা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

৮. তরমুজের খোসায় রয়েছে লিবিডো বর্ধক অ্যামিনো অ্যাসিড সিট্রুলাইন। এছাড়াও কিছু গবেষণা বলছে, তরমুজের সঙ্গে খোসার কিছু অংশ মুখে চলে গেলেও সমস্যা নেই। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৯. রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে তরমুজের খোসা। কমাতে পারে কোলেস্টেরলের সমস্যা। এছাড়াও শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়াতে তরমুজ গুরুত্বপূর্ণ।

প্রকাশ : এপ্রিল ১৬, ২০২২ ১:৩৩ অপরাহ্ন
রাঙামাটিতে তরমুজের বাম্পার ফলন
এগ্রিবিজনেস

পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতে এবার তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কাপ্তাই হ্রদের পানি যথা সময়ে শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা জলেভাসা জমিতে তরমুজের চাষ করতে পেরেছেন।

দুর্গম উপজেলা বাঘাইছড়ি, লংগদু, নানিয়ারচর, বরকল ও জুরাছড়ির তরমুজ এখন যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। পাহাড়ে তরমুজ চাষে কৃষকদের সব ধরণের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে পুরো জেলায় ২৪০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে প্রায় চল্লিশ টন। হেক্টর প্রতি প্রায় নয় হাজার ছয়শ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে।

তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও দাম বেশ চড়া হওয়ায় বছরের মৌসুমী ফলটি কিনতে মধ্যবিত্তদের কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে দাম বাড়তি থাকলেও মৌসুমী ফল তাই নিজেদের সাধ্যর মধ্যে থেকেই আকার বুঝে প্রিয় ফলটি কিনে বাড়িতে নিচ্ছেন ক্রেতারা।

বাঘাইছড়ি উপজেলার চাষি হৃদয় চাকমা বলেন, আমি গত বছর তরমুজ চাষ করে বেশি লাভ করতে পারিনি। এ বছর আবারো ঝুঁকি নিয়ে প্রায় তিন একর জমিতে তরমুজের চাষ করেছি। ফলন ভালো পেয়েছি, লাভও বেশ ভালো হয়েছে।

রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক বলেন, কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ এবং সার দিয়ে সহায়তা করেছেন। পরামর্শ দিয়েছেন। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিলো বলে তরমুজের আবাদ ভালো হয়েছে। আর তাই কৃষক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে মহাখুশি।

প্রকাশ : এপ্রিল ১৩, ২০২২ ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
লাল ও মিষ্টি তরমুজ চেনার উপায়
কৃষি বিভাগ

মিষ্টি তরমুজ কিভাবে চিনব? এই প্রশ্ন এখন খুবই কমন কারণ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে রসালো ফল তরমুজ। এই গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা তরমুজের রস দূর করতে পারে ক্লান্তি। তরমুজ শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে। শরীরে এনার্জি তৈরি করে দেয়। গরমে এই ফলটির চাহিদাও তেমনই থাকে। তরমুজে ২১ শতাংশ ভিটামিন সি, ১৮ শতাংশ ভিটামিন এ, ৫ শতাংশ পটাশিয়াম, ৪ শতাংশ ম্যাগনেশিয়াম এবং ৩ শতাংশ ভিটামিন বি১, বি৫ এবং বি৬ আছে। ত্বক ও চুল প্রাকৃতিভাবে সুন্দর রাখে তরমুজে থাকা ভিটামিন এ ও সি। এর অ্যা‌ন্টিঅ‌ক্সি‌ডেন্ট ক্যান্সার প্র‌তি‌রোধী ও  তারুণ্য ধ‌রে রাখ‌তে খুবই  কার্যকরী।

তবে তরমুজ কিনতে গিয়ে ঠকে যাবেন না আবার! অনেক সময় বাইরে থেকে দেখে ভালো মনে হলেও কাটার পর দেখা যায় তরমুজ ফ্যাকাশে, খেতেও পানসে।

জেনে নিন কীভাবে চিনবেন লাল এবং মিষ্টি তরমুজঃ

১: তরমুজের মাথার দিক খেয়াল করুন। যদি দেখেন হলুদ রঙ ধরেছে, তাহলে তাহলে বুঝবেন তরমুজ পাকা।

২: তরমুজ হাতে নিয়ে দেখুন। যদি ভিতরটা ফাঁপা মনে হয় তাহলে বুঝবেন তরমুজ এখনও কাঁচা রয়েছে। পাকা তরমুজে প্রচুর রস থাকে। ফলে তরমুজ ভারি হয়।

৩: তরমুজের গায়ে টোকা দিন। অতিরিক্ত ভারি আওয়াজ (ঠন ঠন অাওয়াজ) হলে বুঝবেন তরমুজ বেশি পেকে গেছে।

৪ঃ তরমুজের আকৃতি খেয়াল করুন। যদি তরমুজ পুরো সমান হয়, তাহলে বুঝবেন পাকা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

৫ঃবাইরের উজ্জ্বল রঙ দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। পাকা তরমুজ সাধারণত গাঢ়, কালচে হয় দেখতে। চকচ‌কে উজ্জল রং হ‌লে সে‌টি কাঁচা তরমুজ।

৬ঃ খুব বড় বা খুব ছোট তরমুজ না কিনে মাঝারি আকারের তরমুজ কেনাই ভালো।

সতর্কতা: রাস্তার মোড়ে মোড়ে বা বাজারে খোলা অবস্থায় রাখা কাটা তরমুজ খাবেন না। তরমুজ কেটে ফ্রিজে ভরে রাখবেন না। এতে খাদ্য উপাদান কমে যায়। যেকোন ফল কেটে খোলা অবস্থায় রাখবেন না। এতে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। তরমুজে শাঁস অধিক লাল করার জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম রং ভিতরে প্রবেশ করিয়ে থাকে এমন তরমুজ কিনবেন না খাবেন না। তরমুজ কাটার পর শাঁস হাতে লাগলে কিছু রং হাতে লাগে এ তরমুজটি খাবেন না।

কতটুকু খাবেনঃ তরমুজের এত গুণ থাকা সত্ত্বেও একবারে খুব বেশি তরমুজ খাওয়া ঠিক নয়। গবেষক ও পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম তরমুজে ৩০ ক্যালরি থাকে। এ ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রামে ৩.৩ গ্রাম চিনি থাকে। তরমুজে যেহেতু পানির পরিমাণ বেশি, তাই ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত তরমুজ খাওয়া অনেকের কাছে সহজ মনে হতে পারে।

প্রকাশ : এপ্রিল ৬, ২০২২ ২:৪৬ অপরাহ্ন
নেত্রকোনায় তরমুজ চাষ করে বিপাকে কৃষকেরা
কৃষি বিভাগ

উন্নত মানের বীজের অভাবে এবছর তরমুজ চাষ করে আশানুরূপ ফলন পায়নি নেত্রকোনার কৃষকরা। ফলন ভাল না হওয়ায় একদিকে লোকসানের আশংকা অন্যদিকে দেনা পরিশোধের দুশ্চিন্তায় আছেন তাঁরা।

নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী পাহাড়ী এলাকা কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলা। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় বেলে-দোআঁশ মাটির কারণে এসব এলাকায় প্রতি বছর তরমুজের ভাল ফলন হয়। তবে, এবছর মৌসুমের শুরুতেই লোকসানের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এবছর ভাল বীজ সংগ্রহ করতে পারেনি কৃষকরা। যার প্রভাব সরাসরি পড়েছে তরমুজ চাষে।

পাহাড়ী এলাকার বেলে জমিতে ধান ও অন্যান্য ফসল ফলন কম হয়। ফলে, তরমুজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে। সেই আগ্রহ থেকে এবছর অনেকে ধারদেঁনা করে তরমুজ চাষ করে। কিন্তু এখন ফলন ভাল না হওয়ায় লোকসানে আশংকা করছেন তারা।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবছর জেলার দুই উপজেলায় ২৯ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এফ এম মোবারক আলী জানিয়েছেন, কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহযোগিতার পাশাপাশি আগামীতে যাতে বেশি পরিমাণ জমিতে তরমুজের আবাদ করতে পারে সে বিষয়ে সহায়তা করা হবে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop