বিঘা প্রতি পাট চাষে কৃষকের দ্বিগুণ লাভ
কৃষি বিভাগ
মৌসুমের শুরুতেই সোনালি আঁশ পাটের ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কুমিল্লার কৃষক পরিবার। সব শঙ্কা কাটিয়ে এবার হাসি ফুটেছে পাট চাষিদের মুখে। এ কারণে তারা রয়েছেন খোশমেজাজে।
জেলা কৃষি বিপণন অফিস সূত্র জানা যায়, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছরে পাটে সর্বোচ্চ মুনাফা ঘরে তুলতে পেরেছেন চাষিরা। বিঘা প্রতি পাট চাষে এবার কৃষকের দ্বিগুণ লাভ হয়েছে।
পাটের উৎপাদন খরচ নির্ণয়ে দেখা গেছে, এক বিঘা বা ৩৩ শতক জমিতে পাট উৎপাদন করতে কৃষকের ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। গড় উৎপাদন বিঘাপ্রতি ১২ মণ হওয়ায় এবং মূল্য বেশি পাওয়ায় গত কয়েক বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ লাভ হয়েছে চাষিদের। বর্তমানে বাজারে ২ হাজার ৩শ’ থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে। কুমিল্লার বেশ ক’য়েকজন চাষির সাথে কথা বলে জানা যায়, পাট চাষে দাম ভালো হওয়ায় লাভের দেখা মিলছে বিধায় আবার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে পাঠ চাষে।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর পাটের ফলন হয়েছে আশানারুপ। দামও ভালো মিলছে। কুমিল্লার পাটচাষি শাহজাহান বাসসকে জানান, এক বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। সেখান থেকে ১০ মণ পাটের ফলন পেয়েছেন।
তিনি জানান, বাজারে তুলে প্রতি মণ পাট ২ হাজার ৫শ’ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এছাড়াও পাটকাঠি বিক্রি করেছেন ৬ হাজার টাকা। শাহজাহান বলেন, সব মিলিয়ে এক বিঘা জমিতে পাটের আবাদে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১১ হাজার টাকা।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সম্ভাবনাময় ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম মাধ্যম কৃষির এ খাতটির দিকে সরকার বিশেষ নজর দেয়ায় হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসছে। পাট উৎপাদন বেশী হওয়ায় পাটকলগুলো সহজে পর্যাপ্ত পাট হাতে পাচ্ছে। জুট মিলের উৎপাদিত চট, সুতা, কার্পেট ও বস্তা রফতানী করে যথেষ্ট সুগম হয়েছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথ।