মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা মিলছে লাম্পি স্কিন’ ডিজিজে আক্রান্ত গরু
প্রাণিসম্পদ
মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে গরুর ‘লাম্পি স্কিন’ ডিজিজ (এলএসডি)। এ রোগে গত এক মাসে ৮টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে কয়েক হাজার পশু।
অ্যান্থ্রাক্সের পর গরুর লাম্পি স্কিন রোগ দেখা দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন খামারিরা। তাদের দাবি, প্রাণি সম্পদ অফিস থেকে দেওয়া ‘গোটপক্স’ ভ্যাকসিন কোনো কাজে আসছে না।
জানা যায়, গাংনী উপজেলা প্রাণি সম্পদ হাসপাতালে লাম্পি স্কিন ডিজিজ আক্রান্ত ১০-১২টি গরু বিভিন্ন গ্রাম থেকে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে। এখানে এসব পশুকে গোটপক্স ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে খামারিদের রোগটি সম্পর্কে সচেতন ও প্রতিকারের বিষয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় পরামর্শ। তবে গরুর মালিকদের অভিযোগ কোনো পরামর্শই কাজে আসছে না।
গাংনী উপজেলার উত্তর পাড়ার জামেনা বেগম বলেন, ‘আমার একটি বাছুর গরু ওই রোগে (লাম্পি স্কিন) আক্রান্ত হয়েছে। আমি তাই বছুরটির চিকিৎসা করাতে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের চিকিৎসকের কাছে এসেছি।’
জামেনা বেগম নামে অপর একজন বলেন, ‘সরকারিভাবে কোনো ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র ব্যবস্থাপত্র লিখে হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশেই ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে আনতে হয়েছে। এরপরও কবে নাগাদ গরু সুস্থ হবে তা বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা।’
মেহেরপুর জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান বলেন, ‘ধীরে ধীরে মহামারি পর্যায় ধারণ করেছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পশুকে ঠিকভাবে নিয়মিত পরিচর্যা করলে এ রোগ নিরাময়যোগ্য।’ তিনি খামারিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কোনো গরু আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে আলাদা করে রাখতে হবে। আক্রান্ত গরুকে অবশ্যই মশারি দিয়ে ঘিরে রাখতে হবে। তা নাহলে এরোগ ছড়িয়ে পড়বে।