লকডাউনে সফল কৃষি উদ্যোক্তা হয়ে উঠলেন সামসুল হক
Uncategorized
করোনার মহামারীর কারনে ব্যবসা বাণিজ্য প্রায় সবারই বন্ধ। এই সময়টাতে ইউটিউব দেখে বারোমাসী তরমুজ, কেনিয়া আর সাম্মাম চাষ করার উদ্যোগ নেন সামসুল হক। ৩৫ শতক জমি বন্ধক নিয়ে ঢাকা থেকে বীজ ও মালচিং পেপার সংগ্রহ করে কৃষিবিভাগ থেকে পরামর্শ নিয়ে বারোমাসী হলুদ তরমুজ নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি । তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের ভূবনঘর গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, মালচিং পদ্ধতিতে বারোমাসী তরমুজ ও সাম্মাম চাষ হচ্ছে। মাচায় ঝুলছে হলুদ রং এর তরমুজ। সাথে রয়েছে সাম্মাম। ঝুলন্ত হলুদ রঙ-এর বাহারি তরমুজ দেখে মনে হচ্ছে, হলুদের আভায় ছেয়ে গেছে সবুজ প্রকৃতি। তাইওয়ানের গোল্ডেন ক্রাউন জাতের হলুদ রংয়ের বারোমাসী তরমুজ ও সাম্মাম চাষ করে এরই মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা সামসুল হক। নতুন জাতের এই বারোমাসী তরমুজ ও সাম্মাম এক নজর দেখতে প্রতিদিন শত-শত মানুষ ভীঁড় করছেন সামসুল হকের ক্ষেতে। বাজারে ভালো দাম, চাহিদা ও লাভজনক হওয়ায় নতুন জাতের এই বারোমাসী তরমুজ ও সাম্মাম চাষে এখন আগ্রহ দেখাচ্ছেন অনেক কৃষক।
মুরাদনগর সদর হতে গোমতী নদীর ব্রিজ পার হয়ে বেঁড়িবাধের পাশে ভূবনঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তার অদূরেই ৩৫ শতক জমিতে সামসুল হকের তরমুজ ক্ষেত। ৫০ দিন আগে ঢাকা থেকে বীজ সংগ্রহ করে এনে বপন করেন তিনি। এ পর্যন্ত জমি প্রস্তুত, সার, বীজ, মাচা, সুতা ও জাল বাবদ তার খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। কয়েকদিন পরই তরমুজ খাওয়ার উপযোগী হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাইনুদ্দিন আহমেদ সোহাগ জানান, বারোমাসী হলুদ তরমুজ ও সাম্মাম পুষ্টিগুণ অনেক বেশি, খেতেও মিষ্টি। সারাবছর চাষ করা যায়। এগুলো এতোদিন বিদেশে চাষ হতো। সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু কৃষি উদ্যোক্তা এ বারোমাসী তরমুজ চাষ করছেন। সামসুল হক একজন কৃষি উদ্যোক্তা। এর আগেও নতুন জাতের সবজি স্কোয়াশ ও ব্র্রোকলি চাষ করে ভালো সফলতা পেয়েছেন এবং স্কোয়াশ চাষে কৃষকদেরকে আগ্রহী করে তোলেছেন। তার আগ্রহ থেকেই মুরাদনগরে এই প্রথমবারের মতো চাষ হয়েছে হলুদ তরমুজ ও সাম্মাম। আশা করছি, সামসুল হক আর কয়েকদিন পর এই অঞ্চলে নতুন সফলতার গল্পের সূচনা করবেন। আমরা তার সঙ্গে আছি। যেসব কৃষক এই জাতের তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে আমাদের কাছে আসবেন আমরা তাদের কারিগরি সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাব।