শেকৃবিতে বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা
ক্যাম্পাস
বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ শেকৃবি শাখার উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দুস্থদের মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
আজ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) শেকৃবি’র কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সম্মানিত মহাসচিব ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুযোগ্য যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জননেতা কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ, শেকৃবি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এবং মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর, শেরেবাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিশন এর মহাসচিব কৃষিবিদ মোঃ খায়রুল আলম প্রিন্স, বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের শেকৃবি সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ সহ বরেন্য কৃষিবিদগণ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি’র ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের ডীন প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন, গবেষণা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, আইসিসি পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ মোফাজ্জল হোসেনসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, এনিম্যাল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. লাম-ইয়া-আসাদ, প্রক্টর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ, রেজিস্ট্রার ও বিভিন্ন হলের প্রভোষ্টবৃন্দ, শেকৃবি এর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শেকৃবি শাখার সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ১৫ আগস্টে নিহত হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বেগম ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব সহ সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন ১৫ আগস্টের খুনিরা চিহ্নিত এবং হত্যাকান্ডের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। যারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদেরকে খুঁজে বের করে রায় কার্যকরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, খুনিদের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে আমাদের দায় শেষ হয়নি। এ খুনের চক্রান্তের সাথে বা পটভূমির সাথে যারা জড়িত, হত্যাকান্ডের পর যারা বিভিন্ন ভাবে লাভবান হচ্ছে, যারা বিভিন্ন ভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, তাদেরকে কারা চাকুরিতে পুর্নবাসন এবং বিদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরি দিয়ে পুরষ্কৃত করেছিল এ সকল বিষয় নিয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করে সামগ্রিক বিষয় বিচার বিশ্লেষণ করে জাতির কাছে নিরপেক্ষ ভাবে উপস্থাপন করা না হবে ততদিন পর্যন্ত ষড়যন্ত্রকারীদের অপরাজনীতির অবসান হবে না।
বাহাউদ্দিন নাছিম খালেদা জিয়ার পাঁচটি ভূয়া জন্মদিন উল্লেখ করেন। খালেদা জিয়ার এসএসসি পরীক্ষার মার্কশীট অনুযায়ী ১৯৪৬ সালের ০৫ সেপ্টেম্বর, বিয়ের কাবিননামায় ০৯ আগস্ট, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ০৫ আগস্ট। খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। করোনা টেষ্টের যে রিপোর্ট ফেসবুকে ছড়িয়েছে তাতে তার জন্মদিন উল্লেখ রয়েছে ০৮ মে ১৯৪৬ সাল।
একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান কতটা নির্মম ও বিকৃত রুচির অধিকারী হলে জাতির এই শোকের দিনে জন্মদিন পালন করতে পারে এবং যারা নিজেদের জন্মদিনের একটি সঠিক তথ্য জাতিকে দিতে পারে না তারা কিভাবে রাজনীতি করেন।
বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের মহাসচিব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যারা বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিদদের মধ্যে বিভক্তি টানতে চায় তাদের ব্যাপারেও সচেতন থাকতে হবে। এরা সুযোগ সন্ধানী, জাতির পিতার আদর্শ এদের মধ্যে নেই। যে কোন অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াবো।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন এদেশের আপামর জনমানুষের নেতা। অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন বাঙালীর এক নিরলস সাহসী কণ্ঠস্বর। জেল জুলুম অত্যাচার সয়ে নিয়ে তিনি দেশের মানুষের মুক্তির কথাই অবিরাম ভেবেছেন। তাঁরই নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্বাধীনতার জনককেও রাতের আঁধারে হত্যা করে কাপুরুষের দল। বিচার হয়েছে আর বাকীদেরও হবে আমরা নিশ্চিত। তবে আজ তাদেরও বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন, গভীর ষড়যন্ত্রের পেছনে যারা জড়িত ছিল। পনেরই আগস্টের শোকের দিনে এটিই আমাদের বড় দাবি।
আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ১০০ জন দুস্থ ও অসহায়দের মানবিক সহায়তা করা হয়।