৩:০৫ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ১২, ২০২৩ ৯:২১ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত ডা. মো. নাজমুল হক এর সাথে কিছুক্ষণ
প্রাণিসম্পদ

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা, মননশীলতা ও উদ্ভাবনী প্রয়াসকে উৎসাহিত করতে ২০১৬ সাল থেকে জনপ্রশাসন পদক দেওয়া শুরু করে সরকার। গত বছর থেকে এই পদকের নাম বদলে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক করা হয়। দেশের জনপ্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই বছর ২৮ ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২৩’ দেয়া হয়েছে। গত ৩১ জুলাই ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে মনোনীতদের হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । এবার ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ শ্রেণিতে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নাজমুল হক বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পান। এগ্রিভিউ২৪.কম এর সম্পাদকের সাথে কথা হচ্ছিল ডা. মো. নাজমুল হক এর, পদক প্রাপ্তির অনুভূতি ও আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে এই সাক্ষাতকারটি পাঠকের জন্য তোলে ধরা হলোঃ

 

এগ্রিভিউ২৪.কম : সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আপনি জনপ্রশাসন পদক নিয়েছেন, আপনার অনুভূতি কেমন ছিল?

ডা. মো. নাজমুল হক : আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর শুকরিয়া যে তাঁর রহমতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে জনপ্রশাসনের এই সর্বোচ্চ পদক “বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক” গ্রহণ করলাম। এই সম্মাননা ও স্বীকৃতি প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। এ অনুভূতি ব্যক্ত করার মতো ভাষা আমার জানা নাই। শুধু এতটুকু বলবো এ পাওয়া আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া।

এগ্রিভিউ২৪.কম : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য আপনি এই রাষ্ট্রীয় পদক পেয়েছেন, আসলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তে কিভাবে অবদান রাখলেন?

ডা. মো. নাজমুল হক : আসলে আমার উদ্যোগটি ছিলো “মডেল লাইভস্টক সার্ভিস” যার ৪ টি মিশন ছিলোঃ ক) ভেটেরিনারি জরুরী বিভাগ স্থাপন করা, এর জন্য জরুরী সেবা ডেস্ক নির্মাণ করেছি; খ) ভেটেরিনারি হাসপাতালের সকল সেবা কাঠামো ও ইউনিট স্থাপন করে একটি পূর্ণ ভেটেরিনারি হাসপাতাল গড়ে তোলা, এর জন্য হাসপাতালে সীমানা প্রাচীর, গেইট, গ্যারেজ, বাইকস্ট্যান্ড এর পাশাপাশি ৭ টি সেবা ইউনিট নির্মাণ করেছি, যেমন: অপারেশন থিয়েটার, আলট্রাসনোগ্রাম চেম্বার, এনিমেল কেয়ার শেড, পেট এন্ড বার্ডস কেয়ার সেন্টার, স্যাম্পল কালেকশন চেম্বার, পোল্ট্রি ভ্যাক্সিনেশন চেম্বার, জরুরী বিভাগ। এর বাহিরে আরো কয়েকটি শাখা নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে; গ) ডিজিটাল প্রযুক্তি ও মিডিয়া ব্যবহার করে প্রাণিসম্পদ সেবা, প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া। এর জন্য নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল “লাইভস্টক ভিশন” প্রতিষ্ঠা করা, অনলাইন ভেটেরিনারি মেডিকেল সার্ভিস, অনলাইন পশুরহাট, অনলাইন খামার/হ্যাচারি/ফিডমিল নিবন্ধন ইত্যাদি সেবা চালু করা। ডিজিটাল আলট্রাসাউন্ড মেশিন ব্যবহার করে এনিমেল প্রেগন্যান্সি টেস্ট, মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক এর ব্যবহার ইত্যাদি এবং ঘ) প্রাণিসম্পদ জনসুশাসনমূলক কার্যাবলী অফিস ও মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা। এর অধিনে সেবা সহজীকরণে সেবার তালিকাসহ সেবা শাখা বিভাজন, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল লালন, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন, ই-গভ: ও ইনোভেশনমূলক উদ্যোগ গ্রহণ, তথ্য অধিকার ও অভিযোগ প্রতিকারে ব্যবস্থাগ্রহণ, নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতকরণ, প্রাণিজাত পন্যের মান পরীক্ষা, প্রাণিসম্পদ আইন অনুশাসন বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ যেমন: প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রোগ্রাম, কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাৎসরিক কর্মমূল্যায়ন, তাদের অফিসিয়াল স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদান ইত্যাদি নানান কার্যক্রম বাস্তবায়ন। এই ৪ টি মিশন নিয়ে যদিও আমার উদ্যোগটি ছিলো সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা ক্যাটেগরিতে। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যাচাই বাছাই করে ওভারঅল এটিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন দেয়।

 

এগ্রিভিউ২৪.কম : আমরা যতদূর জানি আপনি ২৪ ঘন্টাই সার্ভিস দিচ্ছেন, ২৪ ঘন্টা কিভাবে সার্ভিস দিচ্ছেন? দেশের ভেটেরিনারি হাসপাতাল গুলোয়ে কি আসলে ২৪ ঘন্টা সার্ভিস দেবার মত জনবল কিংবা সুযোগ সুবিধা আছে? জনবল কি সরকার থেকে দেওয়া নাকি নিজেই নিয়েছেন?

ডা. মো. নাজমুল হক : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০৪১ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট লাইভস্টক লাগবে। আর এর জন্য লাইভস্টক সেক্টর ও ভেটেরিনারি সেবাকে জরুরী পরিসেবার আওতাভুক্ত করা অত্যন্ত জরুরী। কেননা প্রাণীদের স্বাস্থ্য ও জীবনের নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘণ্টা সার্ভিসের বিকল্প নেই। তাদের জন্য যে কোন সময় জরুরী চিকিৎসা, অপারেশন, ভ্যাক্সিনেশন ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রাণীদের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসা থেকে বিনামূল্যে এ সেবা কার্যক্রম চালু করেছি। এবং এটি সরকারের সর্বোচ্চ মহলের নজরে এনেছি যে, ভেটেরিনারি সেবাকে জরুরী সেবার আওতাভুক্ত করে সারা বাংলাদেশে এটিকে যেন বাস্তবায়ন করা হয়। তবে বর্তমানে আমাদের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টা জরুরী সেবা নিশ্চিত করা খুবই কঠিন একটি কাজ এবং আমাদের জনবলের প্রচুর সঙ্কট রয়েছে। তথাপি আমি এটি বাস্তবায়ন করার জন্য হাসপাতাল ক্যাম্পাসে জরুরী বিভাগ ডেস্ক স্থাপন করেছি এবং ডক্টর স্টাফদের ডিউটি ভাগ করে দিয়েছি। এছাড়া একটি ৫ সদস্যের ইমারজেন্সি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করে তাদের কন্ট্যাক্ট নংসহ তালিকা জরুরী বিভাগে টানিয়ে দিয়েছি। যাতে যে কোন সেবাগ্রহীতা ছুটির সময় কিংবা রাতের বেলা যদি সেবা নিতে আসে, এবং তারা যদি ডেস্কে কোন কারণে কাউকে না পান, তাহলে এই মেডিকেল টিমের সাথে যোগাযোগ করলে দ্রুততম সময়ে এ টিমের সদস্যবৃন্দ জরুরী সেবা নিশ্চিত করবে। আর এই জরুরী সেবাকে সাসটেইনেবল ও দেশব্যাপী সম্প্রসারণ করার জন্য বিজ্ঞ সরকারকে আমি ২ টি প্রস্তাবনা দিয়েছি। (১) বিদ্যমান অর্গানোগ্রাম সংশোধন করে ২৪ ঘণ্টা অফিস কাঠামো তৈরী করা এবং জনবলের চাহিদা পূরণ করা। (২) সেটি এই মুহুর্তে সম্ভব না হলে আপাতত “মডেল লাইভস্টক সার্ভিস” নামক একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া। যে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ডক্টর স্টাফ নেওয়া হবে জরুরী সেবা নিশ্চিত করতে এবং ভেটেরিনারি হাসপাতালের সকল সেবা কাঠামো এই প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মাণ করা হবে।

 

এগ্রিভিউ২৪.কম : জরুরি বিভাগ আপনি চালু করেছেন, কি কি সুযোগ সুবিধা এখানে রয়েছে??

ডা. মো. নাজমুল হক : আমি বাংলাদেশে ১ম লাইভস্টক সেক্টরে উপজেলা পর্যায়ে জরুরী বিভাগ চালু করেছি। এই বিভাগের মাধ্যমে যে কোন সময় জরুরী চিকিৎসা, অপারেশন, ডেলিভারি, ভ্যাক্সিনেশন এবং কৃত্রিম প্রজনন সেবা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে আমরা বিগত ১ বছরের অধিক সময় জরুরী সেবা রেজিস্টার এর তথ্য অনুযায়ী পঞ্চাশ হাজারের উপর প্রাণীকে ছুটির দিনে জরুরী সেবা প্রদান করেছি।

 

এগ্রিভিউ২৪.কম : সম্প্রতি ক্যাডার সার্ভিসে ১০ বছরে পা দিয়েছেন, এই বছরগুলো কেমন কেটেছে? আগামী ১০ বছরে প্রাণিসম্পদ কে কোথায় নিয়ে যেতে চান??

ডা. মো. নাজমুল হক : হ্যাঁ, ক্যাডার সার্ভিসে আমি ৯ বছর পূর্ণ করে ১০ম বছরে পা দিয়েছি। এই ৯ বছর ভেটেরিনারি সার্জন, সায়েন্টিফিক অফিসার এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার হিসেবে কাজ করেছি। খুবই আমেজিং ও উপভোগ্য ছিল এ জার্নি। পেয়েছি সকল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্নেহ সান্নিধ্য ও ভালোবাসা। জুনিয়রদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ও সম্মান। খামারি, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও মিডিয়া প্রতিনিধিদের অকুন্ঠ ভালবাসা। পেশার প্রতি নিবেদন থেকে ইতোপূর্বে সায়েন্টিফিক অফিসার পদে কর্মরত অবস্থায় ল্যাবকে দিয়েছি “ভেটেরিনারি ল্যাব এইড” নামক স্বতন্ত্র ম্যানুয়াল। আর সর্বশেষ ইউএলও পদে থেকে ড্রিম ইনিশিয়েটিভ ছিলো “মডেল লাইভস্টক সার্ভিস”। এটি আমার স্বপ্ন ধ্যান জ্ঞান। সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ও স্বীকৃতি দিয়েছে মহামান্য সরকার ” বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক” প্রদানের মাধ্যমে। আগামী ১০ বছর এই মডেল নিয়ে কাজ করতে চাই এবং প্রাণিসম্পদ সেক্টরকে আধুনিক, স্মার্ট, স্টান্ডার্ড, কোয়ালিটি সম্পন্ন করতে চাই। গড়ে তুলতে চাই সারা বাংলাদেশে পূর্ণ ভেটেরিনারি হাসপাতাল।। দু’আ, সহযোগিতা ও সমর্থন চাই সকলের কাছে।।

 

এগ্রিভিউ২৪.কম : ধন্যবাদ, আপনার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি ।

ডা. মো. নাজমুল হক : আপনাকেও ধন্যবাদ, জয় বাংলা ।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২৩ ৭:১১ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এই কেন্দ্র উদ্বোধন করেন তিনি।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গাজীপুরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

উদ্বোধনের পর তিনি বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্রের ইনোভেশনস পরিদর্শন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কানাডার গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অব ফুড সিকিউরিটির (সিইইউ) নির্বাহী পরিচালক ড. স্টেভিন ওয়েব, ফিলিপাইনের ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিচার্স ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর জেনারেল ড. জেইন বালিই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৩, ২০২৩ ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে সিভাসু উপাচার্য’র শ্রদ্ধা
ক্যাম্পাস

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান।

গত শুক্রবার দুপুরে তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সিভাসু উপাচার্য বঙ্গবন্ধুসহ ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত মিউজিয়াম পরিদর্শন করেন এবং পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিভাসু’র কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: কামাল ।

প্রকাশ : জানুয়ারী ১০, ২০২৩ ৭:০০ অপরাহ্ন
বিজয়ের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন না হলে বিজয় অসম্পূর্ণ থাকতো: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

বিজয়ের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে প্রত্যাবর্তন না হলে বিজয় অসম্পূর্ণ থাকতো বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বিজয়ের মহানায়ক। বিজয় অসম্পূর্ণ থেকে যেতো শেখ মুজিবহীন বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফিরে না আসলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায় সম্ভব হতো না। সে সময় পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করে স্বাধীনতাবিরোধীরা নতুন করে আবার পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন সম্ভব হতো না। তিনি ফিরে না এলে তাঁর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে প্রায় তিনশত আইন প্রণয়ন সম্ভব হতো না। প্রতিটি জায়গায় বঙ্গবন্ধুর অসামান্য দূরদৃষ্টি ছিল।

প্রধান আলোচক আরও যোগ করেন, মুক্তিযুদ্ধ কোন কল্পকাহিনী ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ করে নেমে আসা স্বাধীন সত্ত্বা না। বাঙালি জাতির ইতিহাস দীর্ঘদিনের। কিন্তু বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত করার জন্য আমাদের পূর্বপুরুষরা ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষাভাষীদের বাঙালি জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করে একটা প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছিলেন। ‘৬২-এর শিক্ষা কমিশন আন্দোলন ‘৬৬-এর ছয় দফা, আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ‘৭০-এর নির্বাচন, ‘৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ-এসব কিছুর দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধু মুক্তির সংগ্রামে, স্বাধীনতার সংগ্রামে মানুষকে প্রস্তুত করেছেন।

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীরা দেশে এবং দেশের বাইরে এখনো বিরাজমান। সে মানুষদের প্রেতাত্মা এখনও এদেশে আছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের উত্তরসূরিরা এদেশে এখনও বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত আছে। এখন আমরা কঠিন সময় অতিক্রম করছি।

তিনি আরও যোগ করেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অবর্তমানে নতুন প্রজন্মকে দেশের হাল ধরতে হবে। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বাংলাদেশ সৃষ্টির প্রকৃত ইতিহাস বারবার বলতে হবে।মনে রাখতে হবে বিজয়ের পর বিজয়ের মহানায়ক ফিরে এসেছিলেন, কিন্তু আমরা তাকে রক্ষা করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে না পারার ব্যর্থতা আমাদের জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, ভাস্কর রাশা, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য রীনা মোশাররফ প্রমুখ।

প্রকাশ : অক্টোবর ১২, ২০২২ ৭:৫০ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার পেয়েছেন ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান
কৃষি বিভাগ

দেশের কৃষিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৪২৫ ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য বুধবার মোট ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক পুরস্কার তুলে দেন।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬-এর আওতায় পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৪২৫ বঙ্গাব্দের জন্য ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ পুরস্কার পেয়েছেন।

পুরস্কারের মধ্যে তিনটি স্বর্ণ, ১৬টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জ পদক রয়েছে। এছাড়া বিজয়ীদের সনদপত্র, পদক ও নগদ টাকা দেয়া হয়েছে।

স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা এক লাখ টাকা, রৌপ্যপদ প্রাপ্তরা ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জপ্রাপ্তরা ২৫ হাজার টাকা নগদ পেয়েছেন।

১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নতুন দেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই পুরস্কার প্রবর্তন করেন।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পরবর্তী সরকারগুলো পুরস্কার স্থগিত করে।

২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সরকার ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তাহবিল আইন-২০০৯’ প্রণয়ন করে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রবর্তিত পুরস্কারটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়।

কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬ প্রণয়ন করা হয়েছে।

সূত্র : ইউএনবি

প্রকাশ : অক্টোবর ১১, ২০২২ ৪:৩২ অপরাহ্ন
‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পাচ্ছেন ৪৪জন’
কৃষি বিভাগ

কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের কৃষিখাতে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর ৪৪জন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬’ প্রদান করা হচ্ছে। ১৪২৫ বঙ্গাব্দের জন্য ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার পাবেন। আর ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ পুরস্কার পাবেন।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬’ প্রদান উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি। এসময় কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী জানান, পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩টি স্বর্ণ, ১৬টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জ পদক দেয়া হবে। এছাড়া বিজয়ীদের সনদপত্র, পদক ও নগদ টাকা দেয়া হবে। স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা ১ লাখ টাকা, রৌপ্যপদ প্রাপ্তরা ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জপ্রাপ্তরা ২৫ হাজার টাকা নগদ পাবেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের চিরবঞ্চিত, অবহেলিত ও চিরশোষিত কৃষকের উন্নয়নে স্বাধীনতার পরপরই যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। কৃষি গবেষণায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে বঙ্গবন্ধু সরকারি চাকুরিতে কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করে কৃষির আধুনিকায়নে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তাছাড়া, কৃষি এবং কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে ‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল’ গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুর মতোই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও কৃষকবান্ধব। তাই তিনি, কৃষির সাফল্যের অন্যতম কারিগর কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানীসহ কৃষির সাথে সম্পৃক্তদেরকে সম্মাননা জানাতে ও তাদেরকে উৎসাহিত করতে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা প্রবর্তন করেছেন। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার কৃষিকে সম্মানজনক পেশায় পরিণত করেছে।

মন্ত্রী বলেন, কৃষিখাতের প্রতি বঙ্গবন্ধুর কৃষকদরদী নীতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চির অবারিত হাত কৃষিকে করেছে আরও সুসংহত। ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’ প্রবর্তনের মাধ্যমে কৃষিতে আগ্রহী জনশক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার বিজয়ী সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কৃষি ক্ষেত্রে নানাভাবে অবদান রেখে চলেছেন। একইসাথে, কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা দেয়ার ফলে কৃষি পেশার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগামীকাল ১২ অক্টোবর ২০২২ তারিখে সকাল ১০.০০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬ প্রদান করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে ব্রিফিংয়ে জানান হয়।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৭, ২০২২ ৭:৫০ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু হত্যার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন:  প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সেটা কমিশন আকারেই হোক অথবা ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী হোক। বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত সবার স্বরূপ উন্মোচন করা না হলে নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের কাঠগড়ায় অপরাধী হয়ে থাকতে হবে। ইতিহাসের এ অধ্যায় বিস্মৃত হয়ে জোড়াতালি দিয়ে চললে রাজনীতি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

আজ শনিবার (২৭ আগস্ট) শনিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের সকল শহীদ স্মরণে পিরোজপুর জেলা সমিতি, ঢাকা আয়োজিত আলোচন সভা ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যার খন্ডিত বিচার হয়েছে উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম এ সময় আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িতদের নাম মামলার চার্জশিটে আসেনি। বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ব্যর্থ ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যার সুবিধাভোগীদেরও বিচার করা হয়নি। ‘৭৫ এর ১৫ আগস্টের প্রেক্ষাপটে যারা সঠিক দায়িত্ব পালন করেনি তারা এখনও মুখোশ পরে বিচরণ করছে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ ধ্বংস করা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা পরিকল্পনার অন্যতম কারণ ছিল একাত্তর সালের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়া। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার অন্যতম কারণ ছিল বাংলাদেশকে একটি বিপন্ন জনপদ হিসেবে রাখা যাতে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। যার চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল একাত্তরের পরাজিতদের ক্ষমতায় নিয়ে আসা।

বঙ্গবন্ধু হত্যার ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র তুলে ধরে মন্ত্রী এ সময় জানান, জিয়াউর রহমান ‘গো অ্যাহেড’ বলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ককে হত্যার সব কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তার নেতৃত্বে বিদেশী মিশনে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের চাকরি দেয়া হয়েছিল, খুনিদের সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে এরশাদ খুনিদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। খালেদা জিয়া তাদের সংসদে নিয়ে এসেছে। এভাবে জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের লালন করেছে।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের জীবনের এক বিস্ময়কর অধ্যায়। ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু পরিণত হয়েছিলেন একটি আদর্শে, একটি বিশ্বাসে, একটি দর্শনে। বাঙালি জাতিসহ বিশ্বের নির্যাতিত, নিষ্পেষিত ও নিপীড়িত মানুষের পথ চলার পাথেয় হিসেবে বঙ্গবন্ধু একটা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিলেন। সে কারণে বঙ্গবন্ধুর শারীরিক প্রস্থান মানে সবকিছু শেষ নয়। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া ইতিহাস, ঐতিহ্য ও কর্মময় জীবন এখন আমাদের পথ চলার পথেয়।

তিনি বলেন, সাড়ে তিন বছরের সরকার আমলে সাড়ে তিনশোর ওপর আইন বঙ্গবন্ধু করে গিয়েছিলেন। এমন কোন জায়গা নেই যে জায়গায় বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। সমুদ্র বিজয়ের ভিত্তিমূল সমুদ্রসীমা আইন বঙ্গবন্ধু তৈরি করে গিয়েছিলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আইন বঙ্গবন্ধু করে গিয়েছিলেন। স্থলসীমার বিরোধ নিষ্পত্তির সূচনা বঙ্গবন্ধু করে গিয়েছিলেন। সেই সূচনার ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা চমৎকারভাবে সম্পন্ন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর অভীষ্ট ছিল সবুজ বিপ্লব-কৃষি বিপ্লব। সেই বিপ্লবের সার্থকতা ও পরিপূর্ণতা এসেছে তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধুকে বলা হত শোষিতের কণ্ঠস্বর আর শেখ হাসিনাকে আজ বলা হয় দুর্গতদের কণ্ঠস্বর।

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, যারা বাংলাদেশের জন্ম হওয়া পছন্দ করেনি তাদের অনেকে শ্রীলংকার ঘটনা নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে এক সময় বলেছে বাংলাদেশ শ্রীলংকা হয়ে যাচ্ছে। এ জাতীয় কিছু জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবী ও দুষ্কর্মের সাথে সম্পৃক্ত থাকা রাজনৈতিক ব্যক্তিরা দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং প্রতিষ্ঠিত অবস্থা ভালোভাবে নিতে পারে না। তারা একাত্তরের পাকিস্তানের পক্ষের চেতনা লালন করে। তারা চায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেটা যেন টিকে না থাকে।

পিরোজপুর জেলা সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম শামসুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী।

পরে মন্ত্রী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে ভার্চুয়ালি যোগদান করে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৪, ২০২২ ৬:০৯ অপরাহ্ন
অসাম্প্রদায়িকতার প্রতিভূ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর আদর্শ লালন করতে হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, অসাম্প্রদায়িকতার প্রতিভূ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর আদর্শ লালন করতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধী ও জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক জিয়াউর রহমান, এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার ধারাবাহিকতায় যারা ছিল তাদের উত্তরসূরিরা দুষ্ট। সে দুষ্টদের দমন করতে হবে। আর এ দেশে শিষ্ট হচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতার প্রতিভু বঙ্গবন্ধু ও তাঁর আদর্শ এবং তা বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা। তাদের লালন করতে হবে। তাহলেই দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন হবে।

আজ বুধবার (২৪ আগস্ট) পিরোজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষ্যে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, পিরোজপুর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পিরোজপুর জেলা প্রশাসন এ আয়োজনে সহযোগিতা করেছে।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ‘৭১ এর অসুর শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। জিয়াউর রহমান-এরশাদ-খালেদা জিয়া ধারাবাহিকভাবে সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। তারা স্বাধীনতাবিরোধীদের পৃষ্ঠপোষক। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংস করার পৃষ্ঠপোষক। তারা যাতে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেক্ষেত্রে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, কোন ধর্মের মৌলিক কথা খারাপ না। সব ধর্মের মৌলিক কথা শান্তির পক্ষে, সম্প্রীতির পক্ষে, কল্যাণের পক্ষে। আমরা মনুষ্যত্বের বিস্তার ঘটাতে চাই, ভালোবাসার বিস্তার ঘটাতে চাই। হিন্দু-মুসলিমের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করতে চাই।

এ সময় তিনি আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী কেউ সংখ্যালঘু না। দেশে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে। শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর প্রতিষ্ঠা করেছেন সব ধর্মের মানুষ রাষ্ট্রের সমান সুবিধা পাবে।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুর রহমান। পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়েজিদ হোসেন, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান ফুলু, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, পিরোজপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসুসহ পিরোজপুরের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৮, ২০২২ ৪:১০ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিদ্রুপাত্মক সমালোচনার কঠোর জবাব দিতে হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিদ্রুপাত্মক সমালোচনার কঠোর জবাব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচন সভায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য একটা ভয়াবহ প্রচেষ্টা দেশের ও দেশের বাইরে চলছে। ১৯৭৫ এর প্রেক্ষাপট রচনা কিছু লোক করেছিল। সে সময় আস্থিতিশীলতা সৃষ্টি, সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষ্যাপিয়ে তোলা, অহেতুক বদনাম সৃষ্টি করাসহ ভয়াবহ নৈরাজ্যের একটি অবস্থা দেশের ভিতরে সৃষ্টি করেছিল কিছু মানুষ।

সে মানুষরা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। সামরিক শাসকদের গৃহপালিত বিরোধী দলে নেতৃত্ব দেওয়া এসব ব্যক্তিরা এখন বঙ্গবন্ধু কন্যাকে গণতন্ত্রের ছবক দিচ্ছে। তারা রাজনীতিতে পরিত্যক্ত ও উপেক্ষিত ব্যক্তিদের নিয়ে জোট গঠন করে নানাভাবে শিষ্টাচারহীন ভাষা ব্যবহার করছে, যেটা রাজনীতির ভাষা না। এ পরিস্থিতিতে মনেপ্রানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করেন যারা, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যারা বিশ্বাস করেন তাদের ঐক্যের ভিত্তি দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর করা দরকার। মনে রাখতে হবে একজন শেখ হাসিনা থাকার কারণে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আবার ফিরে এসেছে। একজন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব না থাকলে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হতো না। একজন শেখ হাসিনা না থাকলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দর্প চূর্ণ করে তাদের বিচার করে বিচারের রায় কার্যকর করা সম্ভব হতো না। এজন্য তাঁর হাতকে শক্তিশালী করা জাতীয় শোক দিবসের প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিত।

মন্ত্রী যোগ করেন, দীর্ঘ ধারাবাহিক পরিকল্পনায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ‘গো অ্যাহেড’ বলে এগিয়ে যেতে বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিল জিয়াউর রহমান। তাই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্তে জিয়াউর রহমানের নাম আসা উচিত ছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না এ আইন সংসদে পাস করেছে জিয়াউর রহমান। তাই আইনগতভাবে জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করতে দেয়নি।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ কন্টকাকীর্ণ ছিল উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম আরও যোগ করেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। সে সময় বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ব্যক্তিদের বিচার করা হয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যার সুবিধাভোগীদেরও বিচার করা হয়নি। এজন্য বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে খন্ডিত বিচার, অসম্পূর্ণ বিচার। নির্দিষ্ট খুনিদের বিচার হয়েছে কিন্তু ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত অনেকেরই বিচার হয়নি। এখনও সে বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু অবিনাশী সত্তা। বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শ, একটি বিশ্বাস, একটি দর্শন, পথ চলার পাথেয়। বঙ্গবন্ধুর আরোধ্য সাধনা ছিল একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। তিনি তা দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু যা কিছু রেখে গেছেন সেটা ধারণ করেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মো. সাঈদুর রহমান সেলিম প্রমুখ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৫, ২০২২ ৩:১৮ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু হত্যার পূর্ণাঙ্গ বিচার এখনও হয়নি: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পূর্ণাঙ্গ বিচার হয়নি। খন্ডিত বিচার হয়েছে।বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে যারা ষড়যন্ত্রকারী তাদের বিচার হয়নি। পরিকল্পনায় যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার হয়নি। যারা সুবিধাভোগী তাদের বিচার হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যারা ধ্বংস করেছে তাদের বিচার হয়নি। আবার নতুন করে তদন্ত করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৩ ধারার ২ এর বি অনুসারে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট করে তাদের বিচার করার সুযোগ রয়েছে। এখন সময় এসেছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারী, পরিকল্পনাকারী, সুবিধাভোগী এবং যারা সে সময়ে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ছিল তাদেরও বিচার করতে হবে। একটা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত ছিল, কারা সুবিধাভোগী, কারা ষড়যন্ত্রকারী, এমনকি যারা আদালত থেকে ছাড়া পেয়েছেন তাদের স্বরূপ উন্মোচন করা দরকার।

সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনের যে কলঙ্ক বাঙালি জাতির ললাটে লেপন করা হয়েছিল, এ কলঙ্ক কোনদিনই মুছে যাবে না। বঙ্গবন্ধু বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে জীবনের প্রায় ১৪ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু চাইলে পাকিস্তানিদের সাথে সমঝোতা করে পাকিস্তানের নেতা হিসেবে রাষ্ট্র ও সরকারে থাকতে পারতেন। কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার লক্ষ্যে তিনি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। পাকিস্তানিরা তাঁকে ফাঁসি দিতে পারেনি। কিন্তু কিছু কুলাঙ্গার বাঙালি তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে নিষ্ঠুরতা এবং বর্বরতার সঙ্গে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি মুজিবের হত্যাকান্ড হিসেবে বিবেচনার অবকাশ নেই। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করার চেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিতরা বঙ্গবন্ধু হত্যার পর পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করেছিল। স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে সে সময় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা দেওয়া হয়েছিল। এরশাদ সরকার, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সময়ে তারা পুনর্বাসিত হয়েছিল। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ১২টি রাষ্ট্রের হাইকমিশনে প্রতিষ্ঠা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না এ অর্ডিন্যান্সকে পার্লামেন্টে ১৯৭৯ সালে আইনে পরিণত করেছে জিয়াউর রহমান। এরশাদ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল। বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করে খুনিদের পার্লামেন্টে নিয়ে এসে বিরোধী দলে বসিয়েছে। এভাবেই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের শেষ আকাঙ্ক্ষার জায়গা, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধুসহ সব আদর্শকে ধ্বংস করা হয়েছিল।

মন্ত্রী যোগ করেন, ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসার পর আবার নতুন করে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ২১ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থাকা আওয়ামী লীগকে তিনি আবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা হবে। খুনিদের বিচারের লক্ষ্য নিয়ে তিনি ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করেন। জাতির দুর্ভাগ্য ৩৪ বছর অপেক্ষা করতে হয় জাতির জনকের খুনিদের বিচার করার জন্য। ৩৪ বছর পরও আমরা সব খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর করতে পারিনি।

একজন শেখ মুজিবের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, যে মানুষটি জীবনে কোন সুখ ভোগ করেন নি, যে মানুষটি আমাদের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমাদের পরিশ্রম করা দরকার। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।

এ অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার জন্য আবার একটি মহল সোচ্চার হয়ে উঠেছে। তারা ১৯৭৫ এ মিথ্যাচার করেছিল, মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেশকে অস্থিতিশীল করেছিল। এখন সে জাতীয় একটি চক্র নানাভাবে মিথ্যাচার করছে। সে চক্রের অশুভ ষড়যন্ত্র, অশুভ পরিকল্পনা যাতে বাস্তবায়ন না হয় সে লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ শেখ হাসিনার কাছেই নিরাপদ। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাতেই সৃষ্টি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

এদিন দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop